নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি স্বাধীন দেশের পরাধিন মানব । স্বাধিন ভাবে বলতে চাই ,জানাতে চাই ,শিখতে চাই ,চাই বাক স্বধিনতা ।

সীমান্তের ঈগল(পরাজিত বীর)

আমি স্বাধীন দেশের পরাধিন মানব ।

সীমান্তের ঈগল(পরাজিত বীর) › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাওলানা ভাসানী ( রহ: ) আজো কেন আমাদের কাছে অজানা?

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৭







========================
(গতকাল ১৭ নভেম্বর ভাসানীর ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল তাই
ে কিছু না বলা কথা, )

========================
দারুল উলুম দেওবন্দের মেধাবী ছাত্র, শায়খুল
হিন্দের শিষ্য মুফতি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসিনী
রহ কেন আজ ইতিহাসে কমরেড বলে পরিচিত।
মাওলানা ভাসানী রহ দীর্ঘ জিহাদী কাযর্ক্রম ও
দ্বীনী জজবাকে কারা গোপন করেছে? কেন?
বাংলা পিডিয়া সহ জাতীয় জ্ঞানকোষে আজ কেন তার
সঠিক ইতিহাস নেই? বর্তমান প্রজন্ম ভাসিনীকে
কতটুকো জানি! ভাসনীর জীবনী কেন আজো
খন্ডিত? কার অপরাধে, কার অবহেলায়? ১৯৩৭ সালে
মুসলীম লীগে যোগ দিয়ে রাজনীতিতে
পদার্পণের আগের ৫১ বছরের জীবন নিয়ে
কোন চর্চা গবেষনা নেই কেন? পুনাঙ্গ ভাসানী
চর্চা কেন হচ্ছে না। কাদের অবহেলা আর চিন্তার
দন্যতার ফলে আপন ভাসানী পর হলেন। তারাও বলে
আমাদের ভাসানী, আমরাও বলি তাদের ভাসানী। মাওলানা
ভাসানী, কমরেড আর সমাজতান্ত্রিক নেতা হিসাবে
মৃত্যুর পর কিভাবে পরিচিতি পেলেন। ইউকেপিডিয়া
বলছে তিনি প্রভাবিত হয়েছেন, কার্ল মার্ক্স, মাঙ
সে তুং। প্রভাবিত করেছেন রাশেদ খান মেনন কে।
.
কিন্তু Wikipedia আবার একই প্রবন্ধের অনর্থ্য
বলেছে আইয়ূব খান সরকারেন পতনের পর
নির্বাচনের পূর্বে " ভোটের আগে ভাত চাই,
ইসলামিক সম্জতন্ত্র কায়েম চাই " এই দাবী উত্থাপন
করেন। যে মানুষটি ইসলামী সমাজতন্ত্র কায়েমের
দাবী পেশ করলেন ৭০ সালে। তিনি এর মাত্র ছয়
বছর পর ১৯৭৬ সালে মৃত্যুর পর কমরেড আর
মাক্সবাদী হয়ে গেলেন কিভাবে? তিনি ইসলামী
সমাজতন্ত্রের প্রবর্ক্তা মুহাম্মদুর রাসুলের প্রভাবে
প্রভাবিত না হয়ে কিভাবে কাল মাক্সের প্রভাবে
প্রভাবিত হতে পারেন? এই প্রশ্নের উত্তর কে
খোঁজবে? কারা খোঁজবে? আমাদের ঘুমন্ত্র
চেতনা কি জাগবে না। এই তথ্য সন্ত্রাসের
বিরোদ্ধে কাজ করতে কি আজকেরর চিন্তক
তরুনরা এগিয়ে আসবে না। আমরা খোঁজে বের
করতে পারি না ইতিহাসের সেই চাপা পরা সত্যকে, যে
ভাসানী রহ ছিলেন শায়খুল হিন্দ চেতনার নায়ক। তার
হাতে তিনি নিয়েছিলেন স্বাধীনতা ও আযাদীর
লড়াইয়ের জেহাদী বাইয়াত।
.
একজন মাওলানা এদেশের মুক্তি লড়াইয়ে অসামান্য
অবদান আর জাতীকে গন চেতনায় রাজনৈতিক বলিষ্ট
নেতৃত্ব প্রদানকে আড়াল করতেই কলমে মাধ্যমে
বুদ্ধিভিত্তিক এতো নাটক আর ভাসানী ইতিহাস নিয়ে
এতো গাফলা তৈরি করে রেখেছেন বামরা। আমরা
পানের পিক গিলেছি আর মুছে তা দিয়েছি আর
মাক্সবাদীরা পরিকল্পিতভাবে এক মাওলানাকে নায়ে
নাটক, সিনেমা, গল্প কবিতা আর ইতিহাস তৈরি করেছে
নিজের মতো করে। গন রাজনৈতিক চেতনায় ভাসানী
যখন তন্ময় ইসলামী সমাজতন্ত্র নিয়ে তখন
আমাদের শায়েখরা দরস আর খানকাতেই ব্যস্ত
ছিলেন। ১৯৫৪ সালে যুক্তফন্টের জোটে ( হক,
ভাসানী, আতাহর জোট) মাওলানা আতাহর আলীর
নেতৃত্বে মাওলানারা ভাসানীর সাথে কাঁধে কাঁধ
মিলালেন। এর পর ৭১ সালের পরে ইসলামিকরা
একেবারে নির্জিব হয়ে যান। বঙ্গবন্ধুর বাকশালের
সময় বামদের দমন নিপিড়নের সময় কোন পথ না
পেয়ে সুবিধাবাদী কালমাক্সরা ভাসানীর কাছে নানান
চল চাতুরীতে ভিরতে থাকেন। কোন নেতা তখন
বাকশালের বিরোদ্ধে সাহস নিয়ে কথা বলার মতো না
পেয়ে ভাসানীর সফেদ পাঞ্জাবীর আস্তিনের
নিচে ওরা আশ্রিত হয়েছিল । বামদের আশ্রয় দেয়ার
উদারতাটুকো কাল হল ভাসানীর জন্য। তারা এই
সুযোগের অপব্যবহার করে পরবর্তি সময়ে তার
মেকী ভক্ত সেজে অপপ্রচার করলো কমরেড
ভাসানী আর মাক্সবাদী ভাসানী বলে। ভাসানী ডান
বাম নিয়ে তখন ন্যাপ আওমী পাটি গঠন করেন।
ভাসানী চেতনার সাথে থাকতে না পেরে আলাদা
ন্যপ (মোজাফ্ফর ন্যপ) বামরা গঠন করেছিল সে
ইতিহাস কেন আজ চাপা পড়া। ১৯৪৭ সালে তার প্রতিষ্টিত
" হুকুমতে রব্বানিয়াত" পাটিকে মৃত্যুর আগে কেন
আবার চাঙ্গা করতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন। কি
ছিল হিকুমতে রব্বানিয়াতের লক্ষ্য উদ্দ্যেশ্য, তা কি
কখনো বেরিয়ে আসবে না? কোন মৃত্যুর পূর্বে
" খোদায়ী খেদমতগার" গঠন করেছিলেন একজন
কমরেড! খোদার প্রতি কেন এতো প্রেম আর
ভালবাসা ছিল তার। তা নিয়ে কি গবেষনার এখনো সময়
আসে নি আদর্শিক তারুন্য আর সত্যকারের ভাসানী
সৈনিকদের।

হাকীম সৈয়দ আনোয়ার আব্দুল্লাহ

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৭

সত্যের পথে আরিফ বলেছেন: অসাধারন ভাইয়া। চালিয়ে যান......... Mirza Md Arif on facebook

২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: দুর্বল লেখা!

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২০

সীমান্তের ঈগল(পরাজিত বীর) বলেছেন: শক্তিশালি লেখাটা লিখেন জনাব

৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মওলানা ভাষানী বহু অাগে থেকেই পিকিংপন্থি বাম ধারার রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন । যদিও তিনি অামার প্রিয় রাজনীতিকদের একজন, তবুও বলতে হয়, ভুল রাজনৈতিক কৌশলের কারণেই তিনি হারিয়ে গেছেন । তাঁর দুর্বলতার দরুণ অাওয়ামীলীগ এ অঞ্চলের প্রধানতম রাজনৈতিক দলে পরিণত হয় । তিনি যদি দক্ষভাবে তাঁর দল ন্যাপকে চালাতে পারতেন, দেশের জন্য অারো ভালো হতো ।
দল ক্ষমতায় থাকলেই নেতাদের নাম গন্ধ থাকে । অার দল পতিত হলে নেতারাও হারিয়ে যান ।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৩

সীমান্তের ঈগল(পরাজিত বীর) বলেছেন: রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মওলানা ভাষানী বহু অাগে থেকেই পিকিংপন্থি বাম ধারার রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন । আচ্ছা জনাব সেই পিকিংপন্থি বাম ধারার দলের নামটা কি ছিল ??

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.