নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পরিচয়ে আমি বাঙালি, আমার আছে ইতিহাস গর্বের
একখানা গল্প আমি বলিব তোমারে
যেই গল্প এতদিন ছিলো অন্ধকারে
মুখ ফুটে কোনোদিনও বলে নাই কেউ
আমিই বলিব আজ, বুকে সেই ঢেউ
উথাল-পাথাল করে সেই সব ভাষা
যাহা বলে নাই বেদব্যাস মরিচী দুর্বাশা।
এতটুকু বলিয়া সেই বৃদ্ধ সন্ন্যাসী
চাহিয়া রহিল দূরে, বারোয়ার বাঁশি
করিল ক্রন্দন তাহার বুকের ভিতর
ভাঙ্গিয়া দিলো পাঁজর অঘ্রাণের ঝড়।
এমনই একদিন ছিলো -বলিল সন্ন্যাসী-
চোখে ছিলো স্বপ্ন আর মুখে ছিলো হাসি
দুরন্ত তরুণ আমি অফুরন্ত আশা
বুকে অঙ্কুরিত হলো রঙিন ভালবাসা
ফুল ফল যাহা দেখি মেটে না পিপাসা
আরও দেখিবারে চাই আরও বাড়ে আশা
ককিলের কুহুতান পাতা মরমরে
কান পেতে শুনি সব, কোন ফুল ঝরে
আমার বুকের পরে যেন গো তাহার
পরশ বুলায়ে যায়, সৌন্দর্য অপার
আমারে করিল উতলা তরঙ্গের মত
বিশ্ব পানে যত চাই ভালো লাগে তত।
একদিন প্রভাতের সোনালী আভায়
রক্তিম ফুল গুলো হলো স্নিগ্ধময়
ভেসে যায় মৃদু মৃদু দক্ষিণা বাতাসে
চারিদিকে ভরে দেয় ফুলের সুবাসে
কাননে কাননে ফোঁটা নবমল্লিকা
প্রভাতের অরুণ যেন ললাটের টিকা
এমন সোনালী আলোয় সোনালী কিশোরী
দেখে তারে মনে হলো ডানা কাটা পরী
তুলিতেছে ফুল বনে আপন খেয়ালে
দেখিলাম তারে আমি প্রভাতের কালে
অকস্মাৎ দেখিয়া মোরে আঁচলের ফুল
খসিয়া পড়িল ঘাসে শিউলী বকুল।
তুলিয়া দিলাম তারে ঝরা ফুল গুলি
চাহিয়া দেখিল মোরে দুনয়ন খুলি
অপার বিস্ময় তার নয়ন যুগলে
প্রভাতের ফুল তোলা সব গেল ভুলে।
মনে হলো সে কোনো রূপকথার দেশে
ছিলো এতদিন, আজ আসিয়াছে ভেসে
স্থীর অচঞ্চল রাজকন্যার মতো
রূপ তার অঙ্গ জুড়ে ঝরে অবিরত
শত শ্বেতপদ্ম যেন সচ্ছ সরোবরে
ফুটিয়া ধরনীর পরে রূপের খেলা করে।
সেইদিন গেল চলে স্বপ্নের ঘোরে
রহিল জাগ্রত সে মনের ভিতরে।
আবার দেখিলাম তারে সেই ফুল বনে
ঘুরে ঘুরে ফুল তুলে একা আনমনে
আমায় দেখিয়া সে বলিল না কিছু,
মন্ত্রমুগ্ধের মতো হাঁটি তার পিছু
বহুক্ষণ চলে গেলো তারপর ফিরে
আনমনা হয়ে মোরে বলিল সে ধীরে -
তোমায় দেখেছি আমি কতদিন আগে-
বহু কাল ধরে, তাই চেনা চেনা লাগে!
বহুকাল ধরে আমি তোমার সাথে
হেঁটেছি ফুল বনে পূর্নিমা রাতে
নদীর তীর ধরে তুমি আর আমি
হেঁটেছি হাত ধরে, মাঝে মাঝে থামি
দেখেছি হংসমিথুন জলে খেলা করে
সেই স্মৃতি আজও মোর বুকের ভিতরে -
সন্ন্যাসী চুপ করে থাকিল খানিক
তারপর উদাস চোখে দেখে চারিদিক
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে সে বলিতে লাগিলো-
ক্রমে ক্রমে মনে মোর তৃষ্ণা জাগিল
ঐ রূপ যেন মোর হৃদয়ের কোণে
আঁকিতে লাগিল ছবি শয়নেস্বপনে
একদিন অন্ধকারে আকাশের তাঁরা
বাঁকা চাঁদ বিদায়ের দিয়ে গেল সারা
কুহেলিকা ঢেকে দিল বাতাসের মুখ
অন্ধকারে ঢেকে গেল ধরনীর বুক
এমন অন্ধকারে আসিল সেই মেয়ে
বসিল আমার পাশে, হাত দুটি নিয়ে
রাখিল বুকের পরে, আঁখি অনিমিখে
চাহিয়া রহিল মোর নয়নের দিকে
তারপর বুকভরা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ি
কহিতে চাহিল, তার কন্ঠ হলো ভারী
থরথর করে কাঁপে ওষ্ঠধর দুটি
অস্পষ্ট স্বরে কথা উঠেছিল ফুটি-
ভুলিয়া যেও মোরে রাখিওনা মনে
তোমাকে পাবো না আমি আর এ জীবনে
এই বলে অন্ধকার কুয়াশার ভীড়ে
হারিয়ে গেলো সে ভোরের শিশিরে।
পৃথিবীতে আর কভু আসিবে না বলে
নক্ষত্রের দেশে সে গিয়েছিল চলে।
এই বলে সন্ন্যাসী থামিল আবার
দু’চোখে বহিতেছে শ্রাবণের ঝড়।
কহিলাম তারে আমি- কিসের কারণ
এমন করিয়া সে যাচিল মরণ?
আঁখি মুছে কহিল বৃদ্ধ সন্ন্যাসী
জেনে গেছে আমাদের ভালবাসা বাসী
তাহার পিতা মাতা, তাই তাহারে
স্থীর করেছিল পাত্রস্থ করিবারে
অন্য কোথাও, কোনো এক যুবকের সাথে
মেনেনিতে পারে নাই তাই সেই রাতে
এসেছিলো মোর কাছে, বেদনার কথা
বলিয়া গিয়েছে তার সকল ব্যাকুলতা।
সেই হতে আমি এই পৃথিবীর পথে
খুঁজে ফিরি তারে এই বিশাল জগতে।
শুধু মোর নিশ্বাস অন্ধকারে ভাসে
বারেবারে কেন তার স্মৃতি ফিরে আসে?
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:১০
রাজীব নুর বলেছেন: এরকম বিরক্তকর কবিতা অন্য কেউ লিখলে আপনি নিজেও পড়তেন না।