নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আড্ডা দিতে ভালবাসি। খারাপ লাগে কেউ অবিশ্বাস করলে। ভাল লাগে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি

ইমরান হাসান পরশ

ইমরান হাসান পরশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক নজরে ওয়ালশ

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩৫

ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়ে ওয়ালশ খ্যাতির শিখরে প্রবেশ করেন বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন সময়েই, ১৯৭৯ সালে । প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে ঠিক তিন বছর পর- ১৯৮২ সালে । গ্লুচেস্টারশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবে প্রথমবারের মতো খেলেন ১৯৮৪ সালে,কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে । দলের প্রধান চালিকাশক্তি ছিলেন ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত।

ক্যারিয়ারের শুরুতে স্টক বোলার হিসেবেই থাকতে হয়েছিল ওয়ালশকে। ম্যালকম মার্শাল, জোয়েল গার্নার ও পরবর্তীকালে অ্যামব্রোসের বোলিং আক্রমণের সময় পরিবর্তিত বোলার হিসেবে বোলিং করতে হতো তাঁকে । গার্নারের সাথে উদ্বোধনী বোলিং জুটিতে আসেন মূলত মার্শালের অবসরপ্রাপ্তির পর । দীর্ঘ দূরত্ব থেকে বোলিংয়ে আসতেন ছয় ফুট ছয় ইঞ্চি দীর্ঘদেহী ওয়ালশ। ছিলেন বাউন্স বল করার ওস্তাদ। ওয়ালশের টেস্ট অভিষেক ঘটে ১৯৮৪ সালে,অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে । অভিষেকে পান ৪৩ রানে ২ উইকেট । ওয়ানডেতে অভিষেক পরবর্তী মৌসুমে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ।
ভারতের বোলিং তারকা কপিল দেবের রেকর্ড ভেঙ্গে ৫১৯ উইকেট নিয়ে একসময় হয়েছিলেন সর্বোচ্চ টেস্ট উইকেট শিকারি। পরবর্তীকালে তাঁর এ রেকর্ড ভাঙ্গেন অস্ট্রেলীয় স্পিনার শেন ওয়ার্ন,২০০৪ সালে । নিয়মিত অধিনায়ক রিচি রিচার্ডসনের শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে ১৯৯৪ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নেতৃত্ব দেন ওয়ালশ । ১৯৯৫ সালে ২১.৭৫ রান গড়ে টেস্টে ৬২ উইকেট নেন। ২০০০ সালে নেন ১৮.৬৯ রান গড়ে ৬৬ উইকেট। তন্মধ্যে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত সিরিজে ৩৪ উইকেট শিকার করেন ১২.৮২ রান গড়ে। ওয়ালশ সর্বশেষ ওডিআই খেলেন ২০০০ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে । শেষ টেস্ট খেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে,জন্মভূমি জ্যামাইকায়,২০০১ সালে।

১৯৮৭ সালে উইজডেন কর্তৃপক্ষ তাঁকে বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারে ভূষিত করে। কোর্টনি ওয়ালশ ১৯৮৮-৮৯ মৌসুমে ব্রিসবেন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত ১ম টেস্টের দুই ইনিংস মিলিয়ে তিনি তাঁর হ্যাটট্রিক পূরণ করেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিনি প্রথম ইনিংসের শেষ দুই ব্যাটসম্যান টনি ডোডেমাইড ও মাইক ভেলেটা এবং দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম বলে গ্রেইম উডকে এলবিডব্লিউ’র সাহায্যে আউট করার মাধ্যমে এ ব্যতিক্রমধর্মী হ্যাটট্রিক সম্পন্ন করেন। ঐ মৌসুমের শীতকালে কিংসটনে অনুষ্ঠিত টেস্টে ভারতের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো খেলায় ১০ উইকেট লাভ করেন। হার্ট অব দ্য লায়ন শিরোনামে আত্মজীবনী রচনা করেছেন তিনি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.