![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বঙ্গবন্ধু বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক ফোরামে আরব বিশ্ব, বিশেষ করে প্যালেস্টাইনি ভাইদের প্রতি বলিষ্ঠ সমর্থন অব্যাহত রাখেন। ১৯৭৩ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধের সময় তিনি একটি মেডিকেল মিশন, চা প্রভৃতি সাহায্য দ্রব্য পাঠান। তাতে করে আরব বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই ঘনিষ্ঠতা ছিল সমতার ভিত্তিতে। তাদের নিকট আমাদের পরিচয় ছিল একটি মর্যাদাবান ও সংগ্রামী জাতি হিসেবে। প্রকৃতপক্ষে, আরব দেশগুলোর চাপেই ১৯৭৪ সালে পাকিস্তান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়। এটা ছিল আরব বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতির এক বিরাট সফলতা। ১৯৭৪ সালে লাহোরে অনুষ্ঠিত ইসলামি সম্মেলন সংস্থার শীর্ষ সম্মেলনের প্রাক্কালে ওআইসির একটি শুভেচ্ছা মিশন বঙ্গবন্ধুকে সম্মেলনে নিয়ে যাবার জন্য ঢাকায় আসেন। আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট হুয়ারী বুমেদীন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যাবার জন্য নিজের ব্যক্তিগত বিমান পাঠান। লাহোরে তাঁকে বিভিন্ন আরব রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা প্রাণঢালা সংবর্ধনা জানান। এই ঐতিহাসিক শীর্ষ সম্মেলনেও বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষণে প্যালেস্টাইনি আরব ভাইদের প্রতি অকুন্ঠ সমর্থন জানান। লাহোরে অনুষ্ঠিত ইসলামিক সম্মেলন সংস্থার শীর্ষ সম্মেলনে প্রদত্ত বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ সারা আরব বিশ্বে এক অভূতপূর্ব আলোড়নের সৃষ্টি করে। কারন, তাঁর এই ভাষণটি গতানুগতিক ছিল না, সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমধর্মী ছিল। তিনি তাঁর ভাষণে প্যালেস্টাইনি ভাইদের অধিকার আদায়ের প্রতি যেমন জোর দিয়েছেন তেমনি মহানবীর আদর্শ বা সত্যিকার ইসলামি মূল্যবোধকে বিশ্বের শোষিত-বঞ্চিত মানুষের কল্যাণে ব্যবহারের প্রস্তাব করেছেন। বিশ্বের সকল নিপিড়িত জনগনের সঙ্গে একাত্বতা প্রকাশ করেছেন। তাতে করে তিনি ওআইসিকে পরাশক্তির প্রভাবমুক্ত হয়ে সত্যিকার মানব কল্যানে নিবেদিত হওয়ার আহবান জানিয়েছেন।
পাকিস্তান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়-আরব দেশগুলোর চাপেই ১৯৭৪ সালে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশান (Organization of the Islamic Cooperation) বা সংক্ষেপে ওআইসি একটি আন্তর্জাতিক ইসলামী সংস্থা। ১৯৬৭ সালে এটি অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কনফারেন্স নামে ২৫ টি মুসলিম দেশ মিলে এই প্রতিষ্ঠানটি তৈরী করে। মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর পশ্চিমআফ্রিকা, মধ্য এশিয়া, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, এবং ভারতীয় উপমহাদেশের ৫৭টি ইসলামী রাষ্ট্র নিয়ে এই সংস্থা গঠিত। এই সংস্থা মূলতঃ মুসলমানদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রতিনিধিত্ব করা থাকে। ওআইসি জাতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধিত্বমূলক সংস্থা। ওআইসির একটি জাতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধি দল রয়েছে, এবং বৃহত্তম রাষ্ট্রসংঘের বাইরে আন্তর্জাতিক সংগঠন। ওআইসির সরকারি ভাষা আরবি, ইংরেজি, এবং ফরাসি। এককথায় বলা যায় ওআইসি মুসলিম বিশ্বের সম্মিলিত কন্ঠস্বর।
বর্ত্তমান সদস্য-৫৭ ১৯৬৯ সালে মরোক্কোর রাবাতে প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
©somewhere in net ltd.