নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কে বলার মত কিছু নাই। যে দিন বলার মত পরিস্থিতি হবে আশাকরি সেদিন আর বলতে হবে না।

পাজী-পোলা

চেষ্টাই আছি........

পাজী-পোলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাতের কালিতে কলঙ্কিত চাঁদ

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৭

দিনের আলো ফুরিয়ে এলে, নামে অন্ধকার রাত। সেই রাতের বুকে জেগে থাকে চাঁদ। চাঁদের আলোয় পুড়তে থাকে এক জোড়া ক্ষুধার্ত চোখ। ভক্ষণ করে ঝলসানো রুটি। তারপর ধীরে ধীরে জোছনার মত ক্ষীণ হয়ে আসে সেই চোখের আলো।

দিনের আলো ফুরিয়ে গেলে, আসে রাত। রাতের বুকে জেগে থাকে স্নিগ্ধ রুপালি চাঁদ। চাঁদের নরম আলোয় ভিজতে থাকে এক জোড়া দেহ। নর দেহের সস্তার রসবোধে খিলখিল করে হেসে উঠে নারী দেহ। সেই হাসি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে মাতাল করা জোছনার মত।

দিনের আলোর শেষে- নামে গহীন অন্ধকার রাত। সেই রাতের বুকে দূর আকাশে জেগে থাকে চাঁদ। চাঁদের আলো আটকে যায় দেয়ালে। দেয়ালের এ পাশে যেখানে চাঁদের আলো পৌঁছায় না, এক জোড়া কালো হাত হাতরে বেড়ায় রসালো দেহ। গোঙানির শব্দ দেয়ালে বাড়ি খেয়ে ফিরে আসে। থোকা থোকা রক্ত লেগে যায় বিলাসী চাদরে। তারপর, শকুনে চাটা নিথর দেহটা পড়ে থাকে অন্ধকার গলিতে। চাঁদের রুপালি আলো যেখানে পৌঁছায় না।

দিনের আলো ফুরিয়ে গেলে নামে নির্জন শূন্যতার রাত। সেই রাতের বুকে জেগে থাকে শুভ্র জোছনা বিলানো চাঁদ। জোছনায় ভিজতে থাকে ফাঁকা রাজপথ। পথের বাঁকে উৎ পেতে থাকে একদল শিয়াল। খাবলে ধরে নিরীহ শব্দটাকে। ফিনকি ফোঁটা জোছনায় ফিনকি দিয়ে বেরিয়ে আসা রক্ত চিকচিক করে। কালো রাজপথে মিশে যায়। নির্বাক চাঁদ বোবা হয়ে তাকিয়ে থাকে।

দিনের আলো নিঃশেষ হয়ে গেলে, নামে রাত। রাতের বুকে হাসে পূর্ণিমা চাঁদ। জোছনায় মাখে সমগ্র শহর। অহেতুক প্রেয়সীর মুখ আঁকতে থাকে প্রেমিক। আনমনে গুনগুনিয়ে ওঠে নারী। শব্দের জাল বুনে কবি। শিল্পী আকে জল জোছনার ছবি। বাসর কাব্য সাজায় দম্পতি। থালার মত চাঁদ টা- সুধা বিলায় রসিক মনে।

চাঁদের গায়ে দাগ? থাকনা, কলঙ্ক আড়াল করে আমরা বরং রুপ সুধা আকন্ঠ পান করি।

অহংকারী চাঁদের বুকের কালিমা সরণ করে দিলেই ঢুকে পড়ে ☁️ মেঘে, হারিয়ে যায় ঘোর অমাবস্যায়।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



ম্যাঁওপ্যাঁও

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৭

পাজী-পোলা বলেছেন: :(

২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পাজী-পোলা, আমি অভিভূত। ইন ফ্যাক্ট বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি আপনার রচনাশৈলীতে। প্রতিটা স্তবক তার আগের স্তবককে সম্প্রসারিত করেছে, নিরীক্ষাধর্মী এ কাজটা আমাকে বিমোহিত করেছে। আরো একটা বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেলো, ছন্দ নিয়ে আপনার আর পড়ালেখা করার আদৌ প্রয়োজন নেই, আপনি খুব দক্ষতার সাথেই নির্ভুল ছন্দে লিখে গেছেন। এ ছন্দটার নাম অমিল/মুক্তক অক্ষরবৃত্ত ছন্দ। নজরুলের ব্যথার দানসহ আরো অনেক রচনা এ ছন্দের রচিত।

শুভেচ্ছা রইল।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:২৩

পাজী-পোলা বলেছেন: কিন্তু চাঁদ গাজী তো বলেছেন, ম্যাওপ্যও।

আপনার প্রতিটি কমেন্টে আমি নতুন কিছু জানতে পারি, বুঝতে পারি, শিখতে পারি। আপনার কমেন্ট আমাকে অনেক উদ্বুদ্ধ করে। আপনার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। ভালবাসা নিবেন।

অমিল/মুক্তক অক্ষরবৃত্ত ছন্দ আমি আপনার ছন্দ মাত্রা নিয়ে লেখায় পড়েছিলাম। যেটা আপনি আমাকে পড়তে সাজেস্ট করছিলেন সেখানেই অমিল/মুক্তক অক্ষরবৃত্ত ছন্দ নিয়ে একটা লেখার লিংক দেওয়া ছিল, সম্ভবত ২০১২ তে এ নিয়ে আপনি পোষ্ট লিখেছন।
কিন্তু বুঝতে পারিনি আমার এই লেখা ঐ ধারায় পড়বে।

আগেই বলেছি মাত্রা ঠিক মাথায় ঢুকে না, তবে এখন স্বরবৃতটা বুঝি, বাকী গুলা এখনো ঢোকেনি। কিন্তু এখন সমস্যা হয় উপমাত্রা, অতিমাত্রা, অলঙ্কার আর কি কি যেন আছে।

৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন: ম্যাঁওপ্যাঁও


সহমত।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৬

পাজী-পোলা বলেছেন: আমিও, সহমত।

শুভেচ্ছা নিয়েন।

৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

কিন্তু এখন সমস্যা হয় উপমাত্রা, অতিমাত্রা, অলঙ্কার আর কি কি যেন আছে। আপনাকে সাজেশন দেয়ায় কিছু ভুল হয়েছে :) সাজেশন উইথড্র করলাম :) আপনি নিজের মনে লিখে যান। আপনার ভেতরে যেটুকু ট্যালেন্ট আছে, লিখে যাওয়ার জন্য তা মোর দ্যান ইনাফ। লিখতে লিখতে পড়তে পড়তে সবকিছু জেনে যাবেন। ছন্দ আমার কাছে অনেকটা অংকের মতো। অংক আমার প্রিয় সাব্জেক্ট, ছন্দও তেমনি :) অনেক প্রসিদ্ধ কবি ছন্দ মাত্রা কিছুই জানেন না, বা বোঝেন না, কিন্তু তারা শ্রেষ্ঠ কবিতাই লিখেছন। নজরুলও ছন্দ সম্পর্কে খুব জানতেন বলে তার কোনো আর্টিকেল পাই নি, কিন্তু তার কবিতার ছন্দ নিখুঁত।

শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০০

পাজী-পোলা বলেছেন: অংক আমারও প্রিয় সাবজেক্ট ছিল তবে শুধু বীজগণিত টুকু, পাটিগণিতের কিছুই বুঝতাম না। তৈলাক্ত বাশ দিয়ে বাদর কেন উঠবে বা কোন অলক্ষনে আমি চৌবাচ্চা ছেদা করে তাতে পানি ঢালবো? কিন্তু বীজগণিত আমার চরম লাগত, স্যার প্রতিটি সূত্র ভেংগে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। আমার সমস্যা হল মাথা কোন কিছু না নিলে সেটা কোন ভাবেই আর ঢোকাতে পারি না আবার কোন কিছু নিতে শুরু করলে না নেওয়া পর্যন্ত শান্তি পাই না।

শুরুর দিকে আমার লেখাতে সবাই বলত বক্তব্য আছে কিছু ছন্দ নেই। আমিও লেখা ছেড়ে দিছিলাম কিন্তু শব্দ যখন মাথার ভেতরে ঢোকে তখন যন্ত্রনা হয়, না লেখা পর্যন্ত শান্তি পাই না। আমি মূলত নিজেকে যন্ত্রনা থেকে মুক্তি দিতেই লিখি।

ভালবাসা ভাই।

৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: পাজী-পোলা ,





সুন্দর লেখা চাঁদের আলোর মতোই স্নিগ্ধ। প্রতিটি প্যারাতেই ভাবের সম্প্রসারণ হয়েছে, একটু একটু করে। এই ষ্টাইলটা ভালো লেগেছে।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:৫৮

পাজী-পোলা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, ভালোবাসা নিয়েন।

৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার লেখা

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:৫৯

পাজী-পোলা বলেছেন: ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা জানবেন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.