নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

টয়লেট এর ভেন্টিলেটার দিয়ে আশার আলো দেখতে পাই, এই দেশের কিছু হবেনা

চোখ বুজলেই মহাশুন্নে পোওছে যাই, স্পেস সুট না থাকার কারনে দীর্ঘ সময় অবস্থান করতে পারিনা

হেমায়েতপুরী

আমার অনেক কষ্ট, একই রুমএর মধ্যে অনেক জনকে আটকে রেখেছে ওরা,

হেমায়েতপুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংকটে হেফাজত - ফেবু থেকে

০৯ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:২৫

কওমী মাদ্রাসা কেন্দ্রীক সংগঠন হিসেবে আন্দোলনের কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করতে বিপাকে পরেছে হেফাজতে ইসলাম। একদিকে সরকারের মামলার হুমকি, অন্যদিকে স্থানীয় আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে মাদ্রাসা সমূহে হামলার আশঙ্কা থেকেই এই সংকটের শুরু। গণহত্যা ইস্যুতে প্রবল জনমত এখন হেফাজতের সমর্থনে, অন্যদিকে সংগঠনের ভেতর থেকেও আন্দোলনের জন্য তীব্র চাপের সম্মুখিন হেফাজত নেতৃবৃন্দ। রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামী নেতৃবৃন্দ যেখানে সরকারের মামলার মুখে আত্মগোপন করেও আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারছে, সেক্ষেত্রে মাদ্রাসা ভিত্তিক সংগঠন হওয়ায় হেফাজতের জন্য ব্যাপারটা প্রায় অসম্ভব। মাদ্রাসা বন্ধ করে শিক্ষকরা পালিয়ে গেলে শিক্ষাকার্যক্রম বাধাগ্রস্থ হবে। অন্যদিকে ছোট ছোট মাদ্রাসা গুলোতে স্থানীয় আওয়ামীলিগের সন্ত্রাসীরা নিয়মিতই হামলা ভাংচুর করে মাদ্রাসা বন্ধ করে দিতে পারে। এমতাবস্থায় মাদ্রাসা শিক্ষা টিকিয়ে রাখার স্বার্থেই আন্দোলন শুরু করার পূর্বে দ্বিতীয়বার ভাবতে হচ্ছে হেফাজতকে। রবিবারের হরতাল প্রত্যাহারের মাধ্যমেই ব্যাপারটি প্রকাশ্য আসে।

এমতাবস্থায় রাজপথে শহীদের লাশ ফেলে রেখে ঘরে ফিরে যেতে পারছেনা হেফাজতে ইসলাম, অন্যদিক দাবী আদায়ে কঠিন কর্মসূচীও দিতে পারছেনা। হেফাজতে ইসলামের সামনে এখন দুটো বিকল্প খোলা আছে, প্রথমত তারা মাদ্রাসা ছেড়ে বিকল্প নেতৃত্বের আওতায় আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারে। অথবা, প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে গোপন সশস্ত্র আন্দোলন শুরু করতে পারে। তবে দ্বিতীয় অপশনটি সম্ভবত চলমান বিশ্বপরিস্থিতির কারণে গ্রহণ করবেনা হেফাজতে ইসলাম। তবে ভবিষ্যতই বলে দিবে কিভাবে পরিস্থিতি সামাল দেয় হেফাজতে ইসলাম এবং ১৩দফারই বা ভবিষ্যত কি হবে! এদুটি বিকল্পের বাইরেও আল্লাহর সাহাজ্য বলে একটা ব্যাপার আছে, হয়তো আন্দোলনের নতুন কোনো চমক আসছে। আমরা অপেক্ষায় আছি আল্লাহর সহায়তার

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৩২

মোমের মানুষ বলেছেন: হেফাজতের আন্দোলন একটি গনমানুষের আন্দোলন, এখান থেকে পেছনে তাকানোর সুযোগ নেই, বিশেষত এত বড় একটি গনহত্যা হওয়ার পর আর বসে থাকার সময় নেই। আমাদের সামনে সুদিন আছে। হাজার হাজার আলেমের রক্ত বৃথা যেতে পারে না।

০৯ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৩৬

হেমায়েতপুরী বলেছেন: সহমত.।।।

২| ০৯ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৫২

নষ্ট ছেলে বলেছেন: ঠিক কতজন নিহত হয়েছে তার ১০০% প্রমাণ কারো কাছে নেই। ধরে নিলাম গণহত্যাটা একটা গুজব কিন্তু এটা সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে ব্যাপক ভাবে। দশ মিনিট সব লাইট বন্ধ ছিল, মুহর্মুহ গুলির শব্দ এগুলো প্রায় সব মিডিয়াই বলছে কিন্তু এই সময়টায় কি হয়েছিল তা কেউ বলছে না এমন কি এই সময়ের কোন ভিডিও নেই। এই কারণেই গুজবের সত্যতা নিয়ে মানুষে মনে সন্দেহার মাত্রা অনেক বেশি বেড়েছে। আবার মাদ্রাসাগুলোতে পুলিশের রেইড, ছাত্রলীগের হুমকি-ধামকিকে সাধারণ মুসলমানরা ভাল চোখে দেখছে না। কেউ প্রকাশ না করলেও মানুষের মধ্যে একটা চাপা ক্ষোভ কাজ করছে।

৩| ১০ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:০৯

ল্যাটিচুড বলেছেন: হেফাজতিরা প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে গোপন সশস্ত্র আন্দোলন শুরু করতে পারে। চলমান বিশ্বপরিস্থিতির কারণে হেফাজতে ইসলাম সশস্ত্র আন্দোলন না করতে চাইলেও সরকার যদি এদের কথা বলার সুযোগ না দিয়ে আরো হার্ড লাইনে যায় তাহলে - যে সব দেশ আমাদের ভালো চায় না তারা মনে হয় না এমন সুবর্ণ সুযোগ হেলায় হারাবে, একটা দেশকে দুর্বল করতে এমন একটি সুযোগ শত বছরে অনেক সময় তৈরী সম্ভব হয় না, তাই যেভাবেই তারা চেষ্টা করবে মোল্লাদের হাতে অস্ত্র তুলেদিতে এবং বাংলাদেশকে আফগানস্থান, পাকিস্থানের মত একটি অকার্যকর পুতুল রাষ্ট্রে পরিণত করতে।

সুতারাং হেফাজতের ব্যাপারে সরকারকে আরো কৌশলী হতে হবে যাতে - ভিনদেশী কেও এদের অপব্যবহার করে দেশের দির্ঘমেয়াদী ক্ষতি না করতে পারে।

৪| ১০ ই মে, ২০১৩ ভোর ৬:০৫

মিতক্ষরা বলেছেন: হেফাজত রবিবারের হরতাল প্রত্যাহার করে ভাল একটি কাজ করেছে। কোনভাবেই নাশকতা মূলক কাজে জড়ানো উচিত হবে না। হরতালে মূলত ক্ষতি হয় সাধারন মানুষের। এছাড়া হেফাজত একটি অরাজনৈতিক আন্দোলন। সেই ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখা উচিত। এমনিতে সভা সমাবেশ ও জনসংযোগের দ্বারা নিজেদের অবস্থান অটুট রাখা দরকার।

৫| ১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ৭:০২

শিক্ষানবিস বলেছেন: আমার মনে হয় তাদের উচিত :
১. ঘোষণা দিয়ে সব কর্মসূচী স্থগিত রাখা।
২. জরুরী ভিত্তিতে শহীদ ও নিখোজদের তালিকা প্রস্তুত করা
৩. যারা হত্যাকান্ড চালিয়েছে তাদের সম্পের্ক তথ্য যোগার করে মামলার ফাইল তৈরী করা।
৪. ঘরোয়াভাবে বসে নিজেদের ঐক্য সংহত রাখা ও শক্তিশালী করা।
৫. মাদরাসাগুলো সচল করা। এ জন্য প্রয়োজনে স্থানীয় আওয়ামী নেতাদের সহযোগিতা চাওয়া।
৬. সরকারের কাছে কোন দাবী নয়, এমন ঘোষণা দেয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.