নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কুল প্রতিদিন

কুল প্রতিদিন

ছায়ানী১৯

নিজকে জানতে চাই,অন্যকেও

ছায়ানী১৯ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চাটগাঁ শ’র ডুবি গেইয়ে (চট্টগ্রাম শহর ডুবে গেছে): ছবি ব্লগ

২৭ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৪:৩৩



চাটগাঁ শ’র ডুবি গেইয়ে (চট্টগ্রাম শহর ডুবে গেছে)। এরকম জলে ভাসা চট্টগ্রাম সাম্প্রতিক সময়ে আর দেখা যায়নি। টানা ভারী বর্ষণে গতকাল তলিয়ে গেছে নগরীর বিশাল এলাকা। নিচু অঞ্চলগুলোর পাশাপাশি বেশ কিছু নতুন এলাকাও প্লাবিত হয়েছে। এতে করে দিনভর পানিবন্দি ছিল লাখ লাখ মানুষ। বেলা বাড়ার সাথে সাথে নিচু এলাকাগুলোতে পানিও বাড়তে থাকে। পূর্ব বাকলিয়া, পশ্চিম বাকলিয়া, দক্ষিণ বাকলিয়া, হালিশহর, পূর্ব ষোলশহর এলাকার হাজার হাজার পানিবন্দি মানুষ তাদের নিচতলার বাসা এবং বস্তিঘর ছেড়ে নিরাপদে আশ্রয় নেয়। এদিকে দেওয়ানবাজার, চকবাজার, কাপাসগোলা, শুলকবহর, বাদুরতলা, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, রহমতগঞ্জ, জামালখান ঘুরে দেখা গেছে এই এলাকাগুলো সকাল থেকে সারাদিন কোমর পানিতে নিমজ্জিত ছিল।void(1);



দেশের অন্যতম প্রধান পাইকারি বাণিজ্যিক এলাকা চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের দোকানপাটসহ অসংখ্য গুদামে পানি ঢুকেছে। এছাড়া টেরীবাজার, বক্সিরহাট, চকবাজারের চক সুপার মার্কেট, রেয়াজউদ্দিন বাজারসহ নগরীর অনেক মার্কেট পানিতে তলিয়ে গেছে। সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে বাকলিয়া, পূর্ব ষোলশহরসহ অন্যান্য এলাকায় রাতভর উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে পানিবন্দি মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে তাদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।





এদিকে বাকলিয়া, মুরাদপুর, রামপুরসহ পিডিবির কয়েকটি সাব স্টেশন পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকায় পিডিবি সংযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। কালুরঘাট ফায়ার সার্ভিস স্টেশনও পানিতে ডুবে গেছে বলে জানা গেছে। একটানা ভারী বর্ষণে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় নগরবাসীকে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। নগরীর দুই নম্বর গেট, মুরাদপুর ও বাকলিয়া, চকবাজার এলাকায় অসংখ্য সিএনজি টেক্সিসহ প্রাইভেট কার পানিতে আটকা পড়ে। অনেক গাড়ির ইঞ্জিন নষ্ট হয়েছে। অনেক স্কুলের নিচতলা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কর্তৃপক্ষ স্কুল বন্ধ ঘোষণা করে। এদিকে ভোর থেকে বজ্রসহ ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নগরীর অধিকাংশ স্কুলে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার ছিল কম। গতকাল দুপুরে সরেজমিনে পশ্চিম বাকলিয়া, দক্ষিণ বাকলিয়ার বেশ কিছু এলাকাসহ চকবাজার, কাপাসগোলা, শুলকবহর, দেওয়ানবাজার, খলিফাপট্টি, বাদুরতলা, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, রহমতগঞ্জ, জামালখান ঘুরে দেখা গেছে এই এলাকাগুলোর বাসাবাড়ি ও দোকানগুলোতে পানি ঢুকে মূল্যবান আসবাবপত্র, দোকানের মালামাল, গাড়ির মূল্যবান যন্ত্রাংশসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল নষ্ট হয়েছে। জানা গেছে, বাকলিয়ার তিনটি ওয়ার্ডের প্রায় সব এলাকা, দুই নম্বর গেট, চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা, বিবিরহাট, জিইসি মোড়, প্রবর্তক মোড়, মোগলটুলি, পাঁচলাইশ, কাতালগঞ্জ





আবাসিক এলাকা, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, পাথরঘাটা, হালিশহর ও পতেঙ্গাসহ নতুন নতুন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে আনজুমান প্যালেসে হালিশহরের বিপুল সংখ্যক লোকজন আশ্রয় নিয়েছে বলে ওই এলাকার লোকজন জানিয়েছেন।



void(1);

এদিকে সিটি কর্পোরেশনের ৪১ ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের যে কোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে সিটি মেয়র নির্দেশ দিয়েছেন। কিছু কিছু ওয়ার্ডে কাউন্সিলররা কন্ট্রোল রুম খুলেছেন বলে জানা গেছে। পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধারের জন্য এবং নগরীর পানি দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য সিটি কর্পোরেশনের তিনশ সদস্যের একটি টিম গতকাল সকাল থেকে কাজ শুরু করেছে। সিটি মেয়র সার্বক্ষণিক বিষয়টি মনিটরিং করছেন বলে জানিয়েছেন সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাইফুদ্দিন আহমদ সাকি। তিনি জানান, পানিবন্দিদের উদ্ধারসহ দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা চলানো হচ্ছে।



void(1);

নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কয়েকটি এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। জলাবদ্ধতা ও ভারী বৃষ্টির কারণে শিক্ষার্থী, কর্মজীবীসহ খেটে খাওয়া মানুষ কর্মস্থল বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারেননি। যারা দুর্ভোগ মাড়িয়ে গেছেন তাদের বাসায় ফিরতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।



গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত প্লাবিত বেশির ভাগ এলাকা থেকে প্রত্যাশা অনুযায়ী পানি সরেনি। জোয়ারের কারণে আগ্রাবাদ বেপারিপাড়া, চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা, বহদ্দারহাট ও বাকলিয়া এলাকায় পানি বাড়ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।



গতকাল বেলা ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১০৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পতেঙ্গা আবহাওয়া দপ্তর। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ জানান, উত্তর বঙ্গোপসাগরে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে চট্টগ্রামে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। আরো কয়েকদিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে। দেশের তিন সমুদ্র বন্দরকে আগের মতোই তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।



এদিকে গতকাল বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত পূর্ব বাকলিয়া, পশ্চিম বাকলিয়া, দক্ষিণ বাকলিয়া, হালিশহর, পূর্ব ষোলশহর এলাকার পানিবন্দি প্রায় ৫ হাজার মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিটি কর্পোরেশনের উদ্ধার তৎপরতার বিশেষ টিমের প্রধান ও কর্পোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা সফিকুল মন্নান যীশু। তাদের মধ্যে পাউরুটি আর পানি সরবরাহ করা হয়েছে। তিনি জানান, নগরীর পানি নিষ্কাশনের অধিকাংশ পথ অবৈধ দখলে চলে যাওয়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।





এদিকে নগর পরিকল্পনাবিদদের মতে, পানি নিষ্কাশনের পথ সুগম না করলে খাল কেটেও কোনো লাভ হবে না। নগরীকে জলাবদ্ধতামুক্ত করতে গত এক বছর ধরে চাক্তাই খালসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ খালগুলো কাটার জন্য মেয়র উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী কাটা হয়েছে। তারপরও জলাবদ্ধতা গ্রাস করেছে নগরীকে।

সুএ

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৫:৪০

আশরাফ উদ্দিন বলেছেন: আপনি কি ওই এলাকার? আমার বাসা ওখানেই, মসজিদ টা হলো জামতলা মসজিদ, কাপাসগোলা, চকবাজার।
আর আমি আছি এখন আবু ধাবি তে।
খুব খারাপ লাগছে।

২৭ শে জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৫

ছায়ানী১৯ বলেছেন: জী , জামতলা মসজিদ, কাপাসগোলা, চকবাজার।

২| ২৭ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৫:৪১

িমরর বলেছেন: কেউ কি মাছ ধরতেছে কি ......ওখানে গিয়ে কলার ভেলায় চইরা মাছ ধরতে মন চায়

৩| ২৭ শে জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪২

আশরাফ উদ্দিন বলেছেন: অফ টপিক: আপনি কি মেহের ভবনে থাকেন?

২৭ শে জুন, ২০১২ রাত ৮:০৯

ছায়ানী১৯ বলেছেন: [email protected]

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.