নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কে বলার মত কিছু নাই। যে দিন বলার মত পরিস্থিতি হবে আশাকরি সেদিন আর বলতে হবে না।

পাজী-পোলা

চেষ্টাই আছি........

পাজী-পোলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ম কি নাস্তিকে ছোট করে, না ধার্মিকে?

১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৩

ধর্ম কি নাস্তিকে অপমান করছে, না ধার্মিকেরাই? ধর্ম অবমাননা হয় কীভাবে? ধর্মানুভূতি ঠিক থাকে কোথায়? যার জন্য মানুষ খুন করা যায়। ঠিক কী কারণে ধর্ম আঘাতপ্রাপ্ত হয়?



ধর্ম কে নিয়ে আমরা চরমতম পর্যায়ে উঠে এসছি। যেকোন বিষয়ে ধর্মকে টেনে আনছি। নিজেদের সুবিধাভোগের জন্য ব্যাবহার করছি ধর্মকে। একটা গল্প বলি, আমি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। তখন শুনলাম একজন লোক আর একজন কে বলছে- তার এলাকায় যত মসজিদ আছে, সব মসজিদের সভাপতি সুদ খোর। তার সাথে গেলে সে প্রমাণ দেখাতে পারবে। কথাটা শুনে আমি হাসলাম। কারণ সে যে লোক কে বলছে, সেই লোক নিজেও সুদখোর এবং আমাদের এলাকার মসজিদ কমিটিতে আছে। অথচো করোনার সময় যখন মসজিদ বন্ধ করতে বলা হল, জামাতের সাথে নামাজ বন্ধ করতে বলা হল তখন এই লোক হয়ে উঠলেন বিদ্রোহী। তিনি ছড়াতে লাগলেন "আল্লাহ কে দেখে ভয় করছো না, আর কোরোনা কে দেখে ভয় করছো। মসজিদ বন্ধ করতে বললেই আমরা শুনবো! আমরা আল্লাহর পথে আছি, তিনিই আমাদের দেখবেন।" যে মসজিদ সর্ব সাধারণের জন্য সর্বদাই উন্মুক্ত থাকার কথা সেই মসজিদে এসি, ফ্যান লাগিয়ে আমরা তালা দিয়ে রাখছি। আগে যখন অপরিচিত কেউ অন্য কোন এলাকায় যেত, কোথাও থাকার ব্যবস্থা না হলে তখন মসজিদেই তার ঠায় হত। মানুষের জন্য পথ বন্ধ করে আমরা মানুষকেই ধর্মের পথে টানছি। ধর্মকে ব্যাবহার করছি নিজেদের সুবিধামত। নিজেদের যেসব ক্ষেত্রে সমস্যা সেখানে ধর্মকে পাস কাটিয়ে, যেখানে সমস্যা নেই সেখানে ধর্মকে চরম আকার দিচ্ছি। নয়তো কোথায় কে কোন এঙ, ব্যাঙ, চ্যাঙের ছবি এঁকে বললো মোহাম্মদ (সাঃ) এর ছবি আর আমরা ঝাপিয়ে পড়লাম তার উপর। অথচো খোদ ধর্মের ভেতরে বসে থেকে দেওয়ানবাগী যখন বলেছিলো মহানবী (সাঃ) এর কন্যা পুনর্জন্ম নিয়ে তার বউ রুপে ফিরে এসেছে এবং সে আল্লাহর সাথে কথা বলতে পারে। তখন কেউ ছুরি-চাকু নিয়ে তার উপর ঝাপিয়ে পড়েনি। তখন ধর্মের অবমাননা হয়নি, অপমান হয়নি?

এই ধর্মানুভূতি থাকে কোথায়? ঠিক কী কী কারণে কী কী করলে সেটা আঘাত প্রাপ্ত হয়?

খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য বাংলা নববর্ষের প্রবর্তন করলেন সম্রাট আকবর, যিনি একজন মুসলমান। এবং সে সময় কৃষকের গোলায় ধান উঠতো, তাদের হাতে দুটো টাকা আসতো বলে তারা সেটাকে উদযাপন করতে শুরু করলো। কালের বিবর্তনে সেটা আজকের পহেলা বৈশাখে রুপ নিয়েছে, বাংগালীর নিজস্ব একটা উৎসবে পরিণত হয়েছে। অথচো আমারি এক ইঞ্জিনিয়ার বন্ধু বললো মঙ্গল শোভা যাত্রা নাকি হিন্দুদের রথ যাত্রা থেকে এসেছে। এর আগে টিভিতে দেখলাম গ্রামের লোকেরা আর নববর্ষ উদযাপন করে না। কারণ হুজুর বলেছে এটা হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি। ধর্মের ক্ষেত্রে শিক্ষিত-মূর্খ সব এক পর্যায়ে নেমে আসে। কোয়ান্টামে কোরান নামে একটি সংগঠন আছে। তাদের মুখপাত্রের একটা বয়ান শুনলাম। সেখানে সে একটা গল্প বলল। একবার একটা গরু মসজিদে ঢুকে গেছে। হুজুর তো ক্ষেপে গেছেন, কার গরু? তখন অন্য একজন বললো- বাদ দেন হুজুর, গরুই তো। বুদ্ধি নেই, বুদ্ধি থাকলে কি আর ঢুকতো। যেখানে ধার্মিকরাই বলে কোরান হল সর্বৌচ্চ জ্ঞান, সেখানে তারাই কোরান কতটুকু বুঝে পড়েছে? জ্ঞান অর্জন না করে গরু হয়ে মসজিদে ঢুকলে হবে?

যেকোন বিষয়ের জন্য মৌলানা, আলেমদের উপর নির্ভর করে। অথচো আলেম, মৌলানা তো ফেরেস্তা নয়, নবী-রাসূল ও নয়। শয়তান তাদের উপর ও ভর করতে পারে। তারাও ভুল হতে পারে। নিজেদের প্রয়োজনে ধর্মকে ব্যাবহার করতে পারে। জাহান্নামে নাকি সর্ব প্রথম এই আলেম, মৌলানারাই যাবে। আমরা সেটা ভুলে যাচ্ছি। যখন মাইক আবিস্কার হল তখন হুজুররা সেটা নিষিদ্ধ করলেন। কারণ এটা খোদার উপর খোদদারি। একি ভাবে রেডিও, টেলিভিশন সব নিষিদ্ধ হল। কিন্তু কালের বিবর্তনে আজ যখন এগুলোই ধর্ম প্রচারের মাধ্যাম হিসাবে ব্যাবহার হচ্ছে তখন এগুলো হালাল হয়ে যায় না। ছবি তোলা এখনো ধর্মে হারাম। অথচো হুজুররা ওয়াজ রেকর্ড করে দেদারসে ব্যাবসা করে যাচ্ছে। ধর্ম প্রচারের জন্য কবে কোন নবী রাসূল অর্থ নিয়েছে?

স্বয়ং মহান আল্লাহর বন্ধু মহানবী (সাঃ) জীবিকার জন্য ব্যাবসা করতেন। অথচো আমরা নামাজ পড়িয়ে, আজান দিয়ে খাচ্ছি। এ কোন ধর্মের পথে হাটছি আমরা?

নাস্তিকেরা কিছু বললেই ধর্ম ছোট হয়ে যায়, অবমাননা হয়। সঙ্গে সঙ্গে একদল ধার্মিক ধর্মকে রক্ষা করতে, নবীর সম্মান কে রক্ষা করতে বেড়িয়ে পড়ে। এরা কি বুঝতে পারছে, যে বিশ্বজাহান সৃষ্টি করেছে সেই সৃষ্টিকর্তা কে এরা কতটা ছোট করছে। যে এই ব্রমান্ড সৃষ্টি করেছেন, তাঁর সৃষ্ট ছোট্ট পৃথিবীতে, ছোট্ট ছোট্ট কিছু মানুষ তাঁর ধর্মকে, তাঁর বন্ধু নবীর সম্মান রক্ষা করছে। সৃষ্টিকর্তা কি এত দূর্বল? যে তিনি তাঁর নিজের সৃষ্ট ধর্মকে, তাঁর বন্ধুর সম্মান কে রক্ষা করতে পারছেন না? তাঁকে তাঁরই সৃষ্ট মানুষের সহায়তা নিতে হচ্ছে?

অজস্র ধার্মিকের মুখে শুনেছি, বিজ্ঞানীরা নাকি কোরান পড়েই বিজ্ঞানের সব অবিশ্বাস্য আবিস্কার গুলো করেছে। এটা কত বড় অযৌক্তিক সেটা কি তারা বুঝতে পারছে। কোরান পড়ে তারা বিগ ব্যাঙ্গ আবিস্কার করলো তারপর কোরানকেই অস্বীকার করলো? এত এত আলেম, হাফেজ কোরান যাদের ঠোটের আগায় ঠোটস্থ তারা কেন বিজ্ঞানী হতে পারছে না? কারণ তারা বিজ্ঞান সম্পর্কে জানেই না। বিজ্ঞান বইয়েও যখন ধর্ম খোজা হয় তখন আর কী হবে? ধর্মের জন্য তো সম্পূর্ণ একটা বই-ই আছে। তারপরও বিজ্ঞান বইয়ে ধর্ম কেন থাকতে হবে? এদের ধর্মের উপর বিশ্বাস এতটাই কম, যে এরা জানে সম্পূর্ণ একটা বই পড়েও কেউ আস্তিক হবে না, মাত্র একটা চ্যাপ্টার পড়ে সবাই নাস্তিক হয়ে যাবে?

নাস্তিক প্রসঙ্গ আসলেই বলে- কেউ নাস্তিক নয়, তারা ইসলাম বিরোধী। তাকে কোরান পড়ার নসিহত দেওয়া হয়। কেন পড়বে সে কোরান? আপনারা নিজেরা কী পড়েন? এমন কিছু কি, যে কোরান পড়লে আর কেউ নাস্তিক হবে না? কিন্তু বিজ্ঞানীরা তো হচ্ছে, কোরান পড়ে কোরান থেকে আবিস্কার করে কোরান কেই অস্বীকার করছে। পৃথিবীতে ২০৬ টা ধর্ম আছে (উইকিপিডিয়ার মতে), কয়টা ধর্ম সম্পর্কে আপনারা জানেন? জন্মসূত্রে একটা ধর্ম পেয়ে বলছেন এটাই শ্রেষ্ঠ ধর্ম। আমাদের ৯০% ভাগ মুসলমানের দেশে যখন একটা বাচ্চা জন্ম নেয়, তখন সর্ব প্রথম তাকে আযান শোনানো হয়। বাচ্চা বুঝতে শেখার আগেই তাকে বলা হয়, এটা করো না আল্লাহ পাপ দিবে, ওটা করো না আল্লাহ গুণা দিবে। সেই বাচ্চা বড় হয়ে যখন নাস্তিক হবে সে তো ইসলাম ধর্মের বিপরীতেই লিখবে, কারণ সে ইসলাম সম্পর্কে যতটা দেখেছে, জানে অন্য ধর্ম সম্পর্কে জানে না। এটা কমনসেন্স।

যখনি কোন দূর্ঘটনা ঘটে তখনি এমন একটা কোরান বের করে বলা হয়, দেখো কোরানের কিছু হয়নি। এটা কত বড় লজ্জার সেটা বুঝতে পারছেন? ৯০ % মুসলমানের দেশে পাঁচ হাজার দোকানের মধ্যে মাত্র একটা কোরান, মাত্র একজন ধার্মিক, মাত্র একজন কোরান পড়তেন। সৃষ্টিকর্তা এত ছোট? ৫ হাজার দোকানে আগুন লাগিয়ে পুড়ে ছাই করে দিয়ে মাত্র একটা কোরান রক্ষা করে তাঁকে প্রমাণ করতে হয় তার অপার ক্ষমতা।

কোরান কে কখনো খুলে আগুনে ফেলে দিয়ে দেখেছেন পুড়ে কি না? যদি কোরান আগুনেই নাই পুড়ে, তাহলে প্যারিসের কোরান পুড়ানোর ঘটনায় এত লাফালাফি করার তো কোন কারণ ছিলো না। কোরান কোন বই আকারে নাজিল হয়নি, হয়েছে আয়াত আকারে। পরে সেটা কে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে সাধারণ কাগজে, সাধারণ কলিতে। এটা কেন তারা ভুলে যায়? ধর্মের প্রতি যদি তাদের এত বিশ্বাস থাকে তবে ধর্ম কে প্রমাণ করতে এত মরিয়া কেন তারা? সৃষ্টিকর্তা কোরান কে রক্ষা করবেন বলতে তিনি আগুন, পানি থেকে রক্ষা করবেন বোঝাননি, বুঝিয়েছেন কোরানের আয়াত বিকৃত হতে দিবেন না।

ধর্মের এই বাড়াবাড়িতে ধর্ম বড় হয় না, বরং ছোট হয়। এগুলো নিয়েই নাস্তিকে হাসাহাসি করে, তারা ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলার রসদ পায়। মহানবী (সাঃ) এর কথায় কেউ ধর্ম গ্রহণ করেনি। তারা আগে দেখেছে মহানবী (সাঃ) কতটা সৎ, চরিত্রবান। তাঁকে দেখে, তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হবার পর, তিনি যখন ধর্মের কথা বলেছেন তখন মানুষের ধর্মের প্রতি আকর্ষণ বেড়েছে। সব ধর্মই এমন ভাবে প্রচার হয়েছে। প্রথমে তারা ধার্মিক কে দেখে, ধার্মিকের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পরে তারা ধর্ম কে জানতে শুরু করে। আপনি ছুরি-চাকু নিয়ে ভয় দেখিয়ে জোর করে মানুষ কে ধর্ম মানাতে পারেন কিন্তু সে ধর্মের প্রতি না তাদের ভালোবাসা থাকবে, আর না বিশ্বাস। সুযোগ পেলেই তারা ধর্ম পরিত্যাগ করবে। হযরত ওমর তো মহান যোদ্ধা ছিলেন। তিনি কবে তোলায়ারের ধারের উপর রেখে মানুষ কে ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করেছেন। স্বয়ং মহানবী (সাঃ) যখন ধর্ম প্রচার করতেন, তখন কত বিধর্মী তাকে গালি দিয়েছ, তাঁকে গালি দেওয়ার অপরাধে তিনি কবে কার মাথা কেটেছেন?

তাছাড়া আল্লাহ্‌ রাসূল তো কিয়ামতের আলামতের কথা বলেই দিয়েছেন। তবে কি আপনারা কিয়ামত কে আটকাতে চাচ্ছেন। কিয়ামত কে আটকে আল্লাহ্‌ রাসূল কে, কোরান কে মিথ্যা প্রমাণ করতে চাচ্ছেন? আল্লাহ্‌ রাসূল যা বলেছেন, কোরানে যা আছে তা তো আটকানো যাবে না, হবেই। শুধু শুধু কেন বৃথা চেষ্টা করতেছেন? যেদিন আল্লাহ্‌ রাসূলের নাম নেওয়ার মত আর কোন লোক থাকবে না, সেদিন কিয়ামত হবে। আমি তো দেখতেছি কিয়ামতের সেই কঠিন আজাব ভোগ করার মত মানুষই থাকবে না, তার আগেই ধর্মের নামে সব খুন হয়ে যাবে।

ধর্ম নরম হতে শেখায়, উগ্র নয়। ধার্মিক হন ধর্মান্ধ নয়।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:২২

বিটপি বলেছেন: বাংলা নববর্ষ কোন যুক্তিতে বাঙ্গালির উৎসব হয় একটু বুঝিয়ে বলবেন? গ্রেগোরিয়ান বা হিজরী বর্ষের একটা শুরু ছিল। বাংলা বলে যে বছরটাকে আমরা জানি, এর শুরু করে হয়েছিল? বাংলা সনে ১ম বছর বলে কি কিছু আছে?

এই বর্ষরীতির জন্ম হয়েছিল কোত্থেকে? হিজরী বর্ষ থেকে।
এই বর্ষরীতি পত্তন করেছিলেন কে? দেওয়ান টোডর মল। তিনি কি বাঙালি?

তাহলে এই বর্ষরীতির সাথে বাঙ্গালির সম্পর্কটা কোথায়?

১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৩১

পাজী-পোলা বলেছেন: বর্ষরীতি যদি হিজরী থেকে শুরু হয়, তাহলে ইংরেজরা কীভাবে নিউইয়ার নিয়ে এলো?

হিজরী তো বাঙ্গালির উৎসব না। নিউ ইয়ার ও না। আমি বলেছি- যখন বাংলা বর্ষরীতি শুরু হয়, তখন ঐ সময়ে চাষিদের গোলায় ধান উঠতো বলে তারা উৎসব করতো। পরে সেই উৎসবে বাঙ্গালী যোগ দিল। কালের বিবর্তনে বাঙ্গালী সেটা কে নিজেদের উৎসবে পরিণত করেছে। এটাতে তো খারাপ কিছু দেখি না।

২| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষকে 'মানুষ' হিসেবে দেখতে হবে। ধর্ম দিয়ে মানুষকে আদালা করা সঠিক কাজ নয়। ধর্ম মূলত ক্ষতিকর। ধর্মের কারনে দাঙ্গা হয়। দেশভাগ হয়। মহামতি লেনিন তাই ধর্ম কে আফিম বলেছেন। কাজেই আমাদের ধর্ম থেকে দূরে থাকতে হবে। আমাদের ধার্মিক নয়, মানবিক হতে হবে।

১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৫০

পাজী-পোলা বলেছেন: সেটাই গতকাল ফেসবুকে দেখলাম ফতোয়া জারী হইছে, বিদ্যানন্দ সংস্থা কে যাকাতের টাকা দেওয়া যাবে না কারণ বিদ্যানন্দ হিন্দুদের সংস্থা। অথচ, জাকির নায়েক কে দেওয়া যাবে।

বিদ্যানন্দ কি ১ টাকার খাবার দেওয়ার সময় হিন্দু- মুসলমান জিগ্যেস করে দেয়। যদি দিত তবে এরা বিদ্যানন্দের নামে কী কী বলতো!

ধার্মিকেই বৈষম্য ছড়ায়।

৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৪৭

বিটপি বলেছেন: বর্ষরীতি যদি হিজরী থেকে শুরু হয়, তাহলে ইংরেজরা কীভাবে নিউইয়ার নিয়ে এলো? প্রশ্নটা বুঝিনাই? কি বলতে চাইলেন?

কালের বিবর্তনে অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়। কাজেই মঙ্গল শোভাযাত্রা যেভাবে উদযাপিত হয়, তার রীতিতেও পরিবর্তন আনা উচিৎ। শয়তানের মুখোশ নিয়ে মিছিল করা আমাদের সামাজিক-ধর্মীয় মূল্যবোধের সাথে যায়না। যদি এর পরিবর্তে লাল নীল পতাকা, ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে শোভাযাত্রা বের করা হত, তাহলে সব শ্রেণী বর্ণের মানুষ তাতে অংশ গ্রহণের উৎসাহ পেত।

বিধর্মী সংস্কৃতির সাথে সামান্যতম মিল আছে - এরকম কিছু ধারণ করা আমাদের ধর্মে হারাম। মুসলিম নামধারীরা যখন উৎসবের আমেজে এসব করে বেড়ায়, তখন তো খারাপ লাগেই।

১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:০৮

পাজী-পোলা বলেছেন: মঙ্গল শোভাযাত্রা কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান না, সুতরাং এর মধ্যে ধর্ম খোঁজা বোকামী। ওয়াজ মাহফিলে কেউ মুখোশ পড়ে যায় না। ধর্ম কে ধর্মের জায়গায় থাকতে দিন।

বর্ষরীতি তো ইংরেজরাও পালন করছে। হিজরী বর্ষরীতি কেন ইংরেজরা পালন করছে? শুধু ধর্মীয় হলে তো কেউ নাইট ক্লাবে গিয়ে নিউ ইয়ার পালন করতো না। সবাই গির্জায় থাকতো।

দাদী-নানীদের কাছে নিশ্চয় ভূত পিশাচের গল্প শুনেছেন? সেটাও কিন্তু ধর্মীয় রিতির সাথে যায় না। শয়তান কে আপনি দেখেছেন? একটা মুখোশ বানিয়ে বলে দিলো শয়তানের মুখোস আপনি সেটা মেনে নিলেন? শয়তানের ঐ মুখোশের সামনে কিন্তু কেউ পূজা দেয় না, পার্থনা করে না। মুখোশ গুলো যাত্রাপালার ঐতিহ্য বহন করে। আর পুতুল গুলো ছেলেবেলায় আমরা যে পুতুল নিয়ে খেলতাম সেটার।

মঙ্গল শোভা যাত্রায় শুধু মুসলমানরা থাকে না, হিন্দুরাও থাক, বৌদ্ধরাও থাকে, খ্রিস্টানরাও থাকে । তারা কেন আপনার মুসলমানি সংকৃতি মেনে নিবে? না আপনি চাচ্ছেন তারা দেশেই না থাকুক?

মঙ্গল শোভাযাত্রায় কাউকে জোর করে নিয়ে যাওয়া হয় না। আপনার ইচ্ছা হলে যাবেন, না হলে যাবেন না।

ও হ্যা গ্রামের মেলায় গেছেন কখনো? সেখানেও শয়তানের মুখোশ বিক্রি হত।

৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৮

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



আপনার সাথে একমত। তবে পহেলা বৈশাখ ও মঙ্গল শোভা যাত্রা নিয়ে কথা বলতে গেলে এখানে ক্লিক করে ১ম পর্ব
এখানে ক্লিক করে ২য় পর্ব
এখানে ক্লিক করে ৩য় পর্ব ভিডিওটা দেখা অবশ্যক। ভিডিও তিনটা মনোযোগ দিয়ে দেখুন, তারপর মন্তব্যের উত্তর দিতে পারেন।

১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:১৫

পাজী-পোলা বলেছেন: উনার এই ভিডিও গুলো দেখছি অনেক আগেই।

৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৪০

পাজী-পোলা বলেছেন: এখন আপনি কী জানতে চাচ্ছেন সেটা বলেন?

৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:৩৮

কামাল১৮ বলেছেন: ধর্মের বই ধর্মকে ছোট করে।

৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৩৩

ফ্রেটবোর্ড বলেছেন: যুক্তিগুলো আমার পছন্দ হয়েছে। লেখার ধারাবাহিকতাও খুব সুন্দর।
কিছু কিছু বাক্যে বিরামচিহ্নের কারণে সাবলিলতা হারিয়ে। আশাকরি আগামীতে খেয়াল রাখবেন।

৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৫৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ধর্ম ধার্মিক'কেই ছোট করে নাস্তিক'কে নয়, এই পোস্টের ছবি দুটিই তার স্পষ্ট উদাহারণ।

৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৫৬

রানার ব্লগ বলেছেন: যাদের বাংলা নববর্ষ নিয়ে অস্বাভাবিক চুলকানি আছে তাদের বলবো বিদায় হন এই দেশ থেকে। কোন দরকার নাই। আপনার যুক্তি আপনার জায়গায় ঢুকিয়ে দূরে চলে যান। দুষ্ট গরুর থেকে শুন্য গোয়াল অনেক ভালো।

১০| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৩০

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ভণ্ডরাই এখন ধর্মের জ্ঞান দেয় আর নিজেদের ধার্মিক ভাবে।

১১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:০৭

কিরকুট বলেছেন: আপনি যে জিনিস সম্পর্কে ধারনা রাখেন না অথচো সেই জিনিস কে মহান বানাতে চান আর সেই চাওয়াতে যা মনে চায় তাই বলে বাহবা কুড়াতে চান তখনি আসলে আপনি সেই জিনিসের আসল মাহাত্বে আপনি কালিমা লেপন করলেন।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:০৫

পাজী-পোলা বলেছেন: আমি মূলত এটাই বলতে চেয়েছি, কিন্তু যারা ধার্মিক তারা কেন এদের প্রতিবাদ করে না? আগে তো ঘর সামলাতে হবে তারপর পরকে সামলাও। নিজের ঘরের ভেতর চোর রেখে বাহিরে চোর ধরতে যাওয়াটা বোকামি। কারণ বাহিরের চোর ঘরের চোর কে দেখে সাহস পায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.