নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

সন্তুবীরের উপাস্য (পর্ব-৫)

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৬:১৯



ঘরের ভেতরে বসে চায়ে চুমুক দিতে দিতে নিতাইকাকা বলতে লাগলেন,
- সন্তু তুই তো সেদিন মিটিংয়ে ছিলিস না।
- স্যরি কাকা তুমি বলেছিলে মিটিংয়ের কথা। কিন্তু সেদিন আমি এতোই ব্যস্ত ছিলাম যে একদম সময় বের করতে পারিনি।
-হ্যাঁ সেটা তো বুঝেছি। শোন যেটা বলছিলাম, প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও পৌষ পার্বন উপলক্ষ্যে গ্রামে একটা নাটক মঞ্চস্থ হতে চলেছে।
- কি নাটক হচ্ছে কাকা?
- সেটা এক্ষুনি বলা যাবে না। তুই তো জানিস আমি একটু লেখালেখি করি।
- আরে বস! তুমি তো আর একটু নয় বরং ভালোই লেখালেখি করো। কিন্তু এর মধ্যে আবার কিন্তু কিন্তু কেন? আমার কথা শেষ না হতেই কাকা উত্তর দিলেন,
- না কোন কিন্তু টিন্তু না। তবে এবারের নাটকটা একটু ব্যতিক্রমী করবো বলে ভাবছি।
- ঠিক তো। তাতে সমস্যা কোথায়?
- না আলাদা করে কোনো সমস্যা নেই। তবে স্ক্রিপ্টটা নিয়ে এখনো একটা কংক্রিট জায়গায় আসতে পারিনি। এটা নিয়েই একটু চিন্তায় আছি।
-আরে! এ আর এমনকি সমস্যা যে তোমাকে দুশ্চিন্তা করতে হবে। এসব স্ক্রিপ্ট লেখা তোমার কাছে তো একদম জল ভাত বলেই জানি।
-দেখ তোরা হালকাভাবে নিয়ে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে যেভাবে দেখিস না কেন বিষয়টি খুব সহজ নয়।
- ও তাই নাকি, বলতেই প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মাথা দুলিয়ে একটা বিজ্ঞের হাসি দিয়ে,
- সময় একটু লাগবে রে। তবে আশার যে স্ক্রিপ্টটা ফাইনালি খসড়ার পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। অনেকটা কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। কিন্তু চূড়ান্ত করার আগে আরেকটি কাজ পড়ে আছে।
- আবার কী কাজ এসে পড়লো রে বাবা?
- এই মুহূর্তে দরকার নাটকের প্লেয়ার সিলেকশন করা। চরিত্র দেখে প্রয়োজনে কিছু বাড়তি সংলাপ সংযোজন করতে হতে পারে। হাতে সময় খুবই কম। তারপর সব বুঝিয়ে বলবো।
- কিন্তু কাকা এসব তো তোমার একার কাজ।আমাদের এখানে কিছু করণীয় আছে বলে তো মনে হচ্ছে না..
-আছে রে আছে। করণীয় অনেক কিছুই আছে। এবারের নাটকে তোকেই নায়কের চরিত্রে অভিনয় করানোর কথা ভাবছি।
- আমাকে! নায়কের চরিত্রে? তোমার মাথা ঠিক আছে তো?
-বিলক্ষণ ঠিক আছে রে।
- দেখো কাকা মানছি এর আগে তোমার নাটকের পার্শ্ব চরিত্রে বেশ কয়েকবার অভিনয় করেছি। তাই বলে অভিনয়টা যে খুব ভালো পারি তা কিন্তু নয়। কোনোক্রমে সামলে দিই এই যা। এখন এই সামান্য অভিজ্ঞতা নিয়ে নায়ক!যদি তোমার নাটককে ডোবাতে না চাও তাহলে আমার আশা ত্যাগ করা ভালো বলে তোমাকে আগে ভাগেই জানিয়ে রাখলুম।
- হ্যারে এতোটা ঘাবড়াস না সন্তু। তোর মধ্যে প্রতিভা আছে। তুই যখন কিছু বলিস সকলে চুপ হয়ে তোর কথা শোনে।তোর এই লিডিং পারসোনালিটিটা আমার ভালো লেগেছে। আমি এটাকে কাজে লাগাতে চাই।
- কিন্তু কাকা নায়িকা হিসেবে তোমার বৌমা আমার লিডিং পার্সোনালিটি দেখে প্রেমে রাজি হবে এটা তুমি ভাবলে কেমনে?
- আরে বোকা! নায়িকা বৌমা হবে কেন?
- তাহলে অন্য নারী?
- সেটা তো বটেই।
- দাঁড়াও দাঁড়াও আমাকে একটু ভাবতে দাও।আমার বৌ থাকতে আবার আরেক নায়িকার সঙ্গে প্রেম।তাও আবার প্রকাশ্যে মঞ্চে। মনে মনে বলি বাড়িতে শ্রীময়ী, চাপাতলায় নেহা এর সঙ্গে মঞ্চে আরেক জন। কিন্তু এক পুরুষের কপালে এত নারী, বাড়িতে তোমার বৌমা যে আমাকে ত্যাজ্যস্বামী করে ছাড়বে তার দায়িত্ব কে নেবে?
- দেখ ফাজলামো করিস না। আমি সিরিয়াসলি বলছি।
শ্রীময়ী খুব ভালো মেয়ে। ওকে সামলানো সমস্যার হবে না।
- আরে বলো কি? তুমি আমার বৌকে সামলাবে?
নিতাইকাকা হাসতে হাসতে,
- তোকে এবার একটা ঘা কষাবো বেয়াদব কোথাকার। প্রথম থেকে ফাজলামি করে যাচ্ছিস।
- ঠিক আছে বাবা আর ফাজলামো করবো না। সিরিয়াসলি বলছি আমি কি পারবো কাকা?
কাকা জোর দিয়ে বললেন,
- আলবৎ পারবি।
কিছুটা সময় নিয়ে কাকা আবার বলতে লাগলেন,
-গ্রাম্য মানুষগুলো সারাবছরই কাজকর্মে মেতে থাকে। দুবেলা দুমুঠো খাবার পেট ভরে খেতে পায় না। ওদের এই সমস্যার সমাধান করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু যেটা সম্ভব বছরের একটা দিন আমরা কয়েকজন মিলে ওদের একটু আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করতে পারি।তুই তো জানিস সেটার জন্যেই এই আয়োজন।ধান ওঠার সময় ওদের হাতে দু- চারটে পয়সা আসে। প্রয়োজনে দু এক টাকা চাঁদা দিয়ে আমাদের সাহায্য করতে পারে। যদিও সেটা মোট খরচের তুলনায় যৎসামান্য। যে কারণে আর্থিক চাপটা আমাদের মতো দু-চারজনের কাঁধে বেশ বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু এটাকে অস্বীকার করি কেমনে, সারাবছর ধরে এই সময়টার জন্যে ওরা হাপিত্যেশ করে বসে থাকে। তুই বিশ্বাস করবি কিনা জানিনা, ওদের মধ্যে এমন কয়েকজন আছে হাটে বাজারে যেখানেই দেখা হোক না কেন কুশল বিনিময়ের পর জানতে চায় নাটকের কাজ কতোটা এগোল। আমি যথাযথ এগোচ্ছে নিশ্চিয়তা দিয়ে মাথা নাড়ালে তবেই ওরা খুশিতে ডগমগ করতে করতে স্থান ত্যাগ করে।

নিতাইকাকার লম্বা কথার মধ্যে বুঝতে পারি ওলোক বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন। পরিবেশটা হঠাৎ গুরুগম্ভীর হওয়াতে আমি পড়ি বেশ বেকায়দায়। কীভাবে বলি আমার সমস্যার কথা। একে তো নেহাকে নিয়ে শ্রীর দুশ্চিন্তার শেষ নেই।সময় পেলেই খোঁচা দেওয়া চলতে থাকে। ওর খোঁচাখুঁচি আমার অস্বস্তি বাড়িয়ে দেয় কয়েকগুণ। তার উপরে নতুন করে যোগ হলো নায়ক হওয়ার প্রস্তাব। এখন শ্রীর কানে যখন পৌঁছাবে খবরটা তখন নুতন করে আবার কী হাঙ্গামা শুরু করে কে জানে। মাথায় আসছিল না এর সমাধান কী হতে পারে। কিন্তু কয়েক মূহুর্ত যেতেই মনের অবস্থাটা বদলে যায়। মনের দোলাচলে একটুকরো নির্মল বাতাস অজান্তেই আমার হৃদয়ের চুপসে যাওয়া বেলুনটাকে অনেকটাই ফুলিয়ে বড় করে দেয়। আমি সাহস সঞ্চয় করি। হঠাৎ করে বেশ ভালো লাগতে শুরু করে এবং শিহরণ জাগতে থাকে। বিষয়টি বিয়ের জন্য প্রথম কনে দেখতে যাওয়ার মতো ধুকপুকানি আর কি । ইচ্ছে হয় কনেকে দু চারটে প্রশ্ন করি। কিন্তু অজানা আশঙ্কায় গলা শুকিয়ে আসে। নিতাইকাকার প্রস্তাব আমাকে তেমনি অবস্থায় দাঁড় করিয়েছিল। জীবনে প্রথম কোনো নাটকে নায়কের চরিত্রে অভিনয় করতে পারার সুযোগে মনের সংগোপনে সদ্য নির্মিত প্রফুল্লতা উঁকি মারছিল বেরিয়ে আসার জন্য।।সাধ জাগছিল, নায়িকা কে কিংবা কোথা থেকে আসছে সে সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার। কিন্তু অতি কষ্টে দুর্দমনীয় মনকে নিয়ন্ত্রণ করি। মাথায় ছিল যদি শেষ মুহূর্তে উনি সিদ্ধান্ত বদলান। সেকথা মাথায় রেখে বরং সাবধানী হবাটাই শ্রেয় মনে করে নিশ্চুপ থাকি।

খানিক বাদেই আমার সামগ্রিক ভাবনারও পরিবর্তন ঘটে। ইতিপূর্বে একাধিকবার এমন গ্রাম্য নাটকে টুকটাক অভিনয় করলেও সেসব বলার মতো তেমন কিছু ছিল না। তবে নায়ক হওয়ার স্বপ্ন মনে যে ছিল না তা নয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এবার স্বপ্ন সার্থক হওয়ার হাতছানি। মনে মনে ভাবি সুযোগকে যে করেই হোক কাজে লাগাতেই হবে। কোনভাবেই তাকে হাতছাড়া করা চলবে না। এক্ষেত্রে বরং কাহিনীর নির্মাতা ও নির্দেশক হিসেবে নিতাইকাকাকে আরো একটু বেশি খাতির করা বা আপ্যায়ন করা যায় কিনা ভাবতে ভাবতে রান্নাঘরের দিকে ছুট লাগালাম।

নিতাইকাকাকে টয়লেটের নাম করে আসছি বলে উঠে আসি। সকালে ওলোকের জন্য ভালো কিছু একটা টিফিনের ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু সময়টা বড় কম। একটা মানুষকে বসিয়ে রেখে তো বেশি সময় নেওয়া যাবে না।এসব সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে রান্নাঘরের দরজায় এসে দেখি রান্নার দিদি অন্য কাজে ব্যস্ত। কিছুটা পা টিপে টিপে ভিতরে ঢুকে দেখি দরজার আড়ালে শ্রীও গভীর মনোযোগে কী একটা কাজে নিমগ্ন।আমি দুজনের এমন আনমনার সুযোগ নিয়ে টকাস করে শ্রীর ঘাড়ে একটা চুমু এঁকে দিলাম।শ্রী ভূত দেখার মতো লাফিয়ে উঠে পাশে রাখা বাসন কোসনের উপর পড়তে পড়তে শেষ মূহুর্তে কোনক্রমে সামাল দিল। আমি মুখ কাচু মুচু করে দাঁড়িয়ে রইলাম।আগে হলে এমন ক্ষেত্রে আমার বাপ ঠাকুরদা তুলে সাপস্বপান্ত করা নিশ্চিত ছিল। কিন্তু এখন মানুষটা একদম বদলে গেছে। মুখে কিছু না বলে দুষ্টুভরা ভ্রু নাচিয়ে,কটমট করে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো। এমন অপ্রত্যাশিত শব্দে দিদিও গেল ঘাবড়ে।কী হয়েছে কী হয়েছে বলে পায়ের দিকে খোঁজাখুঁজি করতে করতে ছড়িয়ে যাওয়া বাসনকোসন গোছাতে লাগলো। দিদির সত্যান্বেষী চোখের আমিও সাথী হলাম। ওনার সঙ্গে সমানে এদিক ওদিক খুঁজতে লাগলাম। আরশোলা এসেছে কিনা বলতেই শ্রী তেমনি ইশারা করলো।দিদির কাছে ধরা পড়তে পড়তেও না পড়াতে খুশি হলো। দিদির আড়ালে কপালে হাত দিয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচার ইঙ্গিত করল। সঙ্গে চোখে মুখেও প্রশান্তি ফুঁটে উঠলো। তবে পরোক্ষণেই দিদির পিছনে গিয়ে চোখ পাকিয়ে আমাকে ঘুষি দেখিয়ে সাপুড়ে মন্ত্র পড়ার মতো মুখ বিড়বিড় করে নিঃশব্দে আচ্ছা করে বকা দিল।ওর বকুনি ও মিষ্টি শাসানিতে আমি ভালোবাসার ইমারত বানিয়ে মুগ্ধ হৃদয়ে পরম আয়েশে চোখ বুজে রইলাম। সকালের জলখাবার হিসেবে রুচির আটা মাখা ছিল।দিদি দ্রুততার সাথে চারটি লুচি ও আগে থেকে তৈরি চানা মটরের কারি নিয়ে প্লেটে সাজিয়ে আমার হাতে তুলে দিলো। ভেবেছিলাম দিদি নিজে গিয়ে নিতাইকাকাকে খাবার পরিবেশন করে আসবে। সেই সুযোগে আরো কয়েকটি টকাস টকাস শ্রীর মুখে গালে ভরিয়ে দেবো। কিন্তু সে সুযোগ আমাকে শ্রীই দিলো না। অগত্যা খাবারের প্লেট নিয়ে মুখে জচু জচু জচু বললাম।
আমার কথার সুরে তাল মিলিয়ে শ্রীও মুখে বললো,
- জচু জচু জচু ( জচুর ফুল ফ্রম কী হতে পারে পাঠকদের ভাবার স্বাধীনতা রলো)

পৌষ পার্বন মানে বাঙালির পিঠেপুলি করার আদর্শ সময়। পরেরদিন সন্ধ্যায় অফিস থেকে ফিরে স্ত্রী সত্য পালনের জন্য বাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম। উদ্দেশ্য গোবিন্দভোগ আতপ চালের গুঁড়া সংগ্রহ করা। বাড়ি থেকে হাঁটা পথেই বাজার। বাজার থেকে তখনও বেশ কিছুটা দূরে ছিলাম। এমন সময় দেখি উল্টো দিক দিয়ে হাসতে হাসতে নেহা আসছে। মেয়েটার হাসিটাও ইউনিক, একটা বিশেষত্ব আছে। যাইহোক বাজারের পথে এই জায়গাতে নেহার সঙ্গে আমার আগেও বেশ কয়েকবার সাক্ষাৎ হয়েছে। স্থানটির পাশে একটা চাপা ফুলের গাছ আছে। এসময় গাছে নুতন ফুল আসতে শুরু করেছে। বেশ বড় গাছ। পরপর কয়েকদিন সাক্ষাৎ হওয়ার পর নেহাকে যেদিন প্রথম জানিয়েছিলাম এই জায়গাটার নাম আমাদের দুজনের জন্য চাপাতলার পরিবর্তে নেহাতলা হয়েই থাকুক। বিনিময়ে ও মেয়ে একটি মিষ্টি হাসি দিয়ে বলেছিল বেশ তবে তাই হোক। তারপর যতবারই এই গাছটির তলা দিয়ে গেছি ততবারই মন থেকে প্রত্যাশা ছিল যেন নেহার দেখা পাই। কিন্তু এমন তো সর্বদা হওয়া সম্ভবপর ছিল না।তাই ওকে দেখা না পাওয়ার অদ্ভুত একটা শূন্যতা সেসময়ে আমার হৃদয়কে ভারাক্রান্ত করে তুলতো। যাইহোক নেহা হাসতে হাসতে একদম পাশে চলে আসতেই জিজ্ঞেস করি,
- নেহা আমার কী ইচ্ছে হচ্ছে জানো?
-কী ইচ্ছে করছে কাকু?
- ঐ চাপা গাছে সদ্য ফোঁটা একটা সতেজ ফুল তুলে গুঁজে দেই তোমার বেণীতে।
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে,
- দিদি প্রচন্ড মাইন্ড করবেন যে তাহলে।
-দিদি যদি না জানতে পারে..
- না কাকু ওনাকে গোপন করা ঠিক হবে না। একদিন না একদিন ঠিকই জেনে যাবেন। তখন আমরা দুজনেই বিপদে পড়বো।
নেহা যে সিরিয়াসলি নেবে বিষয়টি আমি বুঝতে পারিনি। প্রসঙ্গ পাল্টাটে বলি,
- তোমাকে আজকে কেমন লাগছে জানো?
-কেমন কাকু?
-তোমাকে আজ আমার জীবন্ত ডানাকাটা পরী বলে মনে হচ্ছে।কেন তোমাকে এতো সুন্দরী লাগছে বলতে পারো নেহা?
নেহা লাজুক হাসি দিয়ে,
- এমা! সেটা আমি কী করে বলবো? তবে দিদি কিন্তু আমার চেয়ে বেশি সুন্দরী কাকু।
- মানছি তোমার দিদি বেশি সুন্দরী। কিন্তু তুমি যে আমার কাছে পটে আঁকা কোনো এক দেবকন্যা। তোমার মায়া ভরা চাহনি যে কোনো পুরুষের হৃদয়ে কালবৈশাখীর মহাপ্লাবনের মতো তুফান তুলতে পারে।
হঠাৎ নেহা খুব কাছে এসে নিচু গলায় বলে,
- কাকু এতোটা উতলা হবেন না প্লিজ।দিদি ভীষণ কষ্ট পাবেন।
প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই গলাটা পাল্টে বেশ মোটা করে,
- কাকু আপনার সঙ্গে দেখা হয়ে ভীষণ ভালো হয়েছে। গতকাল আপনার ফর্মুলায় প্রথম কাজ করেছি।
আমি উৎসুক ভরা দৃষ্টিতে জিজ্ঞেস করি,
- আমার ফর্মুলা! কোন ফর্মুলার কথা বলছো নেহা?

চলবে....

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: দাদা কেমন আছেন?
আমাকে পর করে দিয়েছেন। কোনো খোজ খবর নেন না। কি অন্যায় আমি করেছি।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৩১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। কিন্তু বড়দিদিকে নিয়ে আজকের সারাদিন কলকাতা মেডিকেলে কাটিয়েছি। দিদির শরীর নিয়ে খুব চিন্তায় আছি।
আর ভাইয়ের খোঁজখবর সরাসরি না নিলেও ব্লগে অবাধ বিচরণে টের পাচ্ছি। বিষয়টি খুবই ভালো। তবে ভাইয়ের গুরুদেবের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক কোন পর্যায়ে সেটা অনেকেরই জানা।এই অবস্থায় সবকুল বাঁচিয়ে চললে যেমন হয় আর কি।
যাইহোক চিন্তার স্বাধীনতা থাকবে। যেখানে ভাই এবং আমি ব্লগের দুই ভিন্ন অবস্থানে আসীন। এমতাবস্থায় বলা যায় মতান্তর যদিবা কিন্তু মনান্তর কভু না।
অনেক শুভেচ্ছা ছোট ভাইকে।

২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: স্যরি পোষ্ট নিয়ে মন্তব্য করতে ভুলে গেছি।


নিতাই কাকার মতো আমার এক কাকা আছেন।
আমরা তাকে ডাকি লাল কাকা।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: নিতাইকাকার কোন গুণের সঙ্গে ভাইয়ের কাকার মিল আছে জানতে ইচ্ছে করছে...
প্রথম পোস্টে পোস্ট সম্পর্কে কথা না বলে আবার কমেন্টে এসে উল্লেখ করাতে খুশি হয়েছি। অসংখ্য ধন্যবাদ ছোট ভাইকে।
শুভেচ্ছা সতত।

৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

করুণাধারা বলেছেন: কাকুর প্রথম ফর্মুলা মনে হয় কাকু ডাকা! এই খুনসুটি তো চাচা ভাইঝির নয়!!

তবে সন্তু তো এ পর্যন্ত বেশ গাছেরটাও খাচ্ছে এবং তলারটাও কুড়োচ্ছে। অন্যভাবে বলতে গেলে, দুই নৌকায় পা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে । তবে পরিণতি কি হয় দেখা যাক।

এরপর নায়িকা হয়ে কে আসে সেটাও দেখার অপেক্ষায় রইলাম।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
"কাকুর প্রথম ফর্মুলা মনে হয় কাকু ডাকা! এই খুনসুটি তো চাচা ভাইঝির নয়!!"-হেহেহে আপু একটু লাইনের বাইরে চলতে দিবেন না :)
"তবে সন্তু তো এ পর্যন্ত বেশ গাছেরটাও খাচ্ছে এবং তলারটাও কুড়োচ্ছে। অন্যভাবে বলতে গেলে, দুই নৌকায় পা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে । তবে পরিণতি কি হয় দেখা যাক।"-জ্বী আপু একদম ঠিক বলেছেন। কর্মক্ষেত্রে মেল সহকর্মীদের দেখেছি বিবাহিত পুরুষের অন্য নারীর প্রতি আকর্ষন দুর্নিবার থাকে।কেউ প্রকাশ করে কেউ বা করে না। কিন্তু মনের ছুঁকছুঁকানি ষোলো আনা থাকে।সন্তু এমনি একজন পুরুষ মানুষ।
আর নায়িকা হিসেবে কে আসে সে বিষয়ে আপনার অনুমান যথাযথ। সত্যিই এখনো অপেক্ষায় থাকতে হবে।
সুন্দর বহুমুখী কমেন্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা আপনাকে।

৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:২০

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: গল্প কোনদিকে যাচ্ছে, এখনিই কিছু বুঝা যাচ্ছে না। দুই দিন পর পর, গল্প দিলে ভালো হয় দাদা। এতে গল্পের রেশ থাকে। নাহলে বেশি দেরি হলে, গল্পের প্লট ভুলে যেতে বসি...

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৫৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: গল্পের মোড় আরেকটু ধৈর্য্য ধরুন ঠিক বুঝতে পারবেন।ইনফ্যাক্ট এই মুহূর্তে মোড় বুঝতে না পারার জন্য দুর্বোধ্য গল্পকার হিসেবে ক্ষমাপ্রার্থী। আন্তরিক ভাবে চেষ্টা করবো যাতে আগামীতে ভাইয়ের গল্প বুঝতে অসুবিধা না হয়।
আর দুদিনে গল্প দেওয়া সম্ভব নয়। আমার একটা পর্ব তৈরি করতে একসপ্তাহের মতো সময় লাগে। এর বেশি করলে কোয়ালিটি নষ্ট হবে।তা সে যেই হোন।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা আপনাকে।

৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৫

আরোগ্য বলেছেন: বাহ্, কি কপাল! এক তারাফ হে ঘরওয়ালী এক তারাফ বাহারওয়ালী। =p~

কাকু সাবধানে পা পিছলে ড্রেনে পড়লে মান ইজ্জত সব কিন্তু খোয়া যাবে। জল ঢালার মত গিন্নীও সামনে জোটে কিনা সন্দেহ। :P

ফজরের ওয়াক্তে পোস্ট। তখন তো কেবল তিন চারজন অনলাইন দেখা যায়।

যাক এ পর্ব তো বেশ পছন্দ হয়েছে। সামনের পর্বের অপেক্ষায়......

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
" বাহ্, কি কপাল! এক তারাফ হে ঘরওয়ালী এক তারাফ বাহারওয়ালী"-একদম হিংসে করবে না।বহুত চেষ্টা করে এমন জমি তৈরি করতে হয়েছে :)
কাকুর প্রতি তোমার ভালোবাসা জন্মেছে দেখে খুশি হয়েছি। আশাকরি তোমার পরামর্শ দেখে কাকু সদর্থক চিন্তাভাবনা করে পা ফেলবেন। আগামীতে এইভাবেই কাকুকে আলোকের পথ দেখিয়ে যাবে প্রত্যাশা করি।আর পা পিছলে পড়ে গেলে যদি কাকু কাউকে পাশে না পায় তাহলে তোমাকে অন্তত দুর্দিনে পাশে পাবে বলে আমার মনে হয়।আসলে একজন থাকলেই হলো।নাকি ভুল বললাম। তুমি কী বলো?
ফজলের নামাজ শেষে এই পোস্টটি দিয়েছিলাম।পরে সারাদিন হসপিটালে কেটেছে।সাড়ে সাতটায় বাড়িতে এসেছি।যে কারণে তোমাদের কমেন্টের উত্তর দিনের বেলায় দিতে পারিনি।
যাক এই পর্ব তোমাকে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হয়েছি। সামনের পর্ব ঠিক সপ্তাহের মধ্যে দেওয়ার চেষ্টা করবো। আমন্ত্রণ রইলো তোমাকে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবে।

শুভকামনা তোমাদের।

৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৯

শেরজা তপন বলেছেন: বাকি ছয় পর্বের মধ্যে সবচেয়ে বড় লেখা এটাই সম্ভবত!
পুরোটা যে পড়েছি মন দিয়ে তাঁর একটা প্রমান দিই;
সকালের জলখাবার হিসেবে রুচির আটা মাখা ছিল। রুচি আমাদের এখানকার নাম করা ব্রান্ড, কিন্তু এ নামে কোন আটা আটা ময়দা-তো নেই, ঘটনা কি? তবে কি কোলকাতায় আছে? উঁহু- পরে বুঝলাম ওটা 'লুচি' হবে :)

অবশেষে নেহা আসল- বেশ! তবে কি কান্ড ঘটিয়েছে কে জানে।
আপনি নায়ক হচ্ছেন, এটা তো সাংঘাতিক খবর, আর নায়িকা হবে নিশ্চিত নেহা জ্বি না কি?
শ্রীময়ী'র কপাল আসলেই পুড়ছে এবার।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তপন ভাই,
উপরের সকল সম্মানিত ব্লগারদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি শেষের কমেন্টের আগে উত্তর দেওয়াতে।
বিশেষ কারণে দুটি বানান ভুল লিখেছি। উদ্দেশ্য যদি কেউ আপনার মতো খুঁটিয়ে পড়েন তাহলে নোট দিবেন। আপনি একটা বানান উল্লেখ করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আরেকটি এখনও আছে।কেউ উল্লেখ করে কিনা প্রত্যাশায় আছি।
পোস্টে একটা একটা বেজাতীয় শব্দ আছে।নোট দিয়েছিলাম তার ফুল ফর্ম কী হবে উল্লেখ করতে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেউ সে বিষয়ে আগ্রহ দেখায় নি।
যাইহোক বাকি বিষয়ের প্রতিমন্তব্যে সবশেষে আবার আসছি।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
"অবশেষে নেহা আসল- বেশ! তবে কি কান্ড ঘটিয়েছে কে জানে।"-জ্বী ভাইয়া কটা দিন সবুর করুন। আগামী পর্বে বিষয়টির নিষ্পত্তি ঘটবে।

"আপনি নায়ক হচ্ছেন, এটা তো সাংঘাতিক খবর, আর নায়িকা হবে নিশ্চিত নেহা জ্বি না কি?
শ্রীময়ী'র কপাল আসলেই পুড়ছে এবার।"- আপনার অনুমান অনেকটাই কাছাকাছি চলে এসেছে। তবুও আমি আগামীর দিকে চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারছিনা। আগামী পর্বগুলোতে একটু একটু করে বিষয়টি নিষ্পত্তি হবে। তবে শ্রীময়ীর কপাল আসলেই ফাটল নাকি পুড়ছে সেসব নিষ্পত্তি হবে আগামী পর্বগুলোতে। আমন্ত্রণ রইলো আপনাকে।
ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা জানবেন।

৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:০৪

আরোগ্য বলেছেন: কি ব্যাপার আমার মন্তব্যের উত্তর দেওনি কেন ভাইটি??? B:-)

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৪৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আরে তোমার কমেন্টের উত্তর কি রেডিমেড হতে পারে?
দুটি ভুল বানান আমি দিয়েছি ও একটা সংক্ষিপ্ত শব্দ ব্যবহার করে তার ফুল ফর্ম জানতে চেয়েছি। তুমি নিজেও এই খেলায় অংশ নিতে পারো। এখন একটি তপন ভাই একটা ভুল শব্দ ধরে ফেলেছেন বলে উল্লেখ করে ধন্যবাদ দিয়েছি।
আশাকরি ভাইয়ের উপর আর কোনো মান অভিমান নেই।
হ্যাপি ব্লগিং।

৮| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৩৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আনন্দম আনন্দম !

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৫১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: না আপু এতো ছোট্ট কমেন্টে আমার মন ভরলো না :)
আমরা পশ্চিমবঙ্গের লোকেরা অতিথিদের অর্ধেক ডিম খেতে দেই। কিন্তু আপনি ওপারে বাংলায় থেকে আমাকে অর্ধেক কমেন্ট কী করে দিলেন। :) তবে কমেন্ট থেকে বুঝতে পারছি আপনি আনন্দম হয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা নিবেন।

৯| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৫৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হাহাহা পশ্চিমবঙ্গের পদাতিক অর্ধেক ডিম খাবার অপেক্ষায় আছি।
আপনার কিন্তু বই মেলার সময় দেশে আসবার কথা ছিল ? বই মেলা চলছে হুট করে চলে আসেন।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মেলার সময় পুত্রের বার্ষিক পরীক্ষা।প্লান ছিল তিনজনেই যাবো।সেট সম্ভব হলোনা। কাজেই মেলার সময় ওদের নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি না। অগত্যা সামনের গ্রীষ্মের ছুটিতে আবার তিনজনে যাওয়ার প্লান নিয়েছি। অবশ্য তখন গরম কেমন থাকে সেটাও বিষয়। গ্রীষ্মে তিনজনে গেলে আগামী মেলায় একা যাওয়ার ইচ্ছা আছে আপু।

১০| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:০৩

আরোগ্য বলেছেন: সারাদিন হসপিটাল কেন? আশা করি জটিল কোন সমস্যা হয়নি? ভাবির এখন শরীরের কি অবস্থা?

তোমার কুইজ কনটেস্টে অংশ গ্রহন করছি না কারণ জচু শব্দ এই প্রথম শুনলাম। :(

আরেকটা বেশ খাটুনির পোস্ট রেডি করতেছি :-< । মন আর মাথা দুটোই কাজে লাগাতে হচ্ছে। এ মাসেই পোস্ট করবো ইনশাআল্লাহ।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৫৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সারাদিন হসপিটাল কেন? আশা করি জটিল কোন সমস্যা হয়নি? ভাবির এখন শরীরের কি অবস্থা?"- উফ্ সে যে কী পরিস্থিতি গেছে মুখে বলে বোঝাতে পারবো না। অ্যাপেনডিক্স ফেটে একটা মানুষ যন্ত্রনায় ছটফট করছে আর আমরা অসহায় হয়ে এ ডাক্তার ও ডাক্তার করে গেছি।রাত সাড়ে দশটার হোয়াটসঅ্যাপে রিপোর্ট দেখে এক সার্জেন্ট বললেন সম্ভব হলে এখনি ওটি দরকার। সেই রাতে আর ঘুমাতে পারি নি। তবে রাতে আরেক ডাক্তার বাবুকে রিপোর্ট দেখিয়ে পরেরদিন সকালে ওঠি করার ব্যবস্থা করি। কিন্তু উপরওয়ালার ভরসায় পরেরদিন তৃতীয় আরেকজন সার্জেন্টের কাছে নিয়ে গেলে পরিষ্কার জানিয়ে দেন ওটি করলে মৃত্যু অবধারিত।উনিই তখন অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে পাঁচদিন দেখতে বলেন।সেই মতো পরে একসপ্তাহ তারপর পনেরো দিন হয়ে বুবু এখন অনেকটাই ভালো আছে। আপাতত আর ওটির দরকার নেই বলে উনি বলেছেন। কিন্তু ভবিষ্যতের জন্য জোর দিয়ে কিছু বললেন না
কুইজ কনটেস্টে অংশগ্রহণ না করার জন্য ধন্যবাদ। অংশ নিলে অবশ্য অন্যরকম ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতাম।
যেহেতু অনেক দিন ছিলাম না। তোমায় কমেন্টের উত্তরও দিচ্ছি অনেকদিন পর। জানিনা তুমি সেই খাটুনির পোস্ট ইতিমধ্যে দিয়েছো কিনা। দিয়ে থাকলে আমি এখনই তোমার ব্লগ বাড়িতে গিয়ে দেখে আসছি।
কমেন্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ তোমাকে।

পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবে।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা রইল।



১১| ২০ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৯

ইসিয়াক বলেছেন: সাত সকালে এত প্রেম কোথেকে আসে হুহ!

গল্পের নায়ক লোক হিসাবে মোটেও সুবিধার নয়। ও দেখছি একেবারে জাত লুচু ;) দেখি ভবিষ্যতে ঘরে বাইরে আর নাট্যমঞ্চে কিভাবে সে সামলায়। আমার তো মনে হচ্ছে আপনার নায়ক বাবাজীর একুল ওকুল সবই যাবে। একটা সত্যি কথা বলি নেহা গল্প ঢুকলেই আমার ♥ বিট বেড়ে যায়।
গল্প ভালো লাগছে।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:০৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "সাত সকালে এত প্রেম কোথেকে আসে হুহ!"- আরে আপনি দেখছি বড় নিরস লোক। পুরুষের হৃদয় হলো ভালোবাসার মহাসমুদ্র। সেখানে কী কখনো প্রেমের ঘাটতি পড়ে নাকি? এমন কুলক্ষণে কথা কখনোই মুখে আনবেন না :) কইয়ে দিলুম হুঁ।

"গল্পের নায়ক লোক হিসাবে মোটেও সুবিধার নয়। ও দেখছি একেবারে জাত লুচু ;) দেখি ভবিষ্যতে ঘরে বাইরে আর নাট্যমঞ্চে কিভাবে সে সামলায়। আমার তো মনে হচ্ছে আপনার নায়ক বাবাজীর একুল ওকুল সবই যাবে। একটা সত্যি কথা বলি নেহা গল্প ঢুকলেই আমার ♥ বিট বেড়ে যায়।" গল্পের নায়ককে যেভাবে বিশেষিত করেছেন খুশি হয়েছি। তবে আমি ব্যক্তিগত ভাবে কু বলবো না এবং কু শুনবোও না :) নায়ক বাবাজিকে নিয়ে মারিয়ানা খাতে চুবিয়ে মারবেন খুবই যৌক্তিক কথা।নেহার মতো নারী যদি পাঠকের হৃদয়ে কালবৈশাখীর মহাপ্লাবনের তোলে সেক্ষেত্রে নায়কের জলে ডোবা ছাড়া গতি দেখি না।নেহার প্রতি আপনার অকৃত্রিম ভালোবাসা নায়ককে হটিয়ে আপনাকে জায়গা করানোর সুযোগ আছে কিনা খতিয়ে দেখবো কথা দিলাম :)

সর্বোপরি গল্প ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা জানবেন।

১২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: টকাস টকাস! বেশ যূতসই শব্দচয়ন!
"তবে সন্তু তো এ পর্যন্ত বেশ গাছেরটাও খাচ্ছে এবং তলারটাও কুড়োচ্ছে। অন্যভাবে বলতে গেলে, দুই নৌকায় পা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে পরিণতি কি হয় দেখা যাক" - করুণাধারার এ পর্যবেক্ষণ এবং কৌতুহলটা আমারও বটে।
কিন্তু জচু'র বিশ্লেষণে কেউ কোন কৌতুহল প্রকাশ করলেন না কেন, আপনি কয়েকবার স্মরণ করিয়ে দেয়া সত্ত্বেও, সেটাই এখন আমার বড় কৌতুহল।
অনুমান করি, জচু ও টকাস টকাস একই সূত্রে গাঁথা।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "টকাস টকাস! বেশ যূতসই শব্দচয়ন!" আপনার এমন নির্মল প্রশংসায় খুশি হয়েছি। অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার আপনাকে।
"তবে সন্তু তো এ পর্যন্ত বেশ গাছেরটাও খাচ্ছে এবং তলারটাও কুড়োচ্ছে। অন্যভাবে বলতে গেলে, দুই নৌকায় পা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে পরিণতি কি হয় দেখা যাক" - করুণাধারার এ পর্যবেক্ষণ এবং কৌতুহলটা আমারও বটে"।খুব দামি কথা বলেছেন স্যার। বাস্তবে দুই নৌকায় পা দিয়ে চললে বেশিদিন স্থায়ী হওয়া যায় না।পতন অবধারিত।সেই রেশ ধরে বলা যায়, গল্পে সন্তুবীর কতোটা ঝুটঝামেলা মোকাবিলা করে নিজেকে স্বাভাবিক রাখতে পারবে, সেটা সময়ই বলবে। জচুর বিশ্লেষণে কেউ আগ্রহ দেখাননি যখন আর বিষয়টি উন্মোচন করতে চাইছি না। তবে আপনি বিজ্ঞ মানুষ ঠিকই ধরেছেন :)
সুন্দর বিশ্লেষণাত্মক কমেন্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা আপনাকে।

১৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়া তোমাকে নায়ক কেনো? তুমি না নেহার কাকু??

যাইহোক আমার মনে হয় নায়িকা বানাবে নিতাইকাকা নেহাকেই।

আর জচু জচু অনেকবার ভেবে একটা ফর্মই মনে আসলো জুতাচোর ....... শ্রীভাবী নিশ্চয় এইসবই বলে তোমাকে। যে রাগী মানুষ বাবা!!! :P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.