নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি স্বাধীন দেশের পরাধিন মানব । স্বাধিন ভাবে বলতে চাই ,জানাতে চাই ,শিখতে চাই ,চাই বাক স্বধিনতা ।

সীমান্তের ঈগল(পরাজিত বীর)

আমি স্বাধীন দেশের পরাধিন মানব ।

সীমান্তের ঈগল(পরাজিত বীর) › বিস্তারিত পোস্টঃ

চার ছবি নিয়ে আজকের বাংলাদেশ

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৪:১৫















চার ছবি নিয়ে আজকের বাংলাদেশ।
প্রথম দুটো ছবি গতকালকের, শহীদ মিনারে।
তৃতীয়টি ঢাকার স্থবির রাস্তায় দৌড়ে পালানো দু'জন হবু চিকিৎসকদের।
সর্বশেষটি অনলাইনে বহুল প্রচারিত ছবি-ফাঁস হওয়া প্রশ্ন নিজেরা দেয়া নেয়া করে মেডিকেলে চান্স পাওয়ায় রেস্টুরেন্টে সবাই মিলে সেলিব্রেট করার ছবি।
আসুন তুলনা করি।
প্রথম ছবি এবং শেষ ছবির প্রত্যেকটা ছেলে মেয়ের চোখ।
আকুতি বনাম ঔদ্ধত্য।
সততা বনাম দূর্বৃত্তপনা।
"বাপের টাকা আছে, মামার জ্যাক আছে-আমরা সব কিনতে পাড়ি সব" বনাম "আর কত বার প্রতারিত হবো-কার কাছে যাবো"।
শহীদ মিনার মানে লোহার বেষ্টনীর পেছনে উদীয়মান লাল সূর্য। শহীদের রক্তে সেই লাল সূর্য উজ্জ্বলতর হয়ে লোহার বেষ্টনীর মত যত অন্যায় বাঁধা ভাঙ্গার শক্তি জোগায় শহীদ মিনার, বাঙালীর ন্যায় সংগত দাবী আদায়ের প্রথম সাফল্য। অথচ দ্বিতীয় ছবিটা আমার সেই আত্মবিশ্বাসকে নাড়িয়ে দিল। শহীদ মিনার অন্ধকার, লোহার বেষ্টনীর পেছনে একটা সার্চ লাইট, সামনে একদল অনশনরত শিক্ষার্থী। একটা মাত্র পরীক্ষা বাংলাদেশকে দু'ভাগ করে দিল। যারা চোর ছিল, যারা অসৎ ছিল তারা বিন্দুমাত্র লজ্জিত নয়, আর যারা সৎ,তাঁদের সততার প্রমাণ দেয়া লাগে রাজপথে, পুলিশের বুটের নিচে, টিভি টকশোতে, শহীদ মিনারে আমরণ অনশনে।
সবাই জানে, তবুও আশ্চর্য নিষ্ক্রিয়। "প্রশ্ন ফাঁস হলে হোক, প্রশ্ন দূর্নীতির মাধ্যমে সহজ করা হলে হোক, ফলাফল প্রকাশে যতই ত্রুটি-ভ্রান্তি থাকুক যে কোন মূল্যেই চোরদের ভর্তির করতে হবে, বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সবগুলো সিট ভরা থাকা চাই, ব্যবসায়ীদের পূর্ণ ব্যবসা চাই, প্রত্যেক স্টাটাস ওয়ালা বড়লোকের ছেলে মেয়ের ডাক্তারি পড়া চাই"।
ঢাকা মেডিকেলের দুজন হবু চিকিৎসক এপ্রন পড়া অবস্থায় দৌড়ে পালাচ্ছে আত্মরক্ষায়, এটাই তো চায় ওরা। বাংলাদেশের চিকিৎসকেরা দৌড়ে পালাক, দৌড়ে পালাক গুটিকয়েক চুনোপুঁটি, স্বাস্থ্য সেবার মান দৌড়ে পালাক, চিকিৎসকদের আত্মসম্মান দৌড়ে পালাক, বাংলাদেশের সততার প্রয়োজন নেই।
"যে অপরাধের শাস্তি দেবার কেউ নেই সেটা পাপ..."
সকল বাঁধা, হুমকি, একগুঁয়েমি-পাপের শাস্তি জ্যাক, অর্থবিত্ত মানে না
একটা ছবি বলে দেয় সব।
সাদা এপ্রনের উপর বজ্র মুষ্ঠি, শর্টগান, টিয়ার সেল লঞ্চার, আরেক হাতে ধরা ওয়াকিটকি। পেছন থেকে ডিএসএলআর হাতে সাংবাদিক। রঙ্গ মঞ্চের দর্শক বাসের জানালা থেকে ভীত চোখে তাকানো একজন সাধারণ মানুষ।ডাক্তাররা কতটা ক্ষুব্ধ, অপমানিত হলো স্বভাব গোবেচারার খোলস ফেলে রাস্তায় বেড়িয়ে আসে। ডা মিলনের প্রেতাত্মা কানে কানে মন্ত্রণা দিয়ে যায়-"হে চিকিৎসক সমাজ জেগে উঠো, হে চিকিৎসক সমাজ প্রতিবাদ করো"! হ্যাঁ ঢাকা মেডিকেল কলেজের লেকচার গ্যালারি, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ক্লাস রুম, শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ, বরিশালের ক্যাম্পাসের স্লোগান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে(পিজি) লাইব্রেরিতে ঘাড় গুঁজে পড়াশোনা করা নিরীহ ডাক্তার, মেডিকে শিক্ষার্থীরা কাল আবারো প্রতিবাদে ফেটে পড়েছিল।
এত বড় একটা অন্যায় চাপা পড়ে যাবে? বাংলাদেশের বিবেক এত সহজে বিক্রি হবে? রঙ্গ মঞ্চের দর্শক এই দেশের প্রতিটি মানুষ জানে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে, সাংবাদিক ডিএসএলআর হাতে যে অন্যায় খুঁজছে সে জানে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে, এমনকি গত সপ্তাহে যে পুলিশেরা মহিলা চিকিৎসক এবং মেডিকেল শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত দিয়েছে তারাও জানে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। জানে না শুধু চেয়ার সর্বস্ব টাকাভুক ক্ষমতাভুক প্রাণী।
চিকিৎসদের প্রতি সাধারণ মানুষের যতই বিদ্বেষ থাকুক অন্তত মেধার কারণে শ্রদ্ধা ছিল, কফিনের শেষ পেরেক হিসেবে সেই শ্রদ্ধাটুকু কেড়ে নিল। প্রত্যেকটা মেডিকেল ক্যাম্পাসে, মেডিকেল কম্যুনিটিতে নিজেদের প্রতি নূন্যতম যে শ্রদ্ধাবোধ ছিল সেটা নষ্ট হলে ফলাফল কী হবে...


সংগৃহীত ও সংযোজিত ।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৫:৪৫

কানিজ রিনা বলেছেন: ফলাফল হবে কাঁঠাল, রাস্তায় টেবিল নিয়ে বসে
বলবে আমি সবদার ডাকতার ইয়া বড় নাম তার
জুরি মিলা ভাঁড়।

২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:০৬

সাদী ফেরদৌস বলেছেন: তিন নম্বর ছবিটা প্রথম আলো থেকে নেয়া হয়েছে । এটা প্রথম আলোর ভণ্ডামি ,খুব কাঁচা হাতের কাজ । খুব এক্সাইটেড হইয়া তারা ছবিটা দিয়েছিল । কিন্তু একটু ভুল করে ফেলেছে তারা । বন্দুক ধরার গ্রিপ আছে, ট্রিগার গার্ড আছে, সেখানে হাত নেই। বন্দুকটা ধরলো কোথায়? ফেভিকল দিয়ে হাতে লাগিয়ে রেখেছে পুলিশ?


=p~ =p~ =p~ =p~ =p~

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৯

সীমান্তের ঈগল(পরাজিত বীর) বলেছেন: এর নাম ভন্ডামি তথ্য সন্ত্রাস !!!এর উলটা ঠিক অসত্য জিনিষ সত্যতে রূপান্তরিত করতে আমরা দ্বিধাবোধ করবনা ।তবে দাদা যাই বলুন বন্দুকের নল বলুন লাঠি বলুন কাজ ঠিক হয়েছে ???
জনাব এই লিঙ্ক টা ক্লিক করে দেখুন ছবি আছে ।
চোখে দিয়াছি কালো চশমা , কানে দিয়াছি তুলা, তোমরা যা বলার বল, কিছু দেখবো না কিছু শুনবো না.. শুধু বলব সব স্বাধীনতা বিরোধী চক্রান্ত !!!!

আর এই ছবিটার বেলায় কি বলবেন জনাব ???

৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০১

সাদী ফেরদৌস বলেছেন: তবে হ্যাঁ পুলিশের ভয়ানক অত্যাচারের যে ছবি গুলা দেখি সেগুলা সত্য

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৩

সীমান্তের ঈগল(পরাজিত বীর) বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১২

প্রামানিক বলেছেন: বলেও লাভ নাই।

৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৩:৫০

দূরে থাকা মেঘ বলেছেন: হুম,ওখানে কেবল দুইজনেই আছে দেখছি!! ভাই, চান্স পাইসে ঠিক, ক্লাস করবো, ভুয়া ফাপর মারবো, পরে ক্লিয়ার হবেনা, কোনমতে হয়ে গেলেও প্রফে যে বাঁশগুলান খাইবো,তখন মেডিকেলে পড়া ছুইটা যাইবো। আর যদি বাপের টাকা ঢাইলা ফাইনাল প্রফও পাশ কইরা ফালায়,চিন্তা কইরেন না,রোগী পাইবোনা। আর ওই অসহায় চোখের মাঝখান দিয়া মেধার জন্য টানাটানি। এই অসহায় স্বপ্নভঙ্গের মুখের বাচ্চাগুলো একসময় তাদের এই দু্ঃসময় কাটিয়ে উঠবে,আর যেখানেই পড়বে,দেখবেন,খুব ভালো করবে। কেবল অর্থ আর আমাদের নৈতিক চরিত্রের খানিকটা নমুনা তাদের এতো আগেই দেখতে হলো :(

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৩

সীমান্তের ঈগল(পরাজিত বীর) বলেছেন: সুন্দর বলেছেন জনাব ।ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.