নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

সন্তুবীরের উপাস্য (পর্ব -৩)

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:০৮


ঘাড় ঘুরিয়ে শ্রীকে দেখে অনেকটা ভুত দেখার উপক্রম হয়। মূহুর্তে কাশি যায় থেমে। এমন অসময়ে শ্রীকে দেখবো কল্পনাই করতে পারিনি।কী আর করার। অগত্যা ধরফর করে উঠে দ্রুত পা চালিয়ে বাজারের দিকে রওনা দেই। মাঝে একবার পিছনে ফিরে তাকিয়েছিলাম বটে কিন্তু সেদিকে ভালো করে ভ্রুক্ষেপ করতে পারিনি।এক ঝলকে চোখ পড়েছিল নেহার দিকে। জানিনা ও মেয়ের কপালে কী লেখা আছে। তবে নেহাকে আমার খুব বুদ্ধিমতি মেয়ে বলেই মনে হয়।শ্রীর শ্লেষ ও গায়ে মাখবে বলে মনে হয় না। যাইহোক মূহুর্তে যেটা চোখে পড়েছে ও হাসি হাসি মুখে শ্রীর দিকে তাকিয়ে ছিল।কী কথা হচ্ছিল সে সব বোঝা দূর থেকে আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। তবে আমার অবশ্য তাগিদ ছিল নিজেকে নিয়ে। কাজেই নেহা টেহা নয় আপাতত নিজেকে বাঁচানোই শ্রেয় বিবেচনা করে উর্ধ্বশাসে পা চালাই। কিছুসময় পর আরেকবার পিছনে ফিরে তাকাতেই দেখি শ্রী আমার পিছু নিয়েছে। যদিও তখন দুজনের মধ্যে দূরত্ব অনেকটাই ছিল। আশেপাশের কয়েকজনকে উৎসুকভরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে দেখে বুঝতে পারি আমার আচরণের মধ্যে নিশ্চয় অস্বাভাবিকত্ব কিছু একটা হয়ে যাচ্ছে। মূহুর্তে পিটুইটারি গ্ল্যান্ডে কে যেন ধাক্কা মারে। কাজেই নুতন করে আর না ছুটে গতি কমিয়ে দেই।আসলে বেগ কমানোর মধ্যে শ্রীর জন্য কিছুটা অপেক্ষা করার তাগিদ অনুভব করি। আমার স্লো মোশন বুঝে শ্রী বোধহয় একটু জোরেই পা চালিয়েছিল।বেশ কিছুক্ষণ পরে দেখি ও প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছে। অস্বীকার করবো না ও কাছাকাছি চলে আসায় আমার অস্বস্তির স্পন্দন ক্রমশ বাড়ছিল। কী করে যে ওর সামনে স্বাভাবিক হতে পারবো বুঝতে পারছিলাম না। মাথায় মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল, এভাবে নেহার সঙ্গে আমাকে দেখে ফেলায় সবকিছু বিগড়ে গেলো। এখন কী করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনবো সেই ভাবনা ঘূর্ণিপাকের মত আমার অন্তরাত্মাকে তোলপাড় করতে থাকে।

হাঁটতে হাঁটতে অবশেষে শ্রী একদম পাশে চলে আসে।কয়েক সেকেন্ডের জন্য দুজনের চোখাচোখি হয় বটে। কিন্তু আমিই চোখ নামিয়ে নেই। ভিতরে ভিতরে অপরাধবোধ আমাকে দগ্ধ করে তোলে।আর হবে নাই বা কেন। একঘন্টা সময় দিয়েছিল বাজার করে ফেরার জন্য।আর সেই আমিই কিনা পথে অন্য নারীর সঙ্গে গল্পে আটকে গেছি রান্না ঘরের কথা বেমালুম ভুলে গিয়ে। অগত্যা বেচারাকে আমাকে খুঁজতে রাস্তায় পর্যন্ত নামতে হয়েছে। সুতরাং আগ বাড়িয়ে কিছু বলা সাজে না। আমার নিরবতা দেখে শান্ত গলায় জিজ্ঞেস করে,
-তোমার বমি হচ্ছিল শুনলাম থেমে গেছে?
বুঝতে পারছিলাম না যে ও বমির কথা জিজ্ঞেস করছে ব্যঙ্গ করে নাকি সত্যিই বলছে। যাইহোক মুখে কিছু না বলে আমি বরং ফ্যালফ্যাল দৃষ্টিতে ওর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকি।মনে মনে বলি হঠাৎ বমির কথা জিজ্ঞেস করলে কেন। কয়েক মূহুর্ত নিজেকে নির্বিকার রেখে এবার উল্টে জিজ্ঞেস করি,
-আমার বমি হচ্ছিল তুমি জানলে কীভাবে?
শ্রী উত্তর দেয়,
-দুধওয়ালা দাদার কাছ থেকে শুনেছি।
মনে মনে বলি যাক বাবা বাঁচা গেল।বড় ধরণের গোলমাল থেকে রক্ষা পেলাম।
দুধওয়ালা মানে পাড়ারই দুধ ব্যবসায়ী কার্তিকদা। প্রতিদিন সকালে যে বাড়িতে দুধ দিয়ে যায়।
প্রশ্ন করি,
-কী বলেছে কার্তিকদা?
শ্রী জানায়, দুধ দিতে এসে খুব উদ্বিগ্ন হয়ে বললো,
- বৌদি দাদাবাবুকে পথে বমি করতে দেখলাম।উনি কি অসুস্থ ছিলেন?কানে আসছিলো উনি অনবরত কেশেই চলেছেন। কিন্তু বিশ্বাস করুন দিদি জোগান বাড়িতে তাড়া থাকার জন্য আমি দাদাবাবুর ওখানে সময় দিতে পারিনি।তবে ঔষধের দোকানের মেয়েটাকে দেখলাম দাদাবাবুর পাশে দাঁড়িয়ে আছে।
খবরটি শুনে আমি আর দেরি করিনি।যে অবস্থায় ছিলাম ঐ অবস্থায় বেরিয়ে এলাম। কিন্তু এখানে এসে কানে যা শুনলাম তাতে মনে হলো আমি না এলেই ভালো করতাম; এসে বরং তোমাদের অসুবিধার মধ্যে ফেলে দিয়েছি।
- আরে! খালি খালি অসুবিধার কথা বলে আর লজ্জায় ফেলো না তো।
শ্রী আদুরে গলায় বলে,
- উলি বাবারে আমার লজ্জাবতী রে! কী লজ্জাটাই না পেয়েছে।
পরিস্থিতিটা স্বাভাবিক হয়েছে বুঝে মনে মনে খুশি হই।
কিন্তু পরক্ষণেই শ্রী বলে ওঠে,
-আচ্ছা একটা উত্তর তুমি দাও দেখি।দোকানী ছুড়িটা তোমার বমি করার সময় পাশে ছিল। আমি তোমার বৌ হয়ে তোমার অসুস্থতা জানতে পারছিনা অথচ ও কীভাবে ঠিক সময়ে হাজির হচ্ছে আমার মাথায় আসছে না। সেদিন যেমন মাফলার পরিষ্কার করে নিয়ে এলো। আজকে আবার দাঁড়িয়ে থেকে তোমার সেবা করেছে।দুধওয়ালা একা নয় পাড়ার অনেকেই নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছে।

শ্রীর কথার মধ্যে একটা শ্লেষ ছিল। বুঝতেই পারি মোক্ষম জায়গায় ঘা দিয়েছে। অপরাধ করে ফেলেছি। কাজেই অপ্রিয় হলেও ঠান্ডা মাথায় কনফেস করতে হবে। কিন্তু সেটা মুখে কিছু না বলে বরং গম্ভীর হয়ে নীরবতাই শ্রেষ্ঠ উপায় বলে নিশ্চুপ থাকি।
খানিক বাদে শ্রী আবার জিজ্ঞেস করে,
-তুমি দোকানী ছুড়িটার মায়াবী হৃদয়ের প্রশংসা করছিলে ভালো কথা।যদিও নিজের স্বামীর মুখে অন্য নারীর এমন প্রশংসা যে কোনো নারীর ভালো না লাগারই কথা। এখন এই ভালো লাগা না লাগার জন্য তো আর পৃথিবী থেমে থাকবে না। কিন্তু তুমি হঠাৎ ছুটে পালালে কেন এটাই বোধগম্য হচ্ছে না।
এবারেও আমি শ্রীর প্রশ্নে নীরব থাকি। মুখে কিছু না বললেও আমার অনুল্লেখিত শব্দমালা মুখাবয়ব থেকে হয়তো সে যা বোঝার বুঝতে পেরেছিল।তাই কিছুটা স্বর্গোক্তি করে বলে,
-আমি কিছুতেই বুঝতে পারছি না যে দোকানি ছুড়িটাকে আমি যতোই অবজ্ঞা করি বা ঘৃণা করি না কেন ও আমার পিছু ছাড়ছে না। আমি সত্যিই ওকে নিয়ে খুব চিন্তায় আছি।

একটা বিষয় লক্ষ্য করেছি,গতকয়েকদিনে শ্রীময়ীর আচরণ অনেকটাই বদলে গেছে।যে মেয়ে সুযোগ পেলে আমাকে দুধের শিশু বানিয়ে হাতে করে বড় করে তোলার দায়িত্ব পালন করেছে। কখনো বা আমার বাবা মা আমাকে ঠিকমতো আদব কায়দা সৌজন্যতা শেখাতে পারেনি বলে আমাকে শাপশাপান্ত করে অভীসম্পাত করে বা সময়ে অসময়ে শিল-নোড়ায় বাটনা বাটে। সেই শ্রীময়ী যেন এখন অনেকটাই বদলে গেছে। বুঝতে অসুবিধা হয় না যে এই বদলানোর প্রধান কারণ নেহা।আগে দিনে কতোবার বলতো আমার মতো অকর্মণ্য আমড়া কাঠের ঢেঁকি নাকি ওর জীবনটা শেষ করে দিয়েছি। আমি ওর হাড়মাস জ্বালিয়ে খাচ্ছি। এখন সেই শ্রীময়ী আমাকে নিয়ে আশঙ্কায় ভোগে। এইজন্যই আমাকে সর্বক্ষণ চোখে চোখে রাখতে চায়। ওদিকে নেহা আদৌ হয়তো জানে না ওকে নিয়ে আমাদের দুজনের মধ্যে কী ভয়ানক অস্থিরতা চলছে। তবে শ্রী যেটাই ভাবুক ব্যাপারটা আমার কাছে বেশ উপভোগ্য লাগছে। এতো দিন পর মনে হচ্ছে আমি আমার স্ত্রীর কাছে কিছুটা হলেও সম্মান পাচ্ছি।

যাইহোক এরকম অম্ল মধুর কথা আলোচনা করতে করতে আমরা একসময় বাড়ির সামনে চলে আসি। গেটের মুখে এসে দেখি নিতাইদা দাঁড়িয়ে আছে।
- আরে নিতাইকাকা যে। কী ব্যাপার? সূর্য আজকে কোন দিক দিয়ে উঠেছে? প্রশ্ন করতেই খুব উদ্বিগ্ন হয়ে বললেন,
- হ্যারে সন্তু তোর জন্য সেই কখন থেকে অপেক্ষা করতে করতে পা লেগে গেছে রে ভাতিজা। শুনলাম তুই বাজারে গিয়েছিস এক্ষুনি ফিরবি। কিন্তু এতোক্ষণ সময় লাগবে বুঝতে পারিনি।
- স্যরি কাকা তুমি অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছো শুনে খারাপ লাগছে।
-শোন যে দরকারে এসেছিলাম।

চলবে.....






মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:২০

আরোগ্য বলেছেন: ১ম, পরে আসছি। B-)

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:২৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথম হবার জন্য খুশি আমি। তবে অভিনন্দন তোমাকে :)
বেশি দেরি করোনা। সন্ধ্যায় সপরিবারে একটা বিয়ে বাড়ীতে যেতে হবে।

২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:০৩

আরোগ্য বলেছেন: কি হলো! বিয়ের দাওয়াতের তাগিদে এই পর্বও দৌড়ের উপর কথপোকথন দিয়ে শেষ করলে দেখছি। নেহাকে তো পেলাম না। :( আচ্ছা নিতাই কে? । পর্ব ভালো হয়েছে তবে বেশ দ্রুত গতিতে শেষ হয়ে গেল।

দাম্পত্য নিয়ে পোস্ট করার ইচ্ছা আছে। তোমার এ গল্প বেশ সাহায্য করবে মনে হচ্ছে। ;)

বিয়ের বাড়ির ভোজন ভালোমতো উপভোগ করো।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৪২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে। আমি আর ফোন ঘাটতে সাহস পাচ্ছিনা।
তোমার কমেন্টের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। ভালোই হয়েছে আগেভাগে কমেন্ট করেছো। ধন্যবাদ তোমাকে।
বড়গল্পে পর্বগুলো কখনো হাঁটে কখনোবা দৌড়ায়। বিবাহিত লোক বৌকে পেয়েছে এখন নেহা থাকলে কপালে দুঃখ আছে :) পুরুষ সিংহের ন্যায় শুধু বৌয়ের সামনে ভূয়া সিংহ আরকি :)

তোমার গল্পের অপেক্ষায় রইলাম। দারুণ উপভোগ্য হবে আশা করছি।
আজকের বিয়েটা একটা অবাঙালি নিরামিষাশী কন্যার। সবকিছু পনিরের পদ থাকবে বলে আগে থেকেই জেনেছি। কাজেই নিরামিষাশী বিয়ে মানে বুঝতেই পারছো।
ভালো থেকো। শুভেচ্ছা নিও।


৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৭

প্রামানিক বলেছেন: ঘটনা মজাই লাগছে সামনের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পার্ট ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ কবি ভাই আপনাকে। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা জানবেন।

৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৬

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: হাহাহ...
কার্তিক দা উদ্ধারকারী জাহাজের ক্যাপ্টেন রুস্তমের মত, আপনাকে উদ্ধার করলো...
কার্তিক দাকে একটা থ্রিট দিয়েন...

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:

হেহেহে আপনার মজাদার মন্তব্যে আনন্দ পেয়েছি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। তবে সত্যিই কার্তিকদা উদ্ধারকারী জাহাজের নাবিক কিনা সেইসব বিষয় আগামী পর্বগুলোতে চোখ রাখলে অনেকটাই পরিষ্কার হবে। কাজেই এত তাড়াতাড়ি থ্রেট দেওয়াটা বোধহয় ঠিক হবে না আরও একটু সময় নিয়ে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতেই হবে। সুন্দর রসাত্মক কমেন্টের জন্য আবারো ধন্যবাদ আপনাকে। পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা আপনাকে।

৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:১৭

এম ডি মুসা বলেছেন: মন্তব্য করে গেছি না পড়ে আবার এসে পড়বো,, মোবাইল দিয়ে দেখছি লেখা বড় স্কিন পড়তে সমস্যা হয় না

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার আগমনে অপেক্ষায় রইলাম। আপাতত পদচারণার জন্য ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা নিবেন।

৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: শ্রী চরিত্রটা নিশ্চয়ই বাস্তব?

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হেহেহে না না সব ভূয়া :) ।লেখকরা আবার বাস্তব নিয়ে লেখে না কি? :)

৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২১

ঢাবিয়ান বলেছেন: আগেও একটা এই ধরনের রম্য লিখেছিলেন মনে হচ্ছে যেটা ভাবীকে উতসর্গ করা হয়েছিল ;)

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৩১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ঠিকই বলেছেন ঢাবিয়ান ভাই। তবে আজকের গল্পটা ওই গল্পেরই ধারাবাহিকতা। কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা আপনাকে।

৮| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:২৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আচ্ছা.........এইটা আপনের কতোতম অসমাপ্ত ধারাবাহিক উপন্যাস? এই মাল কতো পর্বের তা কি আপনে জানেন? =p~

বলেন দেখি, এই যে একেকটা উপন্যাস শুরু করেন, আর শেষ করেন না; পাঠকদের উপ্রে এই যে অত্যাচার করেন, এইটা কি আপনের প্রি-প্ল্যানড? আপনের মোদিজি'র দোহাই লাগে......এই খেলা বন্ধ করেন। :((

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনে যে কবেই বলে রেখেছেন যে উপন্যাসের শেষ হলে আপনে সবগুলো পড়ে কমেন্ট করবেন। এখন আপনাকে একসঙ্গে সবগুলো পর্ব পড়তে ব্যস্ত রাখলে ব্লগ পাড়া তো বটেই গৃহেও বিদ্রোহের প্রবল সম্ভাবনা থেকেই যায়। কাজেই বৃহত্তর স্বার্থে উপন্যাসের দেশগুলো না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এবার বলুন পর্ব পড়ার যন্তণা থেকে আপনাকে রক্ষা করতে আমার সিদ্ধান্ত সঠিক কিনা। :)
মোদিজীর দোহাই দিয়ে বহিনজিকে ছোট করলেই হবুনা।বহেনজি পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। মোদিজী বরং বহেনজির কাছ থেকে শিক্ষা নিতেই পারেন :)

৯| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯

করুণাধারা বলেছেন: লুকোচুরি খেলা ভালোই জমেছে, কিন্তু একটা জিনিস বুঝতে পারছি না, নেহার মতো এমন মেয়ে সন্তুর মত লোকের প্রতি কি দেখে আকৃষ্ট হলো!! তবে সন্তু ও সুযোগের ভালই সদ্ব্যবহার করতে জানে মনে হচ্ছে।

এই অবস্থায় একজন স্ত্রীর যা করার শ্রী ঠিক তাই করছে। দেখা যাক কোথাকার জল কোথায় গড়ায়।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: লুকোচুরি খেলা ভালোই জমেছে, কিন্তু একটা জিনিস বুঝতে পারছি না, নেহার মতো এমন মেয়ে সন্তুর মত লোকের প্রতি কি দেখে আকৃষ্ট হলো!! তবে সন্তু ও সুযোগের ভালই সদ্ব্যবহার করতে জানে মনে হচ্ছে।"-হেহেহে আপু তা যা বলেছেন।আপু বিষয়টি খুব সরল নয়। তবে শুধু এটুকু বলা যায় নেহা বুদ্ধিমতি মেয়ে।ও ওর রাস্তায় আছে।
সন্তু চল্লিশোর্ধ পুরুষ।এই বয়সে পুরুষদের ঘরে বৌ রেখেও কমবয়সী মেয়েদের প্রতি ছোকছোকানি থাকে।
আগামীকাল পর্বগুলোতে বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
সুন্দর বিশ্লেষণাত্মক কমেন্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা নিবেন।

১০| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি,




শ্রীময়ীর শ্রীমান দেখি "ছুপা-কৃষ্ণ" হয়ে কৃষ্ণলীলায় হাফেজ হতে চলেছে! লীলাও বেশ জমে উঠেছে শ্রীর অযথা বে-রসিক খোঁচাখুঁচিতে ।
দেখি , এই ছুপ ছুপ খেলা কতোখানি ঝুপ ঝুপ করে ঝরে পাঠকদের ভিজিয়ে দেয়..............

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
"শ্রীময়ীর শ্রীমান দেখি "ছুপা-কৃষ্ণ" হয়ে কৃষ্ণলীলায় হাফেজ হতে চলেছে! লীলাও বেশ জমে উঠেছে শ্রীর অযথা বে-রসিক খোঁচাখুঁচিতে ।
দেখি , এই ছুপ ছুপ খেলা কতোখানি ঝুপ ঝুপ করে ঝরে পাঠকদের ভিজিয়ে দেয়.............."

হেহেহে শ্রদ্ধেয় জী এস ভাই, আপনার কমেন্টটি পোস্টে আমার স্পেশাল পাওয়া। ++অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। বাকি পর্বগুলোতে এখন রীতিমতো চ্যালেঞ্জে পড়েছি আপনাদের প্রত্যাশা মতো সুধারস কতোটা যোগান দিতে পারবো। চেষ্টা করবো। সাথে সাথে আপনার আগমনের অপেক্ষায় থাকবো।
ভালো থাকবেন।
শুভেচ্ছা আপনাকে।

১১| ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৫১

ইসিয়াক বলেছেন: আহা! দাম্পত্যের অম্ল মধুর গল্প বেশ জমে উঠেছে।আসলে দাত থাকতে দাঁতের মর্যাদা ক'জনই বা বোঝে? তাই এতো তুচ্ছতাচ্ছিল্য। এখন দেখা যাক কোথাকার জল কোথায় গড়ায়।

গল্প ভালো লাগছে।
শুভেচ্ছা রইলো।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "আহা! দাম্পত্যের অম্ল মধুর গল্প বেশ জমে উঠেছে।আসলে দাত থাকতে দাঁতের মর্যাদা ক'জনই বা বোঝে? তাই এতো তুচ্ছতাচ্ছিল্য। এখন দেখা যাক কোথাকার জল কোথায় গড়ায়।"-প্রথমেই বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। কমেন্টে আপনার কথার সুরে বলি ঠিকই তো দাঁত থাকতে কজন আর দাঁতের মর্যাদা বোঝে? জীবনের এই বহুল প্রচলিত প্রবাদ আজো সমানে প্রাসঙ্গিক। আমরা আমাদের কাজের প্রিয়তম মানুষদের এভাবেই প্রতিনিয়ত তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে সম্পর্কের রসায়নকে জটিলতর করে তুলছি। সুন্দর বিশ্লেষণাক্মক কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা আপনাকে।

১২| ২৩ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার (লেখক, তথা গল্পের নায়কের) এই "সম্মান পাওয়া"টা অব্যাহত থাকুক এবং ক্রমবর্ধমান হোক!
৬ নং প্রতিমন্তব্যটি উপভোগ্য হয়েছে। ইসিয়াক এর মন্তব্যটা ভালো লেগেছে।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "আপনার (লেখক, তথা গল্পের নায়কের) এই "সম্মান পাওয়া"টা অব্যাহত থাকুক এবং ক্রমবর্ধমান হোক!"- আপনার এই ছোট্ট কমেন্টটি খুবই আশাপ্রদ আমাদের মতো নবাগত লেখকদের কাছে। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।
"৬ নং প্রতিমন্তব্যটি উপভোগ্য হয়েছে"- অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার আপনাকে। বলুন দেখি বাস্তবতা খুঁজতে গেলে লেখকদের নিজেদের জীবনের যে পোস্টমর্টেম হবে সেই দায় কে নেবে :)

"ইসিয়াক এর মন্তব্যটা ভালো লেগেছে।"-জ্বী ইসিয়াক ভাই নিজের লেখনি ও কমেন্টে দ্রুত উন্নতি করেছেন। খুবই সম্ভাবনাময় ব্লগার। আপনাদের দুইজনের জন্য ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানাই।

১৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৮:৩২

শায়মা বলেছেন: নেহা মনে হয় তোমার দিকে নজর রাখে ভাইয়া।

বাড়িতে শ্রী ভাবী আর বাহিরে নেহামনি! :)

১৩ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:১৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "নেহা মনে হয় তোমার দিকে নজর রাখে ভাইয়া।"- এ কেমন কথা হলো আপু? লেখক নিপাট ভদদরলোক। কাজেই আমার দিকে নেহা নজর রাখে কেউ দেখে ফেললে মুখ দেখানো মুস্কিল হয়ে পড়বে :)
"বাড়িতে শ্রী ভাবী আর বাহিরে নেহামনি! :)"হেহেহে লজ্জা লজ্জা লজ্জা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.