নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁধারের সপ্তবর্ণ

কোন এক দুঃস্বপ্নের শেষে হয়ত দেখা হয়ে যাবে আবার!!

বিবর্ণ ক্যানভাস

অথর্ব পৃথিবীর কালো বুকে এসে পড়ুক এক চিমটি আলোকচ্ছটা!!!

বিবর্ণ ক্যানভাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইশটোরি অফ "ফকিন্নির পুতস" !!

১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২৯

এক মহান ব্যাক্তি পাবলিক ভার্সিটির ছেলেদের সম্বোধন করছেন ফকিন্নির পুত বইলা।। যাক দেশে ২-৪ টা মহান(!) সন্তান থাকবে সেইটা স্বাভাবিক।। কিন্তু সমস্যা হইল BOAN আবার সেইটা পাবলিশ করছে।। যাক কথা তো ঠিকই, আমরা পাবলিক ভার্সিটির সব তো ফকিন্নির পুতই। কারন ফকিন্নি দেশে জমিদার পুত কই থেকে আসে সেইটা আমার বুঝে আসে ন।।



ফকিন্নির পুত দের সবচেয়ে বড় দোষ ওগো বাপরা পড়ালেখা শিখাইছে, কিন্তু চুরি কইরা সার্টিফিকেট অর্জন করতে পারে নাই।।



যাক কথা আরও আছে, যতদুর জানি এই দেশের ভাষা আন্দোলন বা মুক্তিযুদ্ধ এর সাথে একটা ফকিন্নি ভার্সিটির নাম লাইগা আছে। কি আর করা ফকিন্নিদের অর্জন করা ভাষা আর স্বাধীনতা লইয়াই বাইচা থাকেন আর ফকিন্নির পুত দের গালি পাইড়া যান।।



ফকিন্নির পুত দের আরও দোষ আছে , এদের হলে ৪০ টাকায় ২ দিন খাওয়া যায়। কিন্তু সেই খাওয়ার গুনগত মান যে কেমন সেইটা জমিদারের পুতদের ধারনায় আসে নাই। সেই ডাইল ভাত খাইয়াই যখন ডঃ ইউনুস নোবেল প্রাইজ পায়, ডঃ আতিউর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হয়, বুয়েটের পোলাপান নাসার প্রতিযোগিতায় সারা বিশ্বে ১০ম হয়, তখন জমিদারের পুত দের সারা অঙ্গ পুড়িয়া যায় রে!!



পরিশেষে জমিদারের পুতদের সরকারের প্রতি আহবান হইল পাবলিক ভার্সিটির সকল খরচ বন্ধ কইরা দেওয়া হয়, যাতে ফকিন্নির পুতদের নিজেদের খরচে পড়তে হয়। অতি উত্তম প্রস্তাব। এই প্রস্তাবের কারনটা খুব সম্ভবত যাতে তাদের বাপদের চুরি করতে সুবিধা হয়। এবং তাদের বাসার কুত্তা- বিলাই এর জন্য ও ২-১% কোটা বরাদ্দ রাখা যায়।।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩৬

শীমুল শরীফ বলেছেন: যে দেশে সত্যের বেসাতী করা পাপ; সে দেশে সততা একটি অভিশাপ।

১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪৬

বিবর্ণ ক্যানভাস বলেছেন: হুম ভাই।। সেরাম কথা!!! :|

২| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৩

নীল জানালা বলেছেন: দেশটা দিন দিন উচ্ছন্নে যাইতাসে। আসলে যাইতাসেনা, টাইন্যা হিচড়ায়া নিয়া যাওয়া হৈতাসে।
আইজ থেইকা বছর বিশ পঁচিশেক আগে আমি দেখসি পাব্লিক ভার্সিটিগুলার ছাত্রদের কি কদর। দেশের সর্বোচ্চ মেধাবী পোলাপান কঠিন পরীক্ষা উৎড়ানোর পরে ভর্তি হৈতে পারতো ঐ গুটিকতক ভার্সিটিতে। ঘুষখোর বাপেদের অকালকুষ্মান্ড পোলাপাইনের ভার্সিটি পড়ার খায়েশ মিটাইতে দেশে শুর হৈল শিক্ষা ব্যাবসা। এক ড্রয়িং কাম কিচেন, এক বেড আর এক বাথের এপার্টমেন্টের ভিতর আস্ত একটা কেতাদুরুস্ত নামধারী ইউনিভার্সিটি। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ঢাল আর ইউনিভার্সিটির সার্টিফিকেট পকেটস্থ কর। এইটা আছিল প্রাথমিক অবস্থা। এর পরে কি হৈল? পাব্লিক ভার্সিটিগুলার সুনাম এবং মান ক্ষুন্ন করার লাইগা ব্যাবহার করা হৈল রাজনিতি। আগে থেইকাই ঐগুলাতে ছাত্ররাজনিতির ভাইরাস ছিল। পরে ঢুকানো হৈল শিক্ষক রাজনিতি। অবস্থা এমন দাঁড় করানো হৈল যে মিছিলে না গেলে হলে সিট নাই, পরীক্ষায় ভালো ফল নাই। শিক্ষক বাছাইতেও মেধা বাদ দিয়া রাজনৈতিক দলমতের প্রাধান্য দেওয়া শুরু হৈল। ফলে দেখা গেল এক্স ক্যাডার কিন্তু গোবর গনেশ হয়া গেসে পাব্লিক ভার্সিটির টিচার। তো সে নিজেই জানেনা কোন চ্যাটের বাল, পোলাপাইনরে শিখায় খালি হাসিনার চুল আর খালেদার চুল। অর্থাৎ, পড়ালেখা বাদ দেও, শ্লোগান ধর আর পরীক্ষায় পাশ কর। এই আকামের ফলে জেটপ্লেনের গতিতে পাব্লিক ভার্সিটিগুলার পতন ঘটতে ঘটতে ঐগুলা পরিনত হৈল আস্তাকুঁড়ে। আবার অন্যদিকে কালোটাকার মালিক বাপেরা তাগো পোলাপাইনের প্রাইভেট ভার্সিটিগুলাতে মেধাবী শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়াইলো। রাজনিতির র'ও ঐসবে নাই। পোলাপাইন খায় ভালো পরে ভালো, মাস্টার গুলা ঐ গাধাগুলারেই মানুষ বানায়া ফালাইলো। পরিস্থিতি যখন এই রকম হয়া দাঁড়াইলো তখন কালো টাকার মালিকেরা তো গরম দেখাইবোই। এতে অবাক হৈবার কি আছে? হাতি কাদায় পরলে চামচিকায় লাথিতো দিবৈ!!

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১৮

বিবর্ণ ক্যানভাস বলেছেন: কিছু ব্যাপারে সহমত হইতে পারলাম না ভাই।। ওইসব ভার্সিটিতে পাবলিক ভার্সিটির শিক্ষকরাই পড়ায়।। আর ওইসব ভার্সিটিতে পইরা ওইসব পোলাপান আহামরি কিছু কইরাও দেখাইতে পারে নাই।। তবে এটা ঠিক ওইসব ফ্ল্যাট সর্বস্ব ভার্সিটিতে যেমনে মুখে তুলে খাওয়ান হয় তাতে ওরা সিজিপিএ তে কিছুটা আগাইয়া থাকে।। তবে পাবলিক ভার্সিটির কদর যে কমে গেছে এই ব্যাপারে পুরোপুরি সহমত!!! #:-S

৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪২

হাসিবুল ইসলাম বাপ্পী বলেছেন: সরকার কি শুধু মাত্র এই কোঠা এর মাদ্ধমেই মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাবে???
আর বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ছেলে কি তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান না????
বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ছেলের জীবন কাটে চায়ের দোকানের পানি টেন
মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান আরও নানা ভাবে করা যায়, তাদের সন্তানদেরও আরও নানা ভাবে সিক্ষার জন্য সাহায্য করা যাবে।
প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কে একটি করে ফ্লাট বাসা দেওয়া হোক, তাদের প্রতিমাসে ১০০০০ টাকা করে দেওয়া হোক, তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য আলাদা খরচ দেওয়া হোক, তাদের টিউশন ফীস মউকুফ করা হোক...
আমাদের কোন আপত্তি নেই। কিন্তু তাই বলে বিসিএস এর মতো জায়গায় কেন এতো বিশাল পরিমানে তাদের জন্য কোটা এর বাবস্থা???
এই কোটা প্রথা বাতিলের দাবী এর মানে কিন্তু এই না যে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করতে হবে না। এর মানে হচ্ছে তাদের এই অন্যায় সুবিধা প্রথা বন্ধ করতে হবে।

মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য এমনিতেই কিন্তু সরকার কম সুযোগ সুবিধা দেয় নাই।
ভালো ভালো স্কুল কলেজে কিন্তু তাদের জন্য আলাদা ভাবে কোটা এর ব্যাবস্থায় তাদের ভর্তি করা হয়, সেখানে তারা আলাদা সুবিধা পেল, মানলাম এটা।
এরপর যখন বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তির সময় এলো, তখনও তাদের জন্য কোটা এর বাবস্থা।

মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান শুধু এই কোঠা দিয়েই হয় না। আশা করি বুঝতে পারেছেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানের এই কোঠা এমন আকার ধারন করেছে যে কিছু দিন পর হয় জাতীয় বিভিন্ন খেলা-ধুলা প্রতিযোগিতায় এমন হবে যে প্রথম স্থান রাখা হবে তাদের জন্য, আর বাকি ১ম আর ২য় স্থানের আমাদের প্রতিযোগিতা করতে হবে। :p :p





আমেরিকার কোঠা নিয়ে আব্রাহাম লিংকনের একটি ঘটনা বলি...

একবার আব্রাহাম লিংকনের কাছে এক ভদ্রলোক এসে বীরদর্পে বললেন-
-- আমার ছেলেকে রাষ্ট্রীয় উচ্চপদস্থ চাকুরি দিন...
-- আব্রাহাম লিংকন: কেন ?
-- ভদ্রলোক: আমার ছেলে চাকরি পাওয়ার যোগ্য তাই।
... -- আব্রাহাম লিংকন: কিসেরযোগ্যতা আছে আপনার ছেলের?
-- ভদ্রলোক: আমার বাবা (ছেলের দাদা) আমেরিকার জন্যস্বাধীনতা যুদ্ধ করেছেন;
আমরা আমেরিকার মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বংশধর-তাই দেশ সেবার সেরা
চাকরি আমাদের দেয়া উচিৎ.....!
-- আব্রাহাম লিংকন: ওকে থাঙ্কস; আপনাদের পরিবার দেশের জন্য অনেক করেছে; এবার সাধারণ মানুষকে দেশের জন্য কাজ করতে দিন।

___________________________________________________
এই লিঙ্ক থেকে বিস্তারিত পড়ে আসতে পারেন।
____________________________________________________
অথবা এই লিঙ্ক এ বিস্তারিত...
___________________________________________________

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫৩

বিবর্ণ ক্যানভাস বলেছেন: লিঙ্ক ২ টার জন্য ধন্যবাদ। সরকারের কোটা প্রথা দেখে আমার শুধু এটূকুই বলার আছে,
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর আকুল আবেদন,
এমপি, মন্ত্রীদের সন্তানদের জন্য ১২% কোটা এবং ছাত্র রাজনৈতিকদের জন্য ১৭% কোটা বরাদ্দ দেয়া হোক!! আর আপনার বাসার আশেপাশের কুত্তা বিলাই এর জন্য ১.৫% কোটা সংরক্ষন করা হোক!!

মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ দেয়া হোক, কিন্তু তাই বলে তাদের সন্তানদেরকে এত গুরুত্বপূর্ণ যায়গায় এত সুযোগ দেয়ার কোন মানে হয় না।। সত্যি বলতে যারা সার্টিফিকেট চুরি করতে পারছে তারাই সুযোগের জন্য লাফাচ্ছে!

৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪৪

আরজু পনি বলেছেন:

এতোদিন ফকিন্নী সাবজেক্টে পড়ছি বইলা জানতাম। অহন জানি ফকিরন্নীর পুত/ঝি হিসাবেও...কি আর করা । তেনাগো কালো ট্যাকায় কিনা ঘিয়ে খা্ওয়া চকচকে চামরার মুখ আছে ...কইতে থাকুক !

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫

বিবর্ণ ক্যানভাস বলেছেন: হুম ভাই এই দেশের আঙ্গুর ফল বড় টক!! :( #:-S

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.