![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Look, it’s me The one who can’t be free Much too young to focus But too old to see
সঙ্গীতের কিংবদন্তি শিল্পী ও গীতিকার প্রতুল মুখোপাধ্যায় আর নেই। ২০২৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি, কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ৮৩ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘদিন ধরে বয়সজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। তিনি ১৯৪২ সালের ২৫ জুন অবিভক্ত বাংলার বাংলাদেশে, বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন এবং দেশবিভাগের সময় পরিবারের সঙ্গে ভারত চলে যান।
"আমি বাংলায় গান গাই" এবং "ডিঙ্গা ভাসাও সাগরে" তার সৃষ্টি করা গানগুলো আজও বাঙালি হৃদয়ে অমর হয়ে রয়েছে। প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের গান কেবল সঙ্গীত নয়, বাংলার প্রকৃতি, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির প্রতি এক গভীর ভালোবাসার প্রকাশ। তাঁর মৃত্যু বাংলা সঙ্গীত জগতের জন্য এক গভীর শোকের মুহূর্ত।
প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের লেখা "আমি বাংলায় গান গাই" একটি অমর রচনা, যা বাঙালির হৃদয়ে এক গভীর স্থান করে নিয়েছে। এই গানের সুর এবং কথা আমাদের বাংলাদেশকে এক নতুন দৃষ্টিতে দেখার প্রেরণা দেয়। মাহমুদুজ্জামান বাবুর কণ্ঠে গানটি নতুন এক প্রাণ পেয়েছে, যেখানে প্রকৃতি এবং সংগীত একে অপরকে পরিপূরক করেছে।
গানের কথা, "আমি বাংলায় গান গাই," বাংলাদেশের সৌন্দর্য ও ঐতিহ্যকে গভীরভাবে তুলে ধরে। গানটি শোনার সময় আমাদের দেশের অপরূপ প্রকৃতির নানা দিক চোখে ভাসে, যেমন নদী, শস্যক্ষেত্র, পাহাড় ও সূর্যাস্ত।
নিচের লিংক থেকে ভিডিওটা দেখে আসতে পারেন
আমি যখন একটি সিনেমাটিক ট্রাভেল ফিল্ম তৈরি করছিলাম, তখন ভিডিওটির ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক হিসেবে "আমি বাংলায় গান গাই" বার বার মাথায় আসছিল। এই গানটি যেন ভিডিওটির সাথে মিলিত হয়ে বাংলাদেশের সৌন্দর্যকে আরও একবার জীবন্ত করে তুলবে, এমন অনুভূতি হচ্ছিল। ১২ ফেব্রুয়ারি যখন আমি কাজটি শুরু করি এবং ভিডিওটি সম্পন্ন করতে করতে ১৫ ফেব্রুয়ারি, তখনই জানলাম প্রতুল মুখোপাধ্যায় আর আমাদের মধ্যে নেই। সে সময়ে গানের এই কথা বার বার মাথায় ঘুরছিল - "আমি বাংলায় গান গাই", যেন এটি প্রকৃতির সাথে সংগীতের এক অমোঘ সম্পর্ক।
এই মুহূর্তে প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে, আমি আমার তৈরি করা এই ভিডিওটি তাকে উৎসর্গ করতে চাই। এটি ছিল আমার ব্যক্তিগত অনুভূতির এক প্রতিফলন।
গানটির ভিডিওতে বাংলাদেশের প্রকৃতির চিত্রায়ণ করা হয়েছে। সরিষার ক্ষেত, বাচ্চাদের খেলাধুলা, গ্রামবাংলার মানুষ, পাহাড়, নদীর শান্ত জল, সবুজ মাঠ, আকাশে সোনালি সূর্যাস্ত - প্রতিটি দৃশ্য বাংলার প্রকৃতির এক জীবন্ত চিত্র। মানুষের জীবনের চিরাচরিত রূপ ও প্রকৃতির সাথে সম্পৃক্ততার সুন্দর প্রতিচ্ছবি ।
"আমি বাংলায় গান গাই" একটি গল্প, যা বাংলাদেশের প্রতি ভালোবাসা ফুটে ওঠে।। যদিও প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের নিজস্ব কণ্ঠে গানটি রয়েছে, তবুও আমার কাছে মাহমুদুজ্জামান বাবুর কণ্ঠে গানটি আরও প্রাণবন্ত এবং আবেগময় লাগে। প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের লেখা, মাহমুদুজ্জামান বাবুর সুর এবং কণ্ঠ, এবং বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য একত্রিত হয়ে এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা সৃষ্টি করেছে।
যতবারই গানটি শুনি, ততবারই প্রকৃতিকে অনুভব করি, বাংলাকে অনুভব করি।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:১৮
বোকা যাদুকর বলেছেন: সহমত
২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:১১
রাজীব নুর বলেছেন: একজন গুনী শিল্পী ছিলেন।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৩১
বোকা যাদুকর বলেছেন: সহমত
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:০৬
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: মূল শিল্পীই টিকে আছে, টিকে থাকে চিরকাল। উনার অসাধারণ গানের গলা, উনাকে শ্রদ্ধা জানাই।