নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চেষ্টাই আছি........
ভালোবাসা মোরে করেছে পর, দ্বারে দ্বারে খেয়েছি ঠোকর
তবুও ঠায় হয়নি বাধিবার একখানি ছোট্ট কুড়েঘর; কোন হিয়ার পরে।
কোথাও বাস হয়নি আমার, না কোন ঘরে আর না কোরো বুকে।
ভিক্ষেরির মত চষে বেড়িয়েছি শহর, মানুষ চিনেছি
মানুষের হতে গিয়ে জেনেছি মানুষ কতটা স্বার্থপর।
বিষে ভরা দংশন দাঁতেল দন্তে, তিক্ত সাপদ জ্বালা লোহিত রক্তে
ভালোবাসা ফেলিয়া লড়িছে মানুষ, ক্ষুদ্ধ ক্রোধ পেশী বহুল বাহুতে।
যত পাপী-তাপী লোভি স্বার্থের তরে, মানুষ মারিছে মানুষ কদাচরে।
রাজার আসনে সিংহ মুকুট, ক্ষমতার দাপট আহারে
পুড়িছে ঘর, পেটের উদর তবুও মানুষ পারিছে না মানুষ চিনিতে।
ভুলাইয়া তোমোরে করিবে খেলা, বাহুডোরে বেধে হানিবে হেলা
স্বার্থের কারণে টানিয়া আনিয়া চুমিবে ও মুখ ভরিয়া
স্বার্থ ফুরাইলে ছুড়িয়া মারিবে শক্ত মাটির ঢেলা।
আমি বেওকুফ ফাসিয়াছি এ কোন মরণ নেশাতে!
ভাবিয়া প্রেম করিয়াছি আলিঙ্গন সর্বনাষা দাহনে।
বহ্নি শিখা দাউ দাউ জ্বলে বিবেকেরে পুড়িতে
হিংসার পরবশে রোষে ওঠে মানুষ স্বার্থে আঘাত লাগিলে।
আজ যে নিকটে বসাইয়া করিতেছে তোষণ
আপন স্বার্থ সিদ্ধ করিতে করিতেছে ভজন,
কাল সে তোমারে ফিরাইয়া রুদ্ধ করিবে দ্বার
ভালোবাসিয়া যারে করিয়াছ আপন
স্বার্থ শেষে সেই করিবে তিরস্কার ।
ছলা-কলায় মত্তে করিতেছে যে প্রেম নিবেদন
সেতো প্রেম নয়, জেনো স্বর্থের বীজ করিতেছে বপণ।
ছিলো যত তাপ-শোক শাকাহারী মায়ার বাধন
ছিড়িয়াছে সব, ভাঙ্গিয়াছে সকল, স্বার্থের কোন্দল।
আজিকে যখন দেখিতেছি রেষারেষি তিব্র রোষের অনলে
ভাঙিয়া পড়ে বুকের পাজর আপন খুনের বজ্রাহতে।
কোথা হতে ভাসিয়া আসিয়া আজ প্রশ্ন জাগে মনে
করিয়াছি কি পাপ ভালোবাসিয়া তোমারে পূজিতে?
তুলিয়াছে যে ওষ্ঠ অধর চুম্বনে কামনার কল
ওষ্ঠ নয় ওষ্ঠ নয় ও যে বিষাক্ত স্বার্থ সাপের ছল।
তোমার শরীরে ঢালিয়া বিষ হাসিয়া হইবে খুন
তিক্ত বিষের জ্বালায় তুমি মরিবে যখন।
দূর হতে তারা সব করিবে আমোদ
আপন ভাবিয়া যাদের করিয়াছো প্রমোদ।
পিতা মাতা ভাই কেহ কারো নয়, স্বার্থের টানে সকলেরি দায়।
প্রেয়সি বলিয়া যারে করিলে অর্ঘ্য দান
সেই হানিবে ফলার আঘাত, করিবে প্রত্যাখ্যান।
মানুষ ভজনে মানুষ পূজিতে যে প্রেম দিতে পারে ত্রান
সেইখানেও স্বার্থ তুলিয়াছে তার তিক্ত ফণার বাণ।
স্বার্থের কারণে স্বার্থ সিদ্ধে মানুষ লুটিতেছে মানুষের জান-মাল
মানুষ হইয়াছে আজিকার দিনে মানুষেরি কাল।
স্বার্থ ছাড়িয়া দেখিবে যখন আপন বসন পানে
শীর্ণ মলিন হৃদয় তোমার করিতেছে আকুপাত হাহুতাসে
মানুষের মাঝে বিলাইয়া দাও নিজেরে মানুষ হইবার কারণে
স্বার্থের ঠুলি পরিয়া চোখে আর কতদিন অন্ধ সাজিবে?
মানুষেরে বাসিয়া ভালো, আপন স্বার্থ ত্যাগ করিবে যখন
মানুষ হইবে তখন মানুষের মাঝে বিরাজ করিবে যখন।
তোমারি মাঝে রহিয়াছে স্বর্গ-নরক তুমিই করিতে পারো পরিত্রান
মিছে কেন স্বার্থের খর্গের নিচে দিয়াছো আপনারে বলিদান।
স্বার্থেরটানে কী পেলে ধরণীতে, ঘৃণা ছাড়া কী রহিয়াছে সম্বল?
রাগ ক্ষোভ ক্রোধে মারিতে গিয়াছো যারে, সে তো তোমারি ভাই
বৃথা কেন চালায়াছো ছুরি আপন ভাইয়ের বক্ষে।
রক্তে নেশায় উম্মাদ হইয়া গাহিতেছো স্বার্থের জয়গান
জগৎ ধ্বনিতে রব উঠেছে কেবল স্বার্থেরটান,
স্বার্থের মহর লাগায়াছো বসুধা বক্ষের দিলে
নতুবা দেখিতে বিশ্ব জয় হয় কেবল ভালোবাসা -বাসিতে।
০৬ ই আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৮
পাজী-পোলা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। ভালোবাসা নিবেন।
২| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর কবিতা।
৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:১০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কবিতার প্রাণ হলো ছন্দ। ছন্দ একটা বোঝার বিষয়। ছন্দ ভালো করে বোঝার পর যে-কেউ দেখতে পান যে, গদ্যেও ছন্দ আছে। গদ্যের ছন্দটাকে ছন্দ না বলে হয়ত 'স্টাইল' বলা হয়। রবীন্দ্রনাথের কোনো এক প্রবন্ধের ভেতরে শরৎচন্দ্র বা নজরুল বা হুমায়ূন আহমেদের কোনো লেখার একটা অনুচ্ছেদ ঢুকিয়ে দিলে সহজেই বোঝা যায়, কোন জায়গায় গড়মিল বা সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।
এ কবিতায় ছন্দপতন এত বেশি যে, কোনো ছন্দেই এটা পড়তে পারি নি, এমনকি গদ্যচ্ছন্দেও না। পুরোনো রীতির ক্রিয়াপদ ব্যবহারের উদ্দেশ্য বুঝতে পারি নি। ফরহাদ মজহার পুরো সাধু রীতিতে কবিতা লিখেছেন, সেটা একটা ইউনিক আইডিয়া এবং আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে, কারণ, সেই লেখা সাবলীল ও সমৃদ্ধ। হাসান হাফিজুর রহমান, সৈয়দ আলী আহসান, প্রমুখ কবিগণ পুরোনো রীতিকেই চমৎকার আধুনিক ঢঙে সাজিয়েছেন।
আপনার এ কবিতাটিকেও একটা আধুনিক রূপ দিয়ে ফেলুন। সেজন্য আপনাকে ছন্দ সম্পর্কে একটু জানতে হবে। ছন্দ জানার পর আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন, এ কবিতা নিয়ে আপনার কী করা উচিত।
আমার কাছে কবিতার বিষয়বস্তু মোটেও গুরুত্বপূর্ণ না। গুরুত্বপূর্ণ হলো, কবিতাটাকে কীভাবে আপনি উপস্থাপন করছেন, কত সাবলীলভাবে, সেটা। আমি যা ভাবি, কোনো বিষয়ে আমার যা জ্ঞান আছে, একই ভাবনা ও জ্ঞান অন্য একজন সাধারণ কবি বা মানুষের মধ্যেও থাকতে পারে, বা আমার চাইতে সমৃদ্ধ জ্ঞানও থাকতে পারে। তার আর আমার মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করে দিবে আমাদের সৃষ্ট রচনাবলি। রচনাশৈলীর দিক থেকে উন্নত রচনাটিই একজন স্বকীয় কবির স্বকীয়তার লক্ষণ।
০৮ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৭
পাজী-পোলা বলেছেন: ঠিক এমনি মন্তব্য আশা করেছিলাম আপনার কাছে। যাক, ডেকে নিয়ে আসা স্বার্থক হয়েছে।
এই ধরনের এটাই প্রথম লেখা, তাই বিশ্লেষণমূলক মন্তব্যের জন্য প্রচন্ড অপেক্ষা করছিলাম। পুরোনো রীতি নিয়ে আসার কোন কারণ নাই। যেহেতু আমার ছন্দ ঙ্গান নেই, সেহেতু মাথার ভেতর যেমন আসে তেমনি লিখি। তারপর আসেন আপনারা, আপনি। আপনাদের মন্তব্যের কারণে ভুল গুলো শুধরে নিতে পারি।
যেকোনো শিল্পের ক্ষেত্রেই বিষয়বস্তু আমার কাছে ও গুরুত্বপূর্ণ না। যত অখাদ্য-ই হোক, তার একটা বিষয়বস্তু থাকবেই। গুরুত্বপূর্ণ হল সেই বিষয়বস্তু কে কীভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমার কাছে উপস্থাপনার কৌশলই মূলত শিল্প।
ইতিমধ্যেই সামান্য কিছু পরিবর্তন করেছি, যতটুকু আমার মাথায় ধরেছে। দেখি আরও ঘষামাজা করে কিছু দাড় করাতে পারি কিনা।
আপনাকে ধন্যবাদ। কষ্ট করে সময় বের করে মন্তব্য করার জন্য। ঠিক এমন মন্তব্য পাবো বলেই আপনার মন্তব্যের জন্য অপেক্ষায় থাকি।
পুরোনো রীতির কারণ হতে পারে, কয়েকদিন নজরুল খুব শুনলাম। প্রভাবিত হতে পারে!
০৮ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৩
পাজী-পোলা বলেছেন: যদি পরিবর্তন, সংশোধন কিছু করতে পারি তাহলে আবার আপনাকে বিরক্ত করবো। আগেই বলে রাখলেন, সে আপনি যতই ব্যাস্ত থাকেন।
যদিও স্বার্থ নিয়ে লিখেছি, তবুও স্বার্থপর হয়েই চাই আপনার ব্যাস্ততা কমুক৷ আবার আমরা আপনার কাছ থেকে এমন মন্তব্য পাই।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:১৬
মুরাদ পাভেল বলেছেন: অসাধারন