![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি স্বাধীন দেশের পরাধিন মানব ।
এরশাদবিরোধী আন্দোলনে যারা জড়িত ছিলেন, যারা অংশ নিয়েছেন তারা সত্যই একটু 'বিপন্ন' সময় পার করছেন। তারা মানসিক পীড়ায় আছেন, আছেন যন্ত্রণায়। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছিলো। বলা হয়েছিলো 'জনগণের ভোটের অধিকার' ফিরিয়ে দেয়ার কথা। ১৯৯১ সালে সে ধারা চালুও হয়েছিলো দারুণভাবে। কিন্তু ২০১৪ সালে তাতে বড় ধরণের যতি চিহ্ন টেনে দিয়েছে এরশাদবিরোধী আন্দোলনের রহস্যময় দল আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের বর্তমান নীতিই হচ্ছে 'সবার ওপরে ক্ষমতা সত্য'। শতকরা ৫ ভাগ ভোটারের অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেছে। এরশাদ তো স্বৈরাচার ছিলেন। ছিলেন ক্ষমতা জবর দখলকারী। কিন্তু তার সময়েও কি নির্বাচনে দেশে শতকরা ৫ ভাগ ভোটার ভোট দিয়েছিলেন? তার আমলের সংসদে কোন রকম নির্বাচন ছাড়াই কি সংসদে যাওয়ার টিকেট পেয়েছিলেন ১৫৩জন? মানুষের ভোটাধিকার নিয়ে এমন পরিহাস কি বাংলাদেশে আর কখনো হয়েছে? শেখ হাসিনা জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছেন এখন তাদের প্রবোধ দেয়ার চেষ্টা করছেন সেবা দিয়ে। এ দেশের একশ্রেণীর মানুষও এখন উন্নয়ন তত্ত্বে মজে গেছে। যদি উন্নয়নটাই হয় আমাদের একমাত্র আরাধ্য, যদি ভোটের কোন মূল্যই না থাকে কিংবা এর প্রয়োজনটাও না থাকে তাহলে বলা যায় এরশাদই এ দেশের সেরা শাসক। বাংলাদেশের উন্নয়নের যে কাঠামো তা এরশাদের আমলেই হয়েছে। দেশকে ৬৪টি জেলা করা, উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তন করা, ছয়টি বড় শহরে হাইকোর্টের বেঞ্চ স্থাপন, বুড়িগঙ্গা সেতু, মেঘনা গোমতিসেতুসহ বড় বড় সেতু হয়েছে, দেশের গ্রামাঞ্চলে সড়কের বিস্তার এসব তো এরশাদের আমলেই হয়েছে। যদি উন্নয়নটাই আমাদের কাছে সবচে' বড় বিষয় হয়ে থাকে তাহলে উন্নয়নের বিচারে এরশাদ হাসিনার চেয়ে এগিয়ে আর গণতন্ত্রের বিচারেও শেখ হাসিনা এমনকি এরশাদের চেয়েও পিছিয়ে থাকবেন।
এদেশের মানুষ কখনো সৈরাচারিতা, একদলীয় শাসন, জোর জবরদসতি মেনে নেয়নি। প্রকৃতিগত কারনেই মেনে নেয় না কারন এদেশ একমাএ সিক্স সিজনের বৈচিএপুর্ণ দেশ, এদেশের মানুষের কাছে ভোট মানে উৎসব যেখানে অন্য দেশে ৬০% ভোটার পাওয়া কষটের ব্যাপার সেখানে এদেশে ৮৫% ভটার ভোট দিতে লাইনে দাড়ায়। এদেশে একদলীয় শাসন কায়েম করা পৃথিবীর কয়েকটা দুরূহ কাজের মধ্যে একটি।
মোট কথা.>>>>>>>>>
"ধর্ম কিংবা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সুবিধামাফিক ব্যাখ্যা দিয়ে, মনগড়া ইতিহাসচর্চায় নিয়োজিত করে, বিভিন্ন অবৈধ বা অনৈতিক সুবিধা বিতরণ করে, রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও প্রতিষ্ঠানের ভীতিকর ব্যবহার করে ক্রমান্বয়ে মানুষের প্রতিবাদ করার নৈতিকতা, সাহস ও উদ্যমকে বিপর্যস্ত করা হয়েছে এরশাদ-উত্তর যুগে।" "এরশাদ-উত্তর যুগ"" বলে অন্ধকার এই সময়টাকে ২৫ বছর প্রলম্বিত করার কোন কারন দেখি না। ২০১৩ - চলমান, এই সময়টাই স্বাধীনতা উত্তর সবচেয়ে অন্ধকার যুগ। ৫০ বছর পর ইতিহাসে বর্তমান সময়ের মুল্যায়নে এরশাদের যুগ কে শতগুন ভাল ছিল বলে যদি উপলব্দি আসে তাহলে ৯০ এর আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছিল স্বর্গে তাদের লজ্জা রাখার স্থান হবে না।
২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মানুষের ভোটাধিকার নিয়ে এমন পরিহাস কি বাংলাদেশে আর কখনো হয়েছে?
এদেশের মানুষ কখনো সৈরাচারিতা, একদলীয় শাসন, জোর জবরদসতি মেনে নেয়নি। প্রকৃতিগত কারনেই মেনে নেয় না
অন্ধকার যত গভীর হয় ভোরের নৈকট্য ততই নিকটতর হয়!
যে দেশে লাখো শহীদের আত্মদানে বিজয় আসে- সেখানে পাকি স্বৈরাচারী ভুতের ঠাই নাই।
৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৭
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বাংলাদেশে কখন গণতন্ত্র ছিলো? গণতন্ত্র খায় না মাথায় দেয়?
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৭
নন্দলাল সরকার বলেছেন: স্বৈরাচারিতা, এমন একটি রাজনীতি, এমন এক মতাদর্শ, এমন এক বিশ্বাস যা মানুষকে হিংস্র অমানুষে পরিণত করে। স্বৈরাচারি বা ফ্যাসিবাদ সভ্যতার দুঃস্বপ্ন। ফ্যাসিস্তরা কোন বিপ্লব করেনা, ফ্যসিবাদ পুঁজিবাদকেই রক্ষাকরে, তাকে প্রসারিত করে। শ্রেনী শাসনে চরিত্রকে অক্ষুন্ন রেখেই ফ্যাসিবাদ সম্পুর্ণ নতুন একটি রাজনৈতিক ব্যবস্হা। এই নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্হাই স্বৈরাচারের বৈশিষ্ট্য।এটা সভ্যতার দুঃস্বপ্ন।
নন্দলাল সরকার