নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কে বলার মত কিছু নাই। যে দিন বলার মত পরিস্থিতি হবে আশাকরি সেদিন আর বলতে হবে না।

পাজী-পোলা

চেষ্টাই আছি........

পাজী-পোলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প অথবা হাবিজাবি

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১০

ঐ মিয়া আপনার কি গুড়া কৃমি আছে, কামরায়? এত পেচাল পারেন ক্যান? নিজের কাজে যান। বেশি কথা কইলে প্যান খুলে হাতে ধইরা দিমু।
আশফাকুর রহমান হচকচিয়ে গেলেন এই এলাকায় এর আগে এমন ঘটনা ঘটেছে। তিনি যে দিন বাড়ী ভারা নিতে আসেন সেদিন অনেকই বলেছে কিন্তু মিসেস রাহমান কিছুই শোনেনি। আশফাকুর কত করে বললেন এই এলাকায় আসার দরকার নাই। কিন্তু কে শোনে কার কথা। মিসেস রাহমান জিদ ধরলেন তিনি এই এলাকায় এবং এই বাড়ীতেই থকবেন। অগত্যা আশফাকুর রাহমান কে এই এলাকায়ই থাকতে হল। অতঃপর তিনি বুঝতে পারলেন যে তিনি এই জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল করেছেন। আসলে মেয়ে মানুষের কথা শোনাই ভুল। এজন্যই বলে মেয়ে মানুষের বুদ্ধি থাকে হাটুর নিচে। এইযে বেহেস্ত থেকে বিতাড়িত হলাম তা তো এই নারীরই ভুলে। আশফাকুর রহমান এখন যে বিপদে পড়েছেন তা তো বউ এর করণেই। পিচ্চি একটা ছেলে বলে কিনা প্যান্ট খুলে হাতে ধরে দিবে। ছোট বেলায় অবশ্য প্যান্ট হাতে নিয়ে ঘোরা যেত, কত ঘুরেছেন তিনি। কিন্তু এই বয়সে প্যান্ট হাতে নিয়ে ঘোরাটা ঠীক মানাবে না তাছারা তিনি একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন, তাঁর একটা মান-স্মমান আছে না! এখন না হয় রিটায়ার করেছেন তাই বলে তো আর প্যান্ট হাতে নিয়ে ঘুরে বেরাতে পারেন না। তাছারা প্যান্ট খুলার মত কোন ঘটনা ঘটেছে কি! তিনি তো তেমন কিছু বলেননি, ছেলেটার সাথে ধক্কা লেগে তাঁর পাঞ্জাবী ছিরে গেছে, তিনি শুধু বলেছেন এই ছেলে দেখে চলতে পারো না। এটাকি প্যন্ট খুলে হাতে ধরিয়ে দেবার মত কোন অপরাধ! আশফাকুর রাহমান বুঝতে পারছেন না, তিনি কি করবেন, এই ছেলের সাথে তর্ক চালিয়ে যাবেন না এড়িয়ে যাবেন! এরকম বেয়াদব ছেলের সাথে তর্ক চালিয়ে যাবার কোন মানেই হয়না। তাছাড়া তর্ক করলে হিতে বিপরিত হতে পারে তাই আশফাকুর রহমান ছেলেটাকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে হাটা শুরু করলেন। ছেলেটা মনে হয় আশফাকুর রহমানের এমন পরাজয়ে আরও বেশি প্রশয় পেল আরও উচ্ছাস নিয়ে বলল কি আংকেল ভয় পাইছেন? আশফাকুর রহমান রাগে গজগজ করতে করতে বাড়ীর দিকে ছুটলেন।

বাড়ীটা মিসেস রহমানের বেশ পছন্দ হয়েছে। দুই রুমের ফ্ল্যাট, প্রসস্ত বারান্দা, দক্ষিণা মুখি জানালা। জানালা দিয়ে হু হু করে বাতাস আসে। ঢাকা শহরে এ রকম বাড়ী পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। মিসেস রাহমান এই বাড়ীতে এসে বেশ খুশি। আশফাকুর রাহমান বউয়ের হাসি মুখ দেখে সব ভুলে গেলেন। তাঁরা নিঃসন্তান, এই নিয়ে মিসেস মিসেস রহমানের কত আক্ষেপ! বলতে গেলে সারাক্ষণ মনমরা হয়ে বসে থাকত। আজ কতদিন পর আশফাকুর রহমান তাঁর বউয়ের হাসি মুখ দেখলেন। তাছাড়া মিসেস রাহমানের হাসিতে অন্য রকম এক ভালোলাগা আছে। রবীন্দ্রনাথ হয়তো এরকম হাসি মুখ দেখেই বলেছিলেন "কাহারো হাসি ছুরির মাত কাটে কাহারো হাসি অশ্রুজলের মত"। আশফাকুর রাহমানের কেবল একটা কথায় মনেহল এরকম হাসি মুখ দেখার জন্য তিনি এই বয়সেও প্যান্ট হাতে নিয়ে ন্যাংটো হয়ে পুরো ঢাকা শহর ঘরতে পারেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.