নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শোষণ-বৈষম্য হীন একটা মানবিক সমাজ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনে কাজ করি আমি। বুর্জোয়া আধিপত্যের বিপরীতে রাজেনৈতিক, সামাজিক, আর্থিক, সাংস্কৃতিক ও মনজাগতিক ক্ষেত্রে শ্রমিক কৃষক মেহনতী মানুষের পাল্টা আধিপত্য গড়ে তোলাই প্রথম কাজ।
হিন্দু ধর্মে গো হত্যা মহাপাপ। গোমাংস ভক্ষণ সেটাও হারাম এবং মহাপাপ। যদিও কতিপয় হিন্দু ধর্মীয় কাহিনীতে গোমেধ যজ্ঞের কথা বর্ণনা করা আছে। অশ্বেমেধ যজ্ঞের কথাও আছে। তবে সেই ত্রেতা-দ্বাপরে মানুষ গরু-ঘোড়া খেত কিনা সেটা নিয়ে সাধারণের মনে তেমন কোন প্রশ্ন নেই। কিন্তু এই ঘোর কলিযুগেও হিন্দুরা মহিষের মাংস খায়!! গরু আর মহিষের মাংসের মধ্যে তেমন পার্থক্য যে আছে এটা বাংলাদেশ বা ভারতের হিন্দুসম্প্রদায়ের পক্ষে চিন্তা করাও কষ্টের। চুরি করে দু’একজন দুষ্ট লোকে গরু বা মহিষের মাংস খেলে ধর্মের তেমন ক্ষতি হয়তো হয় না। কিন্তু যদি গোমেধ যজ্ঞের মতো মহিষমেধ যজ্ঞ করে মহোৎসাহে হাজার হাজার মহিষ বলী দিয়ে সেই মহিষের মাংস উৎসবমূখর পরিবেশে ভক্ষণ করা হয় তখন??
হ্যা, এই একবিংশ শতকেও হিন্দুরা মহিষের মাংস খায়। তবে আমাদের দেশে নয়। পাশের দেশ নেপালে। নেপালের নিউয়া (Newa) গোত্রের মানুষরাই মূলতঃ মহিষের মাংষ বেশি পছন্দ করে। সারা বছরই তারা মহিষ বলীর ব্যবস্থা রাখে। তবে গাধিমাই উৎসবের (Gadhimai festival) মুসলমানদের কোরবানী ঈদের মতো হাজার হাজার মহিষ ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্যে রীতিমতো প্রদীপ জ্বালীয়ে ঢাক বাজিয়ে বলী দেয়া হয়। নিউয়া ছাড়াও জনজাতি, মাগার, গুরং, তামাং, রাই, লিম্বু ইত্যাদি গোত্রের লোকেরাও মহিষের মাংসকে একটি উপাদেয় মাংস হিসাবেই ভক্ষণ করে। এই সমস্ত গোত্রের লোকেরা কাঠমুন্ডু এবং পোখরা অঞ্চলে বেশি বসবাস করে। আর এই কারণে কাঠমুন্ডু এবং পোখরা শহরে বহু রেস্টুরেন্ট-হোটেলে মহিষের মাংসের বিভিন্ন ডিস জনপ্রিয়। তবে তারা গরুর পূজা যেমন করেন তেমনি গরুর মাংস খাওয়াও মহাপাপ মনে করেন। শুধু মহিষ খান।
©somewhere in net ltd.