![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের অস্তিত্ব আমাদের পরিবেশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং সঙ্গায়িত।আমাদের অভিজ্ঞতা আমাদের গঠন করে।রূপ দেয়।এ রুপ পরিবর্তনশীল।আমি বিশ্বাস করি যে, পরিবর্তন ই একমাত্র অপরিবর্তনশীল ঘটনা।তাই পরিবর্তন ই সামনে চলার পথ।আর বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন ভালোবাসার ক্ষমতা আর স্বাধীনতার আনন্দ।এ দুটো ছাড়া আমরা অস্তিত্বের সংকটে পড়ি।পানিপোকারা পানির উপরে ভেসে বেড়ায়।বিদীর্ণ করেনা।পানি কি জানে না।নিজেকে জীবনের উপর ভেসে বেড়ানো পানিপোকার মতো মনে হয়।জীবনকে যাপন করতে ভালবাসি।প্রাণ,প্রকৃতি ও জীবনকে জানতে ভালোবাসি।
প্রাচীনকালে বিভিন্ন বিচ্ছিন্ন সমাজে স্বতস্ফূর্তভাবে ঈশ্বরের ধারণা সৃস্টি হয়েছিল।ধর্মীয় আচারে পার্থক্য থাকলেও সব জনপদের ঈশ্বরই সর্বময় ও অনাদি অনন্ত।এই জনপদের কারো সাথে কারো যোগাযোগ ছিল না।তাহলে একই গুণ কিভাবে সঞ্চারিত হল ?কোন ধর্মকে ছোট বা বড়,প্রমাণ বা অপ্রমাণ করা এই লেখার উদ্দেশ্য নয়।ব্যাক্তিগত ভাবে বিশ্লেষণের চেস্টা করেছি মাত্র।আলোচ্য ঈশ্বর ধর্মীয় বা ধর্মহীন দুটোই হতে পারে।কারণ দুটি ক্ষেত্রেই মৌলিক গুণ একই।ঈশ্বরের ধারণা বহু ঈশ্বর থেকে একেশ্বর,গ্রীক থেকে আব্বাসীয়,রেনেসার আগে পরে এভাবে ইতিহাসের ধারায় বারবার বিবর্তিত হয়েছে।কিন্তু মৌলিক গুণটি পরিবর্তিত হয়নি।তাই এই মৌলিক গুনের পেছনে মানুষের মনস্তত্ব বিশ্লেষণই প্রধান আলোচ্য বিষয়।
আমরা মানুষের ইতিহাস ভালো ভাবে জানি মাত্র চার হাজার বছরের।বাকি দীর্ঘ সময়ের ইতিহাস আমরা বিভিন্ন উপাদান বিশ্লেষণের মাধ্যমে নির্ধারণ করেছি।মানসিক বিবর্তনের মাঝ দিয়ে মানুষ আজকের মানুষ হয়ে উঠেছে।লাখখানেক বছর আগে মানুষের সাথে অন্যান্য প্রাণীর পার্থক্য ছিল শুধু শারীরিক আকৃতিতে।
এক জনপদ থেকে আরেক জনপদ ছিল বিচ্ছিন্ন।এক মহাদেশের মানুষ জানতো না তার মত মানুষ অন্য মহাদেশে বাস করে।মানসিক ভাবে বিচ্ছিন্ন পৃথিবীতে বাস করতো।এক সময় মানুষ আবিষ্কার করে আরেক জনপদের মানুষ।যারা নিজেদের বাইরে দেখা প্রথম মানুষ।বিস্ময়করভাবে মানুষ প্রত্যেক সমাজে একটা সাধারণ ব্যাপার লক্ষ্য করে যা প্রত্যেক আদিম সমাজের নিজের মৌলিক চিন্তার প্রকাশ।তা হল “ঈশ্বরের ধারণা”।
ভারতীয় এক উপজাতি হয়তো কোনদিন কালাহারি মরুভূমির কোন জনপদকে দেখেনি।কিন্তু দুই জনপদেই একজন “ঈশ্বর” আছেন।শুধু ধর্মীয় আচার আলাদা।আধুনিক ধর্মগুলোর পরস্পরের কাছে আসার সম্ভাবনা ছিল।তাই যোজন বিযোজন উপরিপাতনের সুযোগ ছিল।কিন্তু বিচ্ছিন্ন জনপদের “ঈশ্বর” মৌলিক ধারণা ছিল।
আমরা সাধারণভাবে জানি,প্রাকৃতিক ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আদিম মানুষেরা ভীতি থেকে “ঈশ্বরের ধারণা” সৃস্টি করেছে।তবে এর বাইরেও একটা কারণ আছে বলে আমার ধারণা।মানুষ তার অস্তিত্ব নিয়ে আইডেন্টিফিকেশন ক্রাইসিসে ভোগে।কেন?আমার ধারণা এর পেছনে যে দার্শনিকতা কাজ করে তার নাম “শূন্যতা”।মানুষের পরম শূন্যতা সহ্য করার ক্ষমতা নাই।পরম বাস্তব শূন্যতার ধারণা নাই।এটি আধুনিক মানুষের জন্যও প্রযোজ্য।শূন্যতা পীড়াদায়ক।তাকে কোন না কোনভাবে মানুষ কিছু দিয়ে প্রতিস্থাপিত করে।শূন্যতা যে কোন অস্তিত্বকে সংকটে ফেলে।প্রতিটি অস্তিত্ব তাই শূন্যতার সাথে যুদ্ধ করে চলে।আদিম মানুষের ভাবার ক্ষমতা ছিল না।তাই এই অনূভুত শূন্যতার নাম দিয়েছিল “ঈশ্বর”।কিছু চিন্তাগত ধারণায় সব মানুষ এক।তাই এই ধারণা সবজায়গায় গড়ে উঠেছে।“ঈশ্বরের ধারণা” ছিল সহজ সমাধান।কারন ঈশ্বর ব্যাখ্যাতীত।ফলে মানসিক ভাবে মানুষ স্বস্তি লাভ করে।
আমরা সাধারণভাবে যাকে যাকে শূন্যতা বলি তা যতটা শূন্যতার উদাহরণ তার চেয়ে বেশি কাঠামোর উদাহরণ।প্রত্যক মানুষ দু’ধরনের চেতনার মাঝে জীবন অতিবাহিত করে।প্রধানত বস্তুগত চেতনা যার একাংশ ভাবজগত নামে পরিচিত ।ভাবজগত কল্পনার পেছনে চালিকা হিসেবে কাজ করে এই শূন্যতা।আমাদের শূন্যতা নির্ধারণ করি কাঠামোর ভিত্তিতে।আমরা একটা ঘর কল্পনা করি যেখানে একটা খালি বাক্স আছে।বাক্সকে খালি বলি বাক্সের কাঠামোর ভিত্তিতে।বাক্সটি যদি না থাকে তবে ঘরটিকে খালি বলি ঘরের কাঠামোর ভিত্তিতে।অর্থাৎ আমরা কিছু শূন্য বললেই তা পরম শূন্যতার ধারনা নস্ট করে কাঠামোর উপস্থিতি।মহাশূন্যতা যেমন পৃথিবীর সাপেক্ষে।বাক্সের শূন্যতা বাক্স ছাড়া ব্যাখ্যা করতে পারি না।তাই অনন্ত শূন্যতা বাস্তবে অসম্ভব।কিন্তু কল্পনায় মানুষ তার পীড়া অনুভব করে।কারণ মানুষ অনুসন্ধিতসু প্রাণী।তাই এটি মানুষের ঐতিহাসিক দার্শনিক সমস্যা।এ সমস্যার থেকে উত্তরণের সহজ উপায় এই সমস্যার নাম দেয়া
“পরম শূন্যতা অনাদি অনন্ত এবং ব্যাখ্যার অতীত যা যেকোন অস্তিত্বের পূর্বে ও পরে সমস্তটা জুড়েই থাকে”।মানুষ এ ভাবেই এই সমস্যার সমাধান করেছে।অস্তিত্বকে ব্যাখ্যা করার সহজতম উপায়।তবে এটি জানা নয়।শুধু ধারণা।তাই ধারণাটুকু ঠিক রেখেই দার্শনিকরা বিভিন্ন সময় নানাভাবে একে ব্যাখ্যা করেছে বোধহয় জানার চেস্টায়।
২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৩৭
ধূসর পানিপোকা বলেছেন: ভালো লিখেছেন ।আমার মূল বিষয় ছিল শুধু জ্ঞানহীন আদিম সমাজের ঈশ্বর যে সমাজে কোন সাধারণ জ্ঞানও ছিল না এবং অন্যের জ্ঞান পাওয়ার ও সুযোগ ছিল না।তারা তাদের অনুভূত শূন্যতাকে ঈশ্বরের অস্তিত্ব দিয়ে প্রতিস্থাপিত করেছিল মানসিক স্বস্তি লাভের কারণে ।সেই মানুষের মনে কোন ধারণা থেকে স্রষ্টার ধারণা সৃস্টি হয়েছিল তাই বোঝার চেস্টা করেছি ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪
রওনক বলেছেন: এই বিষয়ে আমার মনোভাব এখানে লিখেছিলাম তাকওয়া