নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আঁধারে আলো (পর্ব-৪)

১২ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:১১



সহযাত্রী বৌদিমনির রহস্যময়ী চাহনি আমাদেরকে খুব বেশিক্ষণ নিবৃত করতে পারেনি। বলা ভালো আমরা নিজেদেরকে খুব বেশি সময় যংযত রাখতে পারিনি। বেশ কয়েকবার বৌদিমনির সঙ্গে চোখাচোখি হতেই বুঝতে পারি ভদ্রমহিলাকে অতোটা পাত্তা দেওয়ার কারণ নেই। উনি দেখে কি মনে করবেন বলে খামোকা আমরা আমাদের মধুর যাত্রাকে শবযাত্রায় পরিণত করতে পারি না। মনের পৌরুষদীপ্ত মূহুর্তে সিংহের মতো জেগে ওঠে। প্রলুব্ধ করে বিবাহিত স্ত্রীর সঙ্গে অচেনা অজানা দূর দেশে একটু না হয় ঘনিষ্ঠ হলেই বা।আর এমন নৈস্বর্গিক প্রকৃতির নয়নাভিরাম দৃশ্যকে মনেপ্রাণে উপভোগ্য করে তুলতে হলে দুটি হৃদয়ের সঙ্গে একে অপরের হাতে হাত, আরো কাছাকাছি, একটু ঘনিষ্ঠতা আর এসবের মধ্যেই যে টয়ট্রেন যাত্রা উপভোগ্যের মাত্রা কানায় কানায় পূর্ণ হবে। কিন্তু পরক্ষণেই আবার পৌরুষদীপ্ত সিংহ বিড়ালছানার মতো খেই হারিয়ে ভাবলেশহীন পড়ে। আশপাশে তাকিয়ে দেখি অন্য কেউ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছেন কিনা..। কিন্তু নাহা আমাদেরকে ফলো করার মতো তেমন কাউকে দেখতে পেলাম না। সহযাত্রীরা সকলেই ভীষণ ভদ্র। সবাই বুঁদ হয়ে বাইরে তাকিয়ে আছেন। কিন্তু তার মধ্যেও নচ্ছার বৌদির দুষ্টভরা চাহনি আমাদেরকে রীতিমতো অস্বস্তির মধ্যে রাখে। সঙ্গে আছে এক রহস্যময়ী মুচকি হাসি।দেখে তো মনে হচ্ছে ইনি যেন আরেক কোনো মোনালিসা টিসা হবেন।যিনি তার রহস্যময়ী হাসিটা অকাতরে বিলিয়ে চলেছেন। কিন্তু আমার লক্ষ্য যে অন্য জায়গায়। সেকারণে বৌদিমনির লাস্যময়ী সুন্দর হাসিটাও এই সময় বিটকেল বলে মনে হয়। মনে হয় ওনার হাসিটা যেন আমাদেরকে বিদ্রুপ করছে; আমাদের সম্পর্ককে নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। আর তাই ভেঙে যায় এতক্ষণ ধরে বয়ে বেড়ানো মনের ধৈর্য্যের বাঁধ। কাঁচের টুকরোর মতো ভেঙে খানখান হয়ে যায়। মনের বাঁধন হাট হয়ে যায় খুলে।ফলে মনের যাবতীয় দ্বিধাদ্বন্দ্বকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে, বেপরোয়া হয়ে এক হিচকাটানে শ্বেতাকে বাহুর মধ্যে আগলে ধরি।শ্বেতা কয়েক মূহুর্তের জন্য একটু আনমনা হয়ে গিয়েছিল। হয়তো বুঝতে পারে নি আমার এমন অস্বাভাবিক আচরণের কারণ কি। কিন্তু পর মূহুর্তে নিজেকে সামলে নিয়ে হাত-পা ছোড়াছুড়ি করতে থাকে। আমিও গায়ের শক্তিভর ওকে ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করি।দেখে মনে হবে আমরা যেন কিছু একটা নিয়ে কাড়াকড়ি করছি। আমাদের কান্ডকারখানা দেখে পাশে বসা অন্য দুই যাত্রী হাসি হাসি মুখে তাকাতে থাকেন। আমরাও ওনাদের সঙ্গে হাসি বিনিময় করি। কিন্তু আবাক হই বৌদিমনিকে দেখে। ওনার মুখ থেকে এতোক্ষণ ধরে পরিচিত সেই মিষ্টি হাসি উধাও। শুধু তাই নয়, উনি মুখটা কিছুটা প্যাঁচার মতো গম্ভীর করে বাইরে তাকিয়ে থাকেন।

এতোক্ষণ ধরে বৌদিমনির দৃষ্টির কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলাম আমরা। হঠাৎ ওনার লক্ষ্য বাইরের পৃথিবীতে দেখে শ্বেতা আবাক হয়ে পড়ে।বলেও ফেলে সে কথা,
-আরে! এই মহিলাটা সেই প্রথম থেকেই হ্যাংলার মত আমাদের দিকে তাকাচ্ছিলেন। একবার দুবার হলে তা না হয় এক কথা ছিলো। যতবার চোখ গেছে দেখেছি ততবারই আমাদের দিকে তাকিয়ে আছেন। আমি তো ভাবছিলাম কি জানি পাশে বসা বরকে নিয়ে তাহলে উনি খুশি নন?আর খুশি না হলে ঘুরতেই বা আসলেন কেন? উদ্দেশ্য কি তাহলে ছেলে চড়ানো?আর তাই বারেবারে আমার বরের দিকে লক্ষ্য দেওয়া। অবশ্য আমার উনিও তো কম যান না দেখছি। আমার পাশে বসেও চোখের খেলা খেলছে শাসালো বৌদির সঙ্গে। এখন দেখছি আমার অনুমান সঠিক।বুঝলে হে মশাই, উনি তোমার প্রেমে পড়েছেন।
শ্বেতা এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বলে গেল ঠিকই। কিন্তু শুনে তো আমি থ। বিশেষ করে শেষ কথাগুলো আমাকে পেরেক ফোটানোর মতো যন্ত্রণা দগ্ধ করে তোলে।
আমি আপত্তি সহকারে জানাই,
- আরে কি সব পাগলের মতো উল্টোপাল্টা বলছো? তুমি কি ভেবে বলছো যে আমি ওনার সঙ্গে চোখের খেলা খেলছি?
আমার কথা শেষ না হতেই শ্বেতা আবার বলল,
-আজ্ঞে স্যার ভেবেই বলছি।আর তা যদি না হবে তাহলে তুমি আমাকে জড়িয়ে বসেছো দেখে উনি রাগ করে বাইরে তাকিয়ে আছেন কেন?কৈ এতোক্ষণ তো দিব্বি তোমার সঙ্গে ওনার চোখাচোখির পর্ব চলছিল। আমাকে জড়িয়ে ধরেছো দেখেই কি উনি হতাশায় কষ্টে বাইরে তাকিয়ে আছেন?


শ্বেতার প্রশ্ন করার ধরন দেখে আর উত্তর দেওয়ার কোনো প্রয়োজন বোধ করলাম না। আমি ভদ্রমহিলার দিকে দেখছিলাম ঠিকই কিন্তু সে দেখার উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন। কিন্তু কি করে বোঝাই ওকে সে কথা। একেই বলে মেয়েদের মন বোঝা বড় দায়। দুদিন আগে ব্লগার তপন ভাই নারীর মন বোঝা বড় দায় শিরোনামে ব্লগে একটা পোস্ট দিয়েছিলেন। পোস্টটিতে ব্লগে কতোজন ব্লগারের অন্তরের কথা প্রতিধ্বনিত হয়েছিল জানিনা। কিন্তু এ যে আমার অন্তরের ছবি উনি তুলে ধরেছেন তা হলফ করেই বলতে পারি। তবে ঘটনাটা অনেক বছর আগেকার কিন্তু লেখাটা পেলাম সদ্য এই যা...। যাই হোক যে কথা বলছিলাম, আমি তো পাশে বসা প্রিয়তমা স্ত্রীকে কি করে একটু কাছে পাবো, তীর্থের কাকের মতো তার সুযোগের অপেক্ষায় বারে বারে এদিকে ওদিকে তাকাচ্ছিলাম। আর তাতেই কিনা দূরে বসা পাজি হতচ্ছাড়া মহিলার জন্য স্ত্রীর কাছে আমি অবিশ্বাসী হয়ে গেলাম? কি আর করার...। বুঝলাম কথা বাড়ালে ভয়ংকর প্রলয় আসতে পারে।রেগে গেলে শ্বেতার এমন চন্ডাল মূর্তির ছবি আগেই পেয়েছি। সেবার না হয় বাড়িতে দেখেছিলাম। কিন্তু এখন এই বিদেশবিভুঁইয়ে লোকজনের সামনে যদি অমন চন্ডাল মূর্তি ধারণ করে তাহলে সর্বনাশ। অগত্যা গুডবয়ের মতো নিজের দুহাতকে একে অপরের আঙ্গুলের মধ্যে আবদ্ধ রেখে প্রকৃতি অন্বেষণের ভান করে বাইরে তাকিয়ে থাকি।


একটু আগে শবযাত্রার কথা বলছিলাম। বাস্তবে এই মুহূর্তে আমি যেন তেমনি এক শবযাত্রীতে পরিণত হলাম।কতো স্বপ্ন সাধ আহ্লাদ নিয়ে হানিমুনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। শুরু থেকে উথাল পাতালের মধ্যে দিয়ে চললেও যাত্রা শুরু হতেই সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যায়। কিন্তু এই মুহূর্তে সেই ছন্দবদ্ধতার অবসান ঘটলো। অবিশ্বাসীর তকমা নিয়ে ভাবনার রাজ্যে হাবুডুবু খেতে লাগলাম। মনে হলো নিঃসঙ্গতার অতল গহ্বরে তলিয়ে যাচ্ছি। তাই বাইরে তাকিয়ে থাকলেও সে দৃষ্টি ছিল হাজার হাজার মাইল দূরের কোনো এক হতাশার অন্ধকারের ফেনিল সাগরের বুদবুদের ন্যায়। উল্লেখ্য আমার হঠাৎ এমন গুম হয়ে যাওয়ায় শ্বেতা নারীর স্বভাবজাত চপলতায় ভুরু নাচিয়ে জিজ্ঞেস করে,
- কি ব্যাপার হঠাৎ চুপ হয়ে গেলে মশাই?
আমি একটা শুকনো হাসি দিয়ে বলি,
- এই একটু প্রকৃতি দেখছি কিনা...
- আমার কথায় কি তুমি রাগ করেছো?
আমি দেখলাম দারুণ একটা সুযোগ পাওয়া গেছে। ওকে দুকথা শোনাতেই হবে। কিন্তু পরক্ষণেই চেপে যাই। ভাবলাম আমিও যদি ওর সুরে কথা বলি তাহলে হানিমুন পর্বটাই না শেষ পর্যন্ত মাটি হয়ে যায়। কাজেই নিজেকে সামলে নিয়ে পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক করাই বরং বুদ্ধিমানের কাজ হবে বিবেচনা করে বলি,
-আমাকে তুমি ভুল বুঝেছো শ্বেতা। তুমি বিশ্বাস করবে কিনা জানিনা।সেটা তোমার নিজস্ব ব্যাপার। তবে আমার হৃদয়ের আনাচে কানাচে শুধুই শ্বেতা শ্বেতা আর শ্বেতা। সেখানে অন্য কোনো নারীর প্রবেশাধিকার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
আমার কথায় শ্বেতা আমোদিত হয়। চোখে মুখে ফুটে ওঠে তার অভিব্যক্তি। আহ্লাদিত হয়ে বলে,
- থাক থাক আর প্রেমের ফানুস উড়াতে হবেনা,বলেই ধরা দেয় আমার বাহুর মধ্যে।
এ যেন মেঘ না চাইতেই জল।
হঠাৎ দেখি আমার বুকের কাছে কান পেতে কিছু একটা শোনার ভান করছে।প্রথমে আমি বুঝতে পারিনি।
জিজ্ঞেস করি,
- কি হয়েছে?
- শোনার চেষ্টা করছি তোমার হৃদয়ে নাকি আমার নাম লেখা আছে তার নিক্কন ধ্বনির।
এবার আমি আমোদিত হয়ে বলি,
- কি পেলে তো মম হৃদয়ে তোমার পদদয়ের নিক্কনের ঝংকার?

এক টয় ট্রেন যাত্রায় বুঝতে পারি কতো সহজেই আমাদের অবস্থার বদল ঘটে। কখনোবা সুখ সমৃদ্ধির ফানুস উড়িয়ে আমরা ধুমকেতুর মতো হঠাৎ হঠাৎ আবির্ভূত হয়ে সাফল্যের সারণী বেয়ে উপরে উঠি আবার কখনোবা ব্যর্থতার অতল সাগরে ডুবতে ডুবতে মহাকালের অতল গহ্বরে তলিয়ে যাই।

আমার বাহুতে ধরা দিয়ে একবার আমার মুখের দিকে আরেকবার ভদ্রমহিলার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসতে থাকে। আমি শ্বেতার কানে মুখ লাগিয়ে ফিসফিসিয়ে বলি,
-ভদ্রমহিলা আমাদের দিকে তাকালেই আমরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে বসবো।
শ্বেতা আমার প্রস্তাবে অবাক হয়ে,
- তোমার মাথা ঠিক আছে তো?
- জ্বি ম্যাডাম ১০০% ঠিক আছে।
শ্বেতা কিছুটা খুশি হয় বটে তবে আমার বাহুর মধ্যে আবদ্ধ থেকেও আমার নাকটি আলতো করে চেপে ধরে বলে,
- না মশাই আমি এমন লোক দেখানো কাজ করতে পারবো না।
বলতে বলতেই উপস্থিত যাত্রীদের একটু অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করি। আমরা ভদ্রভাবে বসে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করতে থাকি। বুঝতে পারি ট্রেনটি কালকা শিমলা রুটের বিখ্যাত বোরগ স্টেশনে ঢুকতে চলেছে।
বাইরে তাকিয়ে একের পর এক স্টেশনে আসা যাওয়া দেখতে দেখতেই চলে আসে বিখ্যাত একটি স্টেশন বোরোগ।বোরোগ সম্পর্কে আগে থেকেই কিছুটা খোঁজখবর নিয়ে রেখেছিলাম।ফলে মনে অনেক প্রশ্ন আগে থেকেই তৈরি ছিল। এখন সেগুলোর উত্তর মেলানোর পালা। তবে ট্রেনটি স্টেশনে ঢুকতেই আমাদের সকলকে স্টেশন নেমে ঘুরে দেখার জন্য টুর অপারেটর শতদলদা নির্দেশ দিলেন।আরও জানালেন, এখানে যাত্রীদের টিফিন করার সুযোগ দিতে ট্রেনটি বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করবে। আমরা দ্রুত ট্রেন থেকে নেমে টিফিন না করে বরং স্টেশনের বিভিন্ন স্থানকে নিদর্শন করে ফটোশুট করতে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম।
চলবে...



মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: -আমাকে তুমি ভুল বুঝেছো শ্বেতা। তুমি বিশ্বাস করবে কিনা জানিনা।সেটা তোমার নিজস্ব ব্যাপার। তবে আমার হৃদয়ের আনাচে কানাচে শুধুই শ্বেতা শ্বেতা আর শ্বেতা। সেখানে অন্য কোনো নারীর প্রবেশাধিকার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
~আহা এক জীবনে কত-শতবারই না পুরুষকে তার প্রেমিকা বা গিন্নিকে এই ছবক দিয়ে ভুলাতে হয়। বড্ড মায়া হয় এমন কথা শুনে!

আমিও সিংহপুরুষ হয়ে ঘরে ফিরে ভাবলুম, একখানা গুছিয়ে রাখা পোস্ট করব আজকে। কিন্তু ব্লগে ঢুকেই সিরিয়ালে এতগুলো হেভিওয়েট ব্লগারের লেখা দেখে বিড়ালছানা হয়ে মিঁউ মিঁউ করছি! :)

কিন্তু আবাক হই বৌদিমনিকে দেখে। ওনার মুখ থেকে এতোক্ষণ ধরে পরিচিত সেই মিষ্টি হাসি উধাও। শুধু তাই নয়, উনি মুখটা কিছুটা প্যাঁচার মতো গম্ভীর করে বাইরে তাকিয়ে থাকেন।
~ বৌদি মনির এমন খোমা-খানা দেখার আমার বড় ইচ্ছে ছিল!

কিন্তু এ যে আমার অন্তরের ছবি উনি তুলে ধরেছেন তা হলফ করেই বলতে পারি। তবে ঘটনাটা অনেক বছর আগেকার কিন্তু লেখাটা পেলাম সদ্য এই যা...।
~ আমিওতো সারাজীবন কট খেয়ে সদ্য বুঝতে শুরু করেছি গুরু! :(


১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:১৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তপন ভাই,

পোস্টের প্রথম কমেন্ট হিসেবে আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। প্রথম কমেন্ট হিসেবে এমন জ্ঞানগর্ভ কমেন্ট নিঃসন্দেহে পোস্টের গুরুত্ব অনেকখানি বাড়িয়ে দিয়েছে।
কোনো নারীর প্রবেশাধিকার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
"~আহা এক জীবনে কত-শতবারই না পুরুষকে তার প্রেমিকা বা গিন্নিকে এই ছবক দিয়ে ভুলাতে হয়। বড্ড মায়া হয় এমন কথা শুনে!'-চলমান জীবনের শাশ্বত একটা কথাকে চমৎকার ভাবে তুলে ধরেছেন। আবারো ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।

"আমিও সিংহপুরুষ হয়ে ঘরে ফিরে ভাবলুম, একখানা গুছিয়ে রাখা পোস্ট করব আজকে। কিন্তু ব্লগে ঢুকেই সিরিয়ালে এতগুলো হেভিওয়েট ব্লগারের লেখা দেখে বিড়ালছানা হয়ে মিঁউ মিঁউ করছি! :)"- না না প্রিয় ভাই এমন করে বলবেন না। নিজেকে সামান্য এক সাধারণ ব্লগার ভিন্ন অ্ন্য কিছু ভাবতে রাজি নই। তুলনায় আপনারা ব্লগের অ্যাসেট। বিভিন্ন পোস্টে তারই প্রমাণ তুলে ধরেন।

"~ বৌদি মনির এমন খোমা-খানা দেখার আমার বড় ইচ্ছে ছিল!"-
ইস আগে যদি একটু বলতেন তাহলে একটা যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া যেত। কিন্তু এখন তো আর কোনো উপায় নাই। :) হেহে হে...

"~ আমিওতো সারাজীবন কট খেয়ে সদ্য বুঝতে শুরু করেছি গুরু! :("- হেহে হে... এদিকে আসুন বুকে জড়িয়ে ধরি।:)

২| ১২ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:২৮

অপ্‌সরা বলেছেন: হা হা আগের পোস্টে শেরজা ভাইয়া বৌদিমনির উপর রাগ দেখাতে এই লেখা লিখতে হলো তাইনা ভাইয়া???

হা হা কিন্তু বৌদিমনি ছাড়া অন্যদেরকেও তো জ্বালিয়ে মেরেছিলে মনে হচ্ছে।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:২১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হেহেহে সবকিছু যেমন এমন ব্যাকরণ মেনে হয় না তেমনি ব্লগবাসীদের জন্যেও একটু জায়গা যে রাখতেই হয়। যাইহোক অন্যদের কথা আর কেমনে কমু? তবে আমি কলকাতাতে মেট্রোরেলেও দেখেছি যাত্রীরা বা টয়ট্রেনের মতোই ভীষণই ভদ্র। যত গন্ডগোল উপরের ট্রেনে। আর যদি বনগাঁ লক্ষীকান্তপুর ক্যানিং ডায়মন্ড হারবার লোকাল হয় তাহলে তো সাক্ষাৎ মেছোবাজার আর কি.

৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৩০

কামাল৮০ বলেছেন: স্বামী স্ত্রী আর বৌদির ব্যপার সেপার দেখে মঝাই পেলাম।তবে শ্বেতা ঠিকই বুঝতে পেরেছে।তার বুঝা ঠিক আছে।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:২৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনি মজা পেয়েছেন শুনে খুশি হলাম অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। তবে শ্বেতার ঠিক কোন কথাটা মিন করেছেন আরেকটু স্পেশিফাই করলে ভালো হতো।
ভালো থাকবেন।
শুভেচ্ছা আপনাকে।

৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৫১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- এই পর্বে গল্প এগিয়েছে কম।
- আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:২৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন উপন্যাসের গতি কখনো একটু স্লথ হয় কখনোবা তরতর করে এগিয়ে যায়। পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। আগামী পর্ব কদিনের মধ্যেই পোস্ট করার ইচ্ছা আছে। আমন্ত্রণ রইল আপনাকে। ‌
শুভেচ্ছা জানবেন।

৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৪:৩৪

জুল ভার্ন বলেছেন: অন্যস্বাদের জীবন।
অহংকার ,স্পর্দ্ধা, হিংসা, লোভ , আস্ফালন শেষ সত্য হতে পারে না
......জীবন এসবের চেয়ে বিশাল ও বিচিত্র।

এই গভীর রাতে ভালো লাগে একা হতে,
ধূসর আসন্নপ্রসবা আকাশ জুড়ে নরম আলোর মতো সত্যেরা সামনে আসে,
আমায় জড়িয়ে ধরে পাখির বুকের মতো
গরম ভালোবাসায়,
তোমার বুকের থেকে ফিনকি দিয়ে ওঠা প্রেমে,
তখনি মুহূর্তে বুঝি আমিও বেঁচে আছি,
এ পৃথিবীর সহস্র আস্ফালন অতিক্রম করে,
বেঁচে থাকি তোমার ভালোবাসা জড়িয়ে ধরে.....

১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ভাইজান,
আপনার সুন্দর কমেন্টটি আমার পোস্টটির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
"অন্যস্বাদের জীবন।
অহংকার ,স্পর্দ্ধা, হিংসা, লোভ , আস্ফালন শেষ সত্য হতে পারে না
......জীবন এসবের চেয়ে বিশাল ও বিচিত্র।"- কি সুন্দর করে কথাটা বলেছেন। শতভাগ সহমত আপনার সঙ্গে।

"এই গভীর রাতে ভালো লাগে একা হতে,
ধূসর আসন্নপ্রসবা আকাশ জুড়ে নরম আলোর মতো সত্যেরা সামনে আসে,
আমায় জড়িয়ে ধরে পাখির বুকের মতো
গরম ভালোবাসায়,
তোমার বুকের থেকে ফিনকি দিয়ে ওঠা প্রেমে,
তখনি মুহূর্তে বুঝি আমিও বেঁচে আছি,
এ পৃথিবীর সহস্র আস্ফালন অতিক্রম করে,
বেঁচে থাকি তোমার ভালোবাসা জড়িয়ে ধরে....."- অপূর্ব এক কাব্যিক অনুভূতিতে আবিষ্ট করলেন চমৎকার মন্তব্যের দ্বারা। কোনো ধন্যবাদ এর জন্য যথেষ্ট নয়। শেষ দুইলাইনি হয়ে উঠুক আমাদের বাঁচার প্রেরণা।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা আপনাকে।


৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:০১

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: প্রতিটা মেয়ে তার বরকে শাসন করার ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভকামনা রইলো।

৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:০২

মোগল সম্রাট বলেছেন:
শ্বেতা যে তার অসাধারন ক্ষমতা দিয়ে নিজের মানুষটার থট রিড করতে পেরেছে সেটা কিন্তু একদম সত্যি :)

ভালো লাগলো পরের কিস্তির অপেক্ষায় থাকলাম.......।

শুভকামনা নিরন্তর ।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৪৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার কোনো পোস্টে আপনার প্রথম মন্তব্য। সুস্বাগতম আপনাকে। প্রথম মন্তব্যেই আপনি পোষ্টের সারমর্ম সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। পোস্ট রিড করাকে তারিফ না করে পারছি না। আগের পর্বগুলোতেও সময় থাকলে পড়ার অনুরোধ রইলো।
পরবর্তী পর্ব খুব শীঘ্রই পোস্ট করার চেষ্টা করবো। আমন্ত্রণ রইলো আপনাকে।
পোস্টটিতে like'করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা আপনাকে।

৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:১৬

কামাল৮০ বলেছেন: অবশ্য আমার উনিও তো————————————-্ আমার অনুমান সঠিক।এই কথাটা।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৩৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমিও সেরকমই অনুমান করেছিলাম। দ্বিতীয়বার কমেন্টে এসে বিষয়টি পরিষ্কার করাতে খুশি হলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা জানবেন।

৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আহা আহা কী দারুণ মধুর সময় !!!
খুনসুটি, মাতামাতি অভিমান আর চেয়ে থাকা।
চমৎকার রোমান্টিক পর্ব !
ভালোলাগা।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:৫৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "আহা আহা কী দারুণ মধুর সময় !!!
খুনসুটি, মাতামাতি অভিমান আর চেয়ে থাকা।"-হেহেহে তা যা বলেছেন আপু।পরের পর্বে আমন্ত্রণ রইলো আপনাকে। পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা আপনাকে।

১০| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:১৮

ইসিয়াক বলেছেন: খুল্লাম খুল্লা পেয়্যার করো তুম দোনো। আরে ইয়ার দুনিয়াকো দেখনে দো জারা ইয়ে তুমহারা পহেলি পেয়্যার।এনজয় ইয়োর সেলফ!

১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৪২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বেহেহে আপনার কবিতা পড়ে পাওয়া গায়ে লেগেছে। আপনিও ভালো থাকবেন। নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

১১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০৭

আরোগ্য বলেছেন: পশ্চিমবঙ্গের টিভি চ্যানেলে এজটা ফেবিকল এর বিজ্ঞাপন দেখাতো, এই পোস্ট পড়ে সেটা মনে পড়ে গেল। পরবর্তীতে নায়ক যেন সাথে একটা ফেবিকলের আঠা লাগে। সান্নিধ্য লাভের কাজে আসবে ;)

ভাইটি সময় হলে মোর ব্লগ বাড়ি উকি দিয়ে আসবেন। এবার খালি চোখে ফিরবেন না। B-)

১৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "পশ্চিমবঙ্গের টিভি চ্যানেলে এজটা ফেবিকল এর বিজ্ঞাপন দেখাতো, এই পোস্ট পড়ে সেটা মনে পড়ে গেল। পরবর্তীতে নায়ক যেন সাথে একটা ফেবিকলের আঠা লাগে। সান্নিধ্য লাভের কাজে আসবে ;) ।"- হেহে হে......তা যা বলেছ। অসংখ্য ধন্যবাদ তোমাকে। আশাকরি ভালো আছ। বাসায় সকলেই ভালো আছেন। সত্যিকথা কি তোমাকে ব্লগিং করতে দেখে এতোটাই খুশি হই যে বলে বোঝাতে পারবো না। আরও বড় কিছু খবর পেলে আরো আনন্দ পাবো।


জ্বী ইতিমধ্যে তোমার ব্লগে ঘুরে এসেছি।বড় পোস্ট সময় নিয়ে আবার যাচ্ছি।
ভালো থেকো। সকলকে ভালো রাখবেন- দোয়া করি।

১২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০৮

আরোগ্য বলেছেন: আঠা রাখে * লিখতে চেয়েছিলাম। টাইপো হয়েছে।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হেহেহে ভাগ্যিস ঐটুকু ভুল হয়েছিল নইলে দ্বিতীয়বার এ পথে পা মাড়াতেন না। ভূয়া ভাই আবার দেখে 'বলবেন' তুমি বলেও 'বলবেন ' বলেছি।কপি পেস্ট কমেন্ট ;)

১৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:০১

মুক্তা নীল বলেছেন:
দাদা ,
ওই মহিলার চাহনিতে এই নতুন দম্পতির রোমান্টিকতা জমে উঠেছে বেশ । সর্বক্ষেত্রে বিচিত্র রকম পরিবেশে দেখবেন এরকম টাইপের মানুষ থাকে যাদের বিহেভিয়ার একটিভিটিস খুব অসহ্য লাগে । তবে আমার কিন্তু ওই মহিলার ক্যারেক্টার বেশ মজা লেগেছে । এমনও হতে পারে নতুন দম্পতির খুনসুটি দেখে উনি হয়তো উনার অতীতটাই মনে পড়ে গিয়েছিলো ।
সুন্দর একটা রোমান্টিক পর্ব পড়লাম আজকে । দাদা মন্তব্য দিতে হয়তো দেরি হয় কিন্তু আপনার লেখার সাথেই আছি সবসময় ।
দাদার জন্য সব সময়ই শুভ কামনা ।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "ওই মহিলার চাহনিতে এই নতুন দম্পতির রোমান্টিকতা জমে উঠেছে বেশ । সর্বক্ষেত্রে বিচিত্র রকম পরিবেশে দেখবেন এরকম টাইপের মানুষ থাকে যাদের বিহেভিয়ার একটিভিটিস খুব অসহ্য লাগে । তবে আমার কিন্তু ওই মহিলার ক্যারেক্টার বেশ মজা লেগেছে । এমনও হতে পারে নতুন দম্পতির খুনসুটি দেখে উনি হয়তো উনার অতীতটাই মনে পড়ে গিয়েছিলো ।"-
বোনের সুন্দর কমেন্ট পড়ে খুব ভালো লেগেছে। ওনার এমন করে তাকানোর কারণটা এখন নয় সময়ে সামনে আসবে। ততদিনে বোনকে অপেক্ষায় থাকার অনুরোধ করবো।

"দাদা মন্তব্য দিতে হয়তো দেরি হয় কিন্তু আপনার লেখার সাথেই আছি সবসময় ।"-সে কি আর করা যাবে।দেরি হলেও বোনের কমেন্ট পেয়ে খুশি হয়েছি। আবারো ধন্যবাদ বোনকে। পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি।

সবশেষে বোনের শুভেচ্ছা গ্রহণ করলাম। দাদার পক্ষ থেকেও বোনের জন্যে রইলো নিরন্তর শুভকামনা।

১৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৭:৩৩

সোহানী বলেছেন: এ পর্বতো দেখি কঠিন প্রেমময় পর্ব। যাক, শেরজা ভাই বেশ ভালোই জ্ঞানদান করেছে নারীর মন নিয়ে বোঝায়ই যাচ্ছে। :P

প্রেম পর্ব মনে হয় আরো চলবে কারন হানিমুন বলে কথা। ;)

১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:১৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে। জ্বী একটু প্রেম পর্ব না দিলে যে বড় পানসে হয়ে যায়। আগামী পর্ব গুলোতেও এভাবে আপনাকে পাবো আশা করি।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা আপনাকে।

১৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:২০

মিরোরডডল বলেছেন:




হতে পারে বৌদি এদের দেখে নিজের জীবনের পুরনো স্মৃতি মনে করে কিছুটা বিষন্ন!

তবে আমার হৃদয়ের আনাচে কানাচে শুধুই শ্বেতা শ্বেতা আর শ্বেতা। সেখানে অন্য কোনো নারীর প্রবেশাধিকার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

True or false ?
:)

১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:২১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "হতে পারে বৌদি এদের দেখে নিজের জীবনের পুরনো স্মৃতি মনে করে কিছুটা বিষন্ন!"- অস্বীকার করা যায় না এরকম কিছু একটা কারণ আছেই।

"তবে আমার হৃদয়ের আনাচে কানাচে শুধুই শ্বেতা শ্বেতা আর শ্বেতা। সেখানে অন্য কোনো নারীর প্রবেশাধিকার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।"- :P হেহে হে

True or false ?
:) True means, absolutely true.

১৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: বৌদিমনির কৌতুহলপ্রবণ দৃষ্টি এবং অনুসন্ধিৎসু চোখ আসলে নারীদের স্বভাবজাত প্রবণতা। ওরা যদিও বা বুঝতে পারে যে ভব্যতার সীমা অতিক্রম করছে, তথাপি চোখ ফেরাতে পারে না। তবে ব্যতিক্রম তো আছেই।
কামাল৮০ যেমনটি বলেছেন: "শ্বেতা ঠিকই বুঝতে পেরেছে। তার বুঝা ঠিক আছে" - আমিও তাই মনে করি, বিশেষ করে ওনার পরের মন্তব্যে ব্যাখ্যাটি পড়ার পর।
জুল ভার্ন এর মন্তব্যে কবিতাংশটুকু খুবই ভালো লেগেছে। পবিত্র হোসাইন এর মন্তব্যটাও সত্য।

২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "বৌদিমনির কৌতুহলপ্রবণ দৃষ্টি এবং অনুসন্ধিৎসু চোখ আসলে নারীদের স্বভাবজাত প্রবণতা।"- জ্বী স্যার আপনি ঠিকই বলেছেন। পারিপার্শ্বিক অভিজ্ঞতায় আমরা এমন অনেকটাই অনুমান করতে পারি। তবে ব্লগের আপু মনিরা দেখলে কি যে বলবেন সন্দেহ আছে। :)

"কামাল৮০ যেমনটি বলেছেন: "শ্বেতা ঠিকই বুঝতে পেরেছে। তার বুঝা ঠিক আছে" - আমিও তাই মনে করি, বিশেষ করে ওনার পরের মন্তব্যে ব্যাখ্যাটি পড়ার পর।"- ধন্যবাদ আপনাকে @কামাল৮০ র সঙ্গে আপনার মতামত মিলে যাওয়ার জন্য। কিন্তু এই বিষয়ের কারণটা এখনই ডিসক্লোজ করতে পারছি না। অনেকগুলো পর্ব এখনো বাকি আছে। ভবিষ্যতে আশাকরি আপনাদের কৌতুহলটা জানতে পারবেন।
জুল ভার্ন ভাই একজন বিজ্ঞ মানুষ।উনি নিজের পোস্টের পাশাপাশি কমেন্টেও নিজের বিচক্ষণতার পরিচয় দেন।পবিত্র হোসাইন ভাইয়ের কমেন্টটি আমারও ভালো লেগেছে। ওনাদের কমেন্ট ভালো লেগেছে জানানোয় দুইজনের হয়ে আমার পক্ষ থেকে আবারো একবার ধন্যবাদ আপনাকে।

পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।

১৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কাম সাইরা গেলাম!! :P

২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:০৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার কাম সাইরা যাওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ :)

১৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:২৬

আরোগ্য বলেছেন: কি অবস্থা তোমাদের ওখানে এখন? সবাই কেমন আছো। আমাদের এখানে ঢাকাতেও পরিস্থিতি খারাপ। সকাল থেকে টানা বৃষ্টির ফলে রাস্তাঘাট জলাবদ্ধ হয়ে গেছে। পরিবহনও ঠিকমত পাওয়া যাচ্ছে না।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: উপরওয়ালার ইচ্ছায় ভালো আছি। সারাদিন ঝিমঝিম বৃষ্টি হয়েছে। সঙ্গে অল্প ঝড়ো হাওয়া ছিল। আমি এটিএন বাংলায় দেখছিলাম ঢাকার আবাহাওয়ার খবর।তা থেকে কলকাতার সঙ্গে বিশেষ কিছু পার্থক্য মনে হলোনা।আর আজ সকালে উঠেই দেখলাম সুন্দর আবাহাওয়া।ধরেই নেওয়া যায় বিপদ কেটে গেছে।
পরিবহণের খোঁজ নিচ্ছ নিশ্চয়ই ওরা আসন্ন দুর্যোগের সম্ভাবনার কারণে গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বার হয়নি। আমি অবশ্য তার মধ্যে দু'বার বাইরে বের হয়েছিলাম। রেন কোট ছিলো ।মিস্ত্রী কাজ করছে ওদের এটা সেটার সঙ্গে সংসারের নানান প্রয়োজনে প্রত্যেকদিনই দুই বা তিনবার করে আমাকে বার হতেই হয়। গতকালও এভাবেই ওদের সঙ্গে সারাদিন কেটে গেছে। অন্যান্য দিনগুলোতেও দিনের বেলায় মিস্ত্রীদের সামলাতে সময় কেটে যায়।

ভালো থেকো। শুভেচ্ছা জানবে।

১৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:২৫

অপ্‌সরা বলেছেন: তারপর শ্বেতাভাবীর কোনো খবর নেই?

২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খবর তো অবশ্যই আছে আপু কিন্তু কিছুতেই সময় করে উঠতে পারছিনা।দেখি দু একদিনের মধ্যেই দেওয়া যায় কিনা...

২০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৪৩

অপ্‌সরা বলেছেন: অনেকদিন পর পর খবর আনলে মানুষ তো ভুলে যাবে শ্বেতাভাবীকে

২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:০৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: একটু আধটু ভুললেও পুরোটা ভুলে যাবে না । তার আগেই ব্যবস্থা করব :)

২১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: বাহ ভালোই প্রেম চলছে। ভালো লাগলো

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে। ভালো থাকবেন সবসময় এই দোয়া করি।

২২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নব দম্পতি রাস্তা ঘাটে হানিমুন শুরু করে দিলে পাবলিকের দোষ কি!!! :)

তবে বউদির দিকে নায়ক পলকহীন চোখে কিছুক্ষণ রোমান্টিক ভাবে তাকিয়ে থাকলে বউদি আর তাদের দিকে নজর দিত না। অবশ্য যদি বউদির লজ্জা শরম থেকে থাকে। :)

বউদি গোল্লায় যাক নায়কের উচিত হবে শ্বেতাকে খুশি রাখা যে কোন মূল্যে। নইলে আম ছালা সব যাবে। :)

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:১১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "নব দম্পতি রাস্তা ঘাটে হানিমুন শুরু করে দিলে পাবলিকের দোষ কি!!! :)' হেহে হে.

নব দম্পতি যেহেতু একটু সুযোগ হলেই বা ক্ষতি কি। কাজেই পাবলিকের কোনো দোষ নেই সাচু ভাই।

"তবে বউদির দিকে নায়ক পলকহীন চোখে কিছুক্ষণ রোমান্টিক ভাবে তাকিয়ে থাকলে বউদি আর তাদের দিকে নজর দিত না। অবশ্য যদি বউদির লজ্জা শরম থেকে থাকে। :)" না না সাচু ভাই বৌদির লজ্জা শরম অত্যন্ত বেশি।পরে আর ওপথে হাঁটেননি। যাইহোক আগামী পর্বগুলোতে তার নিদর্শন পাবেন। আশাকরি আপনাকে বরাবরই পাবো।

আর নায়ক মহাশয় খুবই ভদ্রলোক।উনি নিজ স্ত্রী ভিন্ন অন্য দিকে দৃষ্টি দেননি বলে যতদুর জানি।
বরাবরের মতো সুন্দর রসবোধসম্পন্ন কমেন্ট করায় প্রীতি হলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টটি লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভকামনা আপনাকে।


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.