নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

সন্তুবীরের উপাস্য (পর্ব-২)

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:০৮



ওষুধের দোকানের বিপত্তির ঠিক দুদিন পরে সকাল সাতটা তিরিশ চল্লিশের দিকে হঠাৎ কলিং বেল বেজে ওঠে। রান্নার দিদি খুব ভোরেই চলে আসে। কাজেই এ সময় বাড়িতে তেমন কারোর আসার সম্ভাবনা থাকে না। আমি অবশ্য তখনও বিছানায় শুয়েছিলাম। ওদিকে রান্নাঘরে শ্রীময়ী রান্নার দিদির সঙ্গে কাজে ব্যস্ত। প্রথমবার কলিং বেলের শব্দতরঙ্গ রান্না ঘরের ব্যস্ততা ভেদ করে ওদের কর্ণকুহরে পৌঁছেছে বলে মনে হলো না।অন্তত আপন মনে দুজনের কর্মব্যস্ততা ও গল্পগুজবে মশগুল দেখে আমার সেটাই মনে হলো। যাইহোক এত সকালে কে আসতে পারে ভেবে কিছুটা জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে দোতলায় ঘরের জানালা দিয়ে নিচের দিকে তাকাতেই দেখি নেহা দাঁড়িয়ে আছে। সর্বনাশ!এই অসময়ে নেহা!বুক দুরু দুরু করে ওঠে। কী আছে কপালে কে জানে।কী করি কী করি ভাবতেই মূহুর্তে একটা আইডিয়া চলে আসে। না আর সময় নেওয়া ঠিক হবে না। তড়িঘড়ি কম্বল মুড়ি দিয়ে চুপচাপ আগের মতই শুয়ে থাকি। খানিক বাদে প্রত্যাশা মতো আবার কলিং বেল বেজে ওঠে। এবার রান্নাঘর থেকে শব্দ এলো,
- এই একটা লোক! এখন সাড়ে সাতটা আটটার সময়েরও ধুমসো মোষের মতো ঘুমিয়ে যাচ্ছে।বলি একটু নিচে গিয়ে দেখ দেখি কে কলিং বেল বাজাচ্ছে।
শ্রী যেটাই বলুক না কেন, মনে মনে বলি মাথা খারাপ? তোমার কথা শুনে নিচে গিয়ে নেহার সামনে হেনস্থা হওয়ার সুযোগ করে দিতে কিছুতেই পারবো না। কাজেই শ্রীর ডাককে পাত্তা না দিয়ে কম্বলের নিচে গুটিসুটি মেরে চুপচাপ শুয়ে থাকি। অপেক্ষায় থাকি পরিস্থিতি কোন দিকে গড়াচ্ছে তার দিকে।
খানিক বাদে পা দাপাদাপির সঙ্গে মুখে অগ্নিবর্ষন করতে করতে শ্রীর বারান্দায় যাওয়ার শব্দ কানে আসে। আমিও এই সুযোগে উপরের স্লাইডিং জানালা দিয়ে নিচের দিকে চোখ রাখি।নেহাকে দেখে শ্রী অনেকটা কর্কশ কন্ঠে বলে,
- আরে তুমি! এতো সকালে কী মনে করে?
নেহা মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে বললো,
- দিদি একটা দরকারে এসেছিলাম।একটু নিচে নামবেন?
বলেই ব্যগ থেকে কী একটা জিনিস বের করতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। ওকে ব্যাগ হাতড়াতে দেখে মনে হলো শ্রী একটু খুশিই হয়েছে।
-দাঁড়াও আসছি, বলে নেহার ডাকে সাড়া দিতে শ্রী বারান্দা থেকে বের হয়ে সিঁড়ির দিকে পা চালালো। আমিও উৎসুক হয়ে ততক্ষণে নেহার দিকে তাকিয়ে রইলাম। কিছুক্ষণ ব্যাগের এ চেন ও চেন খুলে অবশেষে খবরের কাগজে মোড়ানো একটা প্যাকেট বের করে এগিয়ে ধরলো।
কাগজে মোড়ানো প্যাকেটটি দেখে শ্রী প্রশ্ন করলো,
-কী ওটা?
- দিদি সেদিন আপনারা দোকানের সামনে ঝগড়া করতে করতে চলে আসার পর দেখি এই জিনিসটা ওখানে পড়ে আছে। মনে হয় ভুল করেই কাকু সেদিন এই জিনিসটা ছেড়ে এসেছিলো।
মূহুর্তে শ্রীময়ীর রূপ বদলে গেলো,
- তুমি তো খুব বেয়াদব মেয়ে দেখছি। টুকটাক আমাদের মধ্যে একটু কথাকাটাকাটি হয়েছিল ঠিকই তাই বলে তুমি সেটাকে ঝগড়া বানিয়ে দিলে? আর আমরা তোমার দোকানের সামনে ঝগড়া করছিলাম কেন করছিলাম সেটা কী তোমার বোধগম্য হয়েছিল?তা এই ঝগড়া ঝগড়া শব্দ বলে কানভাঙানি কি তোমার কাকুর কানে পৌঁছে দিয়েছ?
নেহা শ্রীর ধমকানিতে অনেকটা গুটিয়ে আমতা আমতা করে মাথা নিচু করে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলো।
শ্রী চোখে মুখে একরাশ বিরক্তি নিয়ে আবার জিজ্ঞেস করে,
-প্যাকেটের ভেতরে কী আছে বাছা?
- মাফলার দিদি।
শ্রী ব্যাঙ্গাত্মক স্বরে বলে ওঠে,
- তুমি তো বেশ লক্ষী মেয়ে দেখেছি, কাকুর মাফলারটাও চিনে রেখেছো।তো লক্ষ্মী মেয়ে আর একটা উত্তর দাও দেখি, কাকুর আর কী কী জিনিস তুমি চেনো?
নেহা কী একটা বলতে যাচ্ছিল কিন্তু শ্রী কোনো সুযোগ না দিয়ে মুখ ঝামটা দিয়ে হাত থেকে ছোঁ মেরে কাগজে মোড়ানো প্যাকেটটা নিয়ে আবার জিজ্ঞেস করে,
- সামান্য একটা মাফলারকে এতোটা যত্নআত্মী করে আনার কারণ কী জানতে পারি?
-আজ্ঞে দিদি আপনারা চলে আসার পর দুটো কুকুর দেখি ওটা নিয়ে টানাটানি করছিল।আমি একটা লাঠি নিয়ে ওদেরকে তাড়িয়ে মাফলারটি উদ্ধার করি।পরে বাড়িতে গিয়ে ভালো করে ডেট্রল ওয়াশ করে তবেই নিয়ে এসেছি।
- ও মাই গড! কুকুর টানাটানি করছিল? ছ্যা ছ্যা ছ্যা ছ্যা... আর তুমি সেটা উদ্ধার করে আবার ডেট্রল ওয়াশ করে নিয়েও এসেছ? খুবই লক্ষীমেয়ে তুমি মানতেই হবে। এমন একটা কাজে তোমার কাকু দারুণ খুশি হবে নিশ্চিত।
নেহা বোকা বোকা চাহনিতে হাসি হাসি মুখে তাকিয়ে থাকে। শ্রী আবারো তাচ্ছিল্যের স্বরে বলে,
- এতো ভালো একটা কাজ করেছ যখন তখন তো একটা পুরস্কার তোমার প্রাপ্য। আমি আর কী দেবো, তো তোমার কাকুকে বলে একটা পুরস্কার নিয়ে নিও কেমন?
নেহা শ্রীর ব্যঙ্গাত্মক কথা বুঝতে না পেরে সরলতার সঙ্গে জানায়,
- না না দিদি কোনো পুরস্কারের লোভে আমি এটা করিনি। আমাদের কোম্পানি একটা সুন্দর ডেট্রল বাজারে নিয়ে এসেছে।সেন্টেড ডেট্রল। খুবই সুন্দর গন্ধ। জামাকাপড় ওয়াশ করার পর দারুণ সুগন্ধ হয়। একবার মাফলারটা সুখে দেখুন দিদি ভারী চমৎকার গন্ধ।
- আরে! বলো কী? তুমি আমার হ্যাজব্যান্ডের মাফলার সুখে বেড়াচ্ছ?আর তোমার কাছ থেকে শুনেই আমাকে ওর মাফলারে গন্ধ শুঁকতে হবে?হা ভগবান! এ কার পাল্লায় পড়েছি?
- না না দিদি আপনি খারাপ ভাবে নেবেন না প্লিজ। আমি শুধু আমার কোম্পানির ডেট্রলের সুগন্ধির কথা বলতে চেয়েছি।
- রাখো তোমার সুগন্ধি।ডেট্রলের আর কী সুগন্ধি আছে, তার চেয়ে বহুগুণ বেশি সুগন্ধি তো তুমি নিজেই ছড়াচ্ছ বাছা।
- দিদি ভুল বুঝবেন না প্লিজ। আমি কোম্পানির প্রোডাক্টের গুণাগুণ সম্পর্কে বলতে চাইছিলাম।
এবার কিছুটা ধমকের সুরে,
- শোনো আমার এখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তোমার কোম্পানির অ্যাডভেটাইজ শোনার সময় নেই।
তারচেয়ে বলি কী এখন থেকে বরং তোমার কাকুর জিনিসগুলো তুমি নিয়ে গিয়ে ডেট্রল ওয়াশ করে নিয়ে এসো কেমন?
- দিদি আপনি শুধু শুধু আমার উপর রাগ করছেন।
এবার শ্রী একরাশ বিরক্তি নিয়ে,
- দেখো বাপু! তোমার সঙ্গে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভদ্রতা রক্ষা করার ইচ্ছা ও সময় কোনোটাই আমার নেই। তুমি এবার আসতে পারো,বলেই শশব্দে দরজা বন্ধ করে উপরে চলে আসে। আমিও সেই সুযোগে আবার কম্বলের ভেতর ঢুকে পড়ি।

উপরে এসে রাগে গজগজ করতে করতে ঘরে এসে সজোরে একটা হ্যাচকা টান দিয়ে আমার কম্বলটি মেঝেতে ফেলে দুহাত কোমরে দিয়ে কটমট করে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। আমি পড়িমড়ি করে উঠে বসি। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে চমকে উঠে হাত দুটো শূন্যে ছুঁড়ে আড়ামোড়া খেয়ে ওর দিকে তাকিয়েই আবারো চমকে উঠি। ঘড়িতে তখন আটটা বাজে। কিছুটা দুঃখ দুঃখ মুখে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে,
- সরি শ্রী অনেকটাই বেলা হয়ে গেছে। এতোক্ষণ ঘুমানো উচিত হয়নি। অবশ্য তুমি আগেই আমাকে ডেকে দিতে পারতে।
- থাক আর আদিখ্যেতা দেখাতে হবে না।
রাজপুত্তুরের মতো ঘুমিয়ে যাচ্ছ। আর আমরা দাস-দাসী খেটে মরছি। এদিকে একটু বাজারে যাওয়ার ছিল জাঁহাপানা।
- নিশ্চয় যাবো,বলে আমি শশব্যস্ত হয়ে চোখেমুখে জল দিতে ওয়াশরুমে ঢুকলাম।

ওয়াশরুম থেকে বের হতেই তোয়ালেটা এগিয়ে ধরে শ্রী শান্তভাবে আমার দিকে এগিয়ে আসে। কিছুটা হাসি হাসি মুখে বলে,
-তোমাকে একটা কথা বলবো বলবো বলে ঠিক বলা হচ্ছে না।
- কী কথা মাই সুইটহার্ট?
- আর নাটক করো না।আমি কি আর তোমার সুইটহার্ট আছি? সেই কবেই তোমার হৃদয় থেকে আমি হারিয়ে গেছি। খুবই ভয় হচ্ছে গো..
- আরে না না ‌মিছে মিছে কেন এমন ভয় পাচ্ছ? আমি তোমাকে ভালোবাসার তাজমহল বানিয়ে দেবো। তুমি হবে সেই মন্দিরের উপাস্য দেবী।
সঙ্গে সঙ্গে আমার নাকটি ধরে,
- ওরে আমার সন্তুবীররে! আমার জন্য নাকি তাজমহলের মতো ভালোবাসার মন্দির বানাবে। আপাতত ওইসব মন্দির পর্যন্ত ভাবতে পারছিনা। আমার এখন প্রধান মাথাব্যথা ওষুধের দোকানের ঐ মেয়েটাকে নিয়েই।ওর মতিগতি ভালো ঠেকছে না গো।বড্ড নাটুকেপনা গায়ে পড়া স্বভাবের। আজকে সকালে এসেছিল তোমার মাফলারটা নিয়ে।
-কোন মাফলার?
-সেদিন নাকি তুমি ঝগড়া করার জন্য মনের ভুলে মাফলারটা ছেড়ে এসেছিলে, বলে হাতে ওটা ধরিয়ে দেয়।
মাফলারটা দেখে আমি প্রচন্ড ভয় পেয়ে যাই। কি বলে গেছে তা তো আমি আগেই জেনেছি। তবুও জিজ্ঞেস করি কিছু বলে গেছে?
-হুম অনেক কিছুই তো বলে গেছে। যাইহোক আমি আর আগ্রহ দেখালাম না। মাফলারটি কয়েকদিন আগে ওকে দিয়েছিলাম। সন্ধ্যা সাড়ে আটটা নয়টার দিকে দোকানে গিয়ে দেখি মেয়েটি জবুথবু হয়ে বসে আছে। মোবাইলে টেম্পারেচার বারো ডিগ্রি দেখাচ্ছে। আড়ষ্টতা দেখে মনে হল ঠান্ডায় মেয়েটির কাঁপুনি শুরু হয়ে গেছে। উল্লেখ্য গলা ও মাথায় কিছুই ছিল না। প্রচন্ড ঠান্ডায় আমি আমার মাফলারটি অফার করতেই প্রথমে একটু কিন্তু কিন্তু করেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত রাজি হয়ে যায়। ঠিক করেছিলাম পরে দোকানে গিয়ে মাফলারটি নিয়ে আসবো। কিন্তু সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হলো না। আজকে সকালেই চলে এসেছে।
যাইহোক নেহাকে নিয়ে শ্রীমতির আশঙ্কা দূর করতে,
- আরে না না ওকে নিয়ে এতো দুশ্চিন্তা করার কী আছে? ও আছে ওর জায়গায় আর তুমি আছো তোমার জায়গায়।
শ্রী প্রতিবাদ করে,
- না ও মেয়ে ওর জায়গায় নেই।আর এখানেই আমার যতো দুশ্চিন্তা।
কিছুক্ষণ চুপ থেকে শ্রী আবার বলতে শুরু করে,
-আমি চাই না তুমি ওর সঙ্গে মেলামেশা করো।
আমি অবাক হয়ে,
- মেলামেশা মানে! আর তাছাড়া ও আমাকে কাকু বলে ডাকে।
কিছুটা ধমকের সুরে,
- রাখো তোমার ওসব কাকুটাকু। বরং ও আমাকে যেমন দিদি বলে তোমাকেও তেমনি দাদা বলে ডাকতে বলো।
- তোমার কি মাথা খারাপ হয়েছে শ্রী? হাঁটুর বয়সী একটি মেয়েকে দাদা বলার প্রস্তাব দেওয়া যদি একবার জানাজানি হয়ে যায় তাহলে পাড়ায় যে ঢিঢি পড়ে যাবে সেকথা কি তুমি একবার ভেবেছ?
- থাক তোমার ঢিঢি। হাঁটুর বয়সী হলেও লীলা খেলা তো আর থেমে থাকছে না।
আমি আর তর্কে গেলাম না। ভালো ভাবে জিজ্ঞেস করলাম,
- বাজার থেকে কী কী আনতে হবে জানাও।
ও মাথার উপড়ে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বলল,
- থাক আজ আর সময় নেই। তোমার অফিসে দেরি হয়ে যাবে। আগামীকাল সকালেই না হয় নিয়ে এসো।
আমি বেশ সেটাই হবে বলে অন্য কাজে মন দিলাম ।

পরেরদিন সকালে একটু আগেভাগেই ঘুম থেকে উঠি পড়ি। হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেস হতে না হতেই চা চলে আসে।খেতে খেতেই শ্রী হাতে ফর্দটা ধরিয়ে দেয়। একঝলক চোখ বুলিয়ে দেখলাম বেশ বড় ফর্দ। বিভিন্ন রকম আনাজ পাতির সঙ্গে মুদির দোকানের নানান দ্রব্যও রয়েছে সেখানে।
ফর্দটা ধরিয়ে দেওয়ার সময় জানিয়ে দেয়,
- তোমাকে এক ঘন্টা সময় দিলাম। এরমধ্যে ফিরে আসতে হবে। বেশকিছু জিনিস না হলে রান্নায় বিঘ্ন ঘটবে।
আমি মাথা নেড়ে সম্মতি দিলাম।
খানিক বাদে আবার জানালো,
-আর একটা কথা। এখন থেকে ঔষধপত্র যা লাগবে সবকিছু আমিই নিয়ে আসবো। তোমাকে আর ঐ ঔষধের দোকানে যেতে হবে না।
আমি আবারও মাথা নেড়ে
- গুড ডিসিশন বললাম। সঙ্গে আরও বললাম,
- বেশ ভালো সিদ্ধান্ত তোমার। বাজারটা আমি করবো আর ঔষধের দোকানে তুমি যাবে।
আমি আবারও একটি মিষ্টি হাসি দিয়ে,
-একদম ভেবো না সোনা।
আমার হাসির উত্তরে শ্রীময়ীও একটা হাসি দিয়ে আবার নাকটি ধরে,
- এই যে আমার সন্তুবীর দেরি করোনা কিন্তু তাড়াতাড়ি ফিরে এসো..

বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা এগিয়ে আসতেই দেখি দূর থেকে নেহা হাসি হাসি মুখে এগিয়ে আসছে। সাতসকালে চোখের সামনে এমন পরীকে দেখলে যে কোনো বয়সের পুরুষের হার্টবিট বেড়ে যাওয়ারি কথা। মাথায় একটা রংবেরং এর টুপি। টুপির তিনদিকে ছড়িয়ে দেওয়া ঘন কালো চুল। শরীরের উর্ধাঙ্গে পিঙ্ক কালারের মাঝে কালো বর্ডারের উলের কুর্তি।নিচে অফ হোয়াইট উলের জেগিংস।পায়ে পাওয়ার কোম্পানি স্নিকার। মুক্তোর মতো বাঁধানো দাঁত। সাক্ষাৎ যেন এক দেব কন্যা। উজ্জ্বল ফর্সা কপালের মাঝে ছোট্ট একটা কালো টিপ। হাসিতে যেন মুক্ত ঝরে পড়ছে। কাছাকাছি আসতেই ফর্সা হাস্যজ্জল চেহারার নেহাই আগে মুখ খুললো,
- কাকু খুব ব্যস্ত আছেন মনে হচ্ছে?
- না তেমন ব্যস্ত নয়।একটু বাজারে বের হয়েছি কিনা এইযা....
মুখে হাল্কা ভাবে কথাগুলো বলে গেলেও একটা অজানা আশঙ্কায় মনের মধ্যে হাতুড়ি পিটতে থাকে।আসার সময় শ্রী সময় বেঁধে দিয়েছিল। জানতে পারলে রক্ষা নাই যে নেহার সঙ্গে পথে দেখা হওয়াটাই বিলম্বের কারণ।
যতটা সম্ভব হৃদয়ের ভয়কে আড়াল করে স্বাভাবিক ভাবেই বললাম,
- কিছু বলবে নেহা?
-আজ্ঞে আপনার তো ঠান্ডা লাগার ধাত আছে।কথা বলতে বলতে প্রায়ই আপনাকে কাশতে শুনেছি।এখন কাশিটা কেমন আছে কাকু?
নেহার মুখে কাশির কথা শুনতেই একনাগাড়ে বেশ কয়েকটি কাশি চলে আসে। ইচ্ছা করে কাশি এসেছে কিনা জানিনা তবে পরে যেন আর থামাতেই পারছিলাম না। একদিকে এক অনির্বচনীয় আনন্দে চোখ বুঁজে আসে। অপরদিকে এমন বিরামহীন কাশিতে চোখে জলও চলে আসে। একসময় নিজেকে সামলাতে না পেরে কাশতে কাশতে রাস্তায় বসে পড়ি।নেহা ব্যস্ত হয়ে আমার মাথায় হাত দিতে এগিয়ে এলে আমি হাত দিয়ে ইশারা করে ওকে থামিয়ে দেই।
খানিক বাদে কাশিটা একটু থেমে এলে নেহা প্রশ্ন করে,
- নিশ্চিত আপনি ঔষধ খাচ্ছেন না,তাই তো?
আমি মাথা নেড়ে সম্মতি দেওয়ায়,
- বুঝেছি যা করার আমাকেই করতে হবে। সম্ভব হলে একটু সময় নিয়ে দোকানে আসবেন। আপনাকে ঔষধগুলো ঠিকঠাক বুঝিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত আমার শান্তি নেই।
আমি অনেকটা আবেগমথিত হয়ে জিজ্ঞেস করি,
- আচ্ছা নেহা তোমার হৃদয়ে উপরওয়ালা কেন এতো মায়া দিয়েছেন বলতে পারো?
আমার কথা শেষ না হতেই পিছন থেকে কর্কশ কন্ঠে দাঁতে দাঁত চেপে কে যেন বলে উঠল,
- তো..মা...র...হৃ..দ.য়ে কে..ন .. পর্যন্ত বলতেই পিছনে তাকাতেই বুঝতে পারি সর্বনাশ।পালে বাঘ পড়েছে। বাবাগো মাগো বলে বাজারের ব্যাগ নিয়ে দিলাম ছুট.....

বিশেষ দ্রষ্টব্য - শ্রীময়ীকে লেখক আদর করে শ্রী বলে ডাকেন।

মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৩৬

ইসিয়াক বলেছেন: ওহ! আপনি তাহলে অবশেষে পোস্ট দিলেন।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৪৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পোস্ট দেওয়ার গতি কমে গেছে ফুল ভার্সনে ঢুকতে না পারার জন্য সঙ্গে ব্যস্ততা তো একটু আছে। কোন ব্রাউজার ফ্রাউজার দিয়ে আর ব্লগে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। বাঁকা পথে পিছনের দরজা দিয়ে আপাতত ঢুকতে পারছি জানিনা সেটাও কতদিন সম্ভব হবে।

২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৫

শেরজা তপন বলেছেন: এতদিন বাদে!! শ্রী কাকে ডাকছেন একথা কি আর বুঝিয়ে বলার দরকার আছে??
এরপর শ্রী কি লঙ্কা কান্ড বাঁধাল?
আহা নেহা মেয়াটার জন্য আমার বুকের বা পাশটাও টন টন করছে :)

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তপন ভাই,
আশাকরি ভালো আছেন। ব্লগিং অভিজ্ঞতায় দেখেছি অনেকেই পোস্ট না পড়ে কমেন্ট করেন। আপনি নিজেও সেকথা জানেন। যাইহোক বর্তমান সময়ে যেখানে কমেন্টে ভাটা পড়েছে সেখানে এমন ব্লগারদের আগমনকে স্বাগত জানিয়ে ওনাদের উদ্দেশ্য একটু সহজ করে দিতেই ফুটনোটের অবতারণা।অন্তত ওনারা শেষ লাইনটা দেখেও সেই মতো একটা কমেন্ট করেন সেটাই প্রত্যাশার।
পরবর্তী ঘটনা আগামী পর্বগুলোতে আলোচিত হবে। আশাকরি এভাবেই আপনাকে পাশে পাবো।
নেহার জন্য যদি বুকের বা পাশটা টনটন করে তাহলে অন্য কোনো হেনার জন্য ডানপাশের টনটনটা এখনি খুঁজে বের করা দরকার।
পুরুষ হৃদয় মানে ভালোবাসার মহাসমুদ্র। সেখানে যতো খুশি নেহাদের নোঙর ফেলার সুযোগ দিয়ে নিজের বৃহৎ মনের পরিচয় তুলে ধরতেই পারেন :) তবে একটুখানি সাবধানে থাকবেন ভাবিজি যেন এসব টের না পায় :) হাজার হোক জলকেলি খেলতে গিয়ে জলের ছলাৎ ছলাৎ শব্দ ভাবিজির কর্নকুহরে পৌঁছালে বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতেই পারে :)
সুন্দর রসাত্মক কমেন্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টটি লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন। শুভেচ্ছা নিয়েন।

৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৮

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: হাহাহা...
কেমন আছেন দাদা? বৌদি কেমন আছেন?

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হেহেহে ফাইন। আশাকরি আপনিও সপরিবারে ভালো আছেন। বৌদি আছে ভালো। তবে নিজেকে মুক্ত করতে জানিয়েছে স্টারমেকারে গান করা ছাড়া সবই লেখকের কল্পকথা। সুতরাং গল্পকারের হৃদয়ের কোনো একটি প্রকোষ্ঠের তিলার্ধ পরিমাণ জায়গায় যদি নেহার জন্যে সামান্য হলেও চিনচিনে ব্যথা ওঠে তাহলে আপনারা যতোই কানভাঙানি করুন না কেন উনি বিশ্বাস করবেন না :) হেহেহে

৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:২১

এম ডি মুসা বলেছেন: বহুদিন পর পোস্ট

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: জ্বী তেমন বহুদিন নয়।৪ জানুয়ারির পরে এই পোস্ট। যাইহোক কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা জানবেন।

৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:১৯

জাহিদ অনিক বলেছেন: সর‍্যি!!!
প্রথম পর্ব টা খুঁজে পাচ্ছি না। সেটা পড়া হয় নি ----
সেটা না পড়ে এটাও পড়তে পারছি না।

একটু লিংকটা দিবেন?

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:১৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনাকে দেখে খুশি হয়েছি। কত্তদিন পর আপনি এলেন।প্রথম পর্বটি আগে আপনার খুঁজে না পাওয়া্রি কথা। আসলে অন্য নামে এই গল্পটা লিখেছিলাম। পাঠকদের পরামর্শে এটিকে বৃহৎ গল্পের রূপ দিতে শিরোনাম বদলে বর্তমান শিরোনাম দিয়েছি। আশাকরি এবার আর খুঁজে পেতে সমস্যা হবেনা।
ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা জানবেন।

৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৬

ইসিয়াক বলেছেন: আমারও একটা প্রশ্ন। নেহা ধুমষো মোষ অর্থাৎ কাকুর আর কোন কোন জিনিস চেনে জাতি জানতে চায়।

আপনার বাড়িওয়ালী তো মানুষ ভালো না। নেহাকে ধোপানী বানাবার মতলব করছে। জোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আর বুঝতেই পারছেন আমি বেচারি নেহার পক্ষে। ;)

কাকুর লীলা খেলা জমে একেবারে ক্ষীর।গল্প ভালো লাগলো।এটা কি ধারাবাহিক? আরো পর্ব আসবে? বেশ লাগছে কিন্তু।
ভালো থাকুন। নিয়মিত পোস্ট দিন।
শুভেচ্ছা।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৩৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ইসিয়াক ভাই,
প্রত্যাশা মতোই মূল কমেন্টে ফিরে আসাতে খুশি হয়েছি অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। ধুমসো মোষের আর কি কি জিনিস নেহা চেনে সেটা এইভাবে চেকলিস্ট করে বললে পাটি গণিতের অঙ্ক হয়ে যাবে। কিন্তু গল্পকরে তো সেটাই বলতে চাই।আর তার জন্য আগামী পর্বগুলোতে আপনাকে পাঠ করবার আমন্ত্রণ রইলো। আশাকরি সেখানে আপনি মিলিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবেন যে বাস্তবে কি কি জিনিস হারিয়ে গেছে নাকি মন চুরি হয়ে গেছে।

বাড়িওয়ালাকে নিয়ে কোনো রকম গালমন্দ করলে তার তীব্র প্রতিবাদ করছি। বাড়িওয়ালার জন্য গল্পকার ইতিমধ্যে ভালোবাসার তাজমহল বানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যে মন্দিরের উপাস্য দেবী বাড়িওয়ালা। কাজেই সাধু সাবধান :)
আরে! নেহাকে ধোপনি বানানোর পরিকল্পনার বাড়িওয়ালার একেবারেই নেই। নেহা নিজেই যদি এরকম একটা দুটো মাফলার পরিষ্কার করে নিয়ে আসে তাহলে বাড়িওয়ালা যদি তাকে আরো দু তিনটে মাফলার পরিষ্কার করতে দেয় তার মধ্যে অন্যায় কোথায় আপনি কি বলেন? :)
আর নেহার পক্ষ নেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। তবে নেহা কিন্তু লাভ চায়। একটু সাবধানে থাকিয়েন।
:)
সবেমাত্র দ্বিতীয় পর্ব কাজেই লীলাখেলা জমে ক্ষীর একথা বলা যাচ্ছে না।আর বৌ থাকতে পরকীয়া ছি ছি আপনি তো সুবিধার নয় দেখছি :)
জ্বী যেহেতু বড় গল্পের প্লান নিয়েছি তাই ধারাবাহিক ভাবে দিতে হবে। গল্প ভালো লেগেছে জেনে খুশি হয়েছি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা আপনাকে।



৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: শ্রী নামটা সুন্দর।
মাফলার দি ডাকটা সুন্দর।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৩৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রী নামটি ও মাফলার দি শব্দটা ভালো লেগেছে জেনে খুশি হয়েছি। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইকে।
শুভেচ্ছা সতত।

৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:১৬

আরোগ্য বলেছেন: পর্ব ২ দেখে ১ নং পর্ব খুঁজতে গেলাম কিন্তু কিছু পেলাম না। পরে নেহাকে পেয়ে বুঝতে পেরেছি।

নেহার প্রতি কর্তার যে দুর্বলতা কোন দিন জানি গিন্নীর হাতে ঝাঁটা পেটা পড়ে কপালে।


বেশ তাড়াতাড়ি নতুন পর্ব দিলে আবার বিলম্ব করে পাঠকদের ঘোল খাইয়ে দিওনা।


অফ টপিকঃ ভাবীর এখন কি অবস্থা?

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৫৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "পর্ব ২ দেখে ১ নং পর্ব খুঁজতে গেলাম কিন্তু কিছু পেলাম না। পরে নেহাকে পেয়ে বুঝতে পেরেছি।"-আসলে শুরুতে বড় গল্পের প্লান
করিনি। কিন্তু যখন প্লান নিলাম তখন শিরোনামটা বদলে দিলাম। এখন অবশ্য প্রথম পর্ব বা দ্বিতীয় পর্ব খুঁজে পেতে আর সমস্যা হবে না।
নেহার প্রতি কর্তার দুর্বলতা ওভাবে না দেখে বলতে পারো হৃদয়ের উপচে পড়া অনুকম্পা যদি সামান্য নেহা পায় তাহলে ক্ষতি কোথায়? মনে করো তোমার কাছে অনেক টাকা আছে।বাড়ির প্রয়োজন মিটিয়ে যদি সামান্য কিছু টাকাকড়ি রাস্তার লোকের দরকারে ব্যায় করো তাহলে কি অন্যায় হবে?
অথবা ভাত রান্না করতে গেলে ভাত ফোঁটা শুরু করলে বুদবুদের আকারে যে জল উপচে পড়ে সেটা যদি কোনো ভাবে কালেক্ট করে অন্য কাজে ব্যবহার হয় তাহলে ঐ উপচে পড়া জলের অন্যত্র ব্যবহার দেখে হাঁড়ির ভিতরে ফুটন্ত ভাতের ঈর্ষা করা কি ঠিক হবে?
আশাকরি আমি তোমাকে সঠিক বোঝাতে পেরেছি। তবে ভূয়া ভাই দেখলে
অবশ্য এই যুক্তিকে ভূয়া ধরে ভন্ডুল করে দেবে :)
তোমাদের ওখানে শীত কেমন? আমাদের এখানে বড্ড শীত।আসলে তোমরা মেট্রোপলিটন সিটিতে থাকো মে কারণে ঠান্ডা অনেকটাই কম। কিন্তু আমরা মফস্বল শহরে থাকি। প্রচুর গাছপালা চারদিকে।যে কারণে ঠান্ডাটাও বেশি। এমতাবস্থায় আমরা যদি শীতের ঘোল খেতে পারি তাহলে তার সামান্য দু এক চুমুক খেতে আপত্তি করো না প্লিজ :) কাছেই পোস্ট দিতে দিতে ঘোল খাওয়ানো্র অধিকার আমার আছে :) কি আমি ঠিক বলেছি তো?

ভাবী দায় নিতে নারাজ। উনি বলেছেন নেহা নামের কেউ নাকি নেই।সবি লেখকের কল্পকথা। কাজেই এমন ছাড়পত্র পেলে কার না ভালো লাগে বুঝতেই পারছো :)
সবশেষে সুন্দর রসাত্মক কমেন্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ তোমাকে। পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবে।
শুভেচ্ছা রইলো।


৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:২৩

জাহিদ অনিক বলেছেন: হ্যাঁ এইবার পেয়েছি ১ম পর্ব। বেশ ২ পর্ব পড়া হলে আসব B-)

আবারো ধন্যবাদ

২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: যাক অবশেষে পেয়েছেন জেনে খুশি হয়েছি ভাইয়া। দুটো পর্ব পড়ে আবার আসবেন বললেন, অপেক্ষায় রইলাম। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা আপনাকে।

১০| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩৬

আরোগ্য বলেছেন: হা হা হা সবক্ষেত্রে দানশীল হলে কিন্তু হয় না। অপাত্রে মূল্যবান বস্তু রাখলে কিন্তু বিপদে পড়তে হবে। :P

বেশ তো ভুয়া ভাইয়ের মন্তব্য পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।

তুমি বুঝতে পারো নি আমি কিন্তু ভাবীর সুস্থতার কথা জিজ্ঞেস করেছি। মেইল করলে সহজে উত্তর পাওয়া যায় না তাই এদিক জিজ্ঞেস করলাম।

আমাদের এখানে রোদের দেখা মেলা ভার। তাই বলতে পারো শীতই বটে। আম্মু কড়া শীতে কড়া গরম আর নানু পাথরের ব্যথার জন্য ইনজেকশনের কোর্সে আছে, গত তিনদিন স্যালাইন ছিল তাই আমার দোতলা তিনতলা আপ-ডাউনের উপর থাকতে হয়। :(

২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: : হা হা হা সবক্ষেত্রে দানশীল হলে কিন্তু হয় না। অপাত্রে মূল্যবান বস্তু রাখলে কিন্তু বিপদে পড়তে হবে। :P"- আরে অপাত্রে কেন বলছো? আমি দেখছি সমাজের দরকার :)
ভূয়া ভাই ও জুনাপুর পর্ব দেখলে সে পাড়ার আশেপাশে থাকেন না। কাজেই দেখা মেলা দুষ্কর হয়ে গেল।
ভাবীর সমস্যাটি রয়ে গেছে।একমাসের অবজারভেশনে আছে। ঔষধে উন্নতি না হলে বিকল্প পথে হাঁটতে হবে। হয়তো দক্ষিণ ভারতের দিকে যেতে হতে পারে।সবই উপরওয়ালা ভরসা।

"আমাদের এখানে রোদের দেখা মেলা ভার। তাই বলতে পারো শীতই বটে। আম্মু কড়া শীতে কড়া গরম আর নানু পাথরের ব্যথার জন্য ইনজেকশনের কোর্সে আছে, গত তিনদিন স্যালাইন ছিল তাই আমার দোতলা তিনতলা আপ-ডাউনের উপর থাকতে হয়। :("-
খুবই কঠিন সময় ওনাদের পক্ষে। খুব সাবধানে থাকা জরুরি।যদিও তুমি ভীষণ কেয়ারিং বলে প্রথম থেকেই জেনে এসেছি।দোয়া করি এভাবেই ধৈর্য্যের সঙ্গে ওনাদের দেখভাল করে যেতে পারো।আর একটা খবর জানতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু মেইলে ছাড়া উপায় নেই।
ভালো থেকো। শরীরের যত্ন নিও। অনেক শুভেচ্ছা তোমাদের।

১১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৬

বিজন রয় বলেছেন: শ্রীময়ী ও নেহাকে ফলো করছি।

আপনি শ্রীময়ীকে আদর করে শ্রী বলে ডাকেন, আর আমি নেহাকে আদর করে নি বলে ডাকলাম।

আপনার লেখায় একটি সরলরৈখিক সমাধান আছে।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:

"শ্রীময়ী ও নেহাকে ফলো করছি।"-জ্বী দাদা একজনকে ফলো করলে ভালো হতো না? একসঙ্গে দুজনকে নিয়ে যে বিপদ বাড়তে পারে :)
শ্রীময়ীকে শ্রী নামে গল্পের নায়ক সন্তুবীর ডাকেন ভালো কথা সেক্ষেত্রে স্নেহাকে নেহা থেকে শুধু নি বলে ডাকলে কোনোদিন ফুৎ করে ভ্যানিশ হয়ে গেলে লেখক কিন্তু দায়ী থাকবে না :)
লেখায় ভাগ্যিস সরল রৈখিক সমাধান পেয়েছেন; বঙ্কিম রেখা বা বঙ্কিমবাবুকে দেখতে পেলে মিলাতে না পেরে হয়রানি হয়ে ফিরতে হতো :)
সুন্দর রসাত্মক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা আপনাকে।

১২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৪৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রথম পর্বের লিঙ্ক পোষ্টে নাই দেইখা চেইতা গেলাম। মানুষ এতো কেয়ারলেস কিভাবে হয়, আমার মাথায় ঢোকে না। X(

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৩৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এইযে আপনে যেদিন প্রকাশ্যে কইলেন আমাগো আপ্যায়ন হইছে অর্ধেক ডিম খাইতে দিয়া সবটা খাওয়ার জন্য পীড়াপীড়ি করা সেইদিন থেইক্কা আমার কাজ অর্ধেক হইয়া গেছে :)
দুটি পোস্ট মিলে একটা।তর একটা দিয়েছি।আর একটা এপাড়ে দেওয়ার চল নেই।এক্ষণে আপনে রেগে লাল হয়ে গেছেন দুঃখিত কিন্তু আমি চিরাচরিত প্রথা ভঙ্গ করি কেমনে :)

১৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১৮

করুণাধারা বলেছেন: ডেস্কটপ ভার্সন/ মোবাইল ভার্সন সংক্রান্ত ঝামেলা আশাকরি দূর হয়েছে! এবার বেশ তাড়াতাড়ি দ্বিতীয় পর্ব দিয়েছেন। অনেক ধন্যবাদ।

আপনি দেখছি জাত অভিনেতা! ঘুমকাতুরের অভিনয় ভালই করেছেন! কিন্তু শ্রীময়ীর চোখ সম্ভবত ফাঁকি দিতে পারেননি! আর নেহা-ই বা কী!! সকাল সাতটায় কী মনে করে এসে হাজির হয়!!

যাহোক, শ্রীময়ীর সাথে লুকোচুরি খেলা দারুন উপভোগ্য হয়েছে! লাইক।

আশা করি পরের পর্ব নিয়ে শিগগিরই আবার আসবেন।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
"ডেস্কটপ ভার্সন/ মোবাইল ভার্সন সংক্রান্ত ঝামেলা আশাকরি দূর হয়েছে! এবার বেশ তাড়াতাড়ি দ্বিতীয় পর্ব দিয়েছেন। অনেক ধন্যবাদ।"- না আপু সমস্যা যায়নি। আমি নিরন্তর প্রচেষ্টা করে আমার একটা পোস্টের হোয়াটসঅ্যাপে লিংক শেয়ার করে এখন সেই লিংক ধরে ফুল ভার্সনে ঢুকতে পারছি।সব ব্রাউজার আমার কাছে অচল।এর আগে বেশকিছু দিন ফেসবুকের লিংক শেয়ার করে সেখান থেকে ফুল ভার্সনে ঢুকেছি। কিন্তু এই সব কারিগুরি কতদিন চলবে সেটাই সন্দেহ।

"আপনি দেখছি জাত অভিনেতা! ঘুমকাতুরের অভিনয় ভালই করেছেন! কিন্তু শ্রীময়ীর চোখ সম্ভবত ফাঁকি দিতে পারেননি! আর নেহা-ই বা কী!! সকাল সাতটায় কী মনে করে এসে হাজির হয়!!"-আমিতো গল্পটা লিখেছি মাত্র আপু। আমার সাদা মনে কাঁদা নেই।আর এসব একজনকে দেখে টুকলি করে দিয়েছি। কাজেই লেখকের এখানে কোনো কৃতিত্ব নেই আপু।আর একারণেই লেখককে অহেতুক গালমন্দ না করতে অনুরোধ করছি। লেখক সাদা মনের মানুষ :)
শ্রীময়ীর সঙ্গে লুকোচুরি খেলা দারুণ উপভোগ্য হয়েছে জেনে পুলকিত বোধ করছি। সুন্দর রসাত্মক কমেন্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা আপনাকে।

১৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সন্তুবীর জিনিস টা কি ?
নেহার শুভ চিন্তকদের বাসায় মন্তব্যগুলো কপি করে পাঠানোর সময় হয়েছে দেখছি।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "সন্তুবীর জিনিস টা কি ?"-এই গল্পের নায়কের নাম সন্তু।স্ত্রীর প্রতি তার বীরত্বপূর্ণ ভালোবাসার জন্য :) স্ত্রী শ্রীময়ী তাকে ব্যাঙ্গাত্মকভাবে বীর হিসেবে তুলে ধরেছে।যেটা গল্পের নামকরণে ব্যবহৃত হয়েছে।
নেহার শুভ চিন্তকদের বাসায় পার্সেল করে মন্তব্ গুলো পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি আপু :) আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন হেহেহে...
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা আপনাকে।

১৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৪৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি ,




ব্লগে ঢুকেই আপনার সন্তুবীরের উপাস্য (পর্ব-৫) দেখে হোচট খেলুম, এতোগুলি পর্ব অথচ আমি একটাও দেখিনি!!! "সন্তুবীরের উপাস্য" শিরোনামটিও নতুন আর অচেনা মনে হলো। ভাবলুম পর্ব-১ থেকে না পড়লে এই পর্ব-৫ পড়ে বুঝবোনা কিছুই । তাই গেলুম পর্ব - ১য়ে। গিয়ে দেখি সে পর্ব যথাসময়ে পড়েছি এবং মন্তব্যও করে এসেছি। সে তো অনেক কাল আগের কাহিনী! এখানের একটা প্রতিমন্তব্যে দেখলুম পর্ব-১ এর শিরোনাম সম্ভবত অন্যকিছু ছিলো।
পর্বগুলি এতো সময়য়ের ব্যবধানে দিচ্ছেন কেনো ? এটা দিলেন পর্ব-১ এর পনের দিন পরে।
যাকগে.... তা শ্রীময়ীর চরিত্রটি বাঙালি বিবাহিত নারীদের স্বভাবের কথাই জানান দিয়ে গেলো। আর শ্রীমান লেখকের লুইচ্চা চরিত্রটিও সেই রকম ভেজা বেড়ালের মতো । আর নেহাও যে কি রকম নালায়েক , সক্কাল বেলা কাকুর বাইত যাইতে হয় ? বেশরম মাইয়া....8-|

খুব রসালো রম্য হয়েছে এবং সম্ভবত বাকীগুলোও হতে চলেছে।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:০৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় জী এস ভাই,
আশাকরি ভালো আছেন।
"ব্লগে ঢুকেই আপনার সন্তুবীরের উপাস্য (পর্ব-৫) দেখে হোচট খেলুম, এতোগুলি পর্ব অথচ আমি একটাও দেখিনি!!! "সন্তুবীরের উপাস্য" শিরোনামটিও নতুন আর অচেনা মনে হলো। ভাবলুম পর্ব-১ থেকে না পড়লে এই পর্ব-৫ পড়ে বুঝবোনা কিছুই । তাই গেলুম পর্ব - ১য়ে।" জ্বী ব্যস্ততার কারণে যে কোনো ভাবেই হোক স্কিপ হয়ে গেছে। তবুও এই পর্বে এসে আপনার চোখে পড়েছে এটা আমার পক্ষে খুবই আনন্দের। আপনার সুন্দর রসাত্মক কমেন্টে খুশি হয়েছি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রথম পর্বে আসনি সুন্দর একটা কমেন্ট করেছিলেন। তখন শিরোনাম অন্য ছিল। কিন্তু পরে পরিবর্তন করে এখনকার শিরোনামটি করেছি।
সময়ের ব্যবধান বেশি হচ্ছে আপনাদের অসুবিধা হচ্ছে দুঃখিত। কিন্তু ভাইজান সময়ের অভাবে সপ্তাহের বেশি পোস্ট দেওয়া কিছুতেই সম্ভব হচ্ছে না। আপনারা প্লিজ একটু ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

" শ্রীময়ীর চরিত্রটি বাঙালি বিবাহিত নারীদের স্বভাবের কথাই জানান দিয়ে গেলো। আর শ্রীমান লেখকের লুইচ্চা চরিত্রটিও সেই রকম ভেজা বেড়ালের মতো । আর নেহাও যে কি রকম নালায়েক , সক্কাল বেলা কাকুর বাইত যাইতে হয় ? বেশরম মাইয়া....8-|"-
পোস্ট সম্পর্কে একদম নির্যাস তুলে ধরেছেন। জহুরীর চোখ মানতেই হবে :)
বাকী পর্বগুলোতেও আপনার এমন সমঝদার কমেন্টের অপেক্ষায় থাকলাম।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা আপনাকে।

১৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৩০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: বুড়ো বয়সে কাকুর ভিমরতি হাহাহা

বুড়ো কাকু কত কিছু খেয়াল করেন... কী পরলো না পরলো

শ্রী ময়ী জানলে উপায় নেই
পড়েছেন মোড়লের হাতে খানা খেতে হবে সাথে

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু এতো হিংসুটে কেন বলুন দেখি আপনারা। একটা লোক কত কষ্ট করে অন্য আরেকটি হৃদয়ে কিছুটা ভালোবাসা সঞ্চার করতে পেরেছেন।তার জন্য উইস না করে মন ভেঙ্গে দেওয়ার কথা বলছেন।আর বয়স বয়স নিয়ে খোটা দেওয়া কি ঠিক হচ্ছে? ভালোবাসা কি কখন বয়সের ভারে নুয়ে পড়ে? :) বরং বয়সের তোয়াক্কা না করে বরং যে হৃদয়ে প্রেমের টলটলে সমুদ্র থাকবে তাকে প্রশংসা করা উচিত বলে আমি মনে করি। আপনিও আমার পথে হাঁটবেন বলে আলাকরবো :) কি আপু সঙ্গে থাকবেন তো?
আর শেষ কথা নিয়ে ভাবতে রাজি নই। মন ভাঙলে চলবে নিকো :)
হেহেহে...

১৭| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার গলায় খুব সহজেই ঠাণ্ডা লেগে যায় বিধায় আমিও যত্রতত্র মাফলার ব্যবহার করি, এবং ফেলেও আসি! :)

১৭ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:১৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথমেই ক্ষমাপ্রার্থী স্যার আপনার কাছে। বড়বোনের অসুস্থতার প্রায় দুই সপ্তাহ ভার্চুয়াল জগত থেকে দূরে ছিলাম যে কারণে সময়ে দেখতে পারিনি কমেন্টটি।জ্বী স্যার ঠান্ডার প্রকৃতি থাকলে মাফলার সঙ্গে রাখা সঠিক সিদ্ধান্ত। তবে ফেলে আসাটাকে সঠিক বলি কেমনে :) হেহেহে

১৮| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৫৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: পুরুষ হৃদয় মানে যদি ভালোবাসার মহাসমুদ্র হয়ে থাকে (২ নং প্রতিমন্তব্য), তবে নারী হৃদয় অবশ্যই সে মহাসমুদ্রের অতন্দ্র প্রহরী, চৌকষ কোস্টগার্ড!! :)

১৭ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:২৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পুরুষ হৃদয় মানে যদি ভালোবাসার মহাসমুদ্র হয়ে থাকে (২ নং প্রতিমন্তব্য), তবে নারী হৃদয় অবশ্যই সে মহাসমুদ্রের অতন্দ্র প্রহরী, চৌকষ কোস্টগার্ড!! :)
জ্বী স্যার একদম চৌকষ কমেন্ট স্বীকার করতেই হবে :)
আগামীতেও আপনার এমন সুক্ষ রসবোধসম্পন্ন কমেন্টের অপেক্ষায় থাকবো। দ্বিতীয়বার কমেন্ট করার জন্য আবারো ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন সবসময় কামনা করি।

১৯| ১১ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: ইসিয়াক, করুণাধারা, মনিরা সুলতানা, আহমেদ জী এস প্রমুখের মন্তব্যগুলো ভালো লেগেছে।

১৭ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:২৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: তৃতীয়বার আবারো এসে কমেন্ট সেকশনে ভালো লাগা কমেন্টদাতাদের নামোল্লেখ করাতে ভীষণ খুশি হয়েছি। সঙ্গে পোস্টে লাইক করাতে প্রীত হলাম।
আপনার ব্লগিং রুটম্যাপ আমার অনুপ্রেরণা। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।

২০| ২০ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৩

ফয়সাল রকি বলেছেন: নেহার তো কাকুর প্রতি অনেক ইয়ে...

২১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৮:২৮

শায়মা বলেছেন: হা হা সবচেয়ে ভালো হয়েছে কুকুর দুইটা মাফলার নিয়ে টানাটানি করছিলো রাস্তায়। হা হা হা

মানে নেহাও জানে মাফলারের কথা জানলে শ্রীময়ীর কি রুপ হরিবেন! হা হা

২২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ভোর ৫:২৯

আজব লিংকন বলেছেন: কি একটা অবস্থা। এক দিকে নেহা, একদিকে শ্রী, সন্তুবীররে ভালোবাসার তাজমহল কার জন্য সেটাই এখন সামনে দেখার বিষয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.