![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইসলাম: আল্লাহর নিরানব্বইটি গুণবাচক নাম রয়েছে। এই প্রত্যেকটা গুণবাচক নামই সমান গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আল্লাহর দুটো গুণবাচক নামের কথা আলোচনা করা হচ্ছে: ১) ٱلْعَزِيز আল-আজিজ, ২) ٱلْحَكِيم আল-হাকিম।
১) ٱلْعَزِيز আল-আজিজ হচ্ছে যার ক্ষমতা এবং কর্তৃত্ব দুটোই রয়েছে। কারও অনেক ক্ষমতা থাকতে পারে, কিন্তু তার যদি কোনো কর্তৃত্ব না থাকে, তাহলে সে তার ক্ষমতা কাজে লাগাতে পারবে না। আবার কারও অনেক কর্তৃত্ব থাকতে পারে, কিন্তু যদি ক্ষমতা না থাকে, তাহলে সে তার কর্তৃত্ব খাঁটাতে পারবে না।
আল্লাহ হচ্ছেন আল-আজিজ: সমস্ত ক্ষমতা তার এবং সেই ক্ষমতা যখন, যেভাবে খুশি ব্যবহার করার সমস্ত কর্তৃত্ব তার হাতে। কেউ তাঁকে কিছুই বলতে পারে না।
২) ٱلْحَكِيم হাকিম: পরম প্রজ্ঞাবান। আল্লাহ যখন আমাদের জীবনে কিছু করেন, তিনি তার অসীম প্রজ্ঞা দিয়ে সেটা করেন। সেটা আমরা বুঝতে পারি, আর নাই পারি। হয়তো তিনি যখন কাউকে কাউকে পথে বসিয়ে দেন, তিনি সেটা করেন কারণ তিনি জানেন: যখন সে আবার মাথা তুলে দাঁড়াবে, তখন সে সম্পদের মূল্য বুঝবে, গরিবদের কষ্ট বুঝবে, অহংকার কম করবে, সবসময় শুধু নিজের এবং নিজের পরিবারের কথা না ভেবে আত্মীয়স্বজন, পাড়ার গরিবদের জন্য কিছু করবে।হয়তো তিনি যখন কারও আপনজনকে নিয়ে যান, তিনি জানেন সেই আপনজনকে হারিয়ে সে মানসিকভাবে আরও শক্ত হবে, জীবনযুদ্ধ শক্ত হাতে মোকাবিলা করবে, নিজে জয়ী হবে, অন্যকে জয়ী হতে সাহায্য করবে।
আবার হয়তো তিনি যখন কাউকে কঠিন অসুখ দিয়ে বিছানায় ফেলে রাখেন, তিনি জানেন তার এই অসুখ তার পরিবারের মানুষগুলোকে একসাথে করে দেবে। পরিবারের সদস্যরা যে যার মতো দূরে সরে না গিয়ে, আরও কাছাকাছি হবে। একে অন্যকে সান্ত¡না দেবে। একে অন্যের বিপদে পাশে থাকবে। তাদের বংশধরদের মধ্যে পারিবারিক বন্ধন আরও শক্ত হবে। অসুস্থ মানুষটাকে কেন্দ্র করে পরিবারের দুই-তিন প্রজন্ম একসাথে থাকবে। অসুস্থ মানুষটাকে দেখে তারা নিজেরা নিজেদের সুস্থতার মূল্য বুঝবে, আল্লাহর প্রতি আরও কৃতজ্ঞ হবে। এই কৃতজ্ঞতা বোধ তাদেরকে নানা ধরনের মানসিক সমস্যা থেকে মুক্ত রাখবে।
আমরা আল্লাহর গভীর প্রজ্ঞা এবং পরিকল্পনা না বুঝে, অনেক সময় অধৈর্য হয়ে তাঁকে দোষ দিয়ে দিই। মনে করি, তিনি আমাদের বিরুদ্ধে চলে গেছেন। আমাদেরকে ভুলে গেছেন। আমাদেরকে কোনো কারণ ছাড়া কষ্টে রাখছেন। আমরা ভুলে যাই: তিনি আল-হাকিম, অত্যন্ত প্রজ্ঞাবান। তাঁর প্রতিটি সিদ্ধান্তের পেছনে বিরাট কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে। তিনি আমাদের জীবনে যা কিছুই করেন, তার সবকিছুই মানবজাতিকে নিয়ে তাঁর মহাপরিকল্পনার অংশ। সংগৃহীত লেখা।
©somewhere in net ltd.