![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকে এডমিশন টেস্ট দিতে গিয়েছিলাম। পরীক্ষা মোটামোটি ভালোই হইছে। কিন্তু আমার এখন কোনো পাবলিক ইউনিভার্সিটিতেই পড়ার ইচ্ছা নাই। আমার সি ইউনিটের প্রস্তুতি প্রথম থেকেই ভালো ছিল না, কিন্তু ডি এর জন্য মোটামোটি প্রিপারেশান ভালো। কিন্তু এখন আর ডি ইউনিটেও পরীক্ষা দিতে ইচ্ছে করছে না। হ্যাঁ আমি এসএসসি, এইচএসসি তে কোনো পাবলিক পরীক্ষাতেই গোল্ডেন জিপিএ ৫/সাধারণ জিপিএ ৫ পাই নাই। কিন্তু মোটামোটি একটা আশা ছিল হয়তো একটু কষ্ট করলে কোনো পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে চান্স পেয়ে যাব। আমার এখন ঘৃণা ধরে গেছে, বাংলাদেশের সকল সিস্টেমের উপর। লেখাপড়া বলেন চাকুরি বলেন সব সিস্টেমের উপর আমার এখন তীব্র ঘৃণা। পত্র-পত্রিকা খেয়াল করলে দেখবেন আজ পাবলিক ইউনিভার্সিটির এডমিশন টেস্টে জালিয়াতির অভিযোগ এবং হাতে-নাতে ধরা পড়ার বিস্তারিত ঘটনা পাওয়া যাবে। এমনকি আমি ঢাবি এর পরীক্ষা যখন দিচ্ছি তখন আমার হলেরই, ঠিক আমার বরাবর পাশের রো থেকেও এক ছেলেকে ধরা হয়েছে যে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে উত্তর পেয়ে সেগুলো দাগাচ্ছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তাকে ধরে ফেলা হয়েছে। এভাবে কয়েকজনকে হাতে-নাতে ধরা গেছে। যাদের ধরতে পেরেছে তাদের হয়তো পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে এবং উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়া হবে, শাস্তি দেয়া হবে। কিন্তু যাদের ধরতে পারা যায়নি, তারা?? তাদের জন্য কি হবে, তারা তো ঠিকই এডমিশন নিয়ে সেরা ইউনিভার্সিটিতে পড়বে। আমি জানি আমি নিজে ঢাবি-তে পড়ার যোগ্য নই,কোনো যোগ্যতাই আমি রাখি না। ঠিকমত প্রস্তুতিও নেইনি। কিন্তু যারা সাড়া বছর ধরে পড়াশুনা করেছে, এই দুইমাস অজস্র পরিশ্রম করে নিজেকে প্রস্তুত করেছে তারা চান্স না পেলে,তাদের কি হবে?? তাদের প্রাপ্য আসন গুলো জালিয়াতির মাধ্যমে ছিনিয়ে নিচ্ছে ছাত্র নামে কলঙ্ক এ জাতিরা। আর এরাই ভবিষ্যতে দেশের কারিগর হবে। আর যাদের সব কিছু শুরুই হয় জালিয়াতি, চুরির মাধ্যমে তাদের কাছে ভবিষতে কিভাবে ভালো আশা করা যায়??
এসএসসি/এইচএসসি পরীক্ষাতেও প্রশ্ন ফাঁসের অনেক ঘটনা ঘটেছে। তখন ভেবেছিলাম, এখন এভাবে যারা পরীক্ষা দিচ্ছে তারা এডমিশন টেস্টে ঠিকই ধরা খেয়ে যাবে। কিন্তু আমার ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। তারা ঠিক একই ভাবে সেরা সব পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে চান্স নিয়ে নিবে, আর প্রকৃত মেধাবীরা তাদের নিজের কপাল চাপড়াবে আর হায়-হায় করবে। এটাই আমাদের সিস্টেম।
সবাই যে করে আমি সেকথা বলছি না। কিন্তু যারা এরকম করে চান্স নিয়ে নিচ্ছে তাদের কি আদৌ কোনো যোগ্যতা আছে?? মাঝখান থেকে অনেক মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণে ব্যর্থ হচ্ছে।
এভাবে আর কতদিন?? ভবিষ্যতের বাংলাদেশ কাদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে?? এভাবেই কি দেশ চলবে যুগের পর যুগ?? যদি এভাবেই চলতে থাকে তবে আমরা কিভাবে একটা উন্নত, সুষ্ঠ, সুন্দর দেশ আশা করব??
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৩৩
পল লিয়ান বলেছেন:
২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৪৮
ইলি বিডি বলেছেন: তোমাকে সমবেদনা জানানো ছাড়া আর কিছু লেখার ভাষা নাই ।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৩৪
পল লিয়ান বলেছেন:
৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০১
দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: তাও ভাই তুমি লেগে থাকো এতে হতাশ হওয়ার কিছু নাই। তোমার যদি মেধা থাকে একভাবে না একভাবে তুমি উঠে যাবে। তোমার জন্য শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৩৮
পল লিয়ান বলেছেন: আমি যদি চেষ্টা চালিয়েও যাই, চান্সও পেয়ে যাই তবুও আমি নিজে শান্তি পাবো না। আমার মনের মধ্যে শুধু একটা কথাই বাজতে থাকবে অনেক প্রকৃত মেধাবী আজ ঝরে পড়ল।
৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০৫
মিজভী বাপ্পা বলেছেন: ভাই রে আমাদের দেশে টাকা হলে সবই সম্ভব। আপনার কাছে টাকা আর ক্ষমতা আছে সবাই আপনাকে সন্মান করবে। আর যদি না থাকে তাহলে জিজ্ঞাসা টুকু পর্যন্ত করার প্রয়োজন মনে করে না। আর আমাদের দেশে মেধার দাম নেই। ঢাবিতে ৭-৮ লক্ষ টাকা হলে নাকি ভর্তি করিয়ে দেয়া সম্ভব। জাবি ও জবিতে ৫-৬ লাখ হলে নাকি সম্ভব। তবে এরজন্য উচ্চ ক্ষমতার কেউ থাকলেই এটা সম্ভবপর হবে নইলে রেট আরও বাড়বে। বুয়েটেও সেইম ওয়ে আছে। শুধু ঐখানেই নই দেশের সরকারি বেসরকারি সব ইউনিতেই এখন দুর্নীতি চলে।
এবার আমারটা শেয়ার করি:
ঘটনা ২০১০ সালের। সবে মাত্র ইন্টার দিয়েছি। কোন কোচিং ফুচিং করি নাই। কারণ এই সব আগে থেকেই ভাওতা বাজি মনে হত। যাক ঢাকার ৩ টি সরকারি ইউনিতে[ঢাবি, জাবি, জবি] ভর্তি পরীক্ষা দিলাম।
ঢাকার টায় দেয়ার সময় আমার সামনের বেঞ্চের ডানদিকের একজন ব্লুটুথ হেডফোনের মাধ্যমে জালিয়াতি করছিল। যদিও ঐ সময়টাই প্রক্সি দেয়াটা বেশী দেখা যেত। বড় বড় চুল রেখেছিল যাতে কেউ না দেখে।
জাহাঙ্গীরে ও পরীক্ষা দেয়ার সময়ই একই কাহিনীর পুণরাবৃত্তি দেখলাম। তাছাড়া মোবাইলের এসএমএসের কাহিনী টাও দেখেছি।
জগন্নাথে তো পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে এক লোক একজন পরীক্ষার্থী কে জোরে জোরে বলছিল "আরে চিন্তা কইর না, আমি হেরে কইছি। কিছু না লিখলেও তুমি এলাউ। খালি কোন সেট পরছে ঐটা আমারে দিবা। বাকিটা আমি দেখুম নে"।
এই গেল ২০১০ এর কথা। এমন আরও কাহিনী শুনেছি, দেখেছি। তবে আমাদের কিছুই করার নাই। মেধার দাম নাই এই দেশে। আছে দুইনাম্বারির দাম।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৪১
পল লিয়ান বলেছেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শুনলেই আগে একটা ভক্তি, সম্মান, শ্রদ্ধা চলে আসত। দিন দিন সেটা কমতে চলেছে। একদিন হয়তো নিঃশেষ হয়ে যাবে।
৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪২
প্যারাডক্স123 বলেছেন: মিজভী বাপ্পা ভাই বুয়েটেও সেইম ওয়ে আছে। এই কোন প্রমাণ দিতে পারবেন ? যেখানে সম্পূর্ণ ভর্তি পরীক্ষা বুয়েটের নিজেদের ক্যাম্পাসে হয়।
বাইরে প্রশ্ন যাবার কোন সম্ভাবনাই নাই । অনেকের কাছেই শুনেছি গরম গরম প্রশ্ন পেয়েছে মানে সদ্য ফটোকপি করা প্রশ্ন।
পল লিয়ান ভাই হোঁচট খাওয়া মানে হেরে যাওয়া নয়, জয়ের প্রতি অনীহা থেকেই পরাজয়ের সূচনা হয়। হয়তো আমনার মাথায় এমন কোন আইডিয়া আসতে পারে তাতে যারা দুই নম্বরী করে প্রবেশ করে তারা ঝড়ে যাবে। সেটা সবার সামনে প্রকাশ করতে পারো।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৩
পল লিয়ান বলেছেন: ঢাবিতে আবার ভর্তি পরীক্ষা নেয়া উচিৎ। তাতে যারা সত্যি পড়াশুনা করেছে তারা কিন্তু পরীক্ষা দিতে পিছপা হবে না। কিন্তু যারা দূর্নীতি করেছে তারা পরীক্ষা দিতে চাইবে না, কারণ তারা কনফার্ম তারা চান্স পেয়ে যাবে। আর পরবর্তী পরিক্ষার সিস্টেম যদি জগন্নাথ বা বুয়েটের মত করা যায়। মানে ১০ - ১২ টা সেট থাকবে এবং ওএমআর শিট প্রশ্নের সাথে সংযুক্ত থাকবে। বার কোডের মাধ্যমে সেট দেয়া থাকবে উত্তর পত্রে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি এমন সিস্টেমে পরীক্ষা নিতে পারে তবে ঢাবিতে কেন না??
৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯
প্যারাডক্স123 বলেছেন: এবার এই কথাটা একটু গুছিয়ে কোন পত্রিকায় বা মুনির স্যার এর কাছে পৌঁছালে ভালো কিছু হতেও পারে।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৪
পল লিয়ান বলেছেন: কোনো লাভ নাই
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৭
আথাকরা বলেছেন: তোমাকে সমবেদনা জানানো ছাড়া আর কিছু লেখার ভাষা নাই ।