নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শোষণ-বৈষম্য হীন একটা মানবিক সমাজ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনে কাজ করি আমি। বুর্জোয়া আধিপত্যের বিপরীতে রাজেনৈতিক, সামাজিক, আর্থিক, সাংস্কৃতিক ও মনজাগতিক ক্ষেত্রে শ্রমিক কৃষক মেহনতী মানুষের পাল্টা আধিপত্য গড়ে তোলাই প্রথম কাজ।
কয়েকজন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রীসভার নিয়মিত বৈঠকে গতকাল (২৫ আগষ্ট ২০১৪)বলেছেন, বর্তমানে বেশিরভাগ গাড়িই সিএনজিচালিত। আর অতিরিক্ত গাড়ি চলাচলের কারণে রাজধানী ঢাকায় যানজট বাড়ছে। এ অবস্থায় সিএনজি গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা কমে আসবে। অনেকাংশে যানজটও কমবে। প্রধানমন্ত্রীও নাকি এ প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন।(খবর দৈনিক পত্রিকার)
শিয়াল ধরা বা মারা খুবই কঠিন কাজ। কারণ পন্ডিত নামে পরিচিত এই প্রাণীটি অতিব ধুর্ত। তাই গ্রামে যখন শিয়ালের উপদ্রব বেড়ে যায়, তখন গ্রামের মানুষকে রীতিমতো বৈঠক করে শিয়াল মারা বা শিয়ালের উপদ্রব কমানোর যুক্তি বা পন্থা ঠিক করতে হয়। আমাদের গতকালকের মন্ত্রীসভার বৈঠকে, ‘সিএনজির দাম বাড়ালে যানজট কমবে’ বলে যে যুক্তি বা পন্থা ঠিক করা হয়েছে তা মূলত শিয়াল মারা যুক্তির মতোই। এক্ষেত্রে শুধু ‘শিয়ালের’ জায়গায় ‘পাবলিক’ বুঝতে হবে।
গ্যাসের দাম বাড়ার সাথে রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা কমে যাওয়ার সম্পর্ক আছে কি না অথবা বেশিরভাগ গাড়ি সিএনজি চালিত না হয়ে তেল চালিত হলে রাস্তার জানজট উধাও হতো কি না আমি সেই সব ফালতু বিতর্কে যাচ্ছি না। আমি শুধু একটা প্রশ্ন রাখছি, ২০১১ সালে যখন সিএনজির দাম প্রতি ঘনমিটার ১৬ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২৫ টাকা করা হয়েছিলো অর্থাৎ এক ধাক্কায় রেকর্ডপরিমাণ প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়া হয়েছিলো, তখন কি ঢাকার যানজট কমেছিলো??? অবশ্য গ্যাসের দাম বাড়িয়ে যদি ২৫ টাকার স্থলে ৫২৫ টাকা করা হয়, তাহলে মন্ত্রীর যুক্তি অক্ষরে অক্ষরে ফলে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। কারণ তখন রাস্তায় শুধু মন্ত্রীর গাড়িই থাকবে, আর দেশের পাবলিককেও হাত-পা কোলে নিয়ে ঘরে বসে থাকতে হবে।
গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি তো শুধুই গ্যাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না! গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি মানেই পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি, গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি মানেই বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি,সারের মূল্য বৃদ্ধি,বাড়ীভাড়া বৃদ্ধি,খাদ্যদ্রব্যসহ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি।আর সর্বোপরি মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি,সাধারণ মানুষের কষ্ট বৃদ্ধি।
আর ঠিক পাবলিকের কষ্টবৃদ্ধির উল্টোদিকেই সুখবৃদ্ধিও ঘটবে অনেকের। এর মধ্যে রাজনীতিক-আমলাদের যেমন দেশী-বিদেশী কোম্পানী থেকে প্রাপ্ত পার্সেন্টেস বেড়ে যাবে তেমনি হু হু করে বাড়বে ঘুষখোরদের ঘুষের রেট।বাড়বে চাঁদাবাজদের চাঁদাবাজীর রেটও। আর এত বাড়াবাড়ির মধ্যে, যানজট কমবে, গাড়ী কেনা কমবে বা গাড়ী চালানো কমবে-গন্ডমূর্খরাই কেবলমাত্র একথা বলতে পারে।
পাঠক লাল গোলদার
২৬ আগষ্ট ২০১৪
২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:০৬
নক্শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: গাড়ি-রিক্সা সব কিছুর চলাচল বন্ধ করে দেয়া উচিৎ। রাস্তাও বন্ধ করে দেয়া উচিৎ। তাহলে আর যানজট থাকবেনা। রাস্তা গুলো কেটে খাল বানানো উচিৎ, সেখানে পানি থাকবে, তাতে নৌকা চলবে। রাস্তাঘাটে মিটিং-মিছিল, জালাও পোড়াও তাহলে বন্ধ হবে। হরতালে নৌকায় আগুন দিয়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারবে বলে মনে হয়না।
৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৩৫
নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: প্রধানমন্ত্রীর অফিস টাইমে বাইরে যাওয়া চলবেনা। প্রতিদিন অফিস থেকে বাসায় আসতে যেখানে ১ ঘন্টা লাগে - কালকে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহরকে সম্মান করতে গিয়ে ৩৫ মিনিট আটকে থাকতে হয়েছে সিগন্যালে - আর বাসায় পৌঁছেছি পাক্কা আড়াই ঘন্টা বাদে।
৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:২৮
অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: @ দখিনা বাতাসের সংগে আমি সহমত।
৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @নক্শীকাথার মাঠ অসাম!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
সাথে বল্লেন না কেনু. পিতার স্বপ্ন পূর্ন হবে..
--
আইজুদ্দিনের কপালটাই খারাপ। তার কথা কোন মিডিয়ায় ছাপে না। অথচ কত গুরুত্বপূর্ন ভাবনা সে ভাবে।
আইজদ্দিন মন্ত্রীর শিয়াল মারা এই কথাশুনে বল্ল- সবচে উপকার হবে এইসব অর্থব মন্ত্রীদের নিকেশ কের দিল!
আবালীয় কথা শুনতে হবে না। জাতি উত্তেজিত হবে না। রক্তপাচ বাড়বে না-- সবাই সূখে শান্তিতে থাকবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়িত হবে।
৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:২০
শাহ আজিজ বলেছেন: এভাবে সম্ভব নয়। ঢাকার ভিতরে বড় বাস নিষিদ্ধ করতে হবে। অফিস টাইমে কিছু সড়ক একমুখী করতে হবে। রাস্তায় যে সাদা ও হলুদ লাইন থাকে তা মেনে চলতে বাধ্য করতে হবে। ২০০২সালে যখন সেনাদল রাস্তার নিয়ন্ত্রণ নেয় তখন কোন জ্যাম দেখা যায়নি । আমি ফারম গেটে দাড়িয়ে অবাক হয়ে দেখছিলাম একদল অসভ্য জারজ কি ভাবে বন্দুকের আগায় টাইট হয়ে গেছে। হলুদ লাইন পরিবরতনের শাস্তি দুটি লাইসেন্সই বাতিল । জেব্রা ক্রসিঙে দাড়ালে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা । এরকম বহু পদক্ষেপ নিয়ে সংস্কার করা যায়।
গ্যাস মুল্য বৃদ্ধি সরকারের আর্থিক অনটনের কারনে সামাল দেওয়া। দাস ব্যাবসা তো স্থবির। বেতনের টাকা তো যোগাতে হবে। অর্থনীতির সার্বিক অবস্থার উন্নতি হলে মূল্যবৃদ্ধি যুক্তিপূর্ণ বিষয় কিন্তু পানি , গ্যাস, বিদ্যুৎ ও গন যাতায়াত ব্যাবস্থাকে এর বাইরে অর্থাৎ সহনশীল করে রাখা গুড গভরনেন্স এর মধ্যে পড়ে ।
সাইন্স ল্যাবের কাছে ২ নং রাস্তার সোজা পথটি বন্ধ করে ৩ নং এর সামনে দিয়ে ঘুরে আসার বুদ্ধি কোন গাধা দিয়েছিল, তাকে নভেল প্রাইজ দেওয়ার জন্য খুজছি ।
বিদেশী এক্সপার্ট লাগান দেখবেন ওরা কি সহজ পদ্ধতি বাতলে দিচ্ছে।
৭০ টাকার স্কুটারের ভাড়া এখন গুনছি ২৫০-৩০০ টাকা। জোয়ারে ভেসে গেলুম ,ওরে কেউ বাচা আমায়
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৫৫
দখিনা বাতাস বলেছেন: প্রাইভেট গাড়ীতে সিএনজি বন্দ করা উচিত। আর একটা কাজ করা দরকার, পার্কিং ফি দেওয়া। বিদেশের মত উচ্চাহারে পার্কিং ফি দিলে এমনিই লোকজন প্রাইভেট কম বের করবে।
সরকার চাইলে ঢাকা সিটি কয়েকটা এরিয়া ভাগ করে বেসরকারি কোম্পানী কাছে টেন্ডার দিতে পারে, পার্কিং ফি আদায়ের কাজটা। যানযট কমে যাবে অনেক