নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কে বলার মত কিছু নাই। যে দিন বলার মত পরিস্থিতি হবে আশাকরি সেদিন আর বলতে হবে না।

পাজী-পোলা

চেষ্টাই আছি........

পাজী-পোলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আর যাব না তোমার বাড়ি

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৪

আর যাব না তোমার বাড়ি
তোমার সাথে এবার আড়ি
কথা দিয়ে ফেরাও খালি
আসবো বলে দিচ্ছো ফাকি।

আর যাব না- তোমার বাড়ি
তোমার বাড়ি নি:স্ব ভারি
দিবা-রাত্রি একলা পুরি
বুকের ক্ষতে জোড়ায় তালি
স্বপ্ন দিয়ে কাথা শেলি।
আর যাব না- তোমার বাড়ি
তোমার বাড়ি গারদ মুখি
পানে-চুনে খসেই যদি
কুটনা কাটে শাশুড়িনি
ননদিনিও কম না যায়
শরীর জুড়ে কথা ফোটায়।

আর যাব না- তোমার বাড়ি
তোমার বাড়ি ব্যথা ছড়ায়
কথার তরে আমায় কাদায়।
আর যাব না- তোমার বাড়ি
তোমার বাড়ি কষ্ট জাগায়
তুমি নামের অসুক বাড়ায়।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: আরে রাগ কমান।

২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: স্ত্রী কি আর শ্বশুর বাড়ি যাবে না? খুব অভিমানের কবিতা।

আপনার ছন্দজ্ঞান বেশ ভালো (অন্ত্যমিলের কথা বলছি না)। তবে, দিচ্ছে গালি দজ্জাল শাশুড়ি, তুমি নামের সুখ নাই- এই দুই লাইনে ছন্দপতন হয়েছে। ছন্দ সম্পর্কে আরো পড়তে চাইলে এটা পড়তে পারেন - বাংলা কবিতার ছন্দ সম্পর্কে প্রাত্থমিক ধারণা

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪১

পাজী-পোলা বলেছেন: ছন্দ আমার মাথায় ঠিক ঢোকে না এই জন্য আমি আমার লেখা গুলা কে কবিতা বলতে ভয় পাই। আমার উদ্ভট মস্তিকে যা নাজিল হয় আমি তাই লিখি।

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনার লেখাটা পড়ছি কিন্তু খুব একটা সুবিধা হচ্ছে না. খারাপ ছাত্র ছিলাম, ফাঁকিবাজি করে ব্যাকরণ পার করছি তবে যতটুকু মাথায় ঢোকে পরবর্তী লেখায় ততটুকু খেয়াল রাখবো।

৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আচ্ছা পাজী-পোলা তো আপনি! সাথে সাথেই পড়ার দরকার নেই। ছন্দ সম্পর্কে আপনার পাঠ না থাকলেও ছন্দ সম্পর্কে আপনার প্র্যাক্টিক্যাল জ্ঞান আছে। যে দুটো লাইন আমি উল্লেখ করেছি, এ দুটোর সাথে বাকিগুলোকে মেলালেই বুঝতে পারবেন এ দুটো বাকিগুলো থেকে আলাদা হয়ে গেছে। এটা মনে রেখে লিখতে থাকুন।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০০

পাজী-পোলা বলেছেন: ধর্য সহ্য হয় না তাই কোন কিছু পেলে সাথে সাথেই পড়ে ফেলি। অজ্ঞতো, জ্ঞানের ক্ষুধা প্রচুর কিন্তু সমস্যা হল মাথা সব নিতে পারে না.

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০২

পাজী-পোলা বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই আপনার সাথে দেখা করা যায়? সামনা-সামনি কথা বললে হয়তো আরো পরিষ্কার হবে।
আমি আমার এই লেখাটা আবার পড়ে দেখলাম আপনার ছন্দ নিয়ে লেখা পড়ার পর। আপনি যে দুই লাইনের কথা বলেছেন তার একটা ঠিক করে নিয়েছি। আর একটা এখনো মাথায় আসেনি।

তবে আপনার লেখা পড়ার পর আমার এই লেখটা পড়ে যা বুঝলাম তা হল আমার সব গুলো লাইন আট মাত্রার ঐ দুটো লাইনে একটা নয় আর একটা পাচ মাত্রা ছিলো। আমার বোঝাটা কি ঠিক আছে।

রিপ্লে দিলে খুশি হব।

৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৫

জাহিদ হাসান বলেছেন:

৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বড়ো কমেন্ট লিখেছিলাম। এক রঙ বাটনে প্রেস হওয়ায় সব শেষ।

কোন কবিতা কোন ছন্দে লেখা তা বোঝার জন্য এটা মনে রাখতে হবেঃ


ক। স্বরবৃত্ত=মূল পর্ব ৪ মাত্রা।
খ। মাত্রাবৃত্ত=মূল পর্ব ৪, ৫, ৬ বা ৭ মাত্রা।
গ। অক্ষরবৃত্ত=মূল পর্ব ৮ বা ১০ মাত্রা।

৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আর যাব না - তোমার বাড়ি
তোমার সাথে - এবার আড়ি

আপনার কবিতায় দুটি সমান পর্ব আছে। প্রতি পর্ব ৪ মাত্রার। তাই এটা স্বরবৃত্তের কবিতা।

৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:


আর যাব না - তোমার বাড়ি
তোমার সাথে - এবার আড়ি

ছন্দে মুক্তস্বর ও বদ্ধস্বর বলে দুটো টার্ম আছে।

আর/মার/বার/আম/থাম/লান/কন/দশ/দেন/ - এগুলো বদ্ধস্বর। স্বরবৃত্তে বদ্ধস্বরকে ১ মাত্রা হিসাবে ধরা হয়।

যা/ব/তো/বা/ড়ি/সা/থে/ছি/লো/কা/খা/দি/নে/- এগুলো মুক্তস্বর। অক্ষরের শেষ অংশ যদি খোলা বা মুক্ত থাকে, সেটা মুক্তস্বর। মুক্তস্বর সব ছন্দেই ১ মাত্রা হিসাবে গোনা হয়।

৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:



আর | যা | ব | না ----- তো | মা | র বা | ড়ি = ১+১+১+১ ------ ১+১+১+১ = ৪+৪
তো | মা | র সা | থে ----- এ | বা | র আ | ড়ি = ১+১+১+১ ------ ১+১+১+১ = ৪+৪

৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:


দিচ্‌ | ছে | গা | লি | ----- দজ্‌ | জাল | শা | শু | ড়ি = ১+১+১+১ ----- ১+১+১+১+১ = ৪+৫

মাত্রা গোনার দরকার নাই। শুধু পড়ার সময় নিজেই খেয়াল করুন, আগের লাইন বা পড়ের লাইন থেকে বর্তমান লাইনটায় কোনো কমবেশি হচ্ছে কিনা। হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ একটা গর্তে পা পড়ে যাওয়া কিংবা একটা উঁচু ঢিভিতে পা হোঁচট খাওয়া ছন্দপতনের সাথে তুলনীয়।

এবার পুরাটা পড়লাম। আগের চাইতে ইম্প্রুভ্‌ড।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৯

পাজী-পোলা বলেছেন: হচ্ছে না, এই মনে হচ্ছে বুঝতে পারছি আবার পরেই মনে হচ্ছে মূলটাই ধরতে পারিনি।

আমি এভাবে ধরছিলাম
আর। যা। ব। না।......তো। মার। বা।ড়ি = ১+১+১+১.......১+১+১+১
তো। মার। সা। থে।........এ। বার। আ। ড়ি =১+১+১+১.......১+১+১+১

ইউটিউবে একটা ভিডিও দেখলাম সে আলাদা না করে এক সাথে আটমাত্রা ধরছে
আর। যা। ব। না। তো। মার। বা। ড়ি = ১+১+১+১+১+১+১+১ = ৮

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৬

পাজী-পোলা বলেছেন: লেখার সময় তো মাত্রা দেখবো না মাথায় যেভাবে আসবে সেভাবেই লিখবো কিন্তু খাতায় লেখাটা ফেলার পর তো মাত্রা দেখতে হবে।

বিজ্ঞদের বলতে শুনেছি লেখায় আগে ছন্দ মাত্রা দেখতে হবে, তারপর লেখাটা আদৌ কবিতা হয়েছে কিনা বিবেচ্য।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৬

পাজী-পোলা বলেছেন: আপনি বলেছেন মূল পর্ব, মূল পর্ব ছাড়া অন্য কোন পর্ব আছে নাকি?
আপনাকে বিরক্ত করতেছি...কিন্তু আমি মাত্রা বুঝিনা বুঝতে চাচ্ছি।

আজকালকের বাজে নাটক গুলা দেখলে আমার রাগ ধরে সেই থেকে বুঝতে পারছি বাজে লেখা পড়লে বিজ্ঞদের কি পরিমাণ রাগ হয়।

১০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৭

সাগর শরীফ বলেছেন: ঠান্ডা মাথায় বেকায়দা রাগ ঝাড়তে পারেন তো আপনি!

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪১

পাজী-পোলা বলেছেন: মানে? বুঝিনি?

১১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার ছন্দ বিশ্লেষণ ঠিক হয়েছে তো।


এইখানে তোর - ৬ (মাত্রাবৃত্ত। মূল পর্ব - ৬ মাত্রা)
দাদির কবর - ৬
ডালিম গাছের -৬
তলে -২
তিরিশ বছর
ভিজায়ে রেখেছি
দুই নয়নের
জলে


যবে
উৎপীড়িতের -৬ (মাত্রাবৃত্ত)
ক্রন্দন সুর - ৬
আকাশে বাতাসে -৬
ধ্বনিবে না -৪
অত্যাচারীর
খড়্গ কৃপাণ
ভীম রণভূমে
রণিবে না
বিদ্রোহী রণক্লান্ত
আমি
সেইদিন হব শান্ত

বোল্ড করা শব্দগুলো ছোটো পর্ব। বাকিগুলো মূল পর্ব।


সতত হে নদ তুমি - ৮ (অক্ষরবৃত্ত। মূল পর্ব-৮ মাত্রা)
পড়ো মোর মনে - ৬
সতত তোমারি কথা - ৮
ভাবি এ বিরলে - ৬


হাজার বছর ধরে - ৮ (অক্ষরবৃত্ত)
আমি পথ হাঁটিতেছি - ৮
পৃথিবীর পথে - ৬


ভোর হলো - ৩ (স্বরবৃত্ত ছন্দ, তাই 'ভোর' ও 'দোর' -১ মাত্রা)
দোর খোলো - ৩
খুকুমণি - ৪
ওঠো রে - ৩
ঐ ডাকে - ৩/৪
জুঁই শাখে - ৪
ফুলখুকি - ৩
ছোটো রে -৩


৩৬। পর্ব, অতিপর্ব ও উপপর্ব। বাক্য বা পঙ্‌ক্তির এক হ্রস্ব যতি থেকে আরেক হ্রস্ব যতি পর্যন্ত অংশকে পর্ব বলা হয়। উদ্ধৃত কবিতাংশের প্রতি পঙ্ক্তিতে ৪টি করে পর্ব রয়েছেঃ

১ম পর্ব- এইখানে তোর
২য় পর্ব- দাদির কবর
৩য় পর্ব- ডালিম গাছের
৪র্থ পর্ব- তলে

৩৭। পর্বগুলো সাধারণত সমমাত্রার হয়। পঙ্‌ক্তি শেষের পর্বাংশকে অতিপর্ব বলা হয় যার মাত্রা সংখ্যা পর্বের মাত্রা সংখ্যা থেকে সর্বদাই কম। এ ধরনের পর্বাংশ পঙ্‌ক্তির শুরুতে থাকলে তাকে উপপর্ব বলা হয়।

---

মূল কথা। ছন্দ নিয়ে এত মাথা না ঘামিয়ে, বা মাথার চুল না ছিঁড়ে কবিতা লিখতে থাকুন। কবিতা লিখতে হলে বেশি বেশি পড়া উচিত, বিশেষ করে কবিতা। কবিতা পড়তে পড়তেই ছন্দ শিখে যাবেন, তখন এ হিসাবের দরকার পড়বে না। একটা ভালো কবিতা বিশ্লেষণ করতে গেলে দেখা যায় ওটা সব দিক থেকেই নিখুঁত। তবে, নিখুঁত ভাবে ছন্দ মেনে কবিতা লিখতে গেলে সেটা ভালো কবিতা নাও হয়ে উঠতে পারে।

আমি ছন্দ শিখেছি কবিতা লেখা শুরু করার অনেক অনেক পড়ে। অথচ ছন্দ শেখার আগের কবিতাগুলোতে আমার কোনো ছন্দপতন নাই, বা যতটুকু ছিল, তা এখনো থাকে। কাজেই ছন্দ নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.