নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দ কথা বলে

মোহামমদ মশিউর রহমান

"চিন্তা,মনন,মেধা,শক্তি আর ইচ্ছাই আনে পরিবর্তন" আপনার সুচিন্তিত যেকোনো মতামত পাঠাতেঃ https://www.facebook.com/mosiur2 ( ফেইসবুকের প্রতি আসক্তি থাকা হেতু , ব্লগে কিছুটা অনিয়মিত । :) ধন্যবাদ । )

মোহামমদ মশিউর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

"তলাবিহীন ঝুড়িটি আর তলাবিহীন নয়" !!! সময় হয়েছে পজিটিভ বাংলাদেশকে সামনে নিয়ে আসার।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১৩

“তলাবিহীন ঝুড়িটি আর তলাবিহিন নয়” এটি আমার মনে হয় বাংলাদেশের বর্তমান যেই সামগ্রিক বিপ্লব একটি নতুন জন্ম নেয়া দেশ হিসেবে তাকে প্রকাশ করার করার জন্য একেবারেই যথার্থ এবং এটি হতে পারে একটি অসাধারন ভাবসম্প্রসারন আমাদের নতুন প্রজন্মের পাঠ্যপুস্তকের জন্য যেখান থেকে তারা স্বপ্ন দেখবে এক নতুন ভবিতসতের।



বঙ্গবন্ধুর সেই উক্তিটি আজ মনে পড়ছে এই দেশের রাজনীতিবিদদের চুরির প্রসঙ্গে, তিনি বলেছিলেন একপ্রকার মর্মাহত হয়েই যে “ সবাই পেল স্বর্ণের খনি আর আমার ভাগ্যে চোরের খনি”। কিন্তু তার স্বপ্ন ছিল একটি সোনার বাংলা তবে আজ কেননা তিনি দেখেছিলেন সোনারবাংলার সপ্ন , তবে আজ সেই স্বর্ণের বাংলা স্বর্ণকে ছাড়িয়ে হয়ে উঠছে ডায়মন্ড আর প্লাটিনাম। Sir, WE made your DREAMS true.



এরুপ অবস্থায় সেই নাক গলানো বিশ্ব মাতবর খ্যাত পশ্চিমা বিশ্বের শাসকরা নাম দিয়েছিলেন এই দেশকে “তলাবিহীন ঝুড়ি” যেখানে শুধু সাহায্যই দেয়া সম্ভব কোন অবস্থানের উন্নয়ন সম্ভব নয়। এই দেশ শুধু ঋণই গ্রহন করবে কিন্তু আজ আমাদের ঋণ গ্রহনের পরিমান মাত্র এক শতাংশ গোটা বাজেটের। IT is a SLAP on THEIR face.



জি হ্যা যুগে যুগে এই মন্তব্যকে সত্যি করার জন্য নানা প্রয়াসও ছিল, রচিত হয়েছিল নানা ষড়যন্ত্র। তারই ধারাবাহিকতায় হত্যা করা হয় জাতির জনককে এবং বাংলাদেশের এজাবত কালের সেরা শাসক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে। কিন্তু কেউ দাবায়া রাখতে পারে নাই। যেমনটা বলেছিলেন জাতির পিতা “কেউ দাবায়া রাখতে পারবেনা”।



আমেরিকার স্বাধীনতা ২৫০ বছরের,ভারতের স্বাধীনতা ৬৬ বছরের আর আমাদের ৪১ বছরের। কিন্তু নোবেল বিজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন এর মতে , সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি ভারতের চেয়েও ভালো ।



আরেক বাংলাদেশী নোবেল বিজয়ী ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুস বলেছেন বিভিন্ন সময় যে, অভাবনীয় উন্নয়ন সম্ভব এই দেশে শুধুমাত্র সফলভাবে এই জনগোষ্ঠীকে যদি একটু কাজে লাগানো যায় এবং সেই লক্ষেই তিনি কাজ করে যাচ্ছেন গ্রামীণ ব্যাংককে সাথে নিয়ে।



মাইলস্টোন প্রয়োজন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। এবং সফলভাবেই আমরা বলতে পারি হ্যা আমাদের দেশে মাইলস্টোন আছে যেমন – অর্থনীতি,শিক্ষা,এবং কৃষি ক্ষেত্রে।



একসময় বহু আগে বলা গলা ভর্তি ধান আর পুকুর ভরা মাছের কথা। বর্তমানে পুকুর ভরা মাছ আর নাই তবে হ্যা কৃষকের গোলা ভরেছে। সে এখন সময়ের রেকর্ড পরিমান উৎপাদন করছে। হ্যা মৎস্য চাষ কমে যাচ্ছে এবং মাছের জীবন বিপন্ন এটি আমাদেরকে দায় নিতে হবে ,আর এটি স্বাভাবিকও কেননা বিপুল জনসংখ্যার এই দেশে পানিদূষণ হচ্ছে, জলাসয় কমে যাচ্ছে, নদীতে অবৈধ উপায়ে মাছ ধরা হচ্ছে ইত্যাদি। আর যেই বিষয়টি করতে পারলে আমাদের মাইলস্টোনের উপর মহা মাইলস্টোন অর্জিত হবে সেটি হল কৃষক যদি সরাসরি তার ফসল বিক্রি করতে পারে। মানে দালাল বা তৃতীয়পক্ষ যদি সেখানে না থাকে। তবে সেটি সময়সাপেক্ষ এবং শক্ত পদক্ষেপ নির্ভর।



আজকে ২৭ কোটি নতুন বই দেয়া হয়েছে প্রাইমারী এবং মাধ্যমিক শিক্ষাবর্ষের শুরুতে প্রত্যেক স্কুল গুলিতে। যা কিনা অভূতপূর্ব এবং ধারাবাহিক সাফল্লের একটি ফসল হল আমাদের প্রাথমিক,মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের এই সাফল্য যা অন্যসব সেক্টরের জন্য একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। এবং সরকার বদলের সাথে এই মন্ত্রণালয়ের উপর কোন প্রভাব পড়েনি এতে করে ধারাবাহিকভাবে আমরা এগিয়ে গিয়েছি। হ্যা উচ্চ শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন আছে তবে একটি অসাধারন তথ্যও আছে যা তাক লাগিয়ে দেয়ার মত সেটি হল চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়ার পর বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশী পরিমানে গ্র্যাজুয়েট তৈরি হচ্ছে। তবে যেখানটায় দুর্বলতা আছে সেটি কাটানো কস্তকর হলেও অসম্ভব নয়। আমাদের গবেষণায় আরও এগিয়ে যেতে হবে। আর অবশ্যই বাজেটে শিক্ষা আর গবেষণার উপর আরও তিন গুন বেশী বরাদ্ধ প্রয়োজন।



অর্থনীতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ভীষণ গতিতে। “ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইযেশন” শব্দটি আমাদের “এগ্রিকালচার” শব্দটির উপর ভীষণভাবে জেগে উঠেছে আমাদের অর্থনীতি আর এখন কৃষি নির্ভর অর্থনীতি নেই। এখন আমরা গার্মেন্টস শিল্পে এক নম্বর হওয়ার পথে। কিন্তু এখানেই শেষ নয় আমাদের এখন নিজেদের প্রোডাক্ট রয়েছে যা বিশ্বমানের । “ওয়ালটন” একটি উদাহরন। তবে এরকম হতে হবে আরও গোটা দশেক তাহলে বাহিরের জিনিস পত্রের ব্যাবহার কমবে এবং আমাদের নিজেদের একটি মার্কেট তৈরি হবে। আর জিডিপির যেই হিসেব আমরা প্রতি বছর পাই সেটিতে আমরা বরাবরই এগিয়ে থাকি কিন্তু আমি বুঝি নমিনাল জিডিপির হিসাব যেখানে দেখাবে আমার প্রতিটি মানুষ অনুপাতে আমার কি অবস্থা সেটি। সেটিতে আমাদের এগিয়ে যাবার সময় এসেছে এখন। আর জনশক্তি রপ্তানিতে এখন আমাদের একটি বিশাল পরিবর্তনের দিকে যাবার পালা। এখন আমাদের অশিক্ষিত জনগোষ্ঠী জায়গায় বিদেশে যাচ্ছে অরধ শিক্ষিত জনগোষ্ঠী যা কিনা আমাদের বেশী বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের একটি পথ খুলে দিচ্ছে। বাধাও রয়েছে যেমন শেয়ার মার্কেট কেলেঙ্কারি,ডেস্টিনি ও হলমারকের মতন কোম্পানিগুলির হায় হায় ব্যাবসা, ঋণখেলাপিদের দউরত্ত ইত্যাদি আমাদের যাত্রায় আনছে বাধা। তবে এর পরেও যোগাযোগ ক্ষেত্রে উন্নয়ন সাধনের লক্ষে এই সরকারের আমলেই তিনটি ফ্লাইওওভার এর কাজ চলছে। যা কিনা অর্থনীতিতে আমাদের যেই শক্ত অবস্থান তৈরি হয়েছে তারই ফসল।



গোটা পৃথিবী এটা এখন বিশ্বাস করে যে বাংলাদেশ কে অনুসরন করলেই যে কোন হতদরিদ্র বা নতুন গঠিত দেশ এগিয়ে যেতে পারবে সহজেই কেননা যেই অবস্থা থেকে বাংলাদেশ উঠে এসেছে বিশ্বের মানচিত্রে সেটি আজ সবার জন্য মডেল। উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের দারুন পদারপন তাক লাগিয়ে দেবার মতন ।



হ্যা পারিনি একটি যায়গায় রাজনীতি আর আমলাতন্ত্র ঠিক করতে। তবে যেভাবে দেশ এগুচ্ছে তাতে করে এই মানুষগুলি বোধকরি বেশী দিন জোয়ারের পিছনে থাকতে পারবে না। তবে এইখানটায় প্রয়োজন জনসচেতনতা। এবং জানিনা রাজনীতিবিদরা জেনে বা না বুঝে করেছে কিনা এই “ডিজিটাল বাংলাদেশ” বা ব্যাপক মিডিয়ার প্রসার এর মাধ্যমে কিন্তু পরোক্ষভাবে তাদেরকেই দৌরের উপর থাকতে হচ্ছে। সুতরাং এখন আর ঢিলা ঢালা ভাবে বসে থাকার সময় নেই সময় এখন দৌড়ানোর। তবে আমলাদেরকে একটু ঠিক করা প্রয়োজন। কারন তাদের নিজদের ভিতরের দুর্নীতি বন্ধ না করা গেলেতো রাষ্ট্র থেকে দুর্নীতি দূর করা সম্ভব নয় । আর এটাত তার দায়িত্ব কেননা সেতো রাষ্ট্রের কর্মচারী মন্ত্রী যতই বলুক তাকে খেয়াল রাখতে হবে দেশের। আর রাজনীতিবিদদের যে এই দেশে কোন অবদান নেই তাও কিন্তু ঠিক না। গনতন্ত্র বাংলাদেশে চর্চা হচ্ছে তবে হ্যা প্রশ্ন আছে সেটা নিয়ে কিন্তু আছে তো। তারপর কথা হল প্রতি জন রাষ্ট্রনায়কেরই কিছু না কিছু অবদান আছে আমাদের দেশের প্রতি তাদের মেয়াদকালে তবে খারাপ কাজের মাঝে ভাল কাজগুলি সবসময়ই নিচে পড়ে যায়। তদে শেষ কথা হল উন্নতি প্রয়োজন আমাদের নেতাদের মানসিকতায় মনে রাখতে হবে আমরা আর ব্রিটিশ আমলে নেই তাই চিন্তাও করতে হবে আধুনিক চিন্তা।



একটি স্বপ্ন দিয়ে শেষ করব মিশন ২১ নয় চলুন দেখি মিশন ২০৪০ আরও বিশ বছর বেশী কেননা ২১ সালের মাঝে আমরা নিশ্চিতরুপে মধ্যম আয়ের একটি দেশ হতে যাচ্ছি তবে আমাদের টার্গেট হওয়া উচিৎ সেরা পাঁচ এবং যেই গতিতে বাংলাদেশ এগুচ্ছে ইনশাল্লাহ আমরা তা অর্জন করবই।



মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৭

ফাটা বাশঁ বলেছেন: জিয়াউর রহমান বেচে থাকলে হাসিনা-খালেদা নামের দুই কালসাপ দেশকে পেছনে টেনে ধরে রাখতে পারত না। আপনার পোস্ট পড়ে সহজেই অনুমেয় যে, পরোক্ষভাবে হলেও শুধুমাত্র সাধারণ জনতার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.