নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শোষণ-বৈষম্য হীন একটা মানবিক সমাজ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনে কাজ করি আমি। বুর্জোয়া আধিপত্যের বিপরীতে রাজেনৈতিক, সামাজিক, আর্থিক, সাংস্কৃতিক ও মনজাগতিক ক্ষেত্রে শ্রমিক কৃষক মেহনতী মানুষের পাল্টা আধিপত্য গড়ে তোলাই প্রথম কাজ।
আমলীগ-বিএনপি-জাতীয়পার্টি-জামাত কে নেই গার্মেন্ট ব্যবসায়?
শাসকেশ্রেণীর সবাই মিলেমিশে গরীবের রক্ত চুষছে ব্যবসার নামে! লুট-পাট, রক্তচোষার ক্ষেত্রে কোন বিরোধ নেই তাদের মধ্যে! যে যেভাবে পারছে, করে খাচ্ছে! সমস্যা দেখা দিলে একজোট হয়েই নিজেদের পক্ষ নিয়ে সমাধান করে এরা! একসুরে কথা বলে বাস্তচ্যূত এই শ্রমিকদের বিরুদ্ধে! আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয় গার্মেন্ট মালিকরা! একটা থেকে শতটা কারখানা খোলে! ইউরোপ-আমেরিকা-মালয়েশিয়া-দুবাই গাড়ী-বাড়ি-ফ্লাটের মালিক হয় তারা। জোট-মহাজোটের টিকিট কেনে তারা, হয়ে যায় এমপি-মন্ত্রী! তারপরও গরীবের রক্তচোষার খায়েশ মেটেনা তাদের! আরো টাকা চাই তাদের! আরো মুনাফা চাই!
শ্রমিকরা আগুনে পোড়ে,ধ্বসে পড়া ভবনের নিচেয় চাঁপা পড়ে মরে,ভাড়াটে পুলিশ-শিল্পপুলিশে মারে,ভাড়াটে মাস্তানেও মারে তাদের! তারপরও পেটের দায়ে শ্রম বেঁচতে ঝাঁকে ঝাঁকে গ্রাম ছেড়ে শহরে আসে অসহায় এই শ্রমিকরা। পৃথিবীর সবচেয়ে কম মূল্যে গার্মেন্টে শ্রম বেঁচে তারা। মালিকের পেট তখনও খালি! তাই শ্রমিকের রক্ত-ঘাঁম ঝরানো নামমাত্র বেতনেও ভাগ বসাতে চায় কোটিপতি মালিকরা। বেতন না দিয়েই নামকাওয়াস্তে একটা অজুহাত দেখিয়ে চাকরি থেকে ছাটাই করে তারা। অনেক কারখানায় বেতন দিলেও দেয়া হয় অনেক দেরিতে। নোংরা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে, জীবনের ঝুকি নিয়ে নিরন্তর কাজ করে যায় বস্ত্র বালিকারা।
কিন্তু এতকিছুর পরেও শ্রমিকরা যখন পাওনা বেতনের দাবীতে বা একটু সুবিধা আদায়ের জন্য রাজপথে নামে তখনই শ্রমিকের বিরুদ্ধে ততপর হয়ে ওঠে শাসকগোষ্ঠী-মালিকশ্রেণী। হক আদায়ের ন্যায্য আন্দোলনকে তারা ষড়যন্ত্র আখ্যা দেয়। সাথে সাথে মিডিয়া পাখিরা শিখানো বুলি নিয়ে জনগণের নজর কাড়ে। জোট-মহাজোট শ্রমিক ঠ্যাঙাতে নিজেদের দ্বন্দ্ব ভুলে যায়। কখনও প্রতিবাদকারী শ্রমিকদের বহিরাগত আখ্যা দিয়ে তাদের উপর পুলিশ-শিল্প পুলিশ-গুন্ডার নির্মম অত্যাচার চালানো হয়, কখনও বিদেশী দালালদের উস্কানির ধুয়া তুলে কোনপ্রাকার নিয়ম না মেনেই চাকুরীচ্যূত করা হয় আন্দোলনকারী শ্রমিকদের। আর কখনও পেশাদার খুনি দিয়ে জানে মেরে ফেলা হয় তিন হাজার টাকা বেতনের এই পোশাক শ্রমিকদের।
খাদ্যপণ্য সহ সবকিছুর দাম আকাশ ছোঁয়া হলেও শ্রমিকের বেতন বাড়াতে রাজি নয় মালিকপক্ষ। সরকারকে তারা পাকা খাতায় দেখিয়ে দেয় গার্মেন্টসে লাভ নেই। কোটি কোটি টাকা লোকসান গুনছে তারা।সরকারও তাদের সহায়তার নামে নানান দানছত্র খুলে দেয়। ক্ষতিপূরণের নামে জনগণের টাকা বিলায় লুটেরাদের মাঝে। লোকসান দেখানো মালিকরা তাই আরো নতুন কারখানা খোলে, বউ-বাচ্চা নিয়ে মার্কেট করতে যায় সিঙ্গাপুর, কুয়ালালমপুর, ব্যাংকক। হজ্ব করার পরও মাঝে মধ্যে ওমরাহ করে। গাড়ির মডেল বদলায়,বাসার সামনে সাইনবোর্ড টাঙায় ‘কুকুর হইতে সাবধান’।
শ্রমিকরা কুকুর চেনে! কিন্তু কুকুরের গায়ে কামড় দিতে তাদের এখনও মানবতায় বাঁধে! সেদিন নিশ্চয়ই আসবে যেদিন এই লু্টেরা-রক্তচোষাদের মুগুর দিয়ে দৌড়ানি দিবে নির্যাতিত লাখ লাখ শ্রমিক।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০২
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সত্য
কবি কাজি নজরুলের একটা কবিতাংশ এমন
তোমরা থাকিবে তেতালার উপর আমরা থাকিব নিচে
অথচ বলব তোমাদের দেবতা একথা বড় মিছে ।।
বিপ্লব আসবে তারপর আবার সব টিক হয়ে যাবে , থাকবেনা শুধু শোষক বরজুয়া ফ্যাসিস্ট সাম্রাজুবাদি , পুজিবাদি দালালরা , জয় আসুক মেহনতি মানুষের ।।