নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কে বলার মত কিছু নাই। যে দিন বলার মত পরিস্থিতি হবে আশাকরি সেদিন আর বলতে হবে না।

পাজী-পোলা

চেষ্টাই আছি........

পাজী-পোলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

রুচির দুর্ভিক্ষ

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:৪২

সম্প্রতি মিডিয়া জগতের নাট্য ব্যাক্তি মামুনুর রশীদ বলেছেন- "আমরা একিটা রুচির দূর্ভিক্ষের মধ্যে পড়ে গেছি। সেখান থেকে হিরো আলমের মত একটা লোকের উত্থান হয়েছে। যে উত্থান কুরুচি, কুশিক্ষা ও অপসংস্কৃতির, তেমনি আমাদের সাংস্কৃতিক সমস্যাও।"



তাঁর এই মন্তব্যের পরে নেটিজেনদের মধ্যে লঙ্কাকাণ্ড শুরু হয়ে গেছে। সেই আগুন উস্কে গেছে যখন হিরো আলম এই মন্তব্যের জবাবে বলেছেন "তাঁর (মামুনুর রশীদের) মত বড় মানুষ আমাকে নিয়ে কথা বলেছেন, এটা আমার জন্য সৌভাগ্য। সে নেগেটিভ বলুক আর পজেটিভ বলুক। আমি তাঁকে সাধুবাদ জানাই। তাঁর মত একটা লোক আমাকে চেনেন।"

হিরো আলম আরও বলেন "আমি নাকি দেশের রুচি নষ্ট করে ফেলছি। সমাজ নষ্ট করে ফেলছি। তাই যদি হয়, দেশে এত রুচিশীল মানুষ আছে, তাঁরা কেন সমাজের রুচি ফিরিয়ে আনতে পারছেন না? আজ আমার জন্য কে দায়ী? আপনারা আমাকে নিয়ে কথা বলেন। একদিন এমন লাইভ করে পৃথিবী থেকে চলে যাব। আপনারা রুচি নিয়ে থাকেন। আমি যদি আত্মাহত্যা করি, এর জন্য দায়ী থাকবেন আপনারা। সব কিছুতেই টচারিং করতেছেন।"

হিরো আলমের এমন আত্মাহত্যা মূলক বক্তব্যে নেটিজনদের মধ্যে রীতিমতো যুদ্ধ লেগে গেছে। তর্ক-বিতর্ক হাউকাউ ক্যাচালে পরিণত হয়েছে। লক্ষ্য করলে দেখবেন হিরো আলম যা বলেছে, ভুল বলেনি। কেন রুচিবানরা মানুষের রুচি ফেরাতে পারছে না, সেটা তাঁদের ভাবা উচিৎ। নিজেদের ব্যার্থতার দায় হিরো আলমের উপর দিলে হবে না। সে দায়ভার তাঁদেরকেই বহন করতে হবে। কিন্তু প্রখ্যাত লেখক হুমায়ুন আহমেদ বলে গেছেন "দুই শ্রেণীর মানুষ জ্ঞানের কথা বলে। এক সাধু, দুই পাগল।" আপনারা কার কথা শুনবেন, কারটা মানবেন সেটা আপনাদের উপর।

হিরো আলমের এমন বক্তব্যের পর মামুনুর সাহেবের একটা ছবি যেখানে সেখানে শেয়ার হচ্ছে, বলা হচ্ছে তিনি নাকি মদ খেয়ে মেয়েদের গায়ে ঢলে পড়েন।



ছবিটি ভালো করে দেখলে বোঝা যায় তিনি যথেষ্ট রুচিবান (বুঝলে বুঝপাতা না বুঝলে তেজপাতা)। যদি এমনটা করেও থাকেন তবে এটা তাঁর রুচির সমস্যা নয়, চরিত্রের সমস্যা।

পাবলো পিকাসো নামে এক ভদ্রলোক ছিলেন। যিনি অসংখ্য নারীদের সাথে শুয়েছেন। কথিত আছে তিনি শুধু নারীদের সাথে সঙ্গমই করেননি, তাদের নানা ভাবে অত্যাচার ও করতেন প্রতিটি পেইন্টিং করার আগে। তাজমহলের ইতিহাস আমরা সবাই জানি। শাজাহান প্রতিটি শ্রমিকের হাত কেটে দিয়েছিলো। কিন্তু তাতে যেমন তাজমহলের সৌন্দর্যের কোন কমতি হয়নি, তেমনি ম্লান হয়ে যায়নি পিকাসোর আঁকা অসাধারণ সব চিত্র গুলো। আমরা যদি তাজমহল বা পিকাসোর চিত্র বহিস্কার করি, তাতে পিকাসোর বা শাজাহানের কিছু যায় আসবে না। বরং আমরা কিছু অসাধারণ সৌন্দর্য দেখা থেকে বঞ্চিত হব। আমরা যেমন তাজমহল বা পিকাসোর চিত্র দেখে প্রসংশা করবো, ঠিক তেমনি ব্যাক্তি পিকাসোর জীবন এবং শাজাহান কে ততটাই ঘৃণা করবো।

সাকিব আল হাসান কে আমরা সবাই চিনি, অসাধারণ প্রতিভাবান একজন ক্রিকেটার। কিন্তু ব্যাক্তি সাকিব? একজন নীচ, হীন, অর্থলোভী, স্বার্থান্বেষী মানুষ। কিন্তু তাতে সাকিবের খেলার প্রতিভা কিন্তু ম্লান হয়ে যায় না।

হিরো আলমের প্রসঙ্গ আসলেই তার সাপোর্টাররা একটা কথাই বকে- "হিরো আলমের কেবল চেহারা খারাপ আর অশিক্ষিত বলেই তাকে হেয় করা হয়।" আপনাদের কি সত্যি এমন মনে হয়?

তাহলে অন্তত জলিল, জায়েদ খান কে কেন করা হয়। বাদ যায় না শাকিব খান ও। হাসান মাসুদ, আমাদের নাটকেই এক সময় অভিনয় করতো। এখোনো করে, তবে খুব কম। তার মত কালো তো হিরো আলম নয়। ফজলুল রহমান বাবুর চেহারাও কোন হিরো মাফিক না। যদি আমাদের পাশের দেশেই যাই, যেখানকার প্রায় সব কিছুই আমরা ফলো করি। সেখানে নওয়াজ উদ্দিন সিদ্দিকী, কে কে মেনেন, ওম পুরি, আচ্ছা এই লোকটাকে দেখেন-



"সৌরভ শুকলা।" কালো, মোটা, টাক, বেটে। অসুন্দরের যত গুলো নমুনা আমরা বুঝি। কই এঁদের কে তো কেউ কটাক্ষ করে না। বরং যারা এঁদের কাজ দেখে, অভিনয় দেখে, যারা এঁদের ফ্যান তাদের রুচিবান বলা হয়৷কারণ এঁরা নিজেদের কাজে নিজেদের যোগ্যতা, দক্ষতা প্রমাণ করেছেন। অথচো টাইগার স্রোফ, সালমান খান ফ্যানদের ও রুচিহীন বলা হয়। তাদের কটাক্ষ করা হয়, ট্রল করা হয়।

হিরো আলম কথায় কথায় বকে "সে তার নিজের যোগত্যায় এসেছে। হিরো আলম কে কেও তৈরী করেনি।" অবশ্যই সে তার নিজের যোগত্যায় এসেছে। হিরো আলমের সবচেয়ে বড় যোগ্যতা হল তার "অযোগ্যতা"। হিরো আলম যে কাজে আলোচিত-সমালোচিত হচ্ছে, সে কাজে সে সবচেয়ে বড় অযোগ্যতার নমুনা।

অবশ্য চারপাশে যখন অযোগ্য লোকের বাস, সর্বোচ্চ পদ গুলো যখন অযোগ্যরাই ধরে রেখেছে, যেখেনে একজন মন্ত্রী বলেন- ডাক্তার হতে পারিনি কিন্তু ডাক্তারদের মন্ত্রী হয়েছি। সেখানে "অযোগ্যতাই সবচেয়ে বড় যোগ্যতা" এবং হিরো আলম তার যোগত্যায় এসেছে৷

মামুনুর রশীদ কিন্তু হিরো আলম কে বলেননি- যে হিরো আলমের রুচি খারাপ। তিনি আমাদের বলেছেন, আমাদের রুচি খারাপ। মূলত এই কারণেই নেটিজনরা রোষে গিয়ে ফুসে উঠেছেন। আমার রুচি খারাপ সেটা তো আমি মানবো না। মূলত যারা হিরো আলমের পক্ষে বলছে তারা কিন্তু হিরো আলমের পক্ষ নিচ্ছে না, তারা তাদের নিন্ম মানের, অসুস্থ রুচিবোধ কে ডিফেন করছে।

আপনাদের রুচি কতটা খারাপ তার একটা উদাহরণ দিচ্ছি ৷ হিরো আলম কে বাদ দেন। কিন্তু রিপন ভিডিও, সেফুদা, রোদ্দুর রায়? নাম করলে শেষ হবে না। একটা মেয়ের খাবারের ভিডিও আপনারা ভাইরাল করেছেন। আপনাদের রুচি এতটাই নিম্ন মানের, একটা গার্মেন্টস কর্মীর কয়লা দিয়ে দাত মাজার ছবি পর্যন্ত ভাইরাল করেছেন, যেখানে তার মুখ দিয়ে কয়লার কালি মাখানো কালো থুতু গড়িয়ে পড়ছে। আরে, আজ যদি হিরো আলম নাও থাকে কাল আপনারা শুয়োরের মত কাদা ঘেটে আর একজন টেনে তুলে আনবেন।

হিরো আলমের মত লাইম-লাইট তো দিলদার, টেলিসামাদ ও পায়নি। কাজল, হারুন কিসিঞ্জার আর ভাদাইম্যা তো আগেও ছিলো। কিন্তু আগে এদের নিয়ে কথা বলতে মানুষের রুচিতে বাধতো। কিন্তু এখন ট্রল, রোস্টের নামে সস্তার হিউমার দেখিয়ে বিনোদন বলা হয়। যত বস্তাপঁচা মুভি খুঁজে খুঁজে বের করে নিজে দেখে, সেগুলো নিয়ে রোস্টের নামে আবোলতাবোল যা ইচ্ছা বলে হিউমারের নামে যে বিনোদন বিলানো হচ্ছে হিরো আলম তার ফল। আসলে তাদের রুচি এগুলোই। নর্দমার কীট তো নর্দমায় দেখবে। কিন্তু সমস্যা হল কীট গুলো খোলস পড়ে নিজেদের এলিট দাবি করতে গিয়ে নর্দমায় বসে নর্দমা ঘেটে নর্দমার নামেই গন্ধ ছড়াচ্ছে। যেমন এই পোস্টের মাধ্যমে আমি ছড়াচ্ছি। ট্রল, রোস্টের নামে যারা এই সস্তার বিনোদন ছড়াচ্ছে, তাদের রুচি মূলত এটাই। এই উনাদের কেই পরিকল্পনা মন্ত্রী কচুরিপানা খেতে বলেছেন।

পাগলেরা পাগলামি করবেই। তাদের পাগলামি নিয়ে যত কথা বলা হবে তত পাগলামি বেড়ে যাবে। নর্দমা যত ঘাটা হবে তত গন্ধ ছড়াবে। হিরো আলম শুধু রুচির দূর্ভিক্ষ নয়, দূর্ভিক্ষের চরমতম প্রকোপ এবং এক অসুস্থ রুচির চরমতম মহামারি যে চলছে তা অনস্বীকার্য।

দেশে যত গরু-ছাগলের সংখ্যা বাড়ছে তত কাঠাল পাতা কমে যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় উদ্দেগ্যে কিছু কাঠাল গাছ লাগানো উচিৎ কারণ আমাদের তো মাংসের বদলে কাঠাল খেতেই বলা হয়েছে।

মামুনুর রশীদ যদি হিরো আলমের নাম না নিয়ে শুধু রুচির দূর্ভক্ষের কথা বলতেন তাহলে আর তাকে এত সমালোচিত হতে হত না। বরং তিনি প্রসংসায় কুড়াতেন। নাম নিয়ে হিরো আলমের তো কোন ক্ষতি হয়ইনি, আরও পাকাপোক্ত অবস্থান হয়েছে। এরা যত নিষিদ্ধ হবে তত প্রসিদ্ধ হবে।

হিরো আলমও কথাটা ভুল বুঝেছে, হিরো আলম আসলে রুচির দূর্ভিক্ষের কারণ নয়। হিরো আলম হল ফলাফল। অনেক গুলো ফলের মধ্যে একটা ফল। কিন্তু সমস্যা হল হিরো আলম সর্বোচ্চ পর্যায় গেছে। আর যে যত উঁচুতে উঠবে সে তত বেশী চোখে পড়বে।

এদের কে আপনি বন্ধ করতে পারবেন না, আবার নিষেধ ও করতে পারবেন না। কারণ ঠিক শিল্প মাপার তো কোন রিখটার স্কেল তৈরী হয়নি। সুতারং তাতে তাদের স্বাধীনতা খর্ব হবে। তাদের যেমন এসব করার স্বাধীনতা আছে, আপনার ও তেমন এসব না দেখার স্বাধীনতা আছে। ঠিক যেমন আমার কবিতা লেখার অধিকারী আছে, আপনাদের ও না পড়ার অধিকার আছে।

সুতরাং তাদের কে তাদের কাজ করতে দিন, আপনারা আপনাদের কাজ করেন।

এদের কে নিয়ে কথা বলতে দেখলে রুদ্র মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ্'র ঐ লাইন টা মনে পড়ে যায়
"খাঁটি জিনিস চিনতে তোমার ভুল হয়ে যায়
খুঁজে এবার পেয়েছ ঠিক দিক ঠিকানা।"

এরচেয়ে আমার একটা কবিতা পড়ুন-

"উপলব্ধি"
ভাবতাম আমিই সবচেয়ে বড় গাধা,
না আছে জ্ঞানের ভর আর না দুর্জন বিদ্যা
শুধুই অজ্ঞতা আর মূর্খতা।

কিন্তু একি? আশেপাশে তাকিয়ে দেখি
চারপাশে সব গরু-বাছুর, বলদ
রামছাগল আর ভেড়া।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:৫৪

কিরকুট বলেছেন: আপনার রুচির যথেষ্ট অভাব আছে।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:০৩

পাজী-পোলা বলেছেন: আমি জানি, কিন্তু আমি আমার রুচির দায়ভার অন্যজন কে দেই না।

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:০৭

কিরকুট বলেছেন: আপনার কুরুচি ততক্ষন মাথা ব্যাথার কারন হবে না যথক্ষন না উহা বিশাল জনগষ্টির মাথা ব্যাথার কারন না হয়ে দাঁড়ায়। আপনি আপনার কুরুচি প্রকাশে সামান্য দ্বিধা করবেন না তা প্রচার ও প্রসারের জন্য উঠে পরে লাগবেন তো তখন আপনার রুচির বিচার তো হবেই। হওয়া উচিৎ।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:১৬

পাজী-পোলা বলেছেন: ঠিক কী দিয়ে মাপবেন আমার রুচি কু? এর কী বিচার করবেন? আমার যদি কাঁঠালের বার্গার স্বাদ লাগে আমি তো সেটা প্রচার করবোই। আপনার না লাগলে আমি কী করতে পারি?

আপনার রুচি মেধা দিয়ে তো আমি চলবো না, আর আপনার রুচি যে সু, সেটা কে বললো? কী দিয়ে মাপলেন?

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:০৯

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: পুরোনো বিষয় আবার কচলিয়ে হিরো আলমকে আলোচনায় এনে লাভ কি?

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:১৯

পাজী-পোলা বলেছেন: আমি কচলাচ্ছি না, এটা কে বিষ তিতা করে ফেলা হচ্ছে।

https://www.youtube.com/watch?v=oTNid2MUXZo

https://www.youtube.com/watch?v=IFVeF9fB_v8

৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৩৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সোশ্যাল মিডিয়াই হিরো আলমকে তৈরি করেছে। হিরো আলম যতই বলুক তিনি নিজ যোগ্যতায় উঠে এসেছেন, আসলে কথাটা ঠিক না। উঠে আসার মতো তার কোনো যোগ্যতাই নেই। যতবারই মিডিয়ায় তাকে নিয়ে ট্রল বা হৈচৈ হয়েছে, তার ভিডিওতে ঢুঁ মেরেছি। ২/১ মিনিটের চেয়ে বেশিদূর এগোনো যায় না। তার ভ্লগের কমেন্টগুলোতে মুষ্টিমেয় দু-একজন ছাড়া সবাই হাসি-তামাশা ও ট্রলই করে থাকেন। এমন না যে, তার ভিডিওর কন্টেন্ট, তার ট্যালেন্ট ইত্যাদি নিয়ে মানুষ প্রশংসায় তাকে ভাসিয়ে ফেলে। আমি নিজে যতবার তার ভ্লগে ঢুঁ মেরেছি, আমার গা রিরি করেছে, ঘৃণা লেগেছে, বিরক্ত বোধ করেছি।

কিন্তু মামুনুর রশীদ মস্ত একটা ভুল করে ফেলেছেন। আপনি দেশের ১ নাম্বার ধনী লোক হলেও, কিংবা কোনো মন্ত্রী, এমপি হলেও কাউকে ছোটোলোকের বাচ্চা বলে যেমন গালি দিতে পারেন না, কোনো ভিক্ষুককে যেমন বলতে পারেন না - ভিক্ষুকের বাচ্চা ভিক্ষুক, তেমনি, রুচির দুর্ভিক্ষ বিষয়ক মন্তব্যে হিরো আলমের নাম উল্লেখ করে তিনি এটাকে গালির পর্যায়ে নিয়ে গেছেন, এটা হয়ে গেছে শ্রেণি-বৈষম্যমূলক আচরণ। আপনার নিজের পোস্টেও সেটা বলেছেন, হিরো আলমের নাম উল্লেখ করায় বিপত্তিটা বেঁধে গেছে। বাংলাদেশে ডিপজল, মুনমুনরা যে-রূপ ইতরামির দ্বারা সিনেমাকে কদর্য পর্যায়ে নিয়ে গেছেন, হিরো আলম অন্তত অত নিম্নমানের কিছু করেন নি। ডিপজল-মুনমুনের কিছু গানের ভিডিও দেখেছি (সিনেমার), যা দেখে বমি আসার জো হয়, সেগুলো কীভাবে সেন্সরবোর্ড ছাড়পত্র দেয়, সেটাও রহস্য। তারপর মাহফুজ রহমান ইদের মরসুমে তার এটিএন বাংলায় যে ঢঙে গান ছড়ান, তা কতখানি রুচিকর? মামুনুর রশীদ কি ডিপজল-মুনমুন-মাহফুজুর রহমানের নাম কোনোদিন মুখে আনতে পারবেন রুচির দুর্ভিক্ষের প্রশ্নে? পারবেন না। পারবেন না বলেই এটা আর ঠিক রুচির দুর্ভিক্ষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না, এটা তখন হয়ে ওঠে শ্রেণি-বৈষম্য। দেশের সবচাইতে বড়ো অংশটিই হলো মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত বা বিত্তহীনের সমষ্টি। শ্রেণি-বৈষম্যের প্রশ্নে এই গোষ্ঠী একত্র হয়ে হিরো আলমের পক্ষ নিল, আর মামুনুর রশীদ হয়ে গেল উচ্চবিত্তদের প্রতীক।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:১৯

পাজী-পোলা বলেছেন: সেটাই বলছি, আমাদের রুচি আগে থেকেই খারাপ ছিলো, খারাপ ছিলো বলেই হিরো আলম উঠতে পেড়েছে। দোষটা হিরো আলমের নয়, দোষটা আমাদের। আমরাই ট্রল, রোষ্টের নামে এক ইতরামি উৎসবে মেতে উঠেছি, এরই ফল হিরো আলম। নেগেটিভ মার্কেটিং সবচেয়ে বড় মার্কেটিং ডোনাল্ড ট্রাম্প সেটা অনেক আগেই প্রমাণ করে গেছে৷

অযোগ্যতাই সবচেয়ে বড় যোগ্যতা, যেটা হিরো আলমের ভভরপুর আছে। হিরো আলমের ও ওমন বহু অশ্লীল কন্টেন্ট আছে। কোলকাতার ভাইরাল স্যান্ডি সাহা সহ আরও অনেকের সাথে।

যদি জনে জনে রুচির দূর্ভিক্ষের ভাউরাল সবার নাম বলতে যায় তাহলে শেষ হবে না। অথচো মাহফুজুর রহমানের গান ঈদে হাইস্ট টি আর পি পায়, কীভাবে?

হিরো আলম সম্ভবত নির্বাচনে সেকেন্ড পজিশনে ছিলো। সুতরাং সাপোর্ট সে আগে থেকেই পাচ্ছে। আমরা নিজেদের অসুস্থ রুচিবোধ ঢাকতে তাকে সাপোর্ট করছি।

৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৫৮

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আপনার রুচিতে আসলেই সমস্যা আছে । পায়ের জুতা মাথায় নিয়ে মাথায় গু লাগাচ্ছেন ।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:২৮

পাজী-পোলা বলেছেন: দিপ্ত টিভিতে কয়েকদিন ধরে আফসানা মিমি, বৃন্দাবন দাশ, আলী যাকেরের ছেলে ইরেশ যাকের সহ নাটক জগতের অনেকে এই বিষয় নিয়ে কথা বলছে। তাদের দেখেই পোষ্টটা লিখলাম।

হিরো আলম তার নির্বাচনী এলাকায় সম্ভবত দ্বিতীয় হয়েছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দুই দলের উচ্চ পর্যায়ের নেতারা থেকে খালেদ মহিউদ্দিন এর রাজনৈতিক টকশোতেও যখন হিরো আলম স্থান পায় তখন সে আর গুয়ের পর্যায় নেই। আপনারা চোখ বুজে রাখছেন বলে দেখতে পারছেন না।

৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৪২

অধীতি বলেছেন: দেশের উঠতি বয়সী পোলাপান আনুমানিক ৬০% টিকটক ও ইমোতে আসক্ত। এদের মাধ্যমে হিরো আলমরা এতটা প্রশ্রয় পায়। রুচির দুর্ভিক্ষ কথাটাই ফালতু মনে হয়েছে। আপনি যখন এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে ক্ষুধামন্দা থেকে বাঁচাতে পারবেন এবং অর্থনৈতিক ভাবে সাবলম্বী করে তুলতে পারবেন কেবল তখনই রুচি নিয়ে কথা বলতে পারবেন। ক্ষুধা হলো বিশ্রী ব্যপারে আপনার সকল ন্যায়নীতি ক্ষুধার কাছে মুখথুবড়ে পড়ে।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৪

পাজী-পোলা বলেছেন: সেটাই। দেশে যখন খাবারের দুর্ভিক্ষ তখন কচুরিপানাই আপনাকে খেতে হবে। এটা রুচির দুর্ভিক্ষ নয়, এখানে আপনি বাধ্য। কিন্তু পাশেই বিরিয়ানির দোকান রেখে একি দামে আপনি যখন কয়েকদিনের বাসি পচা পান্তা খেতে যাবেন। সেটাই রুচির দুর্ভিক্ষ। এখানে আপনি বাধ্য না, নিজের ইচ্ছায় খাচ্ছেন। আপনি বাধাও দিতে পারবেন না, কারণ তাতে তার স্বাধীনতা খর্ব হবে।

৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি আসলে কি বলতে চাচ্ছেন এক দুই লাইনে বলুন।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৫২

পাজী-পোলা বলেছেন: আজব ব্যাপার। কবিতা লিখলে আপনারাই বলেন গদ্যে লিখুন। গদ্য লিখলে বলেন দুই এক লাইনে বলুন।

দুই এক লাইনে বলা গেলে তো দুই এক লাইনেই বলতাম। পড়তে গিয়ে আপনার যতটা সময় নষ্ট হবে, লিখতে নিশ্চয় আমার তার থেকেও বেশী সময় নষ্ট হয়েছে।

৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৫৭

আমি সাজিদ বলেছেন: সাকিব একটি ক্যান্সার ফাউন্ডেশন করেছে আর হাসপাতাল করছে। ওর ওয়েল স্ট্রাকচারড ক্রিকেট একাডেমিতে অনেক ছাত্র ভর্তি হচ্ছে, এদের মধ্য থেকেই হয়তোবা কেউ সাকিবকেও ছাড়িয়ে যাবে। আমরা অনেকেই বলি, সাকিব খারাপ বা নীচ বা লোভী। এর মধ্যে যৌক্তিক সমালোচনা থেকেও বিদ্বেষের পরিমাণ বেশী। ওই বর পজিশনে গেলে খেলার পাশাপাশি আরও অনেক কমিটমেন্ট থাকে।

সাকিবের বিষয়ে চোখ পড়তেই দৃষ্টিকটু লাগলো ।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৪৯

পাজী-পোলা বলেছেন: ফ্যানদের নিয়েই এটাই একটা সমস্যা, কেউ বিরুদ্ধে কিছু বললেই মনেহয় হেটার। সম্পূর্ণ পোষ্টে আপনার আর কিছুই দৃষ্টিকুটু লাগেনি?

বলিউডের সালমান খানও অনেক চ্যারেটি করে। এদের চ্যারেটির পিছনে রিজন থাকে। যেকোন ইস্যুতেই যেন আপনাদের মত ফ্যানরা এসে সেসব চ্যারিটির কথা বলতে পারেন। সাপোর্ট গেইন করা আর কী। আরও অনেক কারণ আছে সে সব পরে অন্য কোন পোষ্টে বলবো। দুই একটা কথাই শেষ হবে না।

এই চ্যারেটির কারণেই সালমান খান মদ খেয়ে ফুটপাথে শুয়ে থাকা লোকদের উপর গাড়ি চালিয়েও ছাড় পেয়ে গেল। ফাসিয়ে দিলো বেচারা ড্রাইভার কে।

৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:২৯

ডার্ক ম্যান বলেছেন: হিরো আলম একা নন, আরও অনেকে আছেন। হিরো আলম ফেমাস হওয়ার পিছনে সবচেয়ে বেশি দায় মিডিয়ার। মিডিয়া টিআরপি বাড়ানোর জন্য হিরো আলমকে লাইম লাইটে এনেছে।আমার মনে আছে, প্রথম মুন্নি সাহা হিরো আলম আর অনন্ত জলিলকে নিয়ে টকশো করেছিল।
একটা কথা আছে, সস্তার তিন অবস্থা। ২০১৪ সালে একজন মেয়ে মডেল নামটা মনে পড়তেছে না, ফেসবুকে কিছু ছবি দিয়ে সস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার মিশনে নেমেছিল। সেই মেয়েটিকে তো আর খুঁজে পায় না।
আমরা যতই অপরকে দোষ দেয়, দায়ভার কিছু আমাদের উপর এসে পড়ে। আমরা যদি এসব ভিডিও না দেখতাম, তাহলে এরা এত ভিউ পেত না। এদের স্পর্ধাও এত বাড়তো না।

১০| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- অন্যের রুচি নিয়ে আমরা খুব বেশী টেনশন নিচ্ছি আজকাল। তাতে করে রুচিহীন জিনিসগুলিই বারবার সামনে চলে আসছে!!

১১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৫৬

নিমো বলেছেন: মোশাররফ করিম যদি রুচির পরিচয় হয়, তবে হিরো আলম কোনভাবেই রুচির দুর্ভিক্ষ নয়।

১২| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:০৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: সুপারিয়রিটি কমপ্লেক্সে ভোগা বেশীরভাগ লোক, আর এদের খপ্পরে যদি কোন ইনফিরিয়রিটি কমপ্লেক্স এর ছিটোফোটা আছে এমন কেউ পড়ে যায়; তাহলেই কম্ম সাবার।

যুগ পাল্টেছে, এখন বিনোদনের মাধ্যম হাজারো, যার যেটা ভালো লাগে সেটা গ্রহণ করবে। এক সময় ব্যান্ড সংগীতকে বখাটেদের গান বলা হয়েছে। পাশের দেশেই এক সময় ইয়ো ইয়ো হানি সিং এর গান ইন্ডিয়ান আইডল প্রতিযোগীতায় গাইবার কারনে অনু মালিক সেই প্রতিযোগীকে তিরস্কার করে অডিশন রাউন্ড থেকে বাদ দিয়েছেন। এখন সেই হানি সিং ইন্ডিয়ান আইডলে গেস্ট হিসেবে আসেন, তার গান এখন সারা ভারতে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। তাই হিরো আলম বা মমতাজ এর গান কারো ভালো না লাগলেও অনেকের ভালো লাগতেই পারে।

শান্তিনিকেতনি রুচির গান গাওয়ার দিন পৃথিবী থেকে অনেক আগেই বিদায় নিয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.