![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে-কুপিয়ে মানুষ হত্যাকে গণআন্দোলন বলে না। একটা কর্মসূচির ডাক দিয়ে নিজেরা ঘরে বসে থেকে পিকেটার দিয়ে বা শিবির জঙ্গিদের দিয়ে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ বা পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ মেরে জনগণের মনে ভীতির সঞ্চার করাকে আর যাই হোক গণআন্দোলন বলা যায় না। এটা অবশ্যই সন্ত্রাসী কার্যক্রম। আর এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম যারা করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব। যারা রাষ্ট্রের এই দায়িত্ব পালনের সমালোচনা করছেন তারাও সন্ত্রাসী। "সুশীল" নামক এই সন্ত্রাসীদের থামাবে কে?
গণআন্দোলন হয় জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে, গণবিস্ফোরণে। বাংলাদেশে যত গণআন্দোলন হয়েছে তার সবগুলোরই নেতৃত্বে ছিল আওয়ামীলীগ এবং ছাত্রলীগ। না, এভাবে পুড়িয়ে বা কুপিয়ে মানুষ মেরে নয়। জনতার ন্যায্য দাবি পূরণে জনতাকে পাশে নিয়েই হয়েছিল সমস্ত আন্দোলন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৯০ এর গণআন্দোলনের ইতিহাস বাদই দিলাম। পরবর্তীতে যত আন্দোলন হয়েছে সেগুলোতেও হয়েছিল জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে গণবিস্ফোরণ।
বেশি দূরে যাব না। বিএনপি'র গত আমলের আন্দোলনের কথাই বলি। বিএনপি'র গত আমলে "ঘেরাও" আন্দোলনের নাম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছিল। না, মানুষ মেরে নয়। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ বা পেট্রোল বোমা মেরে নয়। সর্বস্তরের জনগণকে সাথে নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে এই আন্দোলন হয়েছিল বলেই বিশ্বব্যাপী এই আন্দোলনের নাম ছড়িয়ে পড়েছিল। যার ফলে অক্সফোর্ড ডিক্শনারি কর্তৃপক্ষ "ঘেরাও" শব্দটিকে ইংরেজি আন্তর্জাতিক শব্দের মর্যাদা দিয়ে তাদের অভিধানে স্থান করে দিতে বাধ্য হয়। লিঙ্ক- Click This Link
শুধু তাই নয়। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে বিশ্বরেকর্ডও গড়েছিল তৎকালীন আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় বিরোধী জোট। ২০০৪ সালের ১১ ডিসেম্বর বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা মানববন্ধন করে গিনেজ বুক ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান করে নেয় তৎকালীন সরকারবিরোধী আন্দোলন। সেদিন সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা জ্ঞাপন করতে সেই মানববন্ধনে অংশ নেয় ৫০ লক্ষ লোক, যেই মানববন্ধনটি ১০৫০ কিলোমিটার লম্বা হয়েছিল যার ব্যাপ্তি ছিল টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া।
মানববন্ধনটির গিনেজ বুক ওব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড লিঙ্ক- Click This Link)/
গোল্ডেন বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড লিঙ্ক- Click This Link
গণআন্দোলন এগুলোকেই বলে। পুলিশের লাঠি কিংবা রাবার বুলেটের ভয় না করে রাস্তায় নেমেছিল আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এবং আওয়ামীলীগ কর্মী থেকে শুরু করে সর্বস্তরের জনগণ। বিএনপি-জামাত যেটা করছে সেটা সন্ত্রাসী কার্যক্রম। মানুষ মারা আর রাষ্ট্রের সম্পদ নষ্ট করাই যাদের প্রধান উদ্দেশ্য।
২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:২৯
েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: সবচেয়ে গরিব কে?
এ প্রশ্নের জবাবে হাদীছ -এ বলা হয়েছে " ঐ ব্যক্তি সবচেয়ে গরিব - যে ক্বিয়ামতের দিনে পাহাড় পরিমাণ নেকী নিয়ে উঠবে, মনে করবে সে নিশ্চিত জান্নাতী। কিন্তু এরপর তার একের পর এক পাওনাদাররা আসবে। যাদের হক্ব সে নষ্ট করেছে। তখন তার নেকি দ্বারা তাদের সে হক্ব আদায় করা হবে। এরপরও বাকি থেকে যাবে। তখন পাওনাদারদের ( যাদের হক্ব সে নষ্ট করেছে ) গুনাহ তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে। কিছুক্ষণ পূর্বে যে ব্যক্তি ছিল নিশ্চিত জান্নাতী এখন সে ব্যক্তি হয়ে পড়বে নিশ্চিত জাহান্নামী।http://www.somewhereinblog.net/blog/AYAAJ1977/29906524
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৭
মতিউর রহমান মিঠু বলেছেন: "না, মানুষ মেরে নয়। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ বা পেট্রোল বোমা মেরে নয়।"
তাই নাকি??
শাহবাগে ১১জন মানুষকে বাসে পুড়িয়ে মারার মামলায় গত সপ্তাহে নানক ও আজম গং যে খালাস পেলো সে কি "মানুষ ফ্রাই" ছিল জনাব?? লাঠি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে মানুষ মারাকে কি ধরনের আন্দোলন বলে বলবেন কি?? ৭১ সালেও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর বন্ধ হয়নি কিন্তু আওয়ামী আন্দোলনে বন্ধ থেকেছিলো তা কি ধরনের আন্দোলন ছিল?
মানুষ পুড়ে ফ্রাই হওয়া মানে মানুষ মারা আন্দোলন না, শিখলাম।