নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধূসর পানিপোকা

আমাদের অস্তিত্ব আমাদের পরিবেশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং সঙ্গায়িত।আমাদের অভিজ্ঞতা আমাদের গঠন করে।রূপ দেয়।এ রুপ পরিবর্তনশীল।আমি বিশ্বাস করি যে, পরিবর্তন ই একমাত্র অপরিবর্তনশীল ঘটনা।তাই পরিবর্তন ই সামনে চলার পথ।আর বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন ভালোবাসার ক্ষমতা আর স্বাধীনতার আনন্দ।এ দুটো ছাড়া আমরা অস্তিত্বের সংকটে পড়ি।পানিপোকারা পানির উপরে ভেসে বেড়ায়।বিদীর্ণ করেনা।পানি কি জানে না।নিজেকে জীবনের উপর ভেসে বেড়ানো পানিপোকার মতো মনে হয়।জীবনকে যাপন করতে ভালবাসি।প্রাণ,প্রকৃতি ও জীবনকে জানতে ভালোবাসি।

ধূসর পানিপোকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাদ্রাসা এবং স্কুল :প্রয়োজন একীভূতকরণের

১৫ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:৪৬

আমাদের জাতির অন্যতম প্রধান সমস্যার একটি হচ্ছে যেকোন ইসুতে পারস্পরিক সন্দেহ,অনৈক্য এবং বিভাজনের বহি:প্রকাশ ।জাতীয় প্রগতির পথে এটি বরাবর সমস্যা ।আমাদের খুঁজতে হবে এত বিভাজিত জনগোস্ঠী কোথা থেকে আসছে ।হঠাত্‍ করেই এটি তৈরি হয় না ।মূলত বিভাজিত শিক্ষা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে এ বৈষম্য তৈরি হয় ।আমাদের শুধু প্রাথমিক শিক্ষাই প্রায় এগারো ধরনের চালু আছে।আমরা আমাদের শিশুদের মনকেই যদি এগারোভাবে বিভাজিত করি তবে কিভাবে একটা ঐক্যপূর্ণ জাতি আশা করি?একে অপরকে আলাদা করার মন্ত্র নিষ্পাপ শিশুদের মনে প্রবেশ করানো হয় ।এক শিশু আরেক শিশুকে দেখে কাওকে টুপি পরে মাদ্রাসায় যেতে,ময়লা শার্ট প্যান্ট পরে সরকারি বিদ্যালয়ে যেতে আবার কাওকে টাই পরে গাড়িতে করে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে যেতে ।শিশুর সরল মনে নিজেকে আলাদা করার বিষবাষ্প প্রবেশ করে ।আর এরপর পড়াশোনা শেষে কি হয় তা সহজেই দেখতে পাই ।ইংরেজি মাধ্যমের তরুণরা সবার থেকে আলাদা মনে করে এবং তার প্রজন্মের বাকিদের ধর্তব্যের মধ্যে আনে না ।তবে সবচেয়ে সন্দেহপ্রবণতা তৈরি হয় স্কুল আর মাদ্রাসার মধ্যে ।মাদ্রাসার ছাত্ররা স্কুলের শিক্ষাকে বাজে শিক্ষা হিসেবে দেখে এবং তাদের দ্বারা অপমানিত হয়ে এ ক্ষোভ আরো পুন্জিভূত হয় ।আর স্কুলের ছাত্ররা মাদ্রাসার ছাত্রদের মেধাহীন জঙ্গী ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারে না ।এর ভয়াবহ ফলাফল আমরা গত কিছুদিন আগেও দেখেছি দুপক্ষের নানা মন্তব্যে।আমাদের এ সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে শিক্ষাব্যাবস্থা নিয়ে ভাবতে হবে ।সময় এসেছে বিভাজিত এ পদ্ধতি পরিবর্তনের ।স্কুল এবং মাদরাসা দুটোর অর্থই বিদ্যালয় ।কাজ শিক্ষা দেয়া।কি শিক্ষা দিবে সেটাই বিশ্লেষণের বিষয় ।শিক্ষা যদি হয় একটি বৃক্ষ তবে বিজ্ঞান শিক্ষা যেমন একটি ডাল তেমনি ধর্মশিক্ষা আরেকটি ডাল ।তবে কেন মাদ্রাসা আলাদা ধারা হবে ?মাদ্রাসার শিক্ষাকে পরিমার্জন ও পরিবর্ধন করে আমরা স্কুলের সাথে একত্র করতে পারি।প্রয়োজনে ধর্মশিক্ষাকে আরো ব্যাপক করতে পারি ।সাংঘর্ষিক কিছু হলে আলোচনা,ঐচ্ছিক বা অনৈচ্ছিক ইত্যাদি বিষয় উন্মুক্ত রাখতে পারি ।এতে একজন ছাত্র যেমন ধর্মশিক্ষা লাভ করবে তেমনি বিজ্ঞান শিক্ষা লাভ করবে।তারা শুধু মুয়াজ্জিন বা ইমাম হওয়ার কাজে শুধু আটকা থাকবে না ।আরো বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের নিয়োজিত করবে ।যোগ্যতায় সমান হওয়ায় এবং সব ধর্মের মানুষের সাথে শিক্ষাগ্রহণের ফলে কোন ধরনের সাম্প্রদায়িকতা তৈরির সুযোগ থাকবে না ।বেকারত্বের সুযোগ নিয়ে জঙ্গি তৈরির সুযোগ কমে যাবে ।ধর্মশিক্ষার ক্ষেত্রেও পেডাগজির সূত্রগুলো ব্যাবহারের সুযোগ তৈরি হবে এবং পরিবেশ সৃষ্ট হবে।পারলৌকিক আর ইহলৌকিক শিক্ষার মেলবন্ধন তৈরি হবে ।এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ যে জীবনের দুটো অংশের গুরুত্ব একসাথে উপলব্ধি করা ।সে অনুযায়ী উভয়ক্ষেত্রের যোগ্যতা তৈরি করার প্রয়াস সৃষ্টি করতে হবে ।এভাবে আমরা একইভাবে সব বিষয় নিয়ে ভাবতে পারে এমন জনগোষ্ঠী সৃষ্টি করতে পারবো ।জাতীয় উন্নতিতে অবদান রাখবে এমন অবিভাজিত তরুণ প্রজন্ম পাবো ।এই গোড়ায় গলদ সমাধান না করতে পারলে এই বিভাজনের সমস্যা সমাধান হবে না ।শিক্ষা জাতির মস্তিষ্ক।সেই মস্তিষ্ককে টুকরা টুকরা করে আলাদা করে রাখলে কিভাবে আমরা ভালো কিছু আশা করতে পারি?

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:০২

শাববির বলেছেন: সম্ভব না

২| ১৫ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:২০

মাহমুদুর রাহমান বলেছেন: বুয়েটে কি প্রজনন বিদ্যা পড়ানো হয়?

৩| ১৫ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:২৬

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: মাধ্যমিক শিক্ষা পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একই পাঠ্যক্রম অনুসরণ করা সম্ভব। একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা খুবই দরকার। ধর্ম, ভাষা শিক্ষা, গণিত, বিজ্ঞান, ইতিহাস, ভুগোল ইত্যাদি সকল মানুষের পড়া দরকার।
উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে সে বেছে নেবে, সে কোনটা পড়বে।

৪| ১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:৪১

ধূসর পানিপোকা বলেছেন: জানি কঠিন কাজ ।খুব কঠিন ।কিন্তু এই
কঠিন কাজটা সময়ের দাবি।@শাববির

আপনার সাথে একমত ।@শামীম

৫| ১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:৫৮

দুরন্ত সাহসী বলেছেন: অবশ্যই সময় উপযোগী বিশ্লেষণ।অসম্ভব বলে কিছু নেই।আমাদের মস্তষ্ক থেকে স্বার্থ ও ধান্ধামির রাজনীতি সরালেই সব সম্ভব।
সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষা প্রদ্ধতি চালু করা উচিৎ।তখন আর আলাদা করে মাদ্রাসার প্রয়োজনীয়তা থাকবেনা।

ধন্যবাদ লেখকে

৬| ১৫ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:০৪

ধূসর পানিপোকা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ।@সাহসী

৭| ১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৩৩

সায়েদা সোহেলী বলেছেন: গাছের শিকর কেটে দিয়ে ডালপালায় পানি দেওয়ার একটা ব্যপার আছে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা তেমনই

এই সমাজ কে বদলাতে হলে , অসাম্প্রদায়িক ( সাম্প্রদায়িকতা শুধু ধর্মে নয় প্রত্তেক মানুষের মাঝেও থাকে ) সুস্থ মানসিকতার তইরি করতে শিক্ষা ব্যবস্থাপনার পরিবর্তন অবশ্যই প্রয়োজন

শিশু কালেই আমাদের মস্তিষ্ক নরম কাদামাটির মত থাকে তাকে চাইলেই বিবেকবোধ সম্পূর্ণ একজন পরিপুর্ন মানুষের রুপ দেয়া সম্ভব তা না করে আমাদের শুশিল রা সেই মস্তিষ্কের বিভাজন করে চলেছে সবাই নির্বিকার :(

লেখক কে ধন্যবাদ

৮| ১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:০০

ধূসর পানিপোকা বলেছেন: সুন্দর কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ@সোহেলী

৯| ২০ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:৫৮

বোকামন বলেছেন:
পারলৌকিক আর ইহলৌকিক শিক্ষার মেলবন্ধন তৈরি হবে

লেখক কে আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ....

১০| ২০ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:১২

ধূসর পানিপোকা বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.