নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিবর(স্মৃতিকথা তবে....)

০৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৩১


আর পাঁচ জনের মতো শৈশবে আমিও পাড়ার বন্ধুদের সাথে মজাদার সব খেলাধুলা করতাম। কিন্তু তারই মধ্যে একটি ঘটনা আজও আমাকে একদিকে সামাজিক অবক্ষয়তার নগ্ন দৃষ্টান্ত স্বরূপ মস্তক অবনত করে দেয়, অপরদিকে কিছু না করতে পারার যন্ত্রণা হতাশায় বিহ্বল করে এক অনিশ্চিয়তার অন্ধকার গহ্বরে ডুবিয় দেয়।

আমাদের বাড়ি থেকে সামান্য দূরে ছিল বিশালাকার একটি তেঁতুল গাছ। বিশালাকার হওয়ায় এর নিচটা ছিল সুবিস্তৃত ছায়াময়। পথচারীদের সঙ্গে আশেপাশের এলাকাবাসীরাও খরতপ্ত রৌদ্রে একদন্ড জিরিয়ে নিতে বাড়ির কাজ ফেলে চলে আসতেন তেঁতুল তলায়।কারো কারো হাতে আবার তালপাতার হাত পাখা দেখতে পেতাম। আর এর উপরে ছিল হাজার রকমের পাখির আস্তানা। তাদের কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে থাকতো আমাদের এই তেঁতুল তলা। এমন একটি জায়গা পক্ষীকুলের সঙ্গে আমাদের মতো কচিকাঁচাদের কাছেও ছিল আদর্শ খেলার জায়গা। তখন দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ি, কাজেই পড়াশোনায় বড়দের নজরদারি শুরু হয়নি।ফলে সকাল সন্ধ্যে একটু নমো নমঃ করে দু একটা পাতা উল্টিয়ে ছু মেরে ছুটে আসতাম এই তেঁতুল তলায়। মাঝে দুপুরে গোসল করা ও খাওয়া দাওয়ার পর্বটা বাদ দিলে সারাটা দিন কেটে যেতো এই গাছটার নিচে। নানারকমের খেলা ছিল আমাদের বিনোদনের মাধ্যম। একঘেয়েমি কাটাতে মাঝে মাঝে খেলার ধরন পরিবর্তন করা হতো।আর এসবে আমাদের টিমলিডার ছিল ময়না বুবু।বয়সে আমাদের চেয়ে পাঁচ/ ছয় বছরের বড় হবার কারণে আমাদের সবার উপরে দাপট ছিল বেশ।ময়না বুবুই ঠিক করতো কোনটার পরে আবার কোন খেলা শুরু হবে।খেলা মানেই অভাব অভিযোগ ধরাবাঁধা। সমস্যায় পড়লে আমরা সবাই নিজেদের অভিযোগ ময়না বুবুকে জানাতাম। সাময়িক খেলা বন্ধ রেখে ময়না বুবু সবাইকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে ঝগড়া বিবাদ মিটিয়ে দিত ।

একদিন সন্ধ্যায় মায়ের কাছে পড়তে বসেছি। এমন সময় হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে ময়না বুবুর মা সাকিলা ফুপু আমাদের বাড়িতে চলে আসে। জিজ্ঞেস করে আমি ওকে দেখেছি কিনা। উত্তরে বিকালে একসঙ্গে খেলার কথা জানাই। কিন্তু সন্ধ্যা এতোটা গড়িয়ে গেলেও মেয়ে না ফেরায় ফুপু খুব চিন্তায় পড়ে। আগের দুদুটি সন্তান হারানোর কষ্ট ফুপুর কথায় বারে বারে ফুটে ওঠে।মা ফুপুকে সান্ত্বনা দেয়, আগেভাগে এতো সব কু-ভাবনা না ভাবতে। বরং আরেকটু ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করতে বলে। হয়তোবা কারোর সঙ্গে কোথাও গেছে, ঠিক চলে আসবে। বুঝতে পারি মায়ের আশ্বাসে ফুপুর দুশ্চিন্তা এতোটুকু কমেনি। উল্টে কিছুক্ষণ চুপ থেকে অনেকটা দৃঢ়তার সঙ্গে বলে ওঠে,
- না ভাবি না।আমার মন বলছে আমার ময়নার বড় কোনো বিপদ ঘটেছে।
আমরা চুপ করে থাকি।মা দীর্ঘশ্বাস ফেলে। খানিক বাদে ফুপু চলেও যায়। আমরা অসহায় ভাবে সেদিন ওনার চলে যাওয়ার সাক্ষী হই।পরে চারদিকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। কিন্তু কোথায় ময়না বুবু খুঁজে পাওয়া যায়নি।

দিন তিনেক পরে সকালে পড়তে বসেছি। এমন সময় বাড়ির সামনে দিয়ে একদল লোককে ছুটে যেতে দেখে বই খাতা ফেলে আমিও ওদের পিছু নিই।বাড়ি থেকে পাঁচ ছয়শো মিটার দূরে অনেকটা নির্জন এলাকায় আমাদের প্রাথমিক বিদ্যালয় অবস্থিত।এর চারপাশে কিছু ডোবা আছে। বর্ষায় গাঁয়ের লোকেরা এখানে পাট পচাতে দেয়।তো এই পঁচা পাটের জার থেকে পাট ধুতে গিয়ে ভিতর থেকে ফুলে ঢোল হওয়া একটা লাশ বেরিয়ে আসে। খবরটি চাওড় হতেই চারদিকে থেকে লোকজন ছুটে আসে। মূহুর্তে স্থানটি লোকেলোকারণ্যে পরিণত হয়। প্রথমে আমি ঢুকতে পারছিলাম না। এদিক ওদিক ফালুক ফুলুক করে একজনের পায়ের ফাঁকে মাথা গলিয়ে ঢুকে পড়ি। দৃশ্যটি দেখেই আমি চমকে উঠি।আরে! এতো আমাদের ময়না বুবু। চোখের সামনে এই দৃশ্য দেখে প্রচন্ড কান্না পেয়ে যায়।ছুটে আসি বাড়িতে মাকে খবর দিতে। কিছুক্ষণ পর পুলিশ চলে আসে। ময়না বুবু লাশ হয়ে পুলিসের গাড়িতে চলে যায়।

দৃশ্যটি দেখে ভয়ানক অস্বস্তি ও অসুস্থ বোধ করি।এক অসহনীয় যন্ত্রণা আমাকে যেন জ্ঞানশূন্য করে দেয়। কোথায় গেলে শান্তি পাবো কিছুই বুঝে উঠতে পারিনি। উদ্ভ্রান্তের মতো ছোটাছুটি করতে থাকি। কিছু লোককে সাকিলা ফুপুর বাড়ির দিকে যেতে দেখে সঙ্গী হই। গিয়ে দেখি সেখানেও প্রচুর লোকজন। ফুপু মাটিতে আছাড় পিছাড় খাচ্ছে। উপস্থিত মহিলারা ওনাকে আগলে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। সে এক মর্মান্তিক দৃশ্য। নিজেকে সামলানো অসম্ভব। কান্নায় আমার গলা ধরে আসে। সামলাতে না পেরে অগত্যা বাইরে বেরিয়ে আসি। মনে মনে উত্তর খুঁজতে থাকি কে বা কারা মারলো বুবুকে।আর কেনই বা মারলো? পরিচিত কারোর কাছে সন্তোষজনক উত্তর পাইনি। বাড়িতে এসে মাকে জিজ্ঞেস করলে মা একটা ধমক দিয়ে,
- ছোট মানুষের সব বিষয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই,বলে থামিয়ে দেয়।
কি আর করার। তবে বয়সের সীমাবদ্ধতার কারণে আপাত দমে গেলেও পরবর্তী বহুদিন এর উত্তর খুঁজে গেছি।

সন্তানশোক ফুপুকে বারেবারে পেতে হয়েছে। ফুপুদের আসল বাড়ি বাংলাদেশের কালিগঞ্জে। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ওপারের বহু পরিবার আমাদের আশেপাশের গ্রামগুলোতে চলে আসে।আর এই পরিবার গুলোর বেশিরভাগ পুরুষ সদস্য ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। মায়ের মুখে শুনেছি ফুপুর স্বামী অর্থাৎ জামাই, স্ত্রী পুত্র কন্যাকে আমাদের গ্রামে রেখে যুদ্ধ করতে গেছিলেন। তখন ময়না বুবু ছিল দুধের শিশু।অন্যান্য পরিবারগুলো যুদ্ধের পর পর দেশে ফিরে গেলেও ফুপু স্বামীর পথপানে চেয়ে এখানেই থেকে যায়। আশায় ছিলেন একদিন ওনার স্বামী ওনাদের ঠিকই নিতে আসবেন। কিন্তু হায়! দীর্ঘদিন গেলেও উনি না ফেরায় গ্রামের সবাই ধরে নিয়েছিলেন উনি হয়তো আর বেঁচে নেই; মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন। মায়ের কাছে শুনেছি পড়শিরা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করলেও পাছে ফুপু কষ্ট পান তাই এপ্রসঙ্গ কেউ ফুপুর সামনে তোলেননি।

যদিও এই গ্রামের সবাই যে ফুপুদের প্রতি সদয় ছিলেন তা নয়।তিন ছেলের মধ্যে বড় ছিল হারান ভাই। খুব কম কথা বলতো। স্বভাব চরিত্রেও ভীষণ ভালো। মায়ের বাধ্য সন্তান যাকে বলে। ফুপুর মুখে শুনেছি,হারান ভাই নাকি বলতো ওদের আব্বা যদি না আসে তাহলে এখানেই জমি জমা কিনে স্থায়ী ভাবে বসবাস করবে। স্থানীয় একজন মহাজনের কাছে বিড়ি বাঁধার কাজ করতো হারান ভাই। সারাদিন কাজ আর কারখানাতেই কাটিয়ে দিত। ফুপুর মেজো ছেলে ছিল পোলিও রোগে আক্রান্ত। আমার সেই ছোট্ট শৈশবে মনে হতো এই ছেলেকে ফুপু বেশি স্নেহ করতেন।মাকে প্রায় বলতেন,
- ভাবি আমি মরেও শান্তি পাবো না। আমার নকিবের উপায় কি হবে ভেবে আমি রাতে ঘুমাতে পারি না।
একদিন রাতে পাড়ায় একটি চেঁচামেচি কানে আসে। মায়ের সঙ্গে গিয়ে দেখি নকিব ভাই খুব অসুস্থ।ফুপু প্রচন্ড কান্না করতে থাকেন। পাড়ার লোকেরা একজন ডাক্তার ডেকে আনেন। কিন্তু তিনি এসে বলেন,শরীরে প্রাণ নেই।নকিব ভাইয়ের মৃত্যুতে ফুপু খুব ভেঙে পড়ে। প্রতিবেশীদের বাড়িতে মুড়ি ভাজার কাজ করতেন ফুপু। কিন্তু পরবর্তী বহুদিন ফুপুকে আর কাজে যেতে দেখিনি।।

ফুপুর ছোট ছেলে ছিল কুতুব ভাই।হারান ভাই যতোটা শান্ত, ভালো ছেলে ছিল ঠিক ততোটাই উৎশৃংখল রগচটা স্বভাবের ছিল কুতুব ভাই।চুরিদারিও করতো বলে শুনেছি। একসময় গ্রামে পরপর কয়েকটি গরু হারিয়ে যায়।গ্রাম্য শালিসী সভা বসে। কুতুব ভাইকে সন্দেহ করে অপরাধ স্বীকার করার জন্য চাপ দেয়। কিন্তু কুতুব ভাই স্বীকার না করায় সকলে মিলে সাব্যস্ত করে যতোক্ষণ স্বীকার না করবে ততক্ষণ ওকে বাঁশকল দিয়ে পিঁপড়ের চাকে বেঁধে রাখবে। সেদিন ফুপু আপ্রাণ চেষ্টা করেও মোড়লদের মন গলাতে পারেননি। পরেরদিন দুপুর রোদে পূর্ব ঘোষণা মতো কুতুব ভাইকে শাস্তি দেওয়া হয়।আর তার ঠিক পরের দিন একজন গ্রামবাসী প্রাতঃকাজ করতে গিয়ে দেখতে পায় একটি আমগাছে কুতুব ভাই ঝুলছে।প্রথমে সকলে এটাকে আত্মহত্যা বলে মনে করলেও পরে ফাঁস হয় গ্রামের এক মোড়লের মেয়ের সঙ্গে কুতুব ভাইয়ের ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল।যে সম্পর্ক নিয়ে মোড়লের বাড়িতে প্রবল অশান্তি ছিল। লোকলজ্জার ভয়ে মেয়েকে বিয়ের ব্যবস্থা করতেই তখন সে বাবার কীর্তি ফাঁস করে বিয়ে করবে না বলে জেদ ধরে। কিন্তু ততোদিনে তো একটা প্রাণ চলে গেল। নিজের সন্তান হলেও কুতুব ভাইকে ফুপুকে অভিসম্পাত করতে দেখেছি।প্রায়ই নানা লোক ওর নামে অভিযোগ করত।আর ফুপু ওকে বকাবকি করতেন। তাই কুবুব ভাইকে হারিয়ে ফুপুকে খুব একটা কষ্ট পেতে দেখিনি। কিংবা পেলেও বাইরে প্রকাশ করেননি।

কিন্তু এবার ময়না বুবুর এমন চলে যাওয়া ফুপু কিছুতেই মানতে পারেননি। আশেপাশের লোকজন দুবেলা পরিবারটিকে খাবার দিলেও ফুপু কিছুই খেতেন না। আমার মন পড়ে থাকতো ফুপুদের বাড়িতে। এসময় তেঁতুল গাছ আর আমাকে টানতো না। নজর রাখতাম ফুপু কিছু খেয়েছেন কিনা। কিন্তু নাহ।বেশ কিছুদিন হলো ফুপু কোনো খাবার মুখে তোলেননি।পুলিশী ঝামেলার পর গ্রামের একটি কবরস্থানে ময়না বুবুকে সমাধিস্থ করা হয়। এসময় দিন যেন কিছুতেই কাটতে চাইতো না। ফুপু একদম বদলে গেছেন। আমি বড়দের মতো পাশে দাঁড়িয়ে দেখতাম মানুষটা পাগলের মত আচরণ করছেন। ফুপুর এমন অস্বাভাবিকতা আমার হৃদয়কে শোকে মুহ্যমান করে তোলে। আমি মুখ ফুটে বলতে পারিনি সেকথা কাউকে। মনে মনে ভাবতাম ময়না বুবু অপর কেউ নয়, আমারই যেন আরেক বড় বুবু। হঠাৎ একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে শুনি ফুপুদের বাড়িটা হাট করে খোলা। বড়দের মুখ থেকে শুনেছি তাহলে হারান ভাইকে নিয়ে ফুপু ইছামতীতে নেমেছেন।ময়না বুবুকে হারিয়ে ফুপু বিলাপ করতে করতে প্রায়ই বলতেন,
- আর নিজেকে বাঁচিয়ে রেখে লাভ নেই। এবার নিজেকে কুমিরের খাবার করবো।
তাই আজও যখন খবরে দেখি ইছামতীতে কুমির দেখা গেছে। আমার শঙ্কা বহুগুণ বেড়ে যায়।
কেন জানি আজ কথাটি বারবার মনে পড়ছে, বহুদিন আগে এক কবি লিখেছিলেন,
"আকাশে বসত মরা ঈশ্বর
নালিশ জানাবে বলো ওরা কাকে?

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৫৩

জটিল ভাই বলেছেন:
হায়রে স্মৃতি......
যাক্, তবুও এই সুযোগে বহু স্মৃতির পরশ মিলছে।

০৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৫৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: জ্বী ভাইয়া দুস্মৃতি বলতে পারেন। আশাকরি ভালো আছেন।
শুভেচ্ছা আপনাকে।

২| ০৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: আহা আহা দেখি ভাই একখান লাইক মাইরা যাই- আপনার পোষ্ট বলে কথা।
পড়ে ফের আসছি :)

০৭ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:৩১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: জ্বী ভাইয়া আপনার আসল কমেন্ট ইতিমধ্যে পেয়েছি। আমারো আপনাদের বহু পোস্ট জমে গেছে।সময় নিয়ে কভার করবো।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৩| ০৭ ই জুন, ২০২৩ ভোর ৪:৩৭

জগতারন বলেছেন:
আহা ময়না বুবু!
কতো মানুষ কী নির্মম তা ভাষায়ও লিখা যায় না।
এই স্মৃতি ব্লগ পড়ে আমার মনে পড়ে গেল;
বাংলাদেশের সোহাগি জাহান, তনু'র কথা।
এই সমস্ত হত্যা কাণ্ড যারা করে প্রায়শ্চিত্ত হউক ।
ঐ সমস্ত নির্মম পাষণ্ডদের অভিসম্পাত দিচ্ছি:
প্রকৃতি তাহাদের বিচার করুক ।

০৭ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:৪৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "আহা ময়না বুবু!
কতো মানুষ কী নির্মম তা ভাষায়ও লিখা যায় না।"- একদম ঠিক বলেছেন।এসব কথা বলতে গেলে খুবই কষ্ট লাগে। আপনি আমার মনের কথা তুলে ধরেছেন।

"এই স্মৃতি ব্লগ পড়ে আমার মনে পড়ে গেল;
বাংলাদেশের সোহাগি জাহান, তনু'র কথা।
এই সমস্ত হত্যা কাণ্ড যারা করে প্রায়শ্চিত্ত হউক ।"- সহমত আপনার সঙ্গে। তবে এই প্রায়শ্চিত্ত করার পদ্ধতিটা কিভাবে হবে সেটাই প্রশ্ন। এই প্রসঙ্গে সোহাগি জাহানের প্রসঙ্গ নিঃসন্দেহে প্রনিধানযোগ্য। ধন্যবাদ আপনাকে।
কমেন্টের শেষাংশে আপনার অকৃত্রিম হৃদয় যন্ত্রনার পরিচয় পেলাম। আপনার মনোবাসনা যেন পূর্ণতা পায়। সুন্দর আন্তরিক কমেন্টের জন্য আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভেচ্ছা জানবেন।


৪| ০৭ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৯:৩৬

আমি সাজিদ বলেছেন: আহা ! ময়না বুবুর এইভাবে চলে যাওয়া খুবই মর্মান্তিক। সেদিনের আপনার ছোট্ট মনটিতে বড় আঘাতের চিহ্ন রেখে গেছে এই ঘটনাটি। হারান আর কন্যা বিয়োগের শোকে কাতর মায়ের খোঁজ ইছামতী কি দিতে পেরেছিল ?

০৭ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:৫০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার সুন্দর আন্তরিক কমেন্টে খুশি হয়েছি।জ্বী ঠিকই বলেছেন শৈশবের এই হৃদয়বিদারক ঘটনা মনে রেখাপাত করে যায়। এঘটনা কখনো ভোলার নয়।সাকিলা ফুপুর পরবর্তী কাহিনী আরও নির্মম। তবে সেটা বহুপরে জানা যায়।অন্য প্রসঙ্গে বলবো আরেকদিন।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা আপনাকে।

৫| ০৭ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৯:৫১

শেরজা তপন বলেছেন: ওদের আর কোন খবর পাননি?
স্বামীহীনা ভয়ঙ্কর জীবনযুদ্ধরত এক রমনীর তিনটে সন্তান হারানোর শোক যে কি ভয়াবহ তা অনুমান করা অসাধ্য।

০৮ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তপন ভাই,
প্রত্যাশা মতো আবার কমেন্টে আসায় খুশি হয়েছি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।জ্বী অনেক পরে একটা খোঁজ পাওয়া গেছিল। কিন্তু সেটা আরো ট্রাজেডির।এটা নিয়ে আমার একটা উপন্যাস লেখার পরিকল্পনা আছে। ওখানে ঐ বিষয়টি উল্লেখ করবো। তবে শিরোনাম যেহেতু বিবর দিয়েছি।তাই অনুমেয় ফুপুর জীবন শুধুই দুঃখের বিষাদে বা গহ্বরে পরিপূর্ণ।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা আপনাকে।

৬| ০৭ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: দাদা সুন্দর লিখেছেন।

ছোট এই লেখায় অনেক গুলো বিষয় এসেছে। এসেছে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা।
ফুপুর সৃতি এসেছে। যা আমাকে কষ্ট দিয়েছে।

আপনি ছোটবেলায় মায়ের কাছে পড়েতে বসতেন। কিন্তু আমার মা আমাকে কোনো পড়াতে বসায় নাই। শুধু বলতো সন্ধ্যা হয়েছে পড়তে বস। ব্যস শেষ। মা পছন্দ করতো সিনেমা দেখতে। সে রান্নার সময় টুকু বাদে বিসিআরে সিনেমা দেখতো।

০৮ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভাইয়ের এমন সুন্দর কমেন্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ছোট ভাইকে।

ছোট এই লেখায় অনেক গুলো বিষয় এসেছে। এসেছে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা।
ফুপুর সৃতি এসেছে। যা আমাকে কষ্ট দিয়েছে।"-জ্বী যেহেতু সীমান্তবর্তী এলাকায় বড় হয়েছি কাজেই মুক্তিযুদ্ধের সময়কার অনেক স্মৃতি আমাদের এলাকার বয়ষ্কদের স্ম্যতিতে আজো টাটকা।তারি একটি নমুনা ময়নাবুবু।যে কোনো সংবেদনশীল মানুষের হৃদয়কে ব্যথাতুর করতে বাধ্য।

আপনি ছোটবেলায় মায়ের কাছে পড়েতে বসতেন। কিন্তু আমার মা আমাকে কোনো পড়াতে বসায় নাই। শুধু বলতো সন্ধ্যা হয়েছে পড়তে বস। ব্যস শেষ। মা পছন্দ করতো সিনেমা দেখতে। সে রান্নার সময় টুকু বাদে বিসিআরে সিনেমা দেখতো।- ইস আমার মা যদি ভাইয়ের মায়ের মতো হতো কি ভালো না হতো। ছোটবেলায় মায়ের কাছে এই পড়তে বসা যে কত বড় শাস্তি তা সে যে পেয়েছে সেই জানে।টানা সিক্স পর্যন্ত আমার সকাল বিকাল মাটি হয়ে গেছে মায়ের কাছে পড়তে বসার জন্য... তবে এখন ভাবি ভাগ্যিস মা আমাদের ধরে বেঁধে বসিয়েছিলেন। যাইহোক শৈশবে বাবা মায়ের এমন বাধুনিতে রাখা খুবই কষ্টের।হেহেহে

৭| ০৭ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:৩১

আরোগ্য বলেছেন: তোমার স্মৃতি কথা পড়ে অনার্সে পড়াকালীন একটা বইয়ের কথা মনে পড়ে গেল, Riders to the Sea. একে একে সম্ভবত পাচজন সন্তান সাগরে জীবিকা নির্বাহ করতে করতে মারা যায়। শৈশবের এত বিষাদময় স্মৃতি মানুষকে সময়ের আগেই বড় করে দেয়। ময়না বুবুর ঘটনাটা খুবই বেদনাদায়ক। সাকিলা ফুফু এত কষ্ট সহ্য করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত তাহলে একমাত্র জীবিত সন্তানকে নিয়ে মুক্তির সিদ্ধান্ত নিলেন। আচ্ছা উনি কেন ছেলেকে নিয়ে সহজ ভাবে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন নি?

বিবর মানে কি? আমি জানি না বলে দাও।

তারপর বাবা ভাবীকে নিয়ে কেমন আছো? ওখানে গরমের অবস্থা কেমন?

০৮ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
আশাকরি সপরিবারে ভালো আছো। অনেকদিন তোমার কোন খোঁজ না পেয়ে চিন্তায় ছিলাম। খুব ভালো লেগেছে তোমার কমেন্ট মানে তোমাকে ব্লগে দেখে।
Riders to the Sea অনুবাদ অনেক আগে পড়েছি।
বিষয়টি টেনে কমেন্টে যেভাবে উপস্থাপন করেছ তাতে পোস্টটির মাত্রা বহুগুণ বেড়ে গেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ তোমাকে।
সাকিলা ফুপুর পরিণতি শেষ পর্যন্ত কী হয়েছিল সেটা অনেক পরে খোঁজ পেয়েছিলাম।সেটা আরও ট্রাজেডির
..
বিবর মানে গহ্বর।সাকিলা ফুপু ভাগ্যের গহ্বরে ডুবে গেছেন।একের পর এক আপনজন হারিয়েছেন কিন্তু নিয়তির ফেরে গহ্বর থেকে মুক্তি পাননি। শেষ অংশটি উপন্যাসের জন্য তোলা রইলো।

সুন্দর কমেন্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ তোমাকে।
পোস্টে লাইক করাতে কৃতজ্ঞতা জানাই।
নিরন্তর শুভেচ্ছা জানবে।

৮| ০৭ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৯

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: স্মৃতি আসলে সততই দুঃখের, সুখের স্মৃতি রোমন্থন করলেও আমার দুঃখই পাই।

০৮ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার কোনো পোস্টে আপনার প্রথম কমেন্টে। সুস্বাগতম আপনাকে। ছোট্ট কমেন্টে আপনার অনুভূতি পেয়ে খুশি হয়েছি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা আপনাকে।

৯| ০৭ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: মর্মান্তিক স্মৃৃতি। মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে গেল

০৮ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: জ্বী ঠিকই বলেছেন। এমন ঘটনা যে কোন সংবেদনশীল মানুষের হৃদয়কে ব্যথাতুর করতে বাধ্য। পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা আপনাকে।

১০| ০৭ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:৫৫

মেহবুবা বলেছেন: এ লেখা পড়ে লগইন করতেই হোল।
শৈশবের এই স্মৃতি আপনাকে আজীবন দুঃখ দেবে।
পাঠক হিসেবে আমার মনটা খারাপ হোল, আর আপনার তো নিজের জীবনে দেখা। ৭১ এর সংগ্রামের পরও কত সংগ্রাম কত মানুষের জীবনে এবং কখনো কখনো এমন মর্মন্তুদ ঘটনা ঘটতেই থাকল।
ময়নাকে এবং ওর পরিবারের সবাইকে আল্লাহ্ অনন্তকাল শান্তি দান করুক।

শৈশবে পাওয়া আনন্দ যেমন সাথে থাকে, কষ্ট তেমনি ছেড়ে যায় না।

০৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:০০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু বহুদিন পর আপনার কমেন্ট পেয়ে খুশি হয়েছি।
"শৈশবের এই স্মৃতি আপনাকে আজীবন দুঃখ দেবে।-"জ্বী ঠিকই বলেছেন।এই স্মৃতি ভোলার নয়।

"৭১ এর সংগ্রামের পরও কত সংগ্রাম কত মানুষের জীবনে এবং কখনো কখনো এমন মর্মন্তুদ ঘটনা ঘটতেই থাকল।
ময়নাকে এবং ওর পরিবারের সবাইকে আল্লাহ্ অনন্তকাল শান্তি দান করুক।"- শেষ কথায় আপনার কমেন্টের প্রতিধ্বনি তুলে ধরেছি। কিছু কিছু মানুষ সারাজীবন ধরে কষ্টের ঘানি টেনে বেড়ায়।সুখ জিনিসটা তাদের কাছে অধরাই থেকে যায়।সাকিলা ফুপু তাদেরই একজন।
আপনার এমন নির্মল আন্তরিক কমেন্টে খুশি হয়েছি। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা আপনাকে।

১১| ০৭ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: পোস্টে আবার এলাম কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

০৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:০১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খুব ভালো খুব ভালো। ভাইকে আবার দেখতে পেয়ে খুশি হয়েছি। অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা ভাইকে।

১২| ০৮ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:৩৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি,




মর্মান্তিক!
সখিনা ফুপুর কাহিনীতে পরিবারটিকে মনে হলো - অভিশপ্ত একটি পরিবার। এমন একটি পরিবারের প্রতি আপনার মমতা আপনার কোমল মনেরই পরিচয়।
শৈশবের এমন হৃদয় বিদারক স্মৃতি নিশ্চয়ই আপনাকে আজও ব্যথাতুর করে !

০৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:০৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় জি এস ভাই,
জ্বী অনেকটাই সহমত আপনার সাথে।যদিও অভিশপ্ত না বলে চূড়ান্ত হতভাগা শব্দটা ব্যবহারে আমি বেশি জোর দেবে।তবে সে যাইহোক অভিশপ্ত বা হতভাগ্য ভাগ্যের নিষ্ঠুরতায় সুখ জিনিসটা সাকিলা ফুপু পায়নি। দুঃখ কষ্ট বঞ্চনা দিয়েই ওনার ভাগ্য লিখন।আর শৈশবের কথা যতোটা মনে গেঁথে থাকে ততোটা পরবর্তী জীবনে অতোটা প্রভাব ফেলে না।
চমৎকার হৃদয়ধর্মী কমেন্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা আপনাকে।

১৩| ০৮ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:৩৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি,





দুঃখিত , নাম ভুল হয়েছে। সাকিলা ফুপু হবে।

০৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:০৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: জ্বী বুঝতে পেরেছি।ওটা কোনো সমস্যা নয়। ভালো থাকবেন সবসময়।

১৪| ০৮ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৯

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আমি আসলেই বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি !!

কিছুই বলার নেই আমার । মানুষের জীবনটা যে কী তার সদুত্তর কারও কাছে নেই । আমার কেবল একটাই প্রশ্ন ময়না বুবুকে কারা মারল তা কী জেনেছেন ??

০৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:১৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নিবর্হণ ভাই,
ঠিকই তো এমন ঘটনায় বাকরুদ্ধ হবাটা স্বাভাবিক। সীমাহীন দুঃখ কষ্ট মানুষকে বাকরুদ্ধ করে দেয়। আপনার মানসিক অবস্থা বুঝতে পারছি।
পোস্টটি পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। ময়না বুবুকে সমাজের এক পাষন্ড শক্তির লালসার শিকারে পরিণত হয়েছিল।আজো কম বয়সের নারীকে এই ভাবে বেঘোরে প্রাণ হারাতে হয়। তবে এখন আইন কানুন কিছু কিছু ক্ষেত্রে ক্রিমিনালকে সনাক্ত করে।আর তখন তো এসবের কোনো প্রচলন ছিল না।তারউপর শরনার্থী কিনা... তার জন্য আর প্রাণ কাঁদে কজনের?
যাইহোক এতো টা ক্লিয়ার করে বলতে চাইনি।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা আপনাকে।

১৫| ০৯ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৯:১৪

মিরোরডডল বলেছেন:




ভয়াবহ!
জানতে চাইতাম এক্সাক্টলি কি ঘটেছিলো সেদিন ময়না বুবুর সাথে?
কেনো এবং কি করে মারলো?
আগের প্রতিমন্তব্যে কিছুটা জানলাম।


১০ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:১৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: দেখুন আপু১৯ ৮১/৮২ সালের সঙ্গে আজকে ২০২৩সালের মিল হচ্ছে তখনও নারী নিগ্রহ হতো। পুরুষের লালসার শিকার হয়ে বেঘোরে প্রাণ দিতে হতো।আর তখন একটু আধটু পুলিশ আসতো রুটিনমাফিক তাদের কর্তব্যপালন করতে।অন্য যে কোন শ্লীলতাহানি হলে ভিকটিমের অভিভাবক মেয়েকে পাছে কেউ বিয়ে করতে রাজি না হয় এই ভয়ে চেপে যেতো।আর এরফলে সমাজের একশ্রেণীর পাষন্ডের দানবীয় কাজ অলিখিত ভাবে প্রশয় পেয়ে যেতো। ময়না বুবু এরকমই এক জানোয়ারের শিকারে পরিণত হয়। কিন্তু ও তো সুযোগই পেলোনা মুখে কিছু বলার। কাজেই তিন দিন পর ফুলে ঢোল গলিত লাশ নিয়ে যাবতীয় কার্যকলাপের সেরে পুলিশ দায় এড়িয়েছে।আর কাউকে সন্দেহ হয় কিনা এসব নিয়ে মেয়ের মৃত্যুর চ্যালেজ্ঞ করার মতো আর্থ সামাজিক অবস্থা ফুপুর ছিল না। নিয়তির কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করা ছাড়া আর কিইবা করার ছিল।
অভিযোগ

১৬| ০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: "ময়না বুবু লাশ হয়ে পুলিসের গাডিতে চলে যায়" - মারাত্মক বাঙ্ময় একটি নীরব বাক্য! দৃশ্যটি মানসপটে স্পষ্ট ভেসে ওঠে।
অত্যন্ত মর্মান্তিক এবং বিষাদ জাগানিয়া একটি স্মৃতিকথা পরিবেশন করলেন। পড়ে ভারাক্রান্ত হলাম।
প্রতিযোগিতায় এ স্মৃতিকথনের সাফল্য কামনা করছি।

১০ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৪২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার আপনাকে। বিশেষ অংশটি উল্লেখ করে নির্মমতা তুলে ধরার জন্য।
প্রসঙ্গের সঙ্গে অন্তরের সুন্দর অনুভূতি, "মারাত্মক বাঙ্ময় একটি নীরব বাক্য! দৃশ্যটি মানসপটে স্পষ্ট ভেসে ওঠে। " ব্যক্ত করায় আপনার গভীর চিন্তাশক্তি ও মানসপটের কোমল মর্মানুভূতির পরিচয় পেলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।জ্বী স্যার প্রতিযোগিতার জন্য ঘটনাটি শেয়ার করেছি ঠিকই কিন্তু কিছু কিছু ঘটনার নির্মমতা আমাদের চিন্তা শক্তিকে আসার করে দেয়।আর এই কারণেই ময়না বুবুর এই ঘটনা কতোটা প্রতিযোগিতার উপযোগী সেই বিবেচনায় না খেলেও শৈশবের নিদারুণ ব্যাথাতুর হৃদয়ের নির্যাস তা অস্বীকার করতে পারিনা।

শুভেচ্ছা জানবেন।

১৭| ১০ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: খুবই হৃদয়বিদারক ঘটনা।পড়ে মন খারাপ হয়ে গেল।

১০ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৫৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: জ্বী সোহেল ভাই ঠিকই বলেছেন ভয়ঙ্কর হৃদয়বিদারক ঘটনা। বহুদিন পর আপনার কমেন্ট পেয়ে খুশি হয়েছি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা আপনাকে।

১৮| ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৭:৪৬

সোহানী বলেছেন: সারাদিনের আনন্দ এ নিমিষেই আপনার লিখা কেড়ে নিলো। কি মর্মামিন্তক ঘটনা। একটাও কি ভালো মানুষ ছিল না? একজনও কি পাশে দাড়াঁতে পারেনি? কেউই কি ময়নার হত্যাকারীকে খুঁজে বের করতে পারেনি?...........................

১৫ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৩০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু জ্বী মর্মান্তিক বটে। মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে বর্ডারের পার্শ্ববর্তী এলাকার একটি খন্ডচিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। অনেক আশা প্রত্যাশা নিয়ে ছিন্নমূল হয়ে যে পরিবারগুলো এখানে এসেছিলো তারা ফিরে যাওয়ার সময় সব হারিয়ে আবার সর্বশান্ত হয়ে ফিরেছিলো।আর তখন সবকিছু গ্রাম্য শালিসীতে নিষ্পত্তি হতো। পুলিশ ডেডবডি তুলে নিয়ে তার দায়িত্ব ছেড়েছে। এখন ভাবুন একজন সর্বশান্ত মানুষের হয়ে শালিসি সভায় কে বিচার চাইতে যাবে। কিম্বা তার হয়ে কেইবা কথা বলবে।ফলে ভাগ্যের নির্মমতা মেনে নেওয়া ছাড়া আর কিছু করার ছিল না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.