নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Look, it’s me The one who can’t be free Much too young to focus But too old to see
যাত্রার মাধ্যমে তৈরি হয় অভিজ্ঞতা। ইট-কাঠ কংক্রিটের জঙ্গল পেরিয়ে পাহাড় আর সমুদ্রের হাতছানিতে মানুষ পাড়ি দেয় দীর্ঘ পথ। নীল সমুদ্র আর নীলাকাশের মাঝে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকা, প্রকৃতির সাথে মিশে যাওয়ার এই যাত্রায় কোন ক্লান্তি নেই। এ যেন এক অন্য জীবনের হাতছানি।
বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন। যা টেকনাফ হতে প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে ও মায়ানমার-এর উপকূল হতে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে নাফ নদীর মোহনায় অবস্থিত।
video for the full documentary
পর্যটন মৌসুমে অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত যখন সমুদ্র মোটামুটি শান্ত থাকে তখন টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে যাত্রী পারাপারে ৬/৭টি জাহাজ চালু থাকে। এগুলোর মধ্যে কেয়ারি সিন্দাবাদ, কেয়ারি ক্রুজ এন্ড ডাইন, বে ক্রুজ ও গ্রিন লাইন উল্লেখযোগ্য। বাকি সময় সাগর বেশ উত্তাল থাকে তাই সে সময় ভ্রমণ করা নিরাপদ নয়। বেশিরভাগ জাহাজ টেকনাফ থেকে ছাড়ে, তাই যে কোনো জেলা থেকে সরাসরি টেকনাফ গিয়ে সেখান থেকে জাহাজ অথবা ট্রলারে করে সেন্ট মার্টিন যাওয়াটাই ভালো। কক্সবাজার থেকে সরাসরি সেন্ট মার্টিন যাওয়ার জন্য রয়েছে কর্ণফুলী এক্সপ্রেস জাহাজ। এতে ছয় ঘণ্টার মত সময় লাগে। এছাড়া কক্সবাজার থেকে বাস, ভাড়া করা জীপ বা মাইক্রোবাসের করেও মেরিন ড্রাইভ দিয়ে টেকনাফ যাওয়া যায়। যাত্রাপথে এক পাশে পাহাড় আর আরেক পাশে সমুদ্র দেখে মন ভালো হয়ে যায়। জাহাজে করে টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিন যেতে সময় লাগে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা। আসা যাওয়ার ভাড়া শ্রেণিভেদে ৫৫০-৮০০ টাকার মতো। টেকনাফ জেটি ঘাট থেকে প্রতিদিন সকাল ৯টা-সাড়ে ৯টায় সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যায় এবং ফেরত আসে বিকেল ৩টা-সাড়ে ৩টায়।
বর্তমানে সেন্টমার্টিনে ১০৬টি ছোট বড় হোটেলসহ নানা স্থাপনা আছে। সূর্যাস্তের পর সৈকতের পাশে কিছু কিছু জায়গায় দোকান বসে যেখানে নানারকম বাহারি পণ্য পাওয়া যায়। রাতে প্রায় সব হোটেলে চলে মাছের বার্বিকিউ উৎসব।
প্রতিবছর নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেন্টমার্টিনে স্নোরকেলিং কিংবা স্কুবা ডাইভিং করা যায়। রেক্রিশনাল প্রশিক্ষণসহ একবার ডাইভিং খরচ পড়ে ৩৫০০ টাকার মতো। পূর্ব পাড়া, কোস্ট গার্ড অফিস সংলগ্ন ওশেনিক স্কুবা ডাইভ সেন্টার , ঢাকা ডাইভারস ক্লাব এবং কোরাল ভিউ রিসোর্ট এই অভিযান পরিচালনা করে থাকে।
প্রতিটি পথের আছে গল্প। সেন্ট মার্টিনের সৈকত ধরে হেঁটে যেতে যেতে মনে হয় এই দ্বীপ যেন শেষ হওয়ার নয়। পায়ে এসে আছড়ে পড়ে দূর সমুদ্রের ঢেউ। যেন ঢেউয়ের পিঠে বার্তা লিখে পাঠিয়েছে গভীর সমুদ্রে থাকা কোন নাবিক, হে পথিক নীল নির্জনে তোমায় স্বাগত জানাই।
০২ রা জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:৩৯
বোকা যাদুকর বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ০২ রা জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:৪৫
জুন বলেছেন: সেন্ট মার্টিন তিনবার গিয়েছি, প্রথমবারের সেই সৌন্দর্য দ্বিতীয় তৃতীয় বারের জনসমাগমে অনেকটাই মিলিয়ে গিয়েছিল যা দেখে ব্যাথিত হয়েছি। আমরা কোন স্থানের সৌন্দর্য বজায় রাখতে পারি না। তবে আপনার তোলা ছবিগুলো ভারী সুন্দর।
০২ রা জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:৫৩
বোকা যাদুকর বলেছেন: ধন্যবাদ, সহমত।
আমি সেন্টমার্টীন এর উপর একটি ট্রাভেল ডকুমেন্টরি বানিয়েছি ভালো লাগলে দেখে আসতে পারেন
https://youtu.be/vpjEron_gfw
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৩৪
হাবিব বলেছেন: সেন্ট মার্টিন দুইবার যাবার সুযোগ হয়েছে।