![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি স্বাধীন দেশের পরাধিন মানব ।
মুক্তমনা লেখক, ব্লগারদের ওপর হামলা ও হত্যাকা- চলছেই। রাজধানীর লালমাটিয়ায় ব্লগার অভিজিত রায়ের বইয়ের প্রকাশক শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী আহমেদুর রশীদ টুটুলসহ দুই জনকে কুপিয়ে আহত করার চার ঘণ্টার মাথায় শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে। দ্বীপন অভিজিৎ রায়ের বইয়ের প্রকাশনা সংস্থা জাগৃতির কর্ণধার বলে জানা গেছে।
-কোনো হত্যাকাণ্ডকে আমরা (মুসলিমরা )সমর্থন করি না।সব হত্যাকান্ডের নিন্দা করি। দেশের আইনের শাসন ও জবাবদিহিতা না থাকায় আর সরকারের এই ধর্ম নিয়ে কটুক্তিকারিদের ব্যাপারে নিরবতায় এই ধরনের নৃশংস হত্যাকান্ড ঘটছে। আমরা মনে করি, আমাদের পরস্পরের সংবেদনশীল বিষয়গুলো সম্পর্কে সম্মানবোধ থাকা উচিত। যে যে ধর্মেরই লোক হোন না কেন অপরের ধর্ম নিয়ে কটুক্তি ও কটাক্ষ করা উচিত নয়। একজন হিন্দুর উচিত নয় ইসলাম, রাসুল ( সাঃ ) ও আল্লাহকে নিয়ে কোনো কটুক্তি করা। তেমনি কোনো মুসলমানেরও উচিত নয় হিন্দু ধর্ম বা অন্য ধর্ম সম্পর্কে কটুক্তি ও কটাক্ষ করা।
দীপনের বাবা অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন ‘যারা দীপনকে (ফয়সাল আরেফিন) হত্যা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই। আমি তাদের বিচার চাই না। তারা ভালো থাকুক। তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। জানি, বিচার চেয়ে কোনো প্রতিকার হবে না।’
একটু পরে খানিকটা ক্ষোভের সঙ্গেই বলে উঠলেন, ‘এখানে যে ধর্ম নিয়ে ক্রিয়া এবং প্রতিক্রিয়া, একপক্ষ ধর্মের পক্ষ নিয়ে দাঁড়িয়েছেন, আরেক পক্ষ ধর্ম নিরপেক্ষতা নিয়ে দাঁড়িয়েছেন। এটা করে জাতিকে চরম বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে গেছেন। জঙ্গিবাদবিরোধী আন্দোলন, মৌলবাদবিরোধী আন্দোলন যত হবে, তত আরও ক্ষয়ক্ষতি বাড়বে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ধর্ম বা ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দিয়ে গণতন্ত্র এবং সমাজতন্ত্র নিয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে যদি রাজনীতি করা যায়, তবেই মঙ্গল হবে।
২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩১
ফারুক এহসান বলেছেন: স্যারের জন্য খারাপ লাগছে। আসলেই আমরা নাস্তিক-আস্তিক স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ আওয়ামীলীগ-বিএনপি দিয়ে বিভক্ত করে সবাই মিলে আত্মঘাতী লড়াইয়ে জড়িয়ে পুরোপুরি অকার্যকর রাষ্ট্র এর দিকে এগুচ্ছি।
৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৮
সীমান্তের ঈগল(পরাজিত বীর) বলেছেন: বেশ কয়েক বছর যাবত দেখছি একটা দুঃসাহসিক ঘটনা ঘটার কয়েকদিন পরই আরেকটি ঘটনা। কোনটা রেখে কোনটা শিরোনাম করবে বিভিন্ন মিডিয়া। একটার নিচে আরেকটা চাপা পড়ার জন্যই কি এ অপকর্ম। একটু চিন্তা করুন প্লিজ। কোথায় যাচ্ছি আমরা? কি হবে আমাদের দেশের। কয়দিন এভাবে বজ্রশক্তি দিয়ে সরকার দেশ পরিচালনা করবে? তারপর আমাদের কি হবে? সকল বিবেকবান মানুষ একটু ভাবুন প্লিজ। পরবর্তীতে আমি কোথায় যাব, আমার ছেলেমেয়েরা কোথায় যাবে। আমরা কি ধীরে ধীরে কারো শত্র“তে পরিণত হচ্ছি কিনা সেটাও ভাবার সময় এসেছে।
৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৯
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ‘ধর্ম বা ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দিয়ে গণতন্ত্র এবং সমাজতন্ত্র নিয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে যদি রাজনীতি করা যায়, তবেই মঙ্গল হবে।
এইতো, ঠিক কথাই বলে দিয়েছেন। এই কারণেই অনেকের পেছনদিকে আগুন জ্বলা শুরু হয়েছে।
৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:০২
মিতক্ষরা বলেছেন: অতীত তো ফেরানো যাবে না। বর্তমান এবং ভবিষ্যতকে নিয়েই কাজ করতে হবে। এই ভয়ানক জংগিবাদকে কি করে মোকাবেলা করা হবে - সেটা নির্ধারন করাই এখন প্রথম কাজ।
৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৪৭
সোহানী বলেছেন: এভাবে আর কতদিন চলবে.... আমরা কি শুধু হীরক রাজ্যেই নই জংলী রাজ্যে আছি বটে। তোমার ভালো লাগে না তুমি পড়ো না, তোমার ভালো লাগে না তুমি নতুন করে লিখো... কিন্তু হত্যাই কি চিন্তাকে মেরে ফেলতে পারে????? জানিনা এ কোন দেশে কোন যুগে বাস করছি... তীব্র প্রতিবাদ জানাই এ হত্যার..এ অন্যায়ের... এ মৃত্যুর....
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:০৫
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: জঙ্গিবাদবিরোধী আন্দোলন, মৌলবাদবিরোধী আন্দোলন যত হবে, তত আরও ক্ষয়ক্ষতি বাড়বে।’
স্যারের জন্য ভীষন খারাপ লাগছে