নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালিখি করিনা তেমন।অন্যের লেখা পড়তে ভালোলাগে।তাই রেগুলার আসা হয় সামুতে।

শাহিদ উজ জামান

হাবিজাবি

শাহিদ উজ জামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষ ধুমপান করে কেন?? উল্লেখযোগ্য কিছু কারন!!!

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩০

যারা ধুমপান করেন তাদেরকে প্রায়ই কিছু কমন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়।যেমনঃ সিগারেট খান কেন? সিগারেট খেয়ে কি হয়?? ইত্যাদি ইত্যাদি।অনেক সময় এইসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া কঠিন হয়ে যায়।আমার বন্ধুরা যখন আমাকে বলে সিগারেট খাস কেন? আমি এককথায় বলে দেই, ভালো লাগে তাই খাই।সত্যিকথা বলতে ধুমপান কোন গর্বের বিষয় না।আর দশটা বাজে অভ্যাসের মত এটাও একটা বাজে অভ্যাস।আর একবার শুরু করলে ছেড়ে দেওয়া অনেক কঠিন।যেমনঃ আমি প্রথম সিগারেট খেয়েছিলাম এক্সপেরিমেন্ট হিসেবে।শুধু জানতে চেয়েছিলাম খেলে কি হয়।ব্যস,কয়েকদিনের মধ্যে সেটা অভ্যাস হয়ে গেছে।এখন অনেক চেস্টা করেও ছাড়তে পারছি না।

সিগারেট খাওয়ার এমনই কিছু কারন নিয়ে আমার আজকের পোস্ট।তাহলে শুরু করা যাক।
১. সিগারেট খাওয়া একটা আসক্তি।সিগারেটে থাকে নিকোটিন নামক এক অদ্ভুত বিষ যা তরল অবস্থায় গ্রহন করলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।অনেক বিজ্ঞানী দাবী করেছেন নিকোটিন নাকি হিরোইন,কোকেন ইত্যাদির চেয়েও বেশি এডিক্টিভ।নিকোটিন মানুষের মস্তিষ্ক উদ্দীপিত করে এবং একইসাথে রক্তের সাথে মিশে নার্ভকে সাময়িক শান্ত করে।এটাকে Biphasic Effect বলে।যার কারনে মানুষ বারবার সিগারেটের কাছে ফিরে আসে।আবার,দীর্ঘদিন সিগারেট খাওয়ার ফলে মানুষের রক্তে নিকোটিনের মাত্রা বেড়ে যায় এবং মস্তিষ্ক আরও বেশি নিকোটিন চায়।একারনে একবার খাওয়া শুরু করলে ছেড়ে দেওয়া অনেক কঠিন হয়ে পড়ে।তারপরেও অনেকেই ছাড়তে সক্ষম হয়।আশা করি আপনি তাদের মধ্যেই একজন।
২.অনেকে দুশ্চিন্তা দুর করার জন্যে সিগারেট খায়।সিগারেট খেলে অল্পসময়ের জন্যে যে মানসিক শান্তি পাওয়া যায় তারজন্যে অনেকেই প্রচন্ড দুশ্চিন্তা অথবা হতাশার কারনে সিগারেট খেয়ে থাকে।অথচ তারা বুঝতে পারেনা যে, সিগারেটই কিছুদিন পর তার জীবনের অনেক বড় দুশ্চিন্তা হয়ে দেখা দিবে।
৩.অনেকসময় ফ্যামিলিগত কারনেও মানুষ সিগারেটের প্রতি আসক্তি হয়ে উঠে।যেমন বাবা সিগারেট খেলে ছেলে আগ্রহী হয়ে উঠতে পারে।অথবা বড়ভাই সিগারেট খেলে ছোটভাই আগ্রহী হয়ে উঠতে পারে।
৪.ফ্রেন্ড সার্কেল আমাদের লাইফের উপর অনেক প্রভাব বিস্তার করে।বন্ধুদের কাছে আমরা যেমন অনেক ভালোকিছু শিখি তেমনি অনেক খারাপ অভ্যাসও তাদের কাছে শেখা হয়ে যায়।বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছেলেরা তার ফ্রেন্ডসার্কেলের পাল্লায় পড়ে সিগারেট খাওয়া শুরু করে।আর এই সিগারেটই পরে আরও অনেককিছু খাওয়ার পথ সহজ করে দেয়।একটা গান আছে "সিগারেট থেকে শুরু শেষকালে হিরোইন,,,,," তাই সাবধান।বন্ধুরা যাকিছু করবে আপনাকেও নিশ্চয়ই তার সবকিছু করতে হবেনা।
৫.একটা কথা প্রায়ই শুনা যায়।নিষিদ্ধ বস্তুর প্রতি সবার একটা অন্যরকম টান থাকে।এইকারনেও অনেকে সিগারেট খাওয়া শুরু করে।
৬.আপনার চারপাশে যদি অনেক ধুমপায়ী থাকে অথবা আপনাকে যদি কিছু ধুমপায়ীদের মাঝে থেকে কাজ করতে হয় তাহলে সিগারেটের প্রতি আসক্তি চলে আসতে পারে।আর যে সিগারেট আসক্ত সে আরেকজনকে সিগারেট খেতে দেখলেই তার ভিতরের সেই আসক্তি  মাথাচাড়া দিয়ে উঠে।আমার ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে এমন হয় যে,মুভিতে অথবা কোন গল্প বা উপন্যাসে কোন চরিত্র সিগারেট খেলে আমার সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছা করে।অনেক কস্টে সেই ইচ্ছা দমন করতে হয়।
৭.অনেকে শো অফ করার জন্যেও সিগারেট খায়।বিশেষ করে,টিনেজারদের ক্ষেত্রে এইকারনটা বেশি খাটে।তারা মনে করে সিগারেট খেলে তাদেরকে অনেক কুল লাগে।
৮.অনেকে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করার জন্যেও সিগারেট খায়।সিগারেট অনেক ডিসট্রাকশন দুর করে এবং কোন বিষয়ের উপর গভীরভাবে চিন্তা করতে সাহায্য করে।আমার একবন্ধু বলে "সিগারেট ছেড়ে দেওয়ার চিন্তা করতেও নাকি তার একটা সিগারেট টানা লাগে"
৯.ওজন কমানো: হুম।সিগারেট খেলে মানুষের ওজন কমে যায়।কারনটা খুব সোজা।সিগারেট খাওয়ার রুচি,খাওয়ার স্বাদ ইত্যাদি কমিয়ে দেয়।সিগারেট খেলে ক্ষুদা কমে যায়।আর কম খাওয়া দাওয়ার কারনে ওজন তো কমবেই।অনেক সময় শোনা যায়,হলিউডের অনেক নায়িকা নাকি ফিগার মেইমটেইনের জন্যে সিগারেট খায়।আমার কাছে এটা বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি।যাই হোক,ধুমপান আপনার ওজন কমালেও পরবর্তিতে অনেক কঠিন অসুখ সৃস্টি করবে।তাই সাবধান।
১০.অনেকে এডভেঞ্চার বা এক্সপেরিমেন্ট এর জন্যে প্রথমবার সিগারেট খায় এবং পরে তা নেশায় পরিনত হয়ে যায়।তাই সবাইকে বলি,কোন এক্সপেরিমেন্ট এর দরকার নাই।শুধু জেনে রাখেন এটা অনেক খারাপ জিনিস।তাহলেই হবে।
হ্যা সিগারেট খাওয়ার পেছনে আরও অনেক অনেক হাবিজাবি কারন আছে।আর সিগারেট খেলে অনেক হাবিজাবি অসুখও হয়।হাপানী,ক্যান্সার ইত্যাদি অনেক অসুখ সিগারেট খাওয়ার মাধ্যমে হতে পারে।তো সবার কাছে একটাই অনুরোধ নিজে খাবেন না,প্রিয়জনকেও খেতে নিষেধ করবেন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১১

জাহিদ হাসান বলেছেন: যে যেই কারনেই ধূমপান করুক না কেন। ফলাফলের খাতায় এসে সব শূন্য।
তাই ধূমপানের বিরুদ্ধে পৃথিবীজুড়ে এত ক্যাম্পেইন, আন্দোলন ও কথাবার্তা-সমালোচনা।
যে বুঝে, সে কখনো ধুমপান করে না। যারা এর অপকারীতাকে বড় মনে করে না,
তারাই ধুমপান করে নিজের জীবন নষ্ট করে।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:০৩

শাহিদ উজ জামান বলেছেন: কথা ঠিক ভাই।কিন্ত আমরা বুঝেও যেন বুঝতে পারিনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.