![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।
কনস্টেবল অমিত হাঁপাতে হাঁপাতে লম্বা লম্বা ধাপ ফেলে নিমেষে পৌঁছে গেলেন ডিউটি অফিসার রাঘবেন্দ্র যাদবের টেবিলে।কয়েক সেকেন্ড থিতু হতেই ডিউটি অফিসার,
- কী ভাইয়া। এমন হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এলে কেন? কিছু হয়েছে?
কনস্টেবল অমিত মুখ নিচু করে কানের কাছে ফিসফিসিয়ে কিছু একটা বললেন। কিন্তু দেখে মনে হলো না কথা শুনে অফিসার রাঘবেন্দ্র যাদবের কোনো পরিবর্তন হয়েছে। উনি ততোটাই ধীর স্থির ও শান্ত ভাবে কনস্টেবল অমিতকে বরং ওসি সাহেব সুরিন্দর ভক্তকে বিষয়টি জানানোর পরামর্শ দিলেন। এবারে যেন অমিত একটু থতমতো খেয়ে গেলেন। মনে মনে আশা করেছিলেন ডিউটি অফিসার ওনার খবরে আগ্রহান্বিত হয়ে ডিজি লিখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু এক্ষেত্রে তেমনটি না হওয়ায় কিছুটা হতদ্যোম হলেন বৈকি। অবশ্য সুধাময়ূরী থানার সকলেই জানে ওসি সাহেব ভীষণ জাঁদরেল লোক। উনার মেজাজমর্জি ভালো থাকে না। সর্বদাই যেনো সপ্তমে চড়ে থাকে। এক কথায় প্রচন্ড বদমেজাজি লোক যাকে বলে। সকলের সঙ্গে সবসময় হাক ডাক করে কথা বলেন। কপাল মন্দ থাকলে কারোর কারোর ভাগ্যে বেদম বকাঝকাও জোটে কখনো সখনো। যে কারণে ওসি সাহেবকে সবাই একটু এড়িয়েই চলেন। উপর থেকে অর্ডার না এলে পারোতোপক্ষে ওসি সাহেবের ঘরের দিকে সচরাচর কেউ পা মাড়ান না। কিন্তু আজ কনস্টেবল অমিতের সেই সুযোগ নেই। ওসি সাহেবের সম্মুখীন তাকে হতেই হবে। বুকের মধ্যে হাজারো প্রশ্ন কী আছে কপালে কে জানে। ওদিকে ডিউটি অফিসারের সমগ্র বিষয়টির উপর লক্ষ্য ছিল। আড়চোখে তিনি নজর রেখেছিলেন কনস্টেবল অমিতের দিকে।তাই মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে কনস্টেবল অমিতকে এমন থমকে যেতে দেখে কিছুটা আশ্বস্ত করতে,
- আরে ভাইয়া! এতো ঘাবড়ে যাচ্ছ কেন? কেসটা তো আর মামুলি নয়, তোমার কথায় মনে হচ্ছে মার্ডার টার্ডার কিছু একটা হবে।তাই বলছিলাম তোমার আমার মধ্যে বিষয়টা না রেখে স্যারকে সরাসরি জানানোটা বেশি ভালো নয় কি? উনিই তো উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
কনস্টেবল অমিত ডিউটি অফিসার রাঘবেন্দ্র যাদবের পরামর্শ মেনে নিয়ে মাথা নেড়ে সম্মতি জানিয়ে,
- আজ্ঞে স্যার আপনি ঠিকই বলেছেন, মুখে একথা বললেও অমিতের প্রতি উত্তরের মধ্যে কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দ্ব মেশানো ছিল। তাই কিছুক্ষণ নীরব থেকে স্বগতোক্তির ন্যায় বলে উঠলেন,
-ঠিক আছে স্যার ওটাই সঠিক। ঘটনাটি স্যারকে জানানোটাই বেশি ভালো হবে।
আবারো বিড়বিড় করে কিছু একটা বলতে গিয়েও শেষ মুহূর্তে নিজেকে সামলে নিলেন।আর সময় নষ্ট না করে পা বাড়ালেন ওসি সাহেব সুরিন্দর ভক্তের রুমের দিকে। বাইরের পর্দাটা সরিয়ে অটোলক রুমের দরজা ঠেলে স্যালুট দিয়ে ঘরে ঢুকতেই সঙ্গে সঙ্গে,
- এমা! বলে পিছনের পায়ে ভর দিয়ে কয়েক কলম পিছিয়ে এলেন।
-হায়!হায়!আমি এ কী শুনলাম?কী দেখলাম? কেন আসতে গেলাম এ ঘরে? তাহলে কি ডিউটি অফিসার চালাকি করে আমাকে এখানে পাঠিয়েছেন? রুমের বাইরে এসে আপন মনে কথাগুলো বলতে লাগলেন।
কনস্টেবল অমিত পর্দা সরিয়ে অটোলক রুমের দরজা ঠেলে ভিতরে টুকতেই দেখতে পান ওসি সাহেব সুরিন্দর নিজ হাতে করে বিরিয়ানি খাইয়ে দিচ্ছেন এলাকার এক নামি এনজিওর মালকিন পুনম চতুর্বেদিকে। ভদ্রমহিলা বিভিন্ন কাজে প্রায়ই থানায় আসেন। ভীষণ অমায়িক ব্যবহার। বছর পঁয়ত্রিশের উজ্জ্বল শ্যামলা বর্ণের ভদ্রমহিলার সাজপোশাক মুখের গড়ন, দীর্ঘাঙ্গী চেহারা ভীষণ আকর্ষণীয়, আবেদনময়ী আরকি। থানার সবার সঙ্গেই উনার সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর। সর্বদাই মুখে একটা মিষ্টি হাসি লেগেই থাকে।এহেন পুনম দেবীর সঙ্গে স্যারের সম্পর্ক দেখে নিজের চোখকে যেনো বিশ্বাস হচ্ছে না অমিতের। বারবার কানে বাজছে,সুরিন্দর সাহেব আদর করে পুনম দেবীকে বলছেন,
-আমার ময়না পাখি, একটু বেশি করে না খেলে... ...
পরের শব্দ আর ওসি সাহেবের বলা হয়ে ওঠেনি।দু জোড়া চোখের বিস্ময় দৃষ্টি গিয়ে পড়ে কনস্টেবল অমিতের দিকে। আহা! এই না হলে প্রেম? ভালোবাসা?এক হাতে বিরিয়ানির প্লেট, অপর হাতে মাংসের পিসটি নিয়ে পরম যত্নে ওসি সাহেব খাইয়ে দিচ্ছেন সাত জন্মের প্রেমের পরী পুনম দেবীকে। তবে সে যাইহোক বসের ঘরে এভাবে ঢুকে পড়া যে মারাত্মক ভুল হয়ে গেছে সেটা কনস্টেবল বুঝতে পারলেন। ঘটনাটা নিঃসন্দেহে সবার পক্ষে খুবই অস্বস্তিকার। কিন্তু কী আর করা যাবে। ওসি সাহেবের প্রত্যাঘাতের অপেক্ষা করা ছাড়া কনস্টেবল অমিতের আপাতত আর কোনো কাজ নাই।
রুমের বাইরে এসে তাকে ভীষণই বিচলিত লাগছিল। ডানহাত মুষ্টিবদ্ধ করে বেশ কয়েকবার শূন্যে ছুড়ে দিল, বাদ দুই আঘাত করলো নিজের কপালেও। বাস্তবে তাকে অনেকটাই উদভ্রান্তের মত লাগছিল। হঠাৎ দরজার দিকে চোখ পড়তেই দেখলেন পুনম দেবী আসছেন।অমিত ইচ্ছা করেই পিছন ফিরে দাঁড়ালেন। কাছাকাছি আসতেই মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে পুনম দেবী জিজ্ঞেস করলেন,
- হাই, অমিতবাবু কেমন আছেন?
কনস্টেবল অমিত তখনো স্বাভাবিক হতে পারেননি অথবা হয়তো ভাবতে পারেননি যে এমন ঘটনার পরেও কেউ এমন মিষ্টি করে কথা বলতে পারবে। যাইহোক তিনি কোনো সাড়া দেননি বা প্রয়োজন বোধ করেননি।তার রেসপন্স না পেয়ে এবার পুনম দেবী একদম অমিতবাবুর সামনে চলে এলেন। ততোটাই মিষ্টি স্বরে বললেন,
- কি অমিতবাবু? চিনতে পারছেন না? কে...মন... আ..ছে...ন? টেনে টেনে জিজ্ঞেস করলেন কথাগুলো।
এবার যেনো কনস্টেবল অমিত সম্বিত ফিরে পেলেন।একটু গলা খাঁকারি করে সৌজন্য হাসি দিয়ে,
- আজ্ঞে না চিনবো না কেন?আছি ম্যাম ভালো আছি।আপনি কেমন আছেন ম্যাম?
-খু..উ...ব ভালো আছি,বলে হাসতে হাসতে হাত নাড়তে নাড়তে পাঁচিলের বাইরে চলে গেলেন।
পুনম দেবী চলে যেতেই অমিতের মনের করাল অন্ধকার আরো ঘনীভূত হল। সে এবার প্রমাদ গুনতে শুরু করে।এই বুঝি ওসি সাহেব তাকে তলব করবেন।কনফেস করবেন কীভাবে, ভাবেতে থাকেন অসহায় আত্মসমর্পণ না করে নিজেকে বরং তৈরি করাই শ্রেয়।ফলত মনে মনে শক্তি সঞ্চয়ের চেষ্টা করে। কিন্তু পরোক্ষণেই মনের মধ্যে তৈরি হওয়া একপশলা মেঘ ভিসুভিয়াসের অগ্নুৎপাতে নিমেষে নিশ্চিহ্ন হবার ন্যায় তার অন্তরকে শূন্যতায় ভরিয়ে দেয়।আর ঠিক তখনই ওসি সুরিন্দর সাহেব একপা দু'পা করে স্বয়ং রুমের বাইরে বেরিয়ে এলেন। দাঁড়ালেন ঠিক অমিতের সামনে।এ যেন জল্লাদের প্রবেশ! এতোক্ষণে মনরাজ্যে বয়ে চলা শেষ খড়কুটোটাও যেন অদৃশ্য হয়ে গেল। ওই মুহূর্তে অবশ্য তার সখাতসলিলে ডুবতে বসা কোনো এক মৃত্যু পথযাত্রীর ন্যায় শেষ পরিনতির অপেক্ষা করা ছাড়া কি বার করার ছিল। ওসির মুখে তখনো কোনো কথা নেই। একবার চোখ পড়তেই দেখলেন কটমট দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন তার দিকে। বাধ্য হয়ে দুচোখ বন্ধ করে রইলেন। হঠাৎ প্রচন্ড বাজখাঁই গলায়,
-বলি, ওসির রুমটা কি মানভঞ্জন বাজার যে যখন তখন ইচ্ছা করলে ঢোকা আসা যাবে?
এতোক্ষণ অধোবদনে দন্ডায়মান থেকে কনস্টেবল অমিত পূর্বের ন্যায় নতমস্তকে বলে উঠলেন,
- আজ্ঞে স্যার খুব ভুল হয়ে গেছে। মুখ কাচুমাচু করে এবারটা ক্ষমা করে দিন প্লিজ।
বিরাট ওজনের আবারো একটা ধমক দিয়ে,
- চুপ! চুপ! শালা চুপ! আবার মুখের উপর কথা?
আরো কিছু সময় কটমট করে তাকিয়ে আবার বললেন,
- শালা! কুত্তার বাচ্চা! তোদের সারাজীবনেও কোনো কমনসেন্স হবে না। এখন বল শালা কুত্তা কেন এসেছিলি?
ওসি সাহেবের উপর্যুপুরি ধমক খেয়ে কনস্টেবল অমিতের তখন রীতিমতো নার্ভাস অবস্থা। তোতলাতে তোতলাতে,
- স্যা....র..আ....মি..
আবার বাজখাঁই গলায়,
- চুপ! শালা! চুপ।একদম তোতলাবি না।
চোখ মুখ বিকৃত করে,
- দেখো শালা যেনো কচ্চি খোক্কা! ভাজ্জা মাছ উল্টিয়ে খেতে পারে না।যা এখান থেকে বেরিয়ে যা। কথা বের হচ্ছে না শালার। হা...রা...ম...জা...দা কোথাকার।
কনস্টেবল অমিতকে বকাঝকা করে ওসি সুরিন্দর আবার নিজের রুমে ফিরে গেলেন। চেয়ারের দুধ সাদা তোয়ালেটা উপরনিচ টেনে নিয়ে বসে পড়লেন। নিজের চেয়ারে বসে চেয়ারের পিছনের দু পায়ের উপর ভর করে দোল খেতে খেতে আপন মনে বলতে লাগলেন,
-এইজন্যই বলে শালা! পুলিশের চাকরি হলো বালের চাকরি। বাড়িতে বউ গালি দেয়, বাচ্চা গালি দেয়, রাস্তার লোক রাতদিন গালি দেয়। শালা! আমাদের মানব জীবনটাই বৃথা। আমরা জন্মেছি লোকের গালি খাওয়ার জন্য। আমরা হলাম গিয়ে আবার নিয়ম রক্ষাকারী। অথচ শালা! আমাদের জীবনে কোনো নিয়ম নেই।আমাদের বৌ-বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটানো যাবে না। আর পাঁচজনের মতো দশটা পাঁচটায় অফিস করা যাবে না। শালা! পরিবার নিয়ে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে যাওয়া যাবে না। না তোলা যায় পরিবার আত্মীয়-স্বজনের মন,না তোলা যায় অফিসে সরকারের। ওসব সামাজিকীকরণ নাকি আমাদের জন্য নয়। শালা! আমরা হলাম ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা। আমাদের ব্যক্তিগত জীবন বলে কিচ্ছু নেই। এমনকি অফিসেও আমাদের কোনো জীবন নেই।না আছে নাওয়া খাওয়া শোবার সময়। এমনকি আমাদের খাওয়ার দাওয়ার সময় পর্যন্ত থাকবে না। আমরা হলাম সরকারের পেইড সার্ভেন্ট। দাস! দাস! একেবারে ক্রীতদাস যাকে বলে। শালা! পুলিশের না আছে কোনো আত্মীয়-স্বজন বউ, বাচ্চা, সন্তান, কেউ নেই কেউ নেই। এসব ভুলে যতো বেশি প্রফেশনে ডুবে থাকবো, তত উঁচু পদ; প্রমোশন, আরো প্রমোশন। শালা! পুলিশের বউ গর্ভবতী হবে সে খবর আমরা রাখতে পারি না; খবর আসবে কোনো সময় যে আমরা নাকি সন্তানের বাবা হয়েছি।আজব! আজব! আজব এ জীবন! এখন শালা বুঝি কেন কোনো সুস্থ ভদ্র ঘরের ছেলেরা এ চাকরিতে কেন আসে না।
হঠাৎ অটোলক দরজা ঠেলে মুখ বাড়িয়ে ডিউটি অফিসার স্যালুট করে,
-স্যার আসবো?
একটু গলা খাঁকারি দিয়ে ওসি সুরিন্দর সাহেব,
- হ্যাঁ আসুন।
-স্যার কনস্টেবল অমিত এসেছিল?
- হুম,বলে পাল্টা জিজ্ঞেস করেন,
-কোথায় উনি? পাঠিয়ে দিন।
-আজ্ঞে স্যার,বলে আবার স্যালুট করে ডিউটি অফিসার রাঘবেন্দ্র যাদব রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন।
খানিক বাদে কনস্টেবল অমিত আবার দরজা ঠেলে মুখ বাড়িয়ে,
-স্যালুট স্যার। স্যার আসব?
সেদিকে না তাকিয়ে ওসি সুরিন্দর,
- হু।
কিছু সময় বাদে জিজ্ঞেস করেন,
- কী বলতে চাস?
- স্যার রিম্বিক নদীতে একটা লাশ পাওয়া গেছে।
-রিম্বিক নদীর কোথায়?
- স্যার শ্রীখোলাতে।
ওসি সুরিন্দর,
-আহ! বলি বলিহারি প্রতিভা। ব্যাটার মরার আর সময় হলো না। যখন খেতে বসব, তখন হয় এদের মরার সময়। দুপুরের খাবারটাও খেতে পারলাম না। সব মাটি হয়ে গেল।
কনস্টেবল অমিত বুঝলেন স্যারের মুড এখনও ঠিক হয়নি।সে নিজের অপরাধ স্বীকার করে,
- সরি স্যার,বলে স্যার আমি কি এখন আসতে পারি?
আবার একটা ধমক দিয়ে,
-আসতে পারি মানে! ডিউটি অফিসারকে বল ব্যবস্থা করতে।গাড়ি রেডি করতে বল। সঙ্গে আরও দুজন কনস্টেবলকে তৈরি থাকতে বল।
- ওকে স্যার,বলে স্যালুট দিয়ে কনস্টেবল অমিত বেরিয়ে গেলেন।
চলবে.....
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আশাকরি ভালো আছেন প্রিয় সুজন ভাই।
"অপরাধ তো ওসির। অমিতের কাছে থানা মানভঞ্জন থানা না হলেও ওসির কাছে কি থানা লীলাখেলার জায়গা? "ভালো কথা বলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
"অনেকদিন পর আপনার ধারাবাহিক লেখা পেয়ে ভালো লাগছে। প্রথম ভেবেছিলাম ছোট গল্প হবে। কারণ শিরোনামে পর্ব উল্লেখ করা ছিলোনা। শেষে চলবে লেখা দেখে মনটা আনন্দিত হলো। আপনার গল্পের চরিত্রগুলো যেন খুব চেনা লাগে। চোখের সামনে দেখতে পাই। এজন্য অদ্ভুত এক ভালো লাগা কাজ করে। যার প্রমাণ আপনার আগের কাহিনীগুলো।"-সুজনভাই এমন প্রশংসাসূচক কথায় প্রীত হলাম। আশাকরি আগামীতেও এভাবে পাশে পাবো।
"যাইহোক, প্রথম পর্বেই কিন্তু জমিয়ে দিয়েছেন। থানা, ভেজালে ওসি, অমিতের মতো একজন ছা-পোষা কন্সটেবল একটা একটা লাশ। রোমাঞ্চর কিছু ঘটতে চলেছে। আমার অস্থিরতা এখন থেকেই শুরু হলো। আশা করি নিয়মিত পর্বগুলো পাবো।"-জ্বী আপনার এমন সুন্দর কমেন্ট পেয়ে আর অনিয়মিত হতে পারি? আপ্রাণ চেষ্টা করবো নিয়মিত পোস্ট দেওয়ার। আপনাকেও কিন্তু নিয়মিত দেখতে চাই।
"খুব সুন্দর একটা নদীর নাম। রিম্বিক। অদ্ভুত সুন্দর নাম। এই নামে কি আদৌ কোন নদী আছে? নাকি আপনার দেয়া নাম?"-
জ্বী ভাইয়া রিম্বিক প্রকৃতই নাম।
সবশেষে ব্যক্তিগত জিজ্ঞাসায় আপনার কুশল বিনিময়ে অত্যন্ত আনন্দ পেয়েছি। জ্বী আমরা উপরওয়ালার দোয়ায় ভালো আছি। আশা করি আপনিও সপরিবারে ভালো আছেন। পোস্টটি লাইক করাতে অনুপ্রেরণা পেয়েছি কৃতজ্ঞতা জানবেন। নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৮
আরোগ্য বলেছেন: ভাইটি,
তোমাকে অনলাইন দেখে লগইন করলাম। আশা করি সবাই ভালো আছো। বাবা কেমন এখন? মেইলের উত্তরও পাইনি এখনও। হয়তো নোটিফিকেশন পাওনি।
এটা কি সিরিজ গল্প হতে যাচ্ছে নাকি দুই তিন পর্বে ইতি টানবে? সে যাই হোক তোমাকে আবারও ব্লগে পেয়ে ভালো লাগছে।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আরোগ্য,
মেল বিভ্রাটের কারণ এই মুহূর্তে তোমার আগের কমেন্টের উত্তরে লিখেছি। জ্বী আমরা ভালো আছি। বাবাইয়ের এখন এক্সাম চলছে সামনের মাসের 5 তারিখে শেষ। আশাকরি তোমরাও কুশলে আছো।
জ্বী এটাও বড় গল্প। তোমাদের সকলকে এভাবে একে একে ফিরে পেয়ে ভীষণ খুশি লাগছে। মনে হচ্ছে কতদিন পরে আপনজনদের দেখতে পেয়েছি। মাঝের অন্তর্ধানের প্রধান কারণ ছিল বাবাইয়ের পড়াশোনা।ও বাবা-মাকে টিচার হিসেবে দেখতে চাইছে না। আপাতত সব বাইরের টিচার দিয়েছি।আর এই কারণে আবার লেখালেখিতে ফিরে এসেছি।
ভালো থেকো। অনেক শুভেচ্ছা তোমাদের।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:১০
নজসু বলেছেন:
অপরাধ তো ওসির। অমিতের কাছে থানা মানভঞ্জন থানা না হলেও ওসির কাছে কি থানা লীলাখেলার জায়গা?
অনেকদিন পর আপনার ধারাবাহিক লেখা পেয়ে ভালো লাগছে। প্রথম ভেবেছিলাম ছোট গল্প হবে। কারণ শিরোনামে পর্ব উল্লেখ করা ছিলোনা। শেষে চলবে লেখা দেখে মনটা আনন্দিত হলো। আপনার গল্পের চরিত্রগুলো যেন খুব চেনা লাগে। চোখের সামনে দেখতে পাই। এজন্য অদ্ভুত এক ভালো লাগা কাজ করে। যার প্রমাণ আপনার আগের কাহিনীগুলো।
যাইহোক, প্রথম পর্বেই কিন্তু জমিয়ে দিয়েছেন। থানা, ভেজালে ওসি, অমিতের মতো একজন ছা-পোষা কন্সটেবল একটা একটা লাশ। রোমাঞ্চর কিছু ঘটতে চলেছে। আমার অস্থিরতা এখন থেকেই শুরু হলো। আশা করি নিয়মিত পর্বগুলো পাবো।
খুব সুন্দর একটা নদীর নাম। রিম্বিক। অদ্ভুত সুন্দর নাম। এই নামে কি আদৌ কোন নদী আছে? নাকি আপনার দেয়া নাম?
পরিশেষে, ব্যক্তিগত জিজ্ঞাসা। অনেকদিন পর আপনাকে দেখলাম। দেখে ভালো লাগছে। আশা করি আপনি এবং আপনার পরিবারের সবাই কুশলেই আছেন। দোয়া ও শুভকামনা রইলো।