নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

সন্তুবীরের উপাস্য(পর্ব-৭)

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৮:৪০

নেহা দূর থেকে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে শ্রীকে বলে,
-দিদি কেমন আছেন?
সাতসকালে অপ্রত্যাশিত নেহাকে দেখে স্পষ্ট বোঝা যায় শ্রীর মুডটা হঠাৎ বিগড়ে গেছে। অনেকটা নিরসভাবে জিজ্ঞেস করে,
- তুমি! এই সকালে?
- হ্যাঁ দিদি একটু দরকারে এসেছিলাম। কেমন আছেন?
- ভালো তো ছিলাম। কিন্তু কী মনে করে? কোথায় যাচ্ছ?
- দিদি অন্য কোথাও নয় আপনার কাছেই এসেছিলাম।
শ্রী শ্লেষের সঙ্গে জিজ্ঞেস করে,
- আ..মা..র কাছে!! কিন্তু.. কেন? কী দরকারে বাপু?
নেহা শান্ত স্বরে বলল,
- গতকাল একটা ঔষধ ছেড়ে এসেছিলেন। আপনি চলে আসার পর বিষয়টি লক্ষ্য করি।
- ও তাই বলো।
নেহা কথা না থামিয়ে বলতে থাকে,
-কালকে রাতে আর সময় হয়ে ওঠেনি দিদি। এখন সেটাকেই দিতে এসেছি।
শ্রী মুখে কিছু না বলে, হাত বাড়িয়ে কেবল ঔষধটা নিয়ে শুকনো একটা,ধন্যবাদ দিয়ে আবারো বললো,
-যাক বাঁচা গেল।
- কেন বাঁচার প্রসঙ্গ আনছেন দিদি?
- তুমি আসলে অন্য কিছু মাথায় চলে আসে কিনা..
- আপনি অহেতুক আমাকে নিয়ে চিন্তা করছেন দিদি। আমি কিন্তু কোনোভাবেই আপনার দুশ্চিন্তার কারণ নই।
এবারেও শ্রী শ্লেষের সঙ্গে বললো,
- তা তুমি একহিসেবে ঠিকই বলেছ বাছা। তুমি আমার আপনজন কিনা.. আর আপনজনদের নিয়ে কখনো দুশ্চিন্তা করতে আছে?
নেহা আর কথা না বাড়িয়ে সরলতার সঙ্গে বলে,
- দিদি আপনার জন্যে একটা গিফট নিয়ে এসেছি, বলে কিছুটা আহ্লাদী ভাবে ব্যাগ থেকে গিফটা বের করতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো।
- আরে! আমার জন্য আবার এসব গিফ্টস টিফ্ট কেন? মুখে একথা বললেও শ্রী মনযোগ দিয়ে তাকিয়ে থাকে নেহার ব্যাগের দিকে।নেহা ব্যাগের এ চেইন ও চেইন ঘেঁটে বেশ কিছুক্ষণ হাতড়িয়ে অবশেষে একটা মধুর বোতলটা বের করতেই,
শ্রী বিরক্তির সুরে বলে ওঠে,
- কী ওটা?
- দিদি মধু।
এবারে শ্রী রীতিমতো ধমক দিয়ে বললো,
- এই মেয়ে, মধু দিয়ে তুমি আমার কী বোঝাতে চাইছো? আমার মুখের ভাষা খুব তেতো তাইতো? মিষ্টত্ব আনার জন্য মধু দেওয়া তাইনা?সত্যি করে বলো দেখি এসব কার প্লান?
শ্রীর অকস্মাৎ আচরণে নেহা হতচকিত হয়ে যায়। কিছুটা ক্ষমাপ্রার্থীর মতো বলতে থাকে,
- দিব্বি করে বলছি দিদি কারো প্লান নয় আপনাকে ভালোবেসেই দিতে এসেছিলাম।
শ্রী মুখ ভেংচিয়ে বলে,
- ভা..লো..বে..সে?ওসব ভালোবাসা টালোবাসার গল্প অন্য জায়গায় শুনিও।ওসব সব বুঝি বুঝলে,বলে রাগে গজগজ করতে করতে আবারো বলে ওঠে,
-দুদিনের ছুড়ি!আর লোক পাওনি আমার কাছে এসেছো ভালোবাসার গল্প শোনাতে।আমি যেন বাচ্চা খুকি।আর মুখ খুলিওনা।কাকে কে ভালোবাসে সেসব বুঝি।
- দিদি প্লিজ শান্ত হোন।প্লিজ দিদি প্লিজ। আপনাকে বিরক্ত করার সামান্য ইচ্ছা আমার নেই। এসেছিলাম একটু খুশি করতে। পাশাপাশি কোম্পানির হয়ে প্রচার করতে। আমরা বড় দুঃখী। গরিবের মেয়ে। আপনাদের ইচ্ছা হলে দু একটা প্রোডাক্ট নিলে আমাদের পেট চলে।
- থাক বাছা থাক।আর গরিবের দোহাই দিয়ে আবেগের গল্প শুনিয়ে কেঁদুনি করে লোক জোগাড় করো না। তোমার যা রূপ তাতে রাস্তায় নামলে এমনিতেই অনেক টাকা পাবে।
- ছিঃ দিদি আপনি এসব কী বলছেন? আপনি বাড়িতে ফেলে আমাকে অপমান করছেন করুন। কিন্তু আমি খারাপ মেয়ে নই,বলে আর সামলাতে পারলো না, হউমাউ করে কেঁদে উঠলো।
আমারও এতক্ষণে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়।কাঁচের জানালার আড়ালে আর নিজেকে আটকে রাখা সম্ভব হলো না। বিবেকের তাড়নায় নীচে নেমে আসি। সামনাসামনি পড়তেই নেহার কান্নার বেগ যেন আরও বেড়ে যায়। আমি পড়েছি মহাবিপদে।কী করে যে ওকে সামলাব মাথায় আসছিল না। ইচ্ছা করছিল ওর আঁচল দিয়ে মুখটি মুছে দেই। কিন্তু হাত বাড়িয়েও নিজেকে সংযত করি। নেহা কাঁদতে কাঁদতে বলতে থাকে,
- আমি চাইনি কখনো কাউকে নিজের দরিদ্রতার পরিচয় দিতে বা কারোর কাছ থেকে অন্যায় সুবিধা নিতে।ডিউটি আওয়ার্সের বাইরেও এইজন্য পরিশ্রম করি কাস্টমারদের কনভিন্স করে যাতে দুটো প্রোডাক্ট বিক্রি হয়। সামান্য কমিশনে অসুস্থ বাবা মায়ের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের চেষ্টা করি। কিন্তু আজকে আপনি যেভাবে পরোক্ষভাবে আমার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন,বলতেই আমি মাঝখানে ঢুকে পড়ি,
- থামো থামো প্লিজ থামো,বলে দুই হাত উঁচু করে দুইজনকে থামিয়ে দেই।শ্রীর পর এবার আবার নেহাকে করজোড় করে ডিউটিতে দেরি হবার কথা স্মরণ করিয়ে দেই। মেয়েটার চোখ দিয়ে তখনও পর্যন্ত গড়িয়ে পড়ছে অশ্রুধারা। মুখের অবস্থা একশেষ। মূহুর্তে চোখমুখ ফুলে উঠেছে।কী নিষ্ঠুর লাগছিল সেদৃশ্য দাঁড়িয়ে থেকে দেখতে।
নেহা আর কথা বাড়ালো না। বাধ্য মেয়ের মতো ওড়নার আঁচল দিয়ে চোখ মুখ মুছে ব্যাগ গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। আমার নিরপেক্ষতা শ্রীর পছন্দ হলো না। মুখ ঝামটা দিয়ে দড়াম করে সপাটে দরজা বন্ধ করে ভিতরে ঢুকে গেল।

ওদিকে নাটকের সময় ক্রমশ এগিয়ে আসছে। প্রস্তুতি পর্বও তুঙ্গে চলেছে। ঘটনার দুদিন পরে নিতাইকাকার জরুরি তলবে ওনার বাড়িতে গিয়ে দেখি উনি অনুপস্থিত। আগে থেকেই জেনেছিলাম নাটকের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গেছে। এইজন্য নিতাইকাকা সবাইকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে চান। কাজেই একটা জেনারেল মিটিংয়ের আয়োজন করতে প্রস্তুতি হিসেবে তলব করেছিলেন।কথা বলে জেনেছিলাম ইতিমধ্যে নায়িকার সঙ্গেও ওনার আলোচনা হয়ে গেছে।বেশ ভালো মানের একজন অভিনেত্রী। দেখতে দেখতে দিন এগিয়ে আসছে।আর মাসখানেকের মতো সময় হাতে আছে। নায়িকাকে এনে অন্য কোথাও নয়, নিজের বাড়িতে ওনার থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।কদিনের মধ্যেই নাকি উনি চলে আসবেন। যদিও একমাস সময়টা নেহাত কম নয়। এইসময় ওনাকে রিহার্সালের পাশাপাশি আরেকটি কাজ আমাদের দিয়েছেন। কয়েকজনের সঙ্গে আমাকেও নুতন আনকোরা জায়গায় নায়িকাকে সঙ্গ দিতে হবে। খবরটি শুনে ভিতরে ভিতরে আমি বেশ শিহরিত হয়েছিলাম। সঙ্গ দিতে তো কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু গোলমাল সেই শ্রীকে নিয়ে। এমনিতেই নায়কের চরিত্রে অভিনয়।তার উপরে সকাল বিকেলে নায়িকাকে সঙ্গ দিতে ঘুরে বেড়ানো-কার মনে কী যে আছে, আবার না নুতন করে কোনো ফ্যাসাদে পড়তে হয়। যদিও সময় দেওয়ার ব্যাপারে না করতেও পারছিনা। এলাকার ছেলেদের যা হাভাতেপনানার মতো যেন কখনো মেয়ে দেখেনি।গ্রামে নুতন কাউকে দেখলে একেবারে হামলে পড়ে। কাজেই নায়িকাকে সময় দিতে পারবো না গোছের কথা একবার মুখ ফস্কে বললে প্রতিযোগিতা পড়ে যাবে। সম্ভবত নিতাইকাকা এসব কথা ভেবেই আমাকে বেশি পছন্দ করেছেন। এখন সেই প্রত্যাশার মূল্য আমাকে দিতেই হবে।ফলে ওনার সম্পর্কে আরো কিছু খুঁটিনাটি জানার আগ্রহ থাকলেও বেশি কিছু জিজ্ঞেস করা সমীচিন হবে না মনে হলো। যদিও কাকা সময়ে সবকিছু বুঝিয়ে দিবেন বলে এই পর্যন্ত আমাদের নিবৃত করে রেখেছেন। যাইহোক নাটকের আগ্রহে বা কাকার তলবে শনিবার বিকেলে ওনার বাড়িতে গিয়ে দেখি উনি অন্য কাজে তখনও বাইরে আছেন। স্ত্রী ফুলটোসি বৌদি মুখ বেজার করে আঁচল দিয়ে ঘাম মুছতে মুছতে এগিয়ে এলো,
- তোমার নামে কী সব শুনছি ঠাকুরপো?
আমি বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকি।
সম্পর্কে নিতাইকাকার স্ত্রী হলেও ফুলটোসি বৌদি বয়সে অনেকটাই ছোট। প্রথমদিন কাকার সামনে যখন জিজ্ঞেস করেছিলাম,
- তোমাকে কী বলে ডাকবো মানে কাকিমা না বৌদি?
ঘোমটার মধ্যে থেকে সেদিন খিলখিলিয়ে হেসে উত্তর দিয়েছিল,
-ন্যাকা কোথাকার! যেন কিছুই বোঝেনা! আপাতত বৌদি বলবে।তবে একদিন বৌ বলেও ডাকতে হতে পারে। মজার ছলে হলেও ওর এমন উত্তরে ও কাকার নির্বিকার প্রতিক্রিয়া দেখে সেদিন বিস্ময়ে অবাক হয়েছিলাম। মনে মনে বেশ লজ্জায় পড়ে গেলেও ভিতরে ভিতরে রাগও হয়েছিল ওর উপরে।যতোই রূপসী হোক না কেন একজন বিবাহিত নারী নিজের স্বামীর সামনে অন্য পুরুষকে একথা বলতে পারে কেমনে। যাইহোক নিজেকে সামলে সেদিন একটা মজার পরিবেশের মধ্যে সামান্য মিষ্টি মুখ করে বিদায় নেই।সেই থেকে ফুল বৌদির সাথে হাসি ঠাট্টার পর্ব শুরু।পরে সেই সম্পর্ক আরও অনেকদূর এগিয়েছে।যতদিন গেছে অবাক হয়েছি ওর রূপ দেখে। পেঁয়াজের খোসার মতো রূপের যাদুতে মোহিত হয়েছি। মুগ্ধ হয়েছি ওর রসিকতা করার ধরন দেখেও। অস্বীকার করবো না, ফুলটুসি বৌদি আগুনে রুপের সঙ্গে মুখের সুমধুর ডাক যে কোনো পুরুষের হৃদয়ে ঝড় তুলতে বাধ্য। এমন রূপসী নারীর সাথে বেশি আড্ডা ইয়ার্কি করলে কাকা কিছু সন্দেহ করেন এই ভয়ে একটু আড়াল আবডালে থাকলেও ফুল বৌদির সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় পার হলেও টের পেতাম না। আজ এক্ষণে ফুল বৌদির এমন অভয় বাণীকে উপেক্ষা করার ক্ষমতা আমার ছিল না। কিন্তু মুখে কিছু না বলে কিছুটা ভাবুক দৃষ্টিতে ভাবতে ভাবতে বাইরে পা বাড়াতেই অমনি খপ করে আমার হাত চেপে ধরলো..
-দেখো ঠাকুরপো আমি চাই না তুমি ঐ মেয়ের সঙ্গে ফস্টি নস্টি করো।



মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৮:৫৩

শায়মা বলেছেন: হায় হায় এখন আবার ফুলটুসী বৌদি!!

তোমার দেখছি মহা বিপদ ভাইয়া!!!

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৪১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হেহেহে কোনো পুরুষের হৃদয়ে যদি এক সমুদ্র ভালবাসা থাকে তাহলে তার বহিঃপ্রকাশ ঘটবে :)

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৫৪

করুণাধারা বলেছেন: ফুলের বনে যার পাশে যাই তারেই লাগে ভালো... ধরণের ব্যাপার দেখছি। এতক্ষণ ছিল দুই নৌকায় পা দিয়ে চলা, এখন দেখি তিনখান!! দেখি কোথায় গিয়ে আপনার প্রেমাকুল চিত্ত শান্ত হয়!!

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "ফুলের বনে যার পাশে যাই তারেই লাগে ভালো... ধরণের ব্যাপার দেখছি"-জ্বী আপু একপ্রকার ঠিকই বলেছেন।সন্তু বীর পুরুষ। কোথাও ডরাবে কেন :)
"এতক্ষণ ছিল দুই নৌকায় পা দিয়ে চলা, এখন দেখি তিনখান!! দেখি কোথায় গিয়ে আপনার প্রেমাকুল চিত্ত শান্ত হয়!!হেহেহে
.. জীবনের কেউ কেউ এমন কপাল করে আসে।না চাইতেই অনেককিছুই পেয়ে যায়।সন্তু এমনি একজন পুরুষ। ওনাকে একাধিক নারী সঙ্গীর সঙ্গে স্বতঃস্ফূর্তভাবে আচরণ করার জন্য বীর পুরুষ হিসেবে দেখানো হয়েছে। ওনার বীরত্বের পরিচয় আগামী আরও উন্মোচিত হবে। সুন্দর কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা আপনাকে।

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: মাঝে কিছু পর্ব পড়া হয়নি, তাই খেই হারিয়ে ফেলেছি । অগ্রিম ঈদ মুবারক

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: জ্বী অসুবিধা নেই। সম্ভব হলে অপঠিত পোস্টে একবার চোখ বুলিয়ে নিয়েন।না হলেও পরের পর্বগুলোতে চোখ রাখার অনুরোধ রইলো।
ভালো থাকবেন। পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা আপনাকে।

৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: গল্প ভালোই চলছে।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কমেন্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আশাকরি ভালো আছেন।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানবেন।

৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: মেঘ ঘনীভূত হচ্ছে, ঝড়ের সম্ভাবনাও ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। তবুও লেখকের (নায়কের) শিহরিত চিত্ত বিন্দাস!
পোস্টে ষষ্ঠ প্লাস। + +

১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "মেঘ ঘনীভূত হচ্ছে, ঝড়ের সম্ভাবনাও ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। তবুও লেখকের (নায়কের) শিহরিত চিত্ত বিন্দাস!"-হেহেহে স্যার তা যা বলেছেন। ঘরে বাইরে প্রবল চাপ। কিন্তু সাচ্চা পুরুষের হৃদয়ে ওসব চাপ আবার চাপ নাকি। পরবর্তী পর্বগুলোতে সেসব বিষয় সামনে আনার চেষ্টা করবো।
পোস্টে ষষ্ট লাইক দেওয়াতে অনুপ্রেরণাবোধ করছি। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: যাহা বাহান্ন তাহা তিপ্পান্ন !
আসুক আরও নেহা ফুল দেখা যাক
শ্রী এর সামনে কে টেকে।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: জ্বী আপু একহিসেবে ঠিকই বলেছেন যাহা বাহান্ন তাহা তিপ্পান্ন।নেহারা পরী ফুল হয়ে বিভিন্ন সময়ে পুরুষের হৃদয়ে ঝড় তোলে। পুরানো হৃদয় যেহেতু বড় মহাসমুদ্র। কাজেই একজন নারীর পক্ষে সেই সমুদ্রের কোনো এক স্থানের ঝড় বোঝা সম্ভব নয় :)
আর এই কারণেই বিশ্ব প্রেমিকের সঙ্গে ঘর করেও বুক পকেটের নীচের জায়গা চিনতে বহু নারী ব্যর্থ হয়।

৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৩

ইসিয়াক বলেছেন: আরে আপনার নায়ক তো দেখছি বিশ্বপ্রেমিক X(( নায়কের বৌটি আর যাই বলি মোটেও বুদ্ধিমান নয়।দ্রুত ঘরের জনসংখ্যা কেন বাড়াচ্ছে না সেটাই বুঝতে পারছি না।আচ্ছা কাজ টাজ কিছু হয়তো না-কি উপরে ফিটফাট ভিতরে সদরঘাট B-)) লক্ষ্মণ মোটেও ভালো ঠেকছে না।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:২০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: চল্লিশের সাংসারিক জীবন একপক্ষের কাছে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরার মাধ্যম হলেও আরেক পক্ষ খুঁজে বেড়ায় নির্ঝঞ্ঝাট প্লেবতা। পরকীয়া সামাজিক ব্যাধি। কিন্তু পারিপার্শ্বিক পরিবেশ কখনোবা আমাদের সেই ব্যাধির দিকে ঠেলে দেয়। যাইহোক আমি ওসব পরকীয়া টীয়ার ঘোর বিরোধী। তবে নেহার মতো মেয়েদের করুন মুখশ্রী তাদেরকে মানবিকতার গ্রাউন্ড তৈরি করে। গল্পে তেমনি একটি আবহ তৈরির চেষ্টা করছি।বাকিটা সময় বলবে। দ্বিতীয়বার আবার এসে কমেন্ট কথাতে খুশি হয়েছি। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।ভালো থাকবেন। নববর্ষের শুভেচ্ছা জানবেন।

৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৮

ইসিয়াক বলেছেন: আরে এই পর্বটা তো এই মাত্র পড়লাম। আগে তো না পড়ে লাইক দিয়ে গিয়েছিলাম :>

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.