নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি স্বাধীন দেশের পরাধিন মানব । স্বাধিন ভাবে বলতে চাই ,জানাতে চাই ,শিখতে চাই ,চাই বাক স্বধিনতা ।

সীমান্তের ঈগল(পরাজিত বীর)

আমি স্বাধীন দেশের পরাধিন মানব ।

সীমান্তের ঈগল(পরাজিত বীর) › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক জন চরম হতাশাগ্রস্থ বাবার আর্তনাদ, ক্ষোভ, অভিমান......‘আমি কোনো বিচার চাই না’।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫১






শুরুতেই বলে নেই ,যে যে ধর্মেরই লোক হোন না কেন অপরের ধর্ম নিয়ে কটুক্তি ও কটাক্ষ করা উচিত নয়। একজন হিন্দুর উচিত নয় ইসলাম, রাসুল ( সাঃ ) ও আল্লাহকে নিয়ে কোনো কটুক্তি করা। তেমনি কোনো মুসলমানেরও উচিত নয় হিন্দু ধর্ম বা অন্য ধর্ম সম্পর্কে কটুক্তি ও কটাক্ষ করা।

এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না
এই জল্লাদের উল্লাসমঞ্চ আমার দেশ না
এই বিস্তীর্ণ শ্মশান আমার দেশ না
এই রক্তস্নাত কসাইখানা আমার দেশ না..




কেন এত অভিমান এই বাবার ?? কি কারনে এই কথা গুলি মিডিয়ার সামনে বললেন ??সরকার,প্রশাসন,আইন,পুলিশের প্রতি্ নেই কেন ভরসা ?? কি কারনে একের পর এক অরাজকতা ও হত্যা খুন হচ্ছে বিদেশি সহ দেশের মানুষ ?? আর কি করে আমাদের দেশের প্রশাসন ?? পুলিশ কি শাসকের গুলামি করবে ?? তারা কি এই জন্যেই তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্যই স্বপথ নিয়েছে ? কি আছে ভবিষ্যতে এই লাল বসবুজের পতাকার এই বাংলাদেশে ? আছে কি এর জবাব কারো ?? হে জনগন বাংলার মানুষেরা এখনো সময় আছে ঘুম থেকে জাগ্রত হও নয় তো জেগে উঠে দেখবে গলায় ভিক্ষার ঝুলি !!!
.....



‘আমি কোনো বিচার চাই না’--------- সত্যি অসাধারণ! অসাধারণ মানুষের অসাধারণ ও বাস্তবধর্মী উক্তি!!! তাইতো কার কাছে বিচার চাইবে, কিসের বিচার চাইবে!!! এদেশের কি সুবিচারবিচা পাওয়া যায়???একজন চরম হতাশাগ্রস্থ বাবার আর্তনাদ, ক্ষোভ, অভিমান....... জিডিটাল সরকারের কাছে এনালগ আর্তনাদ মনে হয় বার বার। তাই তো দেশের এই অবস্থা...... ভীষণ সংগিন, বড় বেশি ভঙ্গুর।
আমি কোনো বিচার চাই না। আমি চাই শুভবুদ্ধির উদয় হোক। যাঁরা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ নিয়ে রাজনীতি করছেন, যাঁরা রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছেন, উভয় পক্ষ দেশের সর্বনাশ করছেন। উভয় পক্ষের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। এটুকুই আমার কামনা। জেল-ফাঁসি দিয়ে কী হবে।’- বাবা হয়ে যে প্রতিবাদী শব্দগুলো উনি বলেছেন এর চেয়ে সুন্দর প্রতিবাদী বাক্য পৃথীবিতে আছে বলে আমি মনে করি না। ধন্যবাদ স্যার আপনাকে।
দেখুন সরকার বাহাদুর, আপনাদের উপর জনতার কতটুকু ভরসা। একজন বাবা তার ছেলে হত্যার আর বিচার চাননা। কারন উনি জানেন, আসল অপরাধী না ধরে যাকে ধরলে আপনাদের উপকার হবে তাদেরই ধরবেন। আর কত নিরীহ মানুষের রক্ত ঝরলে আপনদের বিবেক জাগবে ?
যারাই এ ন্যাক্কারজনক ঘটনাগুলো ‍ঘটিয়েছে বা ঘটিয়ে চলছে, তাদের ধিক্কার জানাই। প্রতিনিয়ত যে নানা প্রকারে, নানা শ্রেণী-পেশার, দেশী-বিদেশী খুন হচ্ছেন, এর কি কোন শেষ নেই ? দেশে কি এভাবেই চলতে থাকবে ?

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫২

কানিজ রিনা বলেছেন: যারা এভাবে খুন করছে এদেশে শুধু কি তারাই
থাকতে চায়। তাহলে প্রকাশ্যে বলা হোক।
যে একজন মানুষকে খুন করল সে আমার পুরা
মানব সৃষ্টিকে খুন করল। সয়ং আল্লহুর বানী।
হে আমাদের সন্তানেরা কোথায় তোমাদের সেই
আদরশ। তোমরা তোমাদের একভাই আর এক
ভাইকে খুন করছ। তোমাদের মায়ের মায়ের কাছে
জিগ্গাসা কর আমি আর এক মায়ের সন্তানকে।
খুন করেছি, নিশ্চয় মা তোমাকে এমন অনুমতি
দেয় নাই। এই অভিশাফ সারাজীবন বয়ে বেড়াতে
হবে।

২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৩

বিপরীত বাক বলেছেন: পচন অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে এখন গলে গলে পড়ছে তো তাই গন্ধ বেশি ছুটেছে।।।

৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:৪৮

সীমান্তের ঈগল(পরাজিত বীর) বলেছেন:





সাক্ষাৎ​কার :
আবুল কাসেম ফজলুল হক, ফয়সল আরেফিনের বাবা



প্রথম আলো: আপনি ছেলে হত্যার বিচার চান না কেন?

আবুল কাসেম ফজলুল হক: বিচার চেয়ে আর কী হবে? এ দেশে রাজনৈতিক সমাধান যতক্ষণ পর্যন্ত না হচ্ছে, ততক্ষণ আইনগত কোনো সমাধান সম্ভব না। আমরা শূন্যের মধ্যে ভালো কিছু খুঁজছি। এটা পাওয়া সম্ভব না। আমার কাছে মনে হয়, আগে এটা আদর্শগত ও রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে।

প্রথম আলো: আপনি কি আবেগ বা ক্ষোভ থেকে বিচার প্রত্যাখ্যান করেছেন, যেমনটি একের পর এক সাংবাদিক খুন হওয়ার পর খুলনার সাংবাদিকেরা বিচার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন?

ফজলুল হক: শোনো, এটা মোটেও আবেগ বা ক্ষোভের বিষয় নয়। আমি এটা ভেবে ও নিজের যৌক্তিক বিবেচনাবোধ থেকে বলেছি। কেন বলছি—সেই জবাব এখন তোমাকে দেব না। দীপনের জানাজা ও দাফন হয়ে যাক। এরপর কোনো এক সময় বলব। এখন এটুকু বলতে পারি, বিচার দিয়ে বা আইন-আদালত দিয়ে আমরা একজনকে শাস্তি বা জেল-ফাঁসি দিতে পারি। কিন্তু যদি দেশের সার্বিক উন্নতি না হয়, সবার বিচার তো আর হবে না।
প্রথম আলো: ছেলে হত্যার ঘটনায় মামলা করবেন কি না?

ফজলুল হক: নিয়ম অনুযায়ী মামলা করব। আমি আইন মেনে চলি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, একটা দরখাস্ত লিখে দিতে। আমি আজ না পারলে আগামীকাল লিখে দেব। তবে তার মানে এই নয় যে, আমি এটার ওপর নির্ভর করি। আমি শুভ বুদ্ধির জাগরণ চাই। সেই জাগরণ হতে হবে সমাজে, রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে।

প্রথম আলো: একের পর এক ব্লগার খুন হওয়ার এখনকার এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায় কী?

ফজলুল হক: এর জবাব দেওয়ার আগে তুমি আমাকে বলো, কেউ কি এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চায়? কেবল আইনের বিচারে একের পর এক হামলা বা হত্যার সমাধান হবে না, এ সংকট থেকে বাঁচতে আদর্শগত রাজনৈতিক সমাধান প্রয়োজন। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি বা বামপন্থী—কেউই কি এখনকার পরিস্থিতি থেকে বের হতে চায়? আমরা ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি চেয়েছিলাম, তা পেয়েছি। আমরা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন দেশ চেয়েছিলাম, সেটিও পেয়েছি। কিন্তু এরশাদবিরোধী আন্দোলন করে যে গণতন্ত্র আমরা চেয়েছি, সেটি পাইনি। কারণ ওই চাওয়ার মধ্যে ভুল ও বিভ্রান্তি ছিল। সেই ভুলের খেসারত আজও আমরা দিচ্ছি। আমরা তখন গণতন্ত্রের কথা বলেছি, সংসদীয় গণতন্ত্রে ফিরেছি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার চালু করেছি আবার মুছে ফেলেছি। কিন্তু কোনো চাওয়াই পূর্ণতা পায়নি।

প্রথম আলো: তাহলে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন কি ঠিক ছিল না?

ফজলুল হক: স্বৈরাচারের পতন দরকার ছিল। কিন্তু সেই আন্দোলন হয়েছিল নানা শক্তির মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে, সামনে ছিল সুশীল সমাজের কিছু লোকজন। ফলে ত্রুটিপূর্ণ ওই আন্দোলনের চরিত্র অনুযায়ী এখন দেশ চলছে। ওই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আজকের নতুন রাজনৈতিক ধারা তৈরি হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে এর চেয়েও খারাপ অবস্থা তৈরি হতে পারে।

প্রথম আলো: এখান থেকে ফেরার উপায় কী?

ফজলুল হক: আমাদের মুক্তি ও উন্নতির জন্য ২৮ দফা কর্মসূচি নিয়ে স্বদেশ চিন্তা সংঘ অনেক দিন ধরে কাজ করছে। আমরা বলছি, নির্বাচন সর্বস্ব গণতন্ত্র থেকে বের হতে হবে। তা না হলে সব মানুষের সম্মানজনক অবস্থান নিশ্চিত হবে না। এমন রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে হবে, যারা শুধু ঐক্যের কথা বলবে না, কাজেও এর প্রমাণ দেবে। অনেকেই কথায় কথায় আজকাল বলেন, ঐক্য দরকার। কিন্তু আমার প্রশ্ন—তাঁরা কি আসলেই এটা চান। চাইলে এত দিনেও তা হয় না কেন? আমাদের এখন একটি সংকল্প ও কর্মসূচির ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, ওই ঐক্য যেন লুটপাট ও ভাগাভাগির জন্য না হয়।

৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৮

সীমান্তের ঈগল(পরাজিত বীর) বলেছেন: একজন সন্তানের শোকাহত পিতার মুখে শোলা গেল দেশের এই অজারকতা ও সংকটময় থেকে মুক্তির উপায় । হায় আফসুস !!! যদি শাসকগুষ্ঠি এই কথা যদি শুনত !!!

৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৫

নিমগ্ন বলেছেন: আফসোস!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.