নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাজাকার দূরে থাক। পাগল চ্যাতলে খবর আছে কইলাম !!

নিজেকেই নিজে এখনো জানতে পারলাম না !!

পাগলা আজিজ

পাগলা আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাকশাল এবং জিয়াঃ ইতিহাস কখনো প্রতারণা করে না

১১ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:২০

১৯৭৫ সালে জিয়াউর রহমান উপসেনাপ্রধান হিসেবে থাকায় নিয়মানুযায়ী তিনি বাকশালের সদস্য হতে পারতেন না। কিন্তু তার সমসাময়িক কে. এম. শফিউল্লাহ, খালেদ মোশারফ প্রমুখ বাকশালের সদস্য হওয়ায় জিয়াও মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন বাকশালের সদস্য হওয়ার জন্য। বাকশালে যোগ দেওয়ার জন্য জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করেছিলেন। শুধু তাই নয়, বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা করেও তিনি বাকশালের সদস্য হওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা পোষণ করেন।



এই সত্যটা বিম্পির কোনো পুরোনো নেতাও অস্বীকার করতে গেলে তাকে দশবার ভাবতে হবে। ২০১০ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিয়ার বাকশালে যোগ দেওয়ার আবেদনের কথা বললে একমাত্র মেজর হাফিজ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বিরোধিতা করেন এবং রেডিও তেহরানকে দেওয়া বক্তব্যে জিয়ার বাকশালে যোগদানে আবেদনের কথা অস্বীকার করেন।



কিন্তু শালারা, অস্বীকার করবি ভাল কথা। মিথ্যা দিয়ে একটি ধ্রুব সত্যকে অস্বীকার করতে গেলে যা হয় মেজর হাফিজের অবস্থা সেটাই হয়েছিল।



রেডিও তেহরানকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে মেজর হাফিজ বলেন, "১৯৭৩-৭৪ এই দুই বছর আমি জিয়াউর রহমানের পিএস ছিলাম। তখন বাকশালের সদর দপ্তর থেকে জিয়ার কাছে বাকশালে যোগ দেওয়ার জন্য একটি ফর্ম আসে। জিয়া আমার কাছে বুদ্ধি-পরামর্শ চান। আমি তাঁকে বলি, এই ভুল করবেন না। তখন জিয়া বাকশালে যোগ দেওয়ার ফর্মটি পেপার বাস্কেটে ছুঁড়ে মারেন।"



মেজর হাফিজ যে একটা ধ্রুব সত্যকে ধামাচাপা দেওয়ার অপচেষ্টা করেছেন সেটা রেডিও তেহরানকে দেওয়া মেজর হাফিজের বক্তব্য থেকেই প্রমাণিত। কারণ, বাকশাল গঠন করা হয়েছিল ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি। আর হাফিজ বলছেন ১৯৭৩-৭৪ সালের কথা। সুতরাং, মেজর হাফিজ যে মিথ্যা বলেছিলেন এটা প্রমাণ করার জন্য তার বক্তব্যই কি যথেষ্ট নয়?



মিথ্যা দিয়ে সত্য ঢাকা যায় না। ইতিহাস চাপা দিয়ে রাখার জিনিস নয়। ইতিহাস একদিন না একদিন প্রকাশিত হয়ই। সুতরাং, মিথ্যা বলার আগে সাবধান !! ইতিহাস কখনো প্রতারণা করে না।



গতকাল তোফায়েল আহমেদ জিয়াউর রহমানের বাকশালে যোগ দেওয়ার আবেদনের পুরোনো কথা আবার নতুন করে মনে করিয়ে দিয়েছেন। তারপরও বিম্পির কিছু ইতিহাস না জানা আবাল বিশ্বাস করতে চায় না জিয়া বাকশালের সদস্য হতে চেয়েছিল। জিয়া শুধু বাকশালের সদস্যই হতে চায় নি, তার উদ্দেশ্য আরোও গভীরে ছিল। বাকশাল গঠন করায় বঙ্গবন্ধু সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছিল। শুধু তাই নয়, জিয়া বাকশাল সরকার কর্তৃক নিযুক্ত প্রত্যেক জেলা গভর্নরকে অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি লিখেছিল। প্রমাণস্বরূপ আমি এখানে ১৯ জুলাই, ১৯৭৫ সালে পাবনার সদ্য নিযুক্ত জেলা গভর্নর অধ্যাপক আবু সায়ীদকে লেখা জিয়ার একটি চিঠি উপস্থাপন করছি।





চিঠিতে লেখা ছিল-

//প্রিয় অধ্যাপক সায়ীদ,

পাবনা জেলার গভর্ণর নিযুক্ত হওয়ায় আমার আন্তরিক অভিনন্দন গ্রহণ করুন।



দোয়া করি যাতে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে আপনার কর্মক্ষমতাকে উৎসর্গ করার জন্য আল্লাহ আপনাকে সাহস ও শক্তিদান করেন।



আন্তরিকতার সহিত

জিয়া//



এরপরেও যদি বিম্পির পোলাপাইন ম্যা ম্যা বা হাম্বা হাম্বা করতে চায় তো তাগো মুখে ছ্যাড় ছ্যাড় কইরা মুইতা দিলাম।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮

একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: পোস্ট পর্যবেক্ষনে। গ্যালরীতে বসলাম। তবে যেই চিঠি'টা দেখালেন সেটা ভুয়াঁ মনে হচ্ছে কেন জানি

১১ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬

পাগলা আজিজ বলেছেন: বিশ্বাস অবিশ্বাস আপনার ব্যাপার। ইতিহাস কখনো প্রতারণা করে না।

২| ১১ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: সে সময়ের নিয়ম বা রেওয়াজ অনুযায়ী এই সব চিঠিপত্র ইংরেজিতে লেখা হত, বাংলায় লেখার কারনেই কেমন যেন সন্দেহ লাগছে।

জিয়ার সই এখানে যেমন আছে, আসলে তেমন না।

বাংলা লেখা দেখেই মনে হচ্ছে এইটা কোন মেয়ের কাঁচা হাতের লেখা, অথচ জিয়ার বাংলা হাতের লেখা এতো কাঁচা না, মেয়েলি তো নয়ই।

১১ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:২০

পাগলা আজিজ বলেছেন: তাহলে কেমন ছিল?

বাংলা ততদিনে সংবিধান অনুযায়ী আমাদের রাষ্ট্রভাষা/দাপ্তরিক ভাষা হয়েই গিয়েছিল। দাপ্তরিক চিঠি-পত্র বাংলা ভাষাতেই আদান-প্রদান হত।

৩| ১১ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:০৭

করাত বলেছেন: ভাইজান মনে হয় গাঁজা একটু বেশিই খেয়ে ফেলছেন, জিয়া কখনই বঙ্গবন্ধুর সেনা প্রধান ছিল না, শফিউল্লাহ ছিল।

১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৩৩

পাগলা আজিজ বলেছেন: গঞ্জিকা আপনি সেবন করেছেন। আমি আমার লেখায় কোথায় লিখেছি "সেনাপ্রধান" ছিল? চোখ দিয়া ভাল মত পড়েন। আমি লিখেছি "উপসেনাপ্রধান"।

৪| ১১ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:২৩

মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: ভাইজান মনে হয় গাঁজা একটু বেশিই খেয়ে ফেলছেন, জিয়া কখনই বঙ্গবন্ধুর সেনা প্রধান ছিল না, শফিউল্লাহ ছিল।

১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৩৩

পাগলা আজিজ বলেছেন: গঞ্জিকা আপনি সেবন করেছেন। আমি আমার লেখায় কোথায় লিখেছি "সেনাপ্রধান" ছিল? চোখ দিয়া ভাল মত পড়েন। আমি লিখেছি "উপসেনাপ্রধান"।

৫| ১১ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:২৪

মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: টাকলু কইছে এখন বাজ না বাজনো শুরু হইছে....

৬| ১১ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫

মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: জিয় বাকশলে যেগা দিয়ে কি টাকা পাইছিল নাকি???

৭| ১১ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:২৭

দুঃখ হীন পৃথিবী বলেছেন: ''১৯৭৫ সালে জিয়াউর রহমান উপসেনাপ্রধান হিসেবে থাকায় নিয়মানুযায়ী তিনি বাকশালের সদস্য হতে পারতেন না''
তাখলে কি বলতে চাচ্ছেন উনি শেষ পর্যন্ত বাকশালের সদস্য হয়ে ছিল?

''কিন্তু তার সমসাময়িক কে. এম. শফিউল্লাহ, খালেদ মোশারফ প্রমুখ বাকশালের সদস্য হওয়ায়''
কিন্তু এই দুইজন মির্জাফর বাকশালে যোগ দেয়ার বিষয়ে কিন্তু বলেন নি, উনারা নিয়ম অনুসারে বাকশালের সদস্য হতে পারতেন না।

মানলাম আপনার কথায় কোন ভুল নাই, জিয়া বাকশালের সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করেছে। আচ্ছা শফিউল্লাহ, খালেদ মোশারফদের যদি সদস্য পদ দিতে পারে তাখলে জিয়া কেন দেয়া হলনা?

এই একটা প্রশ্নের উত্তর আপনার নিকট আশা করি।

১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৩৫

পাগলা আজিজ বলেছেন: এরা দুই জন দুইটা বাহিনীর প্রধান ছিলেন। পদাধিকারবলে তাঁরা বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন। কিন্তু জিয়া কোনো বাহিনীর প্রধান ছিলেন না।

৮| ১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৪১

ইকবাল পারভেজ বলেছেন:
আওয়ামী লীগ যে "বলদ লীগ" সেইটা তোমার লিখা দেইখা আরেকবার প্রমান হইলো|

কয় দিন আগে আরেক জারজ আম্লীগার কোন পাকি জেনারেল জিয়াকে চিঠি লিখছে সেইটা ৪২ বছর পর প্রকাশ করছিল, মানুষ মুখের গু মাখা জুতার বারি দেওয়াতে চুপ করছে, এখন কামরুল বেজন্মার কথা শুইনা তোমার মত পিতৃ পরিচয়য়হীন আম্লীগাররা ৩৬ বছর পর জিয়ার হাটে লেখা চিঠি লইয়া হাজির|

আবালের বাচ্চা ৩৬ বছর আগের চিঠি এই রকম তরতাজা থাকে????

খা.পো: এই সব বাদ দিয়া তোর বাপ কে সেইটা খুইজা বাইর করার জন্য সময়টা ব্যায় কর, তাও একটা কাজের কাজ হইবো|

১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫৩

পাগলা আজিজ বলেছেন: ওরে ছাগল, রাষ্ট্রীয় ডকুমেন্ট কী রকম সাবধানে রাখা হয় সেই সম্পর্কে মনে হয় তোর কোনো ধারণাই নাই।

তোর বাপ খোঁজা লাগবে না। তোর বাপ কে সেইটা আমি এখান থেকেই বলে দিতে পারি। তোর বাপের দেশে যাস না ক্যান?

৯| ১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০২

ইকবাল পারভেজ বলেছেন:

ঐ বলদের বাচ্চা আম্লীগার, সাঈদের কাছে পাঠানো চিঠি সাইদের কাছে থাকবো, এইটা আবার সাবধানে রাখার লাইগা কি আমেরিকান প্রযুক্তি ব্যাবহার করা হইছে ৩৬ বছর আগে?? আর বাংলাদেশের অফিশিয়াল চিঠি কেম্নে রাখে, মমি কইরা?? না-কি ফ্রিজে রাখে??

১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:১২

পাগলা আজিজ বলেছেন: ওহে ছাগু, সাইদ কী ছিল? কিসের অংশ ছিল? সাইদ ছিল জেলা গভর্নর। জেলা গভর্নর কিসের অংশ ছিল? সরকারের অংশ নাকি তোর মাথার অংশ ছিল?

আর কাগজ বা চিঠি শাকসবজির মতি পঁচনশীল জিনিস এটা তোর মত প্রযুক্তিবিদের কাছ থেকে জেনে আমি ধন্য হয়ে গেলাম।

১০| ১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:২৩

ইকবাল পারভেজ বলেছেন:

ওরে আবাল লীগ, চিঠিতে দেখি টাইপ করারা সাথে আবার হাতে লেখা দুই লাইন আছে :):)

শালার পুতেরা ফেন্সিডিল আর গান্জা খাইয়া কাঁচা কাম করছে ;)

১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:০২

পাগলা আজিজ বলেছেন: ওহে ছাগু, সমীপে এবং নিবেদক হাতে লেখা থাকতেই পারে। চিঠির মূল বডিটাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে টাইপিং হয়। এটা বর্তমানেও অনেক চিঠিতে দেখা যায়। কয় ক্লাশ লেখাপড়া করেছিস রে?

১১| ১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৫৮

ইকবাল পারভেজ বলেছেন:
আওয়ামী আবাল কি কয় দেখ, চিঠি লিখবো টাইপ কইরা আবার ২ লাইন লিখবো কালি কলমে?? !!!!

বলদ কি আর গাছে ধরে!

১২| ১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৩৭

হুমায়ুন তোরাব বলেছেন: মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: জিয়া বাকশলে যোগা দিয়ে কি টাকা পাইছিল নাকি???

আমিও তাইলে বাকশালে যোগ দিমু ।

১৩| ১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৪৪

হুমায়ুন তোরাব বলেছেন: হালুম হালুম

১৪| ১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:২৬

ভালোরনি বলেছেন: এক: ধরলাম চিঠি জালি না। কিন্তু চিঠিতে কি কোথাও লিখছে যে উনি বাকশালে যোগ দিতে চায়? কিয়ের লগে কি? ধুর।

দুই: ১৯৭৫ সালের এইরকম কতো চিঠিই তো জিয়ারে লেখতে হইছে।

তিন: ভাইজান তো বল্লেন সরকারি কাগজ খুব যত্ন কইরা রাখে। তাইলে এই আবেদনের কাগজটা কই???

'বাকশালে যোগ দেওয়ার জন্য জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করেছিলেন।'

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.