![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটি উদ্ভট হাদীসের গল্প শুনুন। ছোটবেলা থেকেই সবসময় শুনে এসেছি যে বসে পানি খাওয়া সুন্নত। মাঝে মাঝে তাড়াহুড়ায় দাঁড়িয়ে পানি খেয়ে ফেললে মা বকে দিতেন। একটু বড় হয়ে ধর্মীয় কিছু বইতে হাদীসের রেফারেন্সে দেখলাম যে দাঁড়িয়ে পানি খাওয়া শুধু সুন্নতের বরখেলাপ নয়, এটা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। মনেপ্রাণে যথেষ্ঠ ধার্মিক হওয়া সত্বেও এই কঠিন নিষেধাজ্ঞা সবসময় পালন করতে পারিনাই। ইমাম সাহবকেও অনেক দিন দেখেছি দাঁড়িয়ে পানি খেতে। এই কঠিন নিষেধাজ্ঞার হাদীসগুলোর মাঝে একটি হাদীস এক নজড় দেখা যাকঃ
আনাস (রা) কর্তৃক বর্ণিত রাসূল (সা) দাঁড়িয়ে পানি পান করতে নিষেধ করেছেন। ক্বাতাদাহ (রা) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন '' আমরা জিজ্ঞাসা করলাম খাবার ব্যাপারে কি নিয়ম? প্রতিত্তরে আনাস (রা) বললেন, ' এটা আরও বেশী ঘৃণিত '।'' -- সহিহ মুসলিম, বুক ২৩ হাদীস ৫০১৮
একটু বড় হয়ে আরও কিছু আলেমের কাছে খোঁজ খবর করে জানলাম যে দাঁড়িয়ে পানি খাওয়া আসলে হারাম নয় কারণ নবী নিজেও দাঁড়িয়ে পানি পান করেছেন। । বসে পান করা নবীর একটা উপদেশ মাত্র। যদিও উপরের হাদীসটি সেই কথা বলে না। উপদেশ আর নিষেধ এক জিনিস নয়।
সবচেয়ে আশ্চর্যের কথা হচ্ছে নবী নাকি বলেছেন ভুল করে দাঁড়িয়ে পানি পান করে ফেললেও তা বমি করে ফেলে দিতে। (আমার বিশ্বাস এটা জাল হাদীস, এমন আজগুবী কথা নবী জীবনেও বলতে পারেন না।) আসুন হাদীসটি পড়ে দেখিঃ
_____________________________________________
আবু হুরায়রা (রা) বর্ণনা করেন, রাসূল (সা) বলেছেন ''কারও দাঁড়িয়ে পানি পান করা উচিৎ নয়। যদি কেউ ভুলে যায় তাকে অবশ্যই বমি করতে হবে।''
-- সহিহ মুসলিম, বুক ২৩ হাদীস ৫০২২
_____________________________________________
এই উদ্ভট হাদীসটির ব্যাখ্যায় কিছু আধুনিক চিন্তাধারার আলেম বলেন যে বমি করার হাদীসটি এখন আর প্রযোজ্য নয়। নবী নিশ্চয়ই এই নিয়ম বাতিল করে গিয়েছিলেন। এই ব্যাখ্যার সাপোর্ট হিসেবে নিচের হাদীসটি তারা উল্লেখ করেন। যদিও বেশীরভাগ আলেম এই হাদীস বাতিল এই মতবাদের পক্ষে না।
আন-নাজ্জাল বিন সাবরা কর্তৃক বর্ণিত, '' আলী (রা) যোহরের সালাত আদায় করার পর আসরের সালাতের পূর্ব পর্যন্ত কুফার (মসজিদের) বিস্তৃত উঠানে বসে লোকজনের বিষয়াদি নিয়ে আলাপ করছিলেন। তখন তার নিকট পানি আনা হলে তিনি এর কিছু অংশ পান করলেন, কিছু অংশ দিয়ে মুখ হাত-পা ও মাথা ধৌত করলেন। তারপর তিনি দাঁড়ালেন এবং পানির বাকি অংশটুকু দাঁড়ানো অবস্থাতেই পান করে বললেন, ' কিছু লোক দাঁড়িয়ে পানি পান করতে পছন্দ করেনা যদিও নবী এটা করেছিলেন ঠিক এখন আমি যা করলাম '।'' -- সহিহ বুখারী, বুক ৬৯, হাদীস ৫২০
এই হাদীস দুটির ব্যাপারে আধুনিক আলেমদের ব্যাখ্যায় কিছু সম্পূরক প্রশ্ন আসে।
১) বাতিল না বলে হাদীসটিকে জাল বলতে সমস্যা কোথায়? হাদীস বাতিল হলে সেটা হাদীসের বইতে থাকার কথা, যেমন মুতা বিবাহ। বমি করা বিষয়ক হাদীসটি বাতিল হয়েছে এমন কোন হাদীস সহিহ হাদীস গ্রন্থগুলোতে নেই কেন?
২) হাদীসটি বাতিল হয়ে থাকলে সকল সাহাবার সেটি জানা থাকার কথা কিন্তু হযরত আলী (রা) ব্যতীত আর কেউ তা জানতেন না কেন?
৩) হযরত আবু হুরায়রা (রা) নবীর সাথে শেষ দুইটি বছর প্রায় সর্বক্ষণ সঙ্গী হিসেবে ছিলেন। আবু হুরায়রা এই বমি করার হাদীসটির একমাত্র বর্ণনাকারী। এত ঘনিষ্ঠ সাহচর্যে থাকার পরও কেন আবু হুরায়রা এই হাদীসটি যে বাতিল তা জানতেন না?
৪) একটি বাতিল হাদীস কেন ইমাম মুসলিম তার সহিহ গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত করলেন?
আর বাকি সব আলেম, বিষেষ করে আহলে হাদীস গ্রুপের অনুসারীদের কাছে প্রশ্ন
১) আপনারা বলেন যে হাদীসও আল্লহর ওহী। হাদীস না মানলে সে কাফের। এখন কেউ যদি দাঁড়িয়ে পানি খেয়ে পরে বমি করতে অস্বীকার করে তাহলে কি সে কাফের হয়ে যাবে?
২) হাদীসের এই কথাগুলোর মাঝে যে পরিষ্কার কন্ট্রাডিকশন আছে যেমন কোথাও বলা আছে দাঁড়িয়ে পানি খাওয়া নিষেধ আবার কোথাও বলা আছে তা যায়েজ, এটা কি প্রমাণ করে না যে হাদীস আল্লাহর ওহী নয়? কারণ কোরানে আল্লাহ বলেন আল্লাহর বানীতে কোন কন্ট্রাডিকশন নেই।
৩) বুখারী/মুসলিম শরীফের একটা উদ্ভট বা ভুল হাদীস অবিশ্বাস বা অমাণ্য করলে আমাদের কাফের বলার অধিকার কে আপনাদের দিয়েছে?
০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৮:২৮
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনার কথার সত্যতা নিচের একজন প্রমাণ করেছেন!
২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৮:২৪
ফুরব বলেছেন: রাইটারের মাথায় বমি করা উচিত।কারন কলাম লেখার সময় কান্ডজ্ঞান হারায়া ফেলে। শিক্ষিত গরুগুলো ছাপার অক্ষরে কাগজে যা লেখা দেখে তাই বিশ্বাস করে। জ্ঞান খাটায় না।হাদা রাম কোথাকার।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৩৩
মেহেদী পরাগ বলেছেন: পোস্ট পড়েছেন? এইটা একটা জাল হাদীস আমি সেইটা বুঝাইছি। যা পড়ছি সেইটা বিশ্বাস করিনাই। নিজের কান্ডজ্ঞান ঠিক করেন।
৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪০
আখাউরা পূলা বলেছেন: আমার একটা অপ্রাসংগিক প্রশ্ন ছিল,
“…সময়কে গালি দিও না, কারন আমিই সময়…”
“…নিয়তিকে গালি দিওনা, কারন আমিই নিয়তি…”
এটা কি কোরআনে আছে?
০৯ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৩:১৩
মেহেদী পরাগ বলেছেন: না এটা কোরানে নেই। এটা হাদীসে কুদসি। আবু হুরায়রা এই রকম কয়েকটি হাদীস আল্লাহর নামে বর্ণনা করেছেন। মুসলিম ও আবু দাউদ শরীফে এগুলো পাওয়া যাবে। আবু হুরায়রা বর্ণিত হাদীস কতটা বিশ্বাসযোগ্য সে সম্পর্কে আমার একটা পোস্ট আছেঃ চিন্তাশীল মুসলিম ভাইদের প্রতি প্রশ্নঃ বুখারী/মুসলিম শরীফের হাদীস কতটা নির্ভরযোগ্য? আসুন যাচাই করি।
সূরা আল জাসিয়া- ৪৫:২৪ > তারা বলে, ''আমাদের পার্থিব জীবনই তো শেষ; আমরা মরি ও বাঁচি সময়ই আমাদেরকে ধ্বংস করতে পারে।'' তাদের কাছে এ ব্যাপারে কোন জ্ঞান নেই। তারা কেবল অনুমান করে কথা বলে।
কোরানের উপরের আয়াতে দেখা যাচ্ছে মুশরিকরা বলছে শুধু সময়ই তাদেরকে ধ্বংশ করতে পারে। আল্লাহ যদি সময় হয়ে থাকে তাহলে তারা ভুল বলে নাই। কিন্তু আল্লাহ এই কথার প্রেক্ষিতে বলেছেন যে মুশরিকরা অজ্ঞতা ও অনুমান নির্ভর কথা বলে। এতেই প্রমাণ হয় আল্লাহই সময় এই কথা ভুল।
৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:২৮
আখাউরা পূলা বলেছেন: ধন্যবাদ, অনেক উপকৃত হলাম
০৯ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:৫৭
মেহেদী পরাগ বলেছেন: ভাল লাগল শুনে।
৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:৩৫
রিমন০০৭ বলেছেন: জমজমের পানিতো দাঁড়িয়ে খেতে হয়!
০৯ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:৫৭
মেহেদী পরাগ বলেছেন: হ্যাঁ, এই পোস্টেই সেই হাদীসের লিঙ্ক দেয়া আছে। এতে করে প্রমাণ হয় কোন একটা হাদীস ভুল বা জাল।
৬| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:২৯
হেডস্যার বলেছেন: জানলাম। থ্যাঙ্কু
১১ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৪
মেহেদী পরাগ বলেছেন: ওয়েলকিউ
৭| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৪১
শিপু ভাই বলেছেন:
++++++++++
১১ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৫
মেহেদী পরাগ বলেছেন: ধন্যবাদ।
৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৪০
ঘুমাইলে চোখে দেখি না! বলেছেন: আসলেই দারুন একটা পয়েন্ট তুলে ধরেছেন। কখনো এভাবে চিন্তা করিনি। এরকম অনেক হাদীস পড়ে মনে খটকা জাগে। কিন্তু সেগুলো নিয়ে বিশদ ঘাটবার সময় হয়ে ওঠে না। লিখে যান ভাই।
১১ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১:০৪
মেহেদী পরাগ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আমার নিচের পোস্ট দুটো পড়ে দেখতে পারেন। এমন গুরুত্বপূর্ণ অনেক কিছু জানতে পারবেন।
আমরা কি হাদীস নির্ভর ভুল ইসলাম পালন করছি না?
চিন্তাশীল মুসলিম ভাইদের প্রতি প্রশ্নঃ বুখারী/মুসলিম শরীফের হাদীস কতটা নির্ভরযোগ্য? আসুন যাচাই করি।
৯| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১২
রিফত বলেছেন: +++++
১৪ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৪
মেহেদী পরাগ বলেছেন: ধন্যবাদ।
১০| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৬
সবুজ সাথী বলেছেন: ফালতু আর চুল্কানি মূলক পোস্ট। নিজেকে বেশি জ্ঞানী মনে করলে যা হয় আরকি।
আমি অনেক আগে থেকেই জানি দাঁড়িয়ে খাওয়া নিষেধ। আর ওজু করার পরের পানি আর জমজম কুপের পানি দাঁড়িয়ে খাওয়া সুন্নত। হাদীসগুলোর মধ্যে কোন বিরোধ নেই। বরং একে অপরের পরিপূরক।
১৪ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৩
মেহেদী পরাগ বলেছেন: আপনার নিজেই দেখুন বিরোধ আছে কিনা?
আপনি বলেছেনঃ আমি অনেক আগে থেকেই জানি দাঁড়িয়ে খাওয়া নিষেধ।
হযরত আলী বলেছেনঃ দাঁড়িয়ে এবং বসে দুইভাবে পানি খাওয়াই জায়েজ, কোন নিষেধ নাই, যারা বলে দাঁড়িয়ে খাওয়া নিষেধ তারা ভুল বলে (আমার পোস্টে এই হাদীসটি দেয়া আছে দেখে নিন)।
অতএব হযরত আলীর কথা অনুযায়ী আপনি ভুল বলেছেন, যে দাঁড়িয়ে পানি খাওয়া নিষেধ। এটাই হাদীসের বিরোধ। এক হাদীসে বলে দাঁড়িয়ে খাওয়া নিষেধ আরেক হাদীসে বলে নিষেধ না। আপনি অযথাই জমজম এর রেফারেন্স এনেছেন, হযরত আলী যমযমের পানির কথা বলেন নাই। পড়তে জানলে আলীর হাদীসটি ভাল করে পড়ে মন্তব্য করুন। নিজের গায়ে চুলকানী নিয়ে আরেকজনের দিকে অভিযোগ করবেন না। ছাগু ছাড়া আর কেউ এটা খুব কমই করে।
১১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫০
ইকথিয়ান্ডর বলেছেন: হাদিসটার ব্যাখ্যা কি এমন হতে পারে না যে, জমজমের পানি দাঁড়িয়ে খেতে হয়, আর অন্যান্য ক্ষেত্রে বসে?
২২ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:১৮
মেহেদী পরাগ বলেছেন: না পারেনা, কেননা এইখানে একটা হাদিস না বেশ কয়েকটা হাদিস আছে, একটা আরেকটার বিপরীত। তাই আপনার ব্যাখ্যা একটা গোঁজামিল মাত্র।
জমজমের পানি দাঁড়িয়ে খেতে হয়- হাদিস অনুযায়ী মানা গেল।
অন্য পানি বসে খেতে হয়- এক হাদিস অনুযায়ী ঠিক, অন্য হাদিস অনুযায়ী ভুল। তার মানে যেকোন একটা হাদিস ভুল। স্বাভাবিক যুক্তিতে দাঁড়িয়ে পানি খাওয়া যাবেনা এই হাদিসটাই ভুল। পানি খেলে আবার জোড় করে বমি করতে হবে কেন?
১২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:১৮
অনির্বাণ তন্ময় বলেছেন: জানানোর জন্য ধন্যবাদ
১৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২০
রেসিমিক সিরামিক বলেছেন: আস্তিক নাস্তিক ব্যাপারটা ডালভাত হয়ে গেছে আজকাল।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৮:১৬
সবখানে সবাই আছে বলেছেন: কিছুক্ষন পরে আস্তিকেরা এই পোস্টে এসে বমি করবে।