নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেয়ালের অপর পীঠ

তব ঘৃণা বক্ষে চাপিনু, হাসিনু মুখে, জঞ্জাল তব চাপিনু পিঠে, চলিনু মহাকালে ।

দি ভয়েস

নিজেকে নিয়ে গবেষণা চলছে । জানলে জানাব ।

দি ভয়েস › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা কি পারিনা তাদের জন্য এতোটুকু করতে ?

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০৮

একটা বিষয় কিন্তু অন্নেক পাল্টে গিয়েছে, ‘ এখন আর বিয়ের সময় মেয়েদের তেমন একটা কাঁদতে দেখা যায় না । ’ :/ মেয়েদের মনঃমানুসিকতা কি ডিজিটাল হয়ে গিয়েছে নাকি আজকাল ছেলে গুলো মেয়েদের ‘ জরু কা গোলাম ’ হয়ে গিয়েছে ! ফলে বাপের বাড়ি কি আর স্বামীর বাড়ি কি একই কিচ্ছা হিসেবে মেয়ে গুলো পাইকারি দরে ভাবতে শুরু করেছে ! :/

তবে আজকাল শাশুড়ি গুলো কিন্তু অন্নেক কিউট । অনেক ভালবাসে ছেলের বউদের। কবে যেন মায়ের মুখে শুনলাম, খাবার নাকি আগের শাশুড়িরা হিসেব করে দিতেন । ভাত বেশি দিতেন না, বলতেন পেট ভরা থাকলে নাকি সব আজিব আজিব চিন্তা-ভাবনা মাথায় আসে । সাবান নাকি দিতেন না, বলতেন শরীর বেশি পরিষ্কার রাখলে নাকি কাজ কম করবে গায়ে ময়লা লাগার ভয়ে । এমন আরো অনেক কথা শোনা যায় । (এর সাথে পোস্টকারীর পরিবারের কোন সম্পর্ক নেই )
তবে এখন এসব কিন্তু ইতিহাস হয়ে গিয়েছে । বরঞ্চ এর উল্টোই দেখা যায় । তাকান একবার বৃদ্ধাশ্রম গুলোর দিকে, দেখবেন উত্তর সেখানে হতাশার বাতাস হয়ে হুহু করে বইছে । সেখানে একেকটা মুখ একেকটা করুণ জীবনের গল্প বয়ে বেড়াচ্ছে । তাদের চোখের দিকে তাকালে ভয়ে কেপে উঠবেন । সেখানে সুখের স্বপ্ন গুলো কিভাবে ঝরাপাতার মতো করে ঝরে পরছে অবিরত । কান পাতুন সেই দীর্ঘশ্বাসের মাঝে, শুনতে পাবেন সেই স্বকরুণ ঝরা স্বপ্ন গুলোর মর্মরে সুর ।

বয়স হলে নাকি ছেলেমানুষি ভাব বেড়ে যায় । বয়সের ভারে নুইয়ে পড়া শরীর খুব বেশি একটা চাপ কোলতে পারে না । ফলে অসহায়াত্ত আপনি-আপনিই চলে আসে । প্রত্যাশা বেরে যায় ছেলে-মেয়েদের কাছে । যেমন তাদের ছোট বেলায় মানুষ করা হয়েছে, তারাও চায় এই ছেলে-মেয়েদের কাছ থেকে কিছুটা তেমন স্নেহাতুর ব্যাবহার পেতে । সারা জীবনের পরিশ্রান্ত এই মানুষ গুলো চায় একটু সুখের ছোঁয়া পেতে । চায় একটু হাসিখুশি থাকতে ।

আমরা কি পারিনা তাদের জন্য এতোটুকু করতে ? পারিনা তাদের এই অধিকার টুকু নিশ্চিত করতে ! বিশেষ করে আমাদের বর্তমান সমাজের মেয়েরা স্বামী সংসারে যাবার পরই চায় সেপারেট হয়ে যেতে । এখানে ঠিক কত পারসেন্ট আমি এই দলে ফেলবো বুঝা মুশকিল । আপনাদের ভাবনা- স্বামী, সন্তান ও সংসার । আর তাদের ভাবনা- ছেলে,ছেলের বউ ও নাতি-নাতনী । খুব অন্যায় দাবী কি ?! মোটেই না, এতোটুকুন দাবী আপনিও শেষ বয়সে করতেই পারেন ।

বলার আছে অনেক কিছু, কিন্তু এই খাতা-কলমে বলে লাভ কি যদি বাস্তব জীবনে এর কোন পতিফলন না থাকে ।

নচিকেতার গানটি মনে পড়ে গেল,

“ ছেলে আমার মস্ত মানুষ মস্ত অফিসার,
মস্ত ফ্লাটে যায় না দেখা এপার-ওপার,
নানা রকম জিনিস আর আসবাব দামিদামি;
সবচেয়ে কম দামি ছিলাম একমাত্র আমি,
ছেলের আমার- আমার প্রতি অগাধ সম্ভ্রম,
আমার ঠিকানা তাই বৃদ্ধাশ্রম,
আমার ঠিকানা তাই বৃদ্ধাশ্রম,
আমার ঠিকানা তাই বৃদ্ধাশ্রম...। ” :((

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.