নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

রায়হানের বর্ণালী

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:০৫

গত শনি ও রবিবার দুদিনের ছুটি নিয়ে সপরিবারে একটু ঘুরতে গেছিলাম শহর থেকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা দূরে শিয়ালমারির জঙ্গলে। পাঠক বন্ধুরা হয়তো ভাববেন শিয়ালমারির জঙ্গল মানে শিয়ালে পরিপূর্ণ কিনা... না তা কিন্তু নয়। জঙ্গলটি শিয়ালের নামে নামকরণ হলেও সারাদিনে একটিও শেয়ালের দেখা পাওয়া যায় নি। এমন কি শোনা যায়নি একবারের জন্যও শৃগাল প্রজাতির বড় মেজ ছোট কারোর এক খন্ড হুক্কাহুয়োও। তবে শিয়াল না মিললেও নৈসর্গিক দৃশ্য উপভোগ করার যাবতীয় মসলা মজুদ ছিল জঙ্গলটিতে। বনবিথির আদর্শ জায়গা বলা যেতে পারে। হাজার রকমের পাখির কলকাকলিতে মুখরিত এলাকাটি যেন প্রকৃতির নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে পরিণত হয়েছে।আর এই কারণেই আলাদাভাবে কোনো বন্য প্রাণীকে দেখার বাসনায় লোভাতুর হবার দরকার নেই বলে আমার মনে হয়েছিল। যাই হোক বনদপ্তরের অনুমতি আদায় করতে গিয়ে দেখি অফিসে বসা ভদ্রলোকের মুখটি খুব চেনা চেনা লাগছে। মনের মধ্যেই হাতড়াতে থাকি, কোথাও যেন দেখেছি দেখেছি... কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই উত্তরও পেয়ে যাই। তবুও কিছুটা সন্দেহ রেখে আমতা আমতা করে জিজ্ঞেস করি,
- আপনি কি রায়হান আকুঞ্জি?
চশমা পড়া স্বল্পকেশী ভদ্রলোক তখন টেবিলে বসে আপন মনে কাজ করছিলেন। আমার প্রশ্ন শুনে এমন হা করে তাকিয়ে রইলেন যেন মন হলো আকাশ থেকে পড়েছেন। খানিকক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে থেকে,
অ্যা অ্যা অ্যা... করতে করতে চশমা খুলে হাসি হাসি মুখে উত্তর দিলেন,
-হ্যাঁ আ..প..নি ঠিকই বলেছেন, আমি রায়হান আকুঞ্জি। কিন্তু.....
-আমি পিটার চৌধুরী। ৯৭ এর কলেজ ব্যাচ।
আমার কথা শুনে তিড়িং করে দুপায়ে দাঁড়িয়ে উঠে,
- ওওও....সরি সরি সরি... আমি না একদম চিনতে পারিনি।
মূহুর্তে আপনি থেকে তুই,
-তুই একদম বদলে গেছিস ভাই পিটার। তখন ছিলি রোগা পটকা।আর এখন একদম গোলগাল চেহারার। মুখের ভুগোল পর্যন্ত বদলে গেছে।কি করে চিনব ভাই বল না..
যাইহোক ওর কল্যাণে আমরা অতিসমাদরে শিয়ালমারির জঙ্গল পরিদর্শন করলাম।

ভারী অদ্ভুত ছেলে ছিল রায়হান। ভীষণ পরোপকারী যাকে বলে। তবে ওর পরোপকারের ধরনটা ছিল একটু ব্যতিক্রমী। ও সাহায্য করত কলেজে হঠাৎ জুতো ছিঁড়ে বিপদে পড়ে যাওয়া যেকারোর জুতো সেলাইয়ের মাধ্যমে। ক্রমশ একজন দুজন দিয়ে শুরু করে পরের দিকে গোটা কলেজে যেকারো জুতো ছিঁড়ে গেলে তাদের সামনে মুশকিল আসান হিসেবে সমাধান করত রায়হান। ওর এই জুতো সেলাই করার কারণে অল্প দিনের মধ্যেই ক্লাসে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বন্ধুদের মধ্যে কেউ কেউ সামনাসামনি রসিকতা করে ওকে মুচি বলতেও কসুর করত না। সরল সাদাসিধা ছেলেটি এতোটুকু রাগ না করে একটা নিষ্পাপ হাসি দিয়ে যেচে পড়ে নেওয়া কর্তব্য পালন করে যেতো। জুতো সেলাই করাটা সমাজবদ্ধু মুচি সম্প্রদায়ের সন্তানের কাছে খুবই স্বাভাবিক কিন্তু অবাক হয়েছিলাম একজন মুসলিম পরিবারের সন্তান কি করে এমন জুতো সেলাইয়ের কাজ করতে পারে ভেবে।

বেশ কয়েকদিন যেতেই লক্ষ্য করি, প্রমিলা মহলে রায়হানের জনপ্রিয়তা ঈর্ষণীয় ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।আর ঠিক তখনই ঘটে যায় একটা উল্লেখযোগ্য ঘটনা। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক ছিলেন স্বাধীন বাবু। একদিন সিঁড়ি দিয়ে নামার পথে অসাবধানতায় স্যার পা হড়কে পড়ে যান।ভাগ্য ভালো যে উনি খুব বেশি উপর থেকে পড়েননি। কয়েকটি ধাপ উপর থেকে নিচে পড়তেই করিডোরে উপস্থিত ছেলে মেয়েরা ছুটে গিয়ে স্যারকে ধরে ফেলে। স্যারের পায়ের চপ্পলের একপাটি যায় ছিঁড়ে। মনে হয় একারণেই স্যারের পদস্খলন ঘটতে পারে। যাইহোক ছেলেমেয়েদের কাঁধে ভর দিয়ে কোনক্রমে উঠে দাঁড়িয়ে প্যান্টের ধুলো ঝাড়তে ঝাড়তে স্যার বাম হাত দিয়ে ছেঁড়া জুতোটা একটু উঁচুতে তুলে চিন্তিত হয়ে পড়লেন। ওনার কপালের ভাজ দেখে আঘাত খুব বেশি বলে মনে না হলেও জুতো ছেঁড়ার দুশ্চিন্তা আঘাতের মাত্রাকে ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে মনে হলো। এমতাবস্থায় স্যারের দুর্ভাবনা নিরসন করতে, আমরা কয়েকজন ছুটে গেলাম রায়হানকে খোঁজ করতে। রায়হানের নাম করতেই, স্যার আপত্তি জানিয়ে, কলেজের কোনো ছেলেকে দিয়ে জুতো সারানোর কাজ করানো কোনো অবস্থাতেই সমীচিন হবে না। যদিও তখন কে শোনে কার কথা।স্যারের জন্য কিছু একটা করতেই হবে। আমরা অনেকেই উপর নিচে ছুটে গেলাম রায়হানের সন্ধানে। অনেক খোঁজাখুঁজি করে অবশেষে ব্যাটাকে পাওয়া গেল তিনতলায় অনার্সের ছোট্ট একটা ঘরে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে আড্ডা মারতে। সেদিন স্পেশাল খাতির করে রায়হানকে তিন তলা থেকে গ্রাউন্ড ফ্লোরে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হলো। স্যার আবারো আপত্তি করলেন। কিন্তু সেই আপত্তিও কাজে এলো না। কয়েক মিনিটের মধ্যে ও স্যারের জুতো ঠিক করে দিল।স্যার ওকে থ্যাংকস জানিয়েছিলেন।অথচ সেই থ্যাংকসের ছিটেফোঁটা আমাদেরও প্রাপ্য ছিল। ওকে খুঁজে বার করার জন্য আমাদেরও যে কম অবদান ছিল না, তা কিন্তু নয়। যাইহোক স্যার সেদিন আমাদের দিকে একবারও মুখ তুলে চাইলেন না, ধন্যবাদ দেওয়া তো দূরের কথা।


এই ঘটনার পর থেকে শুধু ছেলেরা নয় মেয়েদের মধ্যেও জুতো মেরামতের আগ্রহ তৈরি হয়। মেয়েদের কাছে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ওর কাছে আমাদের কদর যায় যথেষ্ট কমে। আমরা জুতো ঠিক করার কথা বললে, কোনো না কোনো মেয়ে বন্ধুর দোহাই দিয়ে দেরি হবার যুক্তি দেখাত। এসময় ওর আরও একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করি। প্রথমদিকে ব্যাটা কারোর কাছ থেকে পয়সা নিত না। কিন্তু পরের দিকে সকলে এক দু টাকা দিলে না করতো না।টাকা না হয় অন্যদের কাছ থেকে নেবে তাইবলে আমাদের কাছ থেকেও টাকা নেওয়া! ওর এমন পরিবর্তনে বেশ রাগ হলেও মুখে প্রকাশ না করে বরং অপেক্ষা করতাম কখন আমাদের সময় আসবে।কাজ শেষে এক টাকা দিয়ে বলতাম,
- আমাদের জন্য তুই কলেজে প্রচার পেয়েছিস।আর সেই আমাদেরই কিনা তুই দূর করে দিলি? মেয়েরা তোর বেশি আপন হয়ে গেল ভাই?ও জিহবা কেটে ক্ষমা চাওয়ার ভঙ্গিতে,
-না না এমন করে কেন ভাবছিস? আমি যেমন ছিলাম তেমনি আছি। আমাকে নিয়ে প্লিজ তোরা ভুল বুঝিস না।
ওর এমন সরল স্বীকারোক্তিতে বুঝতে পারি আমাদের ঔষধে কাজ হয়েছে। এবার আমাদের আসল লক্ষ্য মেয়েদের জুতো মেরামত একেবারেই বন্ধ করে দেওয়া। কিন্তু কীভাবে তা সম্ভব তা নিয়ে আমরা গভীর চিন্তায় পড়ি। অনেক ভাবনাচিন্তার পর অবশেষে উপায় বের করি। ঠিক হয় প্রত্যেকেই প্রতিদিনে নিজের নিজের বাড়ির যত ছেঁড়া ফাটা জুতো আছে কোনক্রমে পায়ে গলিয়ে কলেজে এসে ওকে মেরামত করতে দেওয়া হবে। জুতোর ভারে ও যেন মাথা তুলতে না পেরে সারাক্ষণ ডুবে থাকে। একই সঙ্গে নুতন করে কোনো মেয়ের জুতো নিতে হলে ওকে যেন পাঁচবার ভাবতে হয়। শুধু ওর উপর ছেড়ে না দিয়ে আমরা জুতো দিয়ে খালি পায়ে ওর পাশে বসে কিম্বা দাঁড়িয়ে থাকতাম। মেয়েরা কেউ উপস্থিত হলে নিজেদের খালি পায়ের দিকে ইশারা করে দেরি হবে বলে ভাগিয়ে দিতাম। রায়হানের উত্তরের জন্য অপেক্ষা করতাম না। উল্লেখ্য আমাদের জুতো সেলাই করতে করতে রায়হানের অনেক সময় চলে যেতো। এমনকি কখনোবা খালি পায়ে ক্লাসে চলে যেতাম। আহারে! বেচারা বন্ধু সত্য পালনের জন্য জুতো সেলাই করেই বাইরে কাটিয়ে দিচ্ছে। উল্টো দিকে আমরা তখন ভিতরে দিব্বি ব্যস্ত ক্লাস করতে।ওকে ওভাবে বাইরে রাখতে পেরে আমরা অলক্ষে উল্লাসে ফেটে পড়তাম।

আমাদের এই সুখের মধ্যে কাঁটা হয়ে দাঁড়ালো বর্ণালী। ও প্রায়ই এসে অভিযোগের সুরে বলতো, আমরা নাকি ইচ্ছা করেই ওকে জুতা সেলাইয়ে ব্যস্ত রাখার জন্য বাড়ি থেকে রোজরোজ ছেঁড়াফাটা জুতো নিয়ে আসছি।ভারী অন্যায় করছি ওর সঙ্গে।কথাটা সত্য হলেও আমরা মুখে দমবার পাত্র ছিলাম না। আমরাও বলতাম,
-তোরাও গাদাগাদা জুতো ওকে দিয়ে সেলাই করিয়ে নিয়েছিস। এখন সেসব করতে না পেরে আমাদের বিরুদ্ধে ওকে ক্ষেপিয়ে তোলবার জন্য যা না হবার তাই করে বলছিস।
আমরা আরও বলতাম,
-এসব দুষ্টু দুষ্টু কথার নামে মিছিমিছি প্রেম ভালোবাসার কথা বলে ছেলেটার মাথাটা নষ্ট করে দিস না...ও একা আমাদের সঙ্গে পেরে উঠতে না পেরে মুখ ঝামটা দিয়ে চলে যেতো।
বর্ণালীর এই রায়হান প্রীতি দেখে আমরা পিছনে হাসাহাসি করতাম।যাক তাহলে জুতো সেলাই করেও একজনের মন গলেছে।বর্ণালী নির্ঘাত রায়হান মুচির প্রেমে পড়েছে।

ঘটনার দুসপ্তাহ অতিক্রান্ত হতে পারেনি হঠাৎ রায়হান নিরুদ্দেশ। দেখতে দেখতে বেশ কয়েকদিন অতিক্রান্ত হলেও রায়হানের কোন খোঁজখবর নেই। আমরা বন্ধুরা সবাই খুব চিন্তায় পড়লাম। হোস্টেলে ওর রুমমেটও কোনো খবর দিতে পারল না।আশায় ছিলাম যে বর্ণালী হয়তো ওর কোন সন্ধান দিতে পারবে। কিন্তু নাহা। দুদিন পরে বর্ণালী এলে ওকে জিজ্ঞেস করতেই, সেই একই রেজাল্ট জানিনা।ওর চোখে মুখে দুশ্চিন্তার করাল মেঘ আমাদের দৃষ্টি এড়ালো না। আমরা কিছুটা দুঃখ দুঃখ মুখে লোকদেখানো দুশ্চিন্তা দেখিয়ে বর্ণালীকে কাছে টানার চেষ্টা করি।ও অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে বলে,
-জানিস রায়হান যে কতোটা ভালো ছেলে তা ঠিক মুখে বলে বোঝানো যাবে না। ও এতোটাই উঁচু দরের যে.....বলে চুপ করে থাকে। খানিকক্ষণ বাদে, আমরা যদি সিকিভাগও ওর মতো মহানুভবতার অধিকারী হতাম তাহলে নিজেদেরকে ধন্য বলে মনে করতাম।
বর্ণালীর কথায় আমরা অবাক না হয়ে উল্টে ধরে নেই প্রেমের গদগদে আঠা একে অপরের হৃদয়কে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলেছে।আর তাই রায়হানের অনুপস্থিতে বিরহ যন্ত্রণায় কাতর বর্ণালী। যাই হোক নিরুদ্দেশ ছেলেটার জন্য আমরা আরও একবার দুঃখ প্রকাশ করে সেদিনের মত ওকে বিদায় দেই।

রায়হানের অনুপস্থিতি খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। আরো কয়েকদিন পরে বর্ণালীই উপযাজক হয়ে এসে আমাদেরকে খবর দেয় যে তার একদিন আগে নাকি রায়হানের সাথে ওর দেখা হয়েছে।ও হোস্টেল এসেছিল কিছু বইপত্রের সঙ্গে কিছু টাকা পয়সা নিতে। পরবর্তীতে আরও কিছুদিন কলেজে আসতে পারবে না বলে জানিয়েছে।
মুখ কাচুমাচু করে বর্ণালী আরও বলে,
- জানিস পিটার ওর খুব বিপদ।
আমি জিজ্ঞেস করি,
-বিপদটাই কি প্লিজ খুলে বলনা..
বর্ণালীর কথায়,
-জানিস ওর না দাদু মারা গেছে।
আমি বললাম,
-দাদু মারা গেছে জানবো কেমনে?আর তাছাড়া মারা গেছে যখন তখন কিই বা আর করা যাবে? গম্ভীর হয়ে বলি,
- আমাদের সবাইকে একদিন না একদিন চলে যেতেই হবে। কাজেই মেনে নেওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই।ওর দাদুর মাগফিরাত কামনা করছি।
সঙ্গে সঙ্গে বর্ণালী জানালো,
- আরে সে আবার মুসলিম না।
আমার আগ্রহ এবার শতগুণ বেড়ে যায়। প্রশ্ন করি,
-রায়হানের দাদু মুসলিম নন! তবে কি হিন্দু?
বর্ণালী জানায়,
- তুই ঠিক বলেছিস। উনি একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী।নাম মহাদেব মুচি।
আমি আর নিজেকে সামলাতে পারিনি। তৎক্ষণাৎ প্রশ্ন করি,
-তবে কি ও ধর্মান্তরিত মুসলিম? সবকিছু কেমন যেনো ঘোলাটে মনে হয়। তুই ওদের সম্পর্কটা আমাকে খুলে বলনা প্লিজ।
বর্ণালী জানায়,
-খুব ছোটবেলায় রায়হান ওর নানুর সঙ্গে গ্রামের হাঁটে যাওয়ার বায়না করত। ছোট্ট শিশুর বায়না ফেলতে পারত না ওর নানু। হাত ধরে গুটি গুটি পায়ে নানু রায়হানকে নিয়ে যেতো বাড়ি থেকে প্রায় পৌনে এক কিমি দূরে গ্রামের হাটে। এইভাবে সপ্তাহে দুদিন নানুর সঙ্গে হাটে ঘুরতে যাওয়া রায়হানের একটা অভ্যাসে পরিণত হয়। কিন্তু একটা বাচ্চা এতোটা হাঁটার ফলে ক্লান্ত হয়ে পড়তো।ফলে হাটে পৌঁছে ক্লান্ত রায়হান ঘুমিয়ে যেতো।আর এই ঘুমন্ত নাতিকে নিয়ে নানু প্রতি হাটবারেই মহাদেব মুচির চটে শুইয়ে দিত। নানুর হাটবাজার করার মধ্যেই রায়হানের ঘুম সম্পন্ন হতো।ঘুম থেকে উঠে রায়হান লক্ষ্য করত কীভাবে মহাদেব মুচি জুতো সেলাই করে।ক্রমশ মহাদেব মুচি হয়ে হয়ে উঠে ওর অত্যন্ত প্রিয় মহাদেব নানা।চটে বসে বসে রায়হান সেই ছোট্ট বেলায় পরম যত্নে শিখে নেয় জুতো সেলাইয়ের নানান কলাকৌশল। চটে ঘুমিয়ে যাওয়ার ফলে, হাটুরেদের দেওয়া জুতো থেকে ধুলোবালি লেগে যেতো রায়হানের গায়ে। হাটবাজার শেষ করে নানু নিতে এলে মহাদেব নানা ও ওর নানু দুজনে মিলে ওর গা থেকে ধুলোবালি ঝেড়ে দিত।

যে ধুলোবালিছাই শৈশবে রায়হানের গায়ে মনে লেগে গেছে তা থেকে ছেলেটা পরে আর নিজেকে আলাদা করতে পারেনি।তাই বড় হলেও খুঁজে পায়নি এমন জুতো সেলাইয়ের মধ্যে সামান্যতম নোংরা।ওর নিজের নানু মারা গেছে সেই কবেই। কিন্তু তবুও নানুর ভালোবাসা আদর স্নেহ সে এতো দিন ধরে পেয়ে আসছে মহাদেব নানার সৌজন্যে ।ও জানিয়েছিল, মহাদেব নানার দুটি ছেলে থাকলেও কেউ বয়স্ক মানুষ দুজনকে খেতে পড়তে দেয়না। উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াকালীন সময় থেকেই তাই ও টিউশনির পাশাপাশি দু একটা যা জুতো পেয়েছিল মেরামত করে গ্রামে মহাদেব নানাকে দিয়ে আসতো।পরে কলেজে ভর্তি হয়ে নুতন জায়গায় টিউশনি না পেয়ে আমাদের মধ্যে কয়েকজনের জুতো মেরামত করে যা সামান্য পয়সা পেতো তা দিয়ে আসতো বয়স্ক মানুষটিকে। কিন্তু কিছু দিন আগে বাড়ি গিয়ে জানতে পারে ওর সেই মহাদেব নানা মারা গেছে। নানার মৃত্যুতে ছেলেটা অত্যন্ত ভেঙে পড়ে।কদিন গ্রামে থেকে একটু সামলে নিয়ে তাই হোস্টেলে ফিরে আসে। নানার শেষকৃত্য সহ ঘাটের কাজ সম্পন্ন করা পর্যন্ত আরও কিছু টাকার দরকার। সামান্য কিছু টাকা নাকি ও এখানে রেখে গেছিল। সেদিন মূলত ওটাই নিতে আসে।আর এসব কারণেই আগামী বেশকিছু দিন কলেজে আসতে পারবে না বলে আমাকে জানিয়েছে।

এতক্ষণ ধরে একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম। বর্ণালীর কথা শেষ হতেই যেন সম্বিত ফিরে পেলাম।সমবয়সী ছেলেটাকে নিয়ে এতো দিন কত হাসাহাসি ঠাট্টা তামাশা করেছি। কিন্তু এখন শ্রদ্ধায় মাথা অবনত হয়ে গেল। সঙ্গে নীরবে গড়িয়ে পড়লো অশ্রু।
আজ শিয়ালমারির বিট অফিসে দাঁড়িয়ে বর্ণালীর কথা জিজ্ঞেস করতেই শিশুসুলভ হাসি প্রতিধ্বনিত হলো রায়হানের চোখে মুখে।
- সে অনেক কথা।
জুতো সেলাই এখনো করে কিনা জানতে চাইলে,
-মহাদেব নানা মারা যাবার পর বর্ণালীকে কথা দিতে হয় আর কখনো জুতো মেরামত করবো না বলে।পরে বিয়ের পিঁড়িতে বসে আরো একবার স্মরণ করিয়ে দেয় সে কথা। কাজেই তখন থেকেই আমি স্ত্রী সত্য পালন করে চলেছি।


মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +২০/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:১৫

সোনালি কাবিন বলেছেন: জীবনের দুই বিপ্রতীপধর্মী সত্যব্রত পালনের গল্প ভালো লাগ্লো।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথম মন্তব্য মানে আলাদা ভালোলাগা। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। ছোট্ট মন্তব্যের মধ্যে গল্পের নির্যাস তুলে ধরেছেন। আবারো ধন্যবাদ।
পোস্টটিকে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা আপনাকে।

২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৮

ইসিয়াক বলেছেন: পোস্ট পড়েছি কিন্তু মন্তব্য করবো না।
আপনার উপর রাগ হচ্ছে। আগের গল্প দুইটি কি শেষ হবে না?

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার জায়গায় আমি থাকলে আমিও রাগ করতাম। সত্যিই ভারী অন্যায় করছি। তবে সব গল্পই শেষ করবো 100 ভাগ নিশ্চিত একটু সময় চাইছি আমি সময়ের কাঙাল এইযা।
তবে আপনি একজন নির্মল হৃদয়ের মানুষ। যার প্রমান নিচের কমেন্টটি। কমেন্ট করবেন না বলেও নিচে ফাইনাল কমেন্টটি করলেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভকামনা প্রিয় ইসিয়াক ভাইকে।

৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৫৯

কামাল৮০ বলেছেন: পড়েই বুঝা যায়, এটা কোন বাঙ্গালের লেখা না।খাঁটি বাঙ্গালীর লেখা।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। আসলে লেখার মধ্যে নিজেদের কথ্যভাষা বা আঞ্চলিক ভাষায় প্রভাব থাকবেই। ওপারে বাঙালি অপিনিহতিযোগে সাহিত্য সৃষ্টি যতটা সমাদৃত ঠিক ততটাই আদরণীয় এপারের অপিনিতি বিহীন সাহিত্যকর্ম।
শুভেচ্ছা জানবেন।

৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৮

জুল ভার্ন বলেছেন: কী অপূর্ব সুন্দর জীবন থেকে নেয়া জীবন ঘনিষ্ঠ স্মৃতি মধুর বিদূর তরতাজা রোমন্থন! ভালো লাগা অফুরান! +

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভাইজান আপনার এই কমপ্লিমেন্টটি আমার কাছে দিকনির্দেশনা স্বরূপ। পোস্টে লাইক ও এমন কমেন্টে কৃতজ্ঞতা কৃতজ্ঞতা আর কৃতজ্ঞতা।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৭

গেঁয়ো ভূত বলেছেন:


অনেক অনেক অনেক ভালো লেগেছে! এমনি হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া কিছু মানুষের দেখে মেলে জীবনে, যাদেরকে ভুলা তো কোনো ভাবেই সম্ভব নয়।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আশাকরি ভাল আছেন প্রিয় ভাই। আপনার ভালো লেগেছে জেনে ও এমন নির্মল প্রশংসা জ্ঞাপনে ভীষণ খুশি হয়েছি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শুভকামনা আপনাকে।

৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৫

আরোগ্য বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো স্মৃতিচারণ মিশ্রিত কাহিনি। সমাজে কিছু মানুষ থাকে একটু আলাদা যদিও ভীড়ের মাঝে তাদের চিহ্নিত করা বেশ কঠিন। গল্পের শেষ অংশটুকু তো চমৎকার। এবার এ অংশের অজানা গল্পটাও শোনার ইচ্ছা করছে।

শুরুতে লিখলে দাদু, তারপর হয়ে গেল নানু। টাইপো হয়েছে হয়তো।

আশা করি তোমাদের ভ্রমণও বেশ উপভোগ্য ছিল আবার দীর্ঘ সময় পুরনো বন্ধুর আকস্মিক সাক্ষাৎ।

বিশেষ ধন্যবাদ এক পর্বের পোস্ট দেয়ার জন্য। অন্যথায় বাকি পর্বের জন্য কেবল দিনই গুনতে হয়। :(

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথমেই তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দেই এমন টাটকা কমেন্ট উপহার দেওয়ার জন্য।এ যেন গরম গরম রুটি আর কি।হেহে হে...
এবার আস তোমার সুন্দর কমেন্ট প্রসঙ্গে -
""বেশ ভালো লাগলো স্মৃতিচারণ মিশ্রিত কাহিনি। সমাজে কিছু মানুষ থাকে একটু আলাদা যদিও ভীড়ের মাঝে তাদের চিহ্নিত করা বেশ কঠিন। গল্পের শেষ অংশটুকু তো চমৎকার। এবার এ অংশের অজানা গল্পটাও শোনার ইচ্ছা করছে।" এমন পর্যবেক্ষণ নিঃসন্দেহে যে কোনো লেখককে বাড়তি অক্সিজেন যোগাবে। অসংখ্য ধন্যবাদ তোমাকে। তবে গল্পের অজানা কাহিনী অজানা থাকাটাই ভালো। তুমি জানো এ কথা তবুও বলছি,ছোট গল্পের অন্যতম শর্ত শেষ হয়েও শেষ হবেনা কাহিনী অতৃপ্ত থাকবে।
দাদু কথাটি তোমার কমেন্ট দেখার পর খুজেছি কিন্তু আমার চোখে পড়ল না যদি একটু উল্লেখ করে দাও খুব ভালো হয়।।

পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।

নিরন্তর শুভেচ্ছা তোমাদেরকে।


৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ‌এটা টানা পড়ে শেষ করলাম। চমৎকার লিখেছেন।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। নিরন্তর শুভকামনা আপনাকে।

৮| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অসাধারণ। মহাদেব নানুর প্রতি রায়হানের দায়িত্ব ও মমত্ববোধ খুব ভালো লেগেছে। পুরো গল্প জুড়েই রায়হান ও তার পবিত্র দায়িত্ব পালন ছিল, বর্ণালী গল্পের মূল চরিত্র - যেহেতু রায়হানের বর্ণালী, বর্ণালী উপস্থিতি আরো বেশি হলে আরো বেশি মজা পেতুম :)

রায়হান যে এত জুতা সেলাই করতেন, তার পারিশ্রমিক কি প্রমীলাদের ঐ হাসিটুকুই? :)

আপনার সূক্ষ্ম রসবোধ খুবই ভালো লেগেছে।

কয়েকটা বানান - বদদপ্তর - এটা কি বনদপ্তর না? এরকম আরো দুটো বানান খুব দৃষ্টিকটু লেগেছে। বাকি দুটো ভুলে গেছি :)

ধুলোবালিছাই এমনই বস্তু, না চাইলেও তার নাম চলে আসে :)

সাবলীল বর্ণনায় মুগ্ধ।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:০৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথমেই বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী প্রিয় সোনাবীজ ভাই। আশাকরি ভালো আছেন। অনেক দিন পর আপনার কমেন্ট পেয়ে ভীষণ খুশি হয়েছি। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে। এবার আসি পোস্ট প্রসঙ্গে -
"অসাধারণ। মহাদেব নানুর প্রতি রায়হানের দায়িত্ব ও মমত্ববোধ খুব ভালো লেগেছে। পুরো গল্প জুড়েই রায়হান ও তার পবিত্র দায়িত্ব পালন ছিল, বর্ণালী গল্পের মূল চরিত্র - যেহেতু রায়হানের বর্ণালী, বর্ণালী উপস্থিতি আরো বেশি হলে আরো বেশি মজা পেতুম :)" -আপনার এমন মন্তব্য আমার কাছে দিশারী স্বরুপ। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।

"রায়হান যে এত জুতা সেলাই করতেন, তার পারিশ্রমিক কি প্রমীলাদের ঐ হাসিটুকুই? :)"-ঠিক তাই। কোনো পারিশ্রমিক নিতো না। জহুরির চোখ আপনার। ঠিকই ধরেছেন। একঝলক মিষ্টি হাসি ছিল একমাত্র পারিশ্রমিক।হেহে হে..

বানান টাইপো ধরিয়ে দেওয়াতে আপ্লুত হলাম। বনদপ্তর,নিরসন ও উপযাজক হয়ে এই তিনটি বানান আমার চোখে পড়েছে। ঠিক করে দিয়েছি। এরপরও যদি আপনার চোখে এমন টাইপো পড়ে প্লিজ প্লিজ একটু উল্লেখ করবেন প্রিয় ভাই।
পোস্টটিতে লাইক করাতে ও এতো সুন্দর দিকনির্দেশনা স্বরুপ কমেন্ট করাতে অন্তরের কৃতজ্ঞতা আপনাকে।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।


৯| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: হুম ব্যাতক্রমী এই কাহিনী পড়ে দারুনভাবে আপ্লুত ও আবেগার্ত হলাম!
ইদানিং বেশ গ্যাপ দিয়ে লিখছেন।
ঢাকায় কিন্তু শিয়ালবাড়ি আছে- সেখানে অবশ্য কয়েক বছর আগে শেয়াল ডাকত। এখনো ঢাকার দিয়া বাড়িতে রাতে শেয়াল ডাকে।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তপন ভাই,
সুন্দর আন্তরিক কমেন্টের জন্য মুগ্ধতা জানবেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। ব্যস্ততা মারাত্মক বেড়ে গেছে। কিছুতেই ব্লগিং করার মত সময় বার করতে পারছি না।অথচ মন সারাক্ষন ব্লগেই পড়ে থাকে। কি আর করার। বহুদিন পর পর একটু-আধটু সময় পেলে তখনই পোস্ট দেই।

ঢাকার শিয়ালমারি জঙ্গলের প্রসঙ্গটি শেয়ার করাতে খুশি হলাম। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টটিতে like'করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন। নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

১০| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি,



ওয়াও..... অসম্ভব সুন্দর একটি লেখা।
শিয়ালমারির নৈসর্গিক দৃশ্যের বদলে একজন রায়হানের অন্তরের নৈসর্গিকতা দেখিয়ে গেলেন বর্ণালী রংয়ে রাঙিয়ে।
শিয়ালমারির শেয়ালের হুক্কাহুয়াবিহীন জঙ্গলের নিভৃতে থাকা এক কোকিলের প্রানহরা কুহু ডাক শুনিয়ে গেলেন।
++++++++++

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "ওয়াও..... অসম্ভব সুন্দর একটি লেখা।
শিয়ালমারির নৈসর্গিক দৃশ্যের বদলে একজন রায়হানের অন্তরের নৈসর্গিকতা দেখিয়ে গেলেন বর্ণালী রংয়ে রাঙিয়ে।" আপনার এমন মূল্যায়ন আমার ব্লগিং জীবনের দিকনির্দেশনা স্বরুপ; কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।
শেষ লাইনটিও ভীষণ ভালো লেগেছে। সঙ্গে পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা আপনাকে।
শুভেচ্ছা নিয়েন।

১১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৬

অপ্‌সরা বলেছেন: জুতো সেলাই করেও ওমন প্রিয় হয়ে গেলো!!!

একদম সত্যি গল্পের মত!

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ ঠিক তাই আপু জুতো সেলাই করেও এমন জনপ্রিয় হওয়া যায়। আপনি আবার মিথ্যা গল্প ভাবলেন কেন? দুটো ভিন্ন আঙ্গিকের সত্য ঘটনাকে এখানে মিসেল করা হয়েছে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন। শুভকামনা আপনাকে।

১২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৮

ইসিয়াক বলেছেন: যাক আবার এলুম,
রায়হানের বর্ণালী লেখাটিকে স্মৃতিকথা বলেই মনে হচ্ছে।
তবে এটা মানতেই হবে যার সাথে যার মজে মন, কি'বা মুচি কি'বা ডোম। রায়হান অবশ্যই মানুষ হিসাবে অনেক সহজসরল বলেই মনে হলো। চমৎকার চরিত্র চিত্রণ।

ভালো লাগলো। ফুলেল শুভেচছা রইলো।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমি জানি আপনি আমার উপর রাগ করে থাকতে পারবেনই না। ঐ মিয়া সত্য ঘটনা বলে মনে হচ্ছে না? সব সময় সব গল্প কিন্তু নেহাত গল্প নয় ,তার মধ্যে বাস্তবতাও থাকে এটা তেমনই একটা গল্প।। প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখিত আপনার প্রচলিত প্রবাদটি শতভাগ সত্য ,সহমত পোষণ করছি। রায়হানের সরল স্বীকারোক্তিতে চমৎকৃত বলে চরিত্রটি উল্লেখ করাতে আনন্দ পেলাম আবারও ধন্যবাদ আপনাকে।।
পোস্টটি ভাল লাগতে ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে পেরে আনন্দ পেলাম
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন। শুভেচ্ছা আপনাকে।

১৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মনে হয় এই জংগলে আগে অনেক শিয়াল ছিলো! তখন সেখানে যে যেতো সেই শিয়াল মারতো। শিয়াল মারতে মারতে এক সময় শিয়াল শূণ্য হয়ে গেলো জংগল। কিন্তু নামটা রয়ে গেলো শিয়াল মারির জংগল।

গল্প ভালো লেগেছে দাদা।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: নামকরণের সঙ্গে স্থানীয় এলাকার বিভিন্ন ঘটনাকে নিয়ে একটা সামঞ্জস্য থাকেই সে দিক থেকে আপনার কমেন্টটি খুবই যুক্তিযুক্ত অসংখ্য ধন্যবাদ নুরু ভাই আপনাকে।। প্রায় লুপ্তপ্রায় প্রাণীটির প্রতি কি নির্মলতাই না একসময় খেয়ালি মানুষেরা করে গেছেন। গল্প ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম আবারও ধন্যবাদ আপনাকে।
নিরন্তর শুভেচ্ছা জানবেন।

১৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:১৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: জীবনের গল্পটা ভারী সুন্দর। +++++

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ মাইদুল ভাই আপনাকে।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।।
অফুরান শুভেচ্ছা রইলো।

১৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪৭

নীল আকাশ বলেছেন: মানুষের জীবনের যে কত রকম অদ্ভুত কাহিনী আছে।
বর্ণালী এই পরিচয়ের পরেও বিয়ে করেছে দেখে ভাল লেগেছে।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বহুদিন পর আমার কোন পোস্টে এলেন। ভীষণ খুশি হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। ‌
"মানুষের জীবনের যে কত রকম অদ্ভুত কাহিনী আছে।
বর্ণালী এই পরিচয়ের পরেও বিয়ে করেছে দেখে ভাল লেগেছে।"- একদম যথার্থ বলেছেন মানুষের জীবন কতই না অদ্ভুত কাহিনী নিয়ে নির্মিত। বর্ণালীর বিয়ে হল কিন্তু বিয়ে অনুষ্ঠান খেতে পারলাম না এ দুঃখ কোথায় যে রাখি হেহে হে...
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা আপনাকে।

১৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫৭

আরোগ্য বলেছেন: হা হা হা
বলতে হবে রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও আত্মার সম্পর্ক আছে। তুমি আমার মন্তব্য যেমন উপমা দিয়ে প্রশংসা করেছো আমি তদ্রূপ লিখতে চেয়েছিলাম, তোমার এই পোস্ট যেন প্রকৃতির ভ্যাপসা গরমে স্নিগ্ধ শীতলতা। পরে ভাবলাম শীতলতা মানে ঠান্ডা, আর পোস্ট ঠান্ডা মানে নেগেটিভ বুঝায় তাই আর লিখিনি। :||

এবার প্রতিমন্তব্যের অনুসন্ধানে আসি,
লক্ষ্য কর, বর্ণালী আর লেখকের কথপোকথন, " - জানিস ওর না দাদু মারা গেছে। " এই সংক্ষিপ্ত কথপোকথনগুলোতে দাদু শব্দটি লিখেছো আবার যখন বর্ণালী বিস্তারিত বর্ণনা করতে লাগলো তখন নানু লিখেছো। আশা করি আমি দেখাতে পেরেছি।

পরবর্তী পোস্ট আশা করি শীঘ্রই পাবো :(

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ": হা হা হা
বলতে হবে রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও আত্মার সম্পর্ক আছে। তুমি আমার মন্তব্য যেমন উপমা দিয়ে প্রশংসা করেছো আমি তদ্রূপ লিখতে চেয়েছিলাম, তোমার এই পোস্ট যেন প্রকৃতির ভ্যাপসা গরমে স্নিগ্ধ শীতলতা। পরে ভাবলাম শীতলতা মানে ঠান্ডা, আর পোস্ট ঠান্ডা মানে নেগেটিভ বুঝায় তাই আর লিখিনি। :||" আরে এই শীতলতাকে ঠান্ডা না ভেবে হেমকুন্ডের শীতলতা হিসেবে দেখো না...দেখবে দারুণ উষ্ণ অনুভব করবে।হেহে হে..
" - জানিস ওর না দাদু মারা গেছে। " এই সংক্ষিপ্ত কথপোকথনগুলোতে দাদু শব্দটি লিখেছো আবার যখন বর্ণালী বিস্তারিত বর্ণনা করতে লাগলো তখন নানু লিখেছো। আশা করি আমি দেখাতে পেরেছি।"-অজস্র ধন্যবাদ তোমাকে। এমন একটি সুক্ষ্ম বিষয় আলোকপাত করার জন্য। কিন্তু এই স্থানে এই দাদু শব্দটি ইচ্ছে করেই রেখেছি। হিন্দুরা মায়ের বাবাকে দাদু ও মাকে দিদুন/দিম্মা বলে।যেহেতু বর্ণালী হিন্দু সম্প্রদায়ের মেয়ে এবং মহাদেব নামের কারণে শুরুতে ওর সম্মোধনে দাদু বলেছে। কিন্তু পরে তার দৃষ্টি রায়হান কেন্দ্রীক হওয়ায় নিজেকে বদলে নানু/ নানা সম্পর্ককে স্বাভাবিক করে নিয়েছে। আশাকরি আমি তোমাকে বোঝাতে পেরেছি।
ভালো থেকো সবসময়।
শুভেচ্ছা জেনো।


১৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:২৭

রানার ব্লগ বলেছেন: শিয়ালমারি জঙ্গলের নাম দেখে ভাবলাম কোন যুতসই এ্যডভেঞ্চারের গল্প কিন্তু তারপরেও হতাশ হই নাই । আমাদের জীবনে এমন কিছু মানুষের দেখা আমরা পাই যাদের কিছু কাজ আমরা কখনই ভুলতে পারি না ।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেকদিন পর আমার কোনো পোস্টে আপনাকে পেয়ে খুশি হয়েছি। পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। না ভাই জঙ্গল মানে সবসময় অ্যাডভেঞ্চার থাকবে না। আর যেহেতু আপনি এডভেঞ্চার প্রিয়, সে দিক থেকে কিছুটা নিরাশ হলেন বুঝতে পারছি। কিন্তু কি আর করার....
ঠিকই বলেছেন জীবনে এমনো কিছু মানুষের দেখা পাওয়া যায় যাদের কখনও ভোলা যায় না। পোস্টটি পাঠ করে এমন নির্যাস তুলে ধরার জন্য আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভেচ্ছা আপনাকে।

১৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পদাতিক দা, গল্পটা খুব ভালো লেগেছে। জুতা সেলাই করে রায়হান পেল বর্ণালীর সুদৃষ্টি। সেই সুদৃষ্টি থেকে একেবারে প্রেম এবং বিয়ে। হিন্দু মুসলিমের মধ্যে সম্প্রীতি ফুটে উঠেছে গল্পটিতে। বর্ণালী কি হিন্দু না মুসলমান?

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় সাচু ভাই গল্পটা পড়ে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হয়েছি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। হে হে তা তা বলেছেন, জুতো সেলাই করে রায়হান পেলো বর্ণালীর সুদৃষ্টি। সেই সুদৃষ্টি থেকে একেবারে প্রেম এবং বিয়ে।"- চারিদিকে পঙ্কিলতা যুক্ত সমাজে যেখানে উঁচু উঁচু ভেভ ধর্মীয় প্রতিহিংসা বর্তমান সভ্যতার অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে সেখানে গল্পটি ইচ্ছা করেই ব্যাতিক্রমের মধ্যে ব্যতিক্রম আরো ভালো জায়গায় পৌঁছে দিতে পারে।
বর্ণালী বিয়ের আগে ছিল হিন্দু বিয়ের পর রায়হানের শিরোনাম নিয়েছে

পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন। নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

১৯| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:২৭

সোহানী বলেছেন: এরকম রায়হানের দেখা কমই পেয়েছি জীবনে। আর কলেজ ইউনিতে ছিল সব বদের দল। আমরা বরাবরেই প্রতিপক্ষ ছিলাম ছেলেদের।

ভালোলাগলো রায়হান বর্ণালীর কাহিনীতে্

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে। গল্পের সঙ্গে রিলেট করে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরায় খুশি হলাম। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা আপনাকে।

২০| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:১৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: পাঠক বন্ধুরা হয়তো ভাববেন শিয়ালমারির জঙ্গল মানে শিয়ালে পরিপূর্ণ কিনা... না, তা ভাববো না। আপনেরা তো শিয়াল মাইরা সাফা কইরা ফালাইছেন। তাইলে শিয়ালমারির জঙ্গল শিয়ালে পরিপূর্ণ থাকবে কিভাবে?

চমৎকার একটা লেখা পড়লাম, তবে আমার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু অন্যত্র। আপনি কি আজকাল নিজের মন্তব্য নিজেই কপি-পেষ্ট করেন? ভুলেও না করবেন না, তাইলে ধরা খাইবেন। ৬ নং মন্তব্য দ্রষ্টব্য; কিছু অংশ দিলাম। =p~

''প্রথমেই তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দেই এমন টাটকা কমেন্ট উপহার দেওয়ার জন্য।এ যেন গরম গরম রুটি আর কি।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন
নিরন্তর শুভেচ্ছা তোমাদেরকে।................ব্যাখ্যা করেন। :P

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "পাঠক বন্ধুরা হয়তো ভাববেন শিয়ালমারির জঙ্গল মানে শিয়ালে পরিপূর্ণ কিনা... না, তা ভাববো না। আপনেরা তো শিয়াল মাইরা সাফা কইরা ফালাইছেন। তাইলে শিয়ালমারির জঙ্গল শিয়ালে পরিপূর্ণ থাকবে কিভাবে?"- ঠিক কথা বলেছেন।আর এমন করে লিখবোনাকো হেহে হে..

এতো বড় একটা পোস্ট নিয়ে ,"চমৎকার একটা লেখা পড়লাম।"এটুকু লেখা। ফাঁকিবাজ কমেন্ট!!! আর আমার কপি পেস্ট কমেন্ট নিয়ে এতোটা কমেন্ট করা! সাধে কি আর ভাবিজি এমন 'বদ' বলেছেন? আমি অনেকদিন আগে থেকেই প্রতিম্তব্য কপি পেস্ট করি।ঐ জন্য আপনি ও তুমি হয়ে গেছে। এর আগেও এমন জগাখিচুড়ী আছে। আপনি খুঁজে বের করবেন।না হলে কিন্তু আপনাকে কপি পেস্ট কমেন্ট দিতে পারবোনা।হেহে হে...,


২১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪৭

মীর ভাই বলেছেন: অনেক সুন্দর ও সাবলীল লেখোনী । এক দমে পড়ে ফেলেছি । আপনার শুভ কামনা করি ।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার কোনো পোস্টে আপনার প্রথম কমেন্ট; সুস্বাগতম আপনাকে।
পাট মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভেচ্ছা জানবেন।

২২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২২

পুলক ঢালী বলেছেন: প্রথমে ভেবেছিলাম ভ্রমন পোষ্ট, আমি যেহেতু ভ্রমন করতে পছন্দ করি তাই পুরোটা পড়ার জন্য ভিতরে প্রবেশ করতে দেরী করলামনা কিন্তু ভিতরে প্রবেশ করে দেখি শিয়ালমারি উপসর্গ মাত্র, মূল কাহিনী রায়হান মুচী এবং বর্ণালীকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে!
তারপর আর থামতে পারলামনা, এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম, কারনটা হলো অনবদ্য উপস্থাপনাশৈলী, উচ্চমার্গের ভাষা প্রয়োগ, সাবলীল গতিতে বিচ্যুতি বর্জিত এগিয়ে চলা ইত্যাদি ইত্যাদি। আপনি চাইলে এরকম ব্যতিক্রমী চরিত্রের সাথে বর্ণালী ব্যঞ্জন মিশিয়ে সমৃদ্ধ একটি উপন্যস লিখে ফেলতে পারবেন সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।
ভাল থাকুন পদাতিক চৌধুরী ভাই।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:০৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় পুলক দাদা,

অনেকদিন পর আমার কোনো পোস্টে এলেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভ্রমর বিষয়ক পোস্ট আমি খুব বেশি দিই না।আসলে করোনার আগে যা একটু ঘোরাঘুরি করতাম এখন সে সব বন্ধ হয়ে গেছে। ঘোরাঘুরির জন্য আমার একটা টিম ছিল। কিন্তু এই মুহূর্তে অন্যত্র কাজের সূত্রে চলে আসায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ অনেকটাই কমে গেছে। নুতন জায়গায় তেমন করে টিম করতে পারিনি। ফলে ঘোরাঘুরি আপাতত বন্ধ।
এবার আসি পোস্ট প্রসঙ্গে। এই মুহূর্তে আমার দুটি দুটি উপন্যাসের কাজে ব্যস্ত আছি। পাঠকদের একটু আলাদা স্বাদ দিতে এই গল্পটির অবতারণা। আপনার সুন্দর পরামর্শ খুব ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভবিষ্যতে রায়হানকে নিয়ে এরকম ভাবতেই পারি। সেক্ষেত্রে অগ্রিম কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
ভালো থাকবেন সবসময়।

২৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: শিয়ালমারি, বোয়ালমারি, চিতলমারি, রৌমারি (রৌ--রুই অর্থে) ইত্যাদি নামগুলো এপার বাংলাতেও বহুল প্রচলিত। আগে স্থানীয় এলাকার নামগুলো কেন এরকম রাখা হতো তা জানা নেই।
"আমি এখন স্ত্রী সত্য পালন করছি মাত্র" - এই একটি ছোট্ট কথা দিয়ে কি সুন্দর করে গল্পটা শেষ করলেন! চারিত্রিক সরলতা ও সততার আকর্ষণ দুটো ভিন্ন সম্প্রদায়ের মানব মানবীকে একসূত্রে বেঁধেছে, এমন একটা সুখকর বাস্তবতার গল্প পড়ে মুগ্ধ হ'লাম।
আহমেদ জী এস এবং পুলক ঢালী এর মন্তব্যদুটো চমৎকার! আপনার ১৬ নম্বর প্রতিমন্তব্যটাও ভালো লেগেছে।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "শিয়ালমারি, বোয়ালমারি, চিতলমারি, রৌমারি (রৌ--রুই অর্থে) ইত্যাদি নামগুলো এপার বাংলাতেও বহুল প্রচলিত। আগে স্থানীয় এলাকার নামগুলো কেন এরকম রাখা হতো তা জানা নেই।"-অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার আপনাকে। উল্লেখিত আপনার নামগুলো হয়তো আজ প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে তবে কোনো না কোনো সময় নিশ্চয় নামগুলোর যৌক্তিকতা ছিল। বিষয়টা এভাবে উপস্থাপন করাতে খুশি হয়েছি। অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার আপনাকে।"

"আমি এখন স্ত্রী সত্য পালন করছি মাত্র" - এই একটি ছোট্ট কথা দিয়ে কি সুন্দর করে গল্পটা শেষ করলেন! চারিত্রিক সরলতা ও সততার আকর্ষণ দুটো ভিন্ন সম্প্রদায়ের মানব মানবীকে একসূত্রে বেঁধেছে, এমন একটা সুখকর বাস্তবতার গল্প পড়ে মুগ্ধ হ'লাম।"-
আপনার এমন উদার প্রশংসায় আপ্লুত বোধ করছি। কৃতজ্ঞতা আপনাকে।
আহমেদ জী এস এবং পুলক ঢালী এর মন্তব্যদুটো চমৎকার!"-সহমত আপনার সঙ্গে। ওনারা দুজনই বিচক্ষণ ব্লগার। বিভিন্ন পোস্ট ও মন্তব্যে ওনারা নিজেদের পরিচয় তুলে ধরেন। প্রতিমন্তব্যের মাধ্যমে ওনাদের পক্ষ থেকে আপনাকে আরও একবার ধন্যবাদ জানাই।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।


২৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:২৫

জুন বলেছেন: জংগল, প্রেম প্রকৃতি সব কিছুই অনেক ভালো লাগলো পদাতিক কিন্ত ক্লাশমেটদের এত্ত এত্ত জুতা সেলাইতো ভালো লাগলো না। যাই হই আর তাই হই কিন্তু জীবনে বর্নালী হইতাম না এইটা শিউর =p~
আরেকটা কথা পিটারের উচিত ছিল মহাদেব মুচির চটে না ঘুমিয়ে জেফ বেজোস বা নিদেনপক্ষে মুকেশ আম্বানির বারান্দায় শুয়ে থাকা #:-S তাহলে একটা কাজের কাজ হতো পদাতিক।
সুন্দর আর সাবলীল বর্ননায় লেখা এউ গল্পটি আজকের এই ছুটির সকালে উপভোগ করলাম অনেক ।
অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:৫৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: জংগল, প্রেম প্রকৃতি সব কিছুই অনেক ভালো লাগলো পদাতিক কিন্ত ক্লাশমেটদের এত্ত এত্ত জুতা সেলাইতো ভালো লাগলো না। যাই হই আর তাই হই কিন্তু জীবনে বর্নালী হইতাম না এইটা শিউর =p~"- একেবারে যথার্থই বলেছেন আপু। রায়হানের জুতো সেলাই করাটা যতই তার সরলতার প্রতীক হোক না কেন তার মধ্যে অন্যের দ্বারা ঘৃণিত হবার একটা সম্ভাবনা থেকে যায়। আর বর্ণালী হওয়া তো রীতিমতো ঝুঁকি, চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। খুবই কম মেয়েই পারে এতটা সাহসী হতে।

"আরেকটা কথা পিটারের উচিত ছিল মহাদেব মুচির চটে না ঘুমিয়ে জেফ বেজোস বা নিদেনপক্ষে মুকেশ আম্বানির বারান্দায় শুয়ে থাকা #:-S"- হেহেহে আপু তা যা বলেছেন।

বর্ণনা সুন্দর ও সাবলীল মনে হওয়ায় এবং পোস্টটিকে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।


২৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:০৯

মুক্তা নীল বলেছেন:
দাদা জীবনের এই টুকরো টুকরো কিছু সত্য ঘটনা নিয়ে যখন কোন গল্প পড়ি তা আমার কাছে অন্যরকম ভালো লাগে । শিরোনামটা মনে হয় বর্ণালী'র রায়হান হলে আরো ভালো হতো আমার কাছে ব্যক্তিগত অভিমত । বর্ণালীর ভালোবাসায় চ্যালেঞ্জ ও সাহসিকতার পরিচয় পেয়েছি। দাদা শিরোনামের বিষয়টা কিন্তু আমি মজা করে বললাম সিরিয়াসলি নিয়েন না বর্ণালীর ক্যারেক্টার আমার পছন্দ হয়েছে ।
অনেক শুভকামনা জানবেন ।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: দাদা জীবনের এই টুকরো টুকরো কিছু সত্য ঘটনা নিয়ে যখন কোন গল্প পড়ি তা আমার কাছে অন্যরকম ভালো লাগে ।"-একদম ঠিক তাই। সত্য ঘটনা অবলম্বনে রচিত গল্প গুলো হৃদয়ে দাগ কেটে যায়। এবিষয়ে আমি বোনের সঙ্গে শতভাগ সহমত।
শিরোনাম বিষয়ে বোনের সুন্দর পরামর্শের জন্য রইলো একরাশ মুগ্ধতা। হয়তো প্রথমে জানতে পারলে তেমন শিরোনাম দেওয়া যেতেই পারতো। কিন্তু এই মুহূর্তে পোস্ট বুড়ো হয়ে গেছে। আর তাছাড়া নামটির পিছনে যে ভাবনাটি কাজ করেছিল, ক্লাসে বর্ণালীর সঙ্গে আমাদের সখ্যতা গড়ে উঠেছিল রায়হানকে কেন্দ্র করেই। তবুও বলছি পোস্টের শুরুতেই বোনের এই পরামর্শটি থাকলে একটা দুটো লাইন একটু ঘুরিয়ে দিলেই গল্পটি যে একটু বেশি পাঠক প্রিয় তাকে তো সে কথা বলা বাহুল্য।

পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানাই।

নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় ছোট বোনকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.