![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক.
আইজুদ্দিন! নামটা শুনলেই সেই বিখ্যাত লাইনটা মনে পড়ে। "কষ্টে আছে আইজুদ্দিন"।আমাদের গল্পের নায়কও আইজুদ্দিন। তবে আমাদের আইজুদ্দিন কষ্টে থাকেনা। সে থাকে মৌজ মাস্তিতে। পায়ে একটা কাঁটা ফুটলেও সে মজা করে কাঁটা বের করে। তারপর রক্ত মাখা কাঁটা দিয়ে নখ খোচায়।
এই হল আইজুদ্দিন। ছোটকালে ওর বাম চোখ ছিল ছোট, তের বছর বয়সে সেই ছোট চোখ গেলে দিয়ে গেল রহিমবক্স। সেইজন্য অবশ্য রহিমবক্সের উপর তার বিশেষ কোন রাগ নেই। কারণ রহিমবক্সের দুটি চোখ ই গেলে দেওয়া হয়েছে। কাজটা করে প্রচুর মজা পেয়েছিল আইজুদ্দিন। বিশেষ করে যখন রহিমবক্সের সেই ভয়ার্তমুখ আর তড়পানি মনে পড়ে, তখন নারীসঙ্গমের মতই মজা পায় সে।
আইজুদ্দিনের বয়স যখন পনের তখন প্রথমবারের মত খুন করে সে। ব্যাপারটা ইচ্ছাকৃ্ত নয়। কাজেই তাকে দোষ দেওয়া ঠিক হবেনা। এর আগের তিনটা মেয়েই ছিল ভীতু। কাউকে কিছু বলে দেওয়ার মত সাহস তাদের হবেনা জানত আইজুদ্দিন। কিন্তু রেশমা ছিল আচ্ছা ত্যাদড়। সে যে রকম হাত পা ছোড়াছুড়ি করেছিল, মনে পড়লে এখনো মুখ লাল হয়ে ওঠে আইজুদ্দিনের। হাত পা ছোড়াছুড়ি করছিস ভাল কথা, কিন্তু ঘটনার পরও তেজ কমলনা রেশমার। হ্যান করবে ত্যান করবে, চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দিবে বলে তড়পাতে থাকে। বিরক্ত হয়ে গেল আইজুদ্দিন। পরেরদিন দুপুরে নদীর ওইপাড়ে ফুলে ঢোল হওয়া রেশমার লাশ ভেসে উঠেছিল।
গ্রামে বেশিদিন থাকতে পারিনি আইজুদ্দিন। এইসব করে থাকা সম্ভবও না।শইরে চলে আসল। এ্সেই বুঝল,কূপের ভেতরে ছিল এতদিন সে। শহর নামের সাগর টেনে নিল তাকে।
দুই.
আফজাল খুব ই মেধাবী ছেলে। লাজুক ও মেধাবী এই ছেলেটাকে পছন্দ করেনা এমন কেউ নেই। শুধু মেধাবীই না ভদ্রও। এলাকার চায়ের দোকানটাতে একবারের জন্যও কেউ বসতে দ্যাখেনি তাকে।
এলাকার এই খ্যাতি শহরজুড়েই ছড়িয়ে পড়ল ম্যাট্রিকের পর। সেকেন্ড বোর্ড স্ট্যান্ড করল সে। স্থানীয় পত্রিকায় পরদিন সাক্ষাৎকার ছাপা হল তার। সেটা ছিল শুরু।এরপর আর আফজালকে ধরতে পারেনি কেউ। কি আচারব্যবহার, কি পড়ালেখা। বলতে নেই, চেহারাটাও ছিল তার মাশাল্লাহ।
ছেলেদের নিয়ে কত শত দুঃশ্চিন্তা থাকে বাবা মার। কিন্তু আফজালকে নিয়ে এসবের কোন কিছুই করতে হয়নি ইয়াকুব সাহেবের। মাথায় বিশাল টাক আর শৌখিন ভুড়িটা নিয়ে পান চিবুতে চিবুতে অফিস যেতেন তিনি। মানুষজন দূর থেকে বলত ওই যে আফজালের বাপে যায়। ছেলে তার বিদেশে গেছে পিএইচডি করতে। অফিসের বড় সাহেবও অন্য চোখে দেখতেন তাকে।ছোট চাকরি করেও তাই বুক ফুলিয়ে চলতে পারতেন ইয়াকুব সাহেব। ছোটবেলা থেকেই ছেলেটা তার এমন।
ছেলে তো নয়, যেন দেবশিশু।
এই ছেলের জন্যি রাহেলা বেগমকেও অন্যরকমভাবে দেখা শুরু করেছিলেন তিনি। যে মায়ের পেট থেকে এই ছেলে বেরিয়েছে, সেই মাও তো আর যেন তেন কেউ না। সুযোগপেলে হয়ত আজ সে হত ড. রাহেলা বেগম। মাঝে মাঝে এইসব চিন্তা পেয়ে বসে ইয়াকুব সাহেবকে।
আর ছেলের বিয়ের কথা মনে করতেই এখনো গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে ইয়াকুব সাহেবের। শুধু মণ্ত্রীই এসেছিল তিনজন। হবেনা? বেয়াইসাহেব যে তার মণ্ত্রীপরিষদ সচিব!
তিন.
শীততাপ নিয়ণ্ত্রিত ঘর। টেবিলের ওপাশে রিভলবিং চেয়ারে বসে আছে আফজাল। সামনে বসে আছে আইজুদ্দিন।হাতে টাকার একটা বান্ডিল। বিনা কারণে দেওয়া হয়নি তাকে। খুন করতে হবে একটা। পরকীয়া সংক্রান্ত জটিলতা।
এত ছোট্ট একটা করণে খুন করতে হবে কেন বিষয়টা সে ধরতে পারছেনা। সামনে বসা লোকটিও কি তার মত? খুন করে মজা পায়?নিজে করতে পারছেনা বলে তার ডাক পড়েছে? আফজালের চোখের দিকে তাকাল আইজুদ্দিন। কিছু একটা খুঁজছে। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ চোখ। প্রবল সিক্সথ সেন্স।
নিজের প্র্তিবিম্ব খুঁজে পেতে দেরী হলনা তার।
চোখে চোখ রেখে তাকিয়ে থাকল দুই হায়েনা।
পার্থক্য একজন অন্ধকারে থাকে।
আরেকজন আলো্য়।
ঠিক আমাদের মতই! বাইরে থেকে দেবশিশু!
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫২
আশিকুজ্জামান পিয়াশ বলেছেন: আইজুদ্দিন টা একটু বেশিই ফেমাস আর কি! এখনো আছে নাকি লেখা?
২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬
শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: সুন্দর গল্প,ভালো লাগল
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০১
আশিকুজ্জামান পিয়াশ বলেছেন: শুকরিয়া
৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৯
তৌিহদ মাহমুদ বলেছেন: চোখে চোখ রেখে তাকিয়ে থাকল দুই হায়েনা।
পার্থক্য একজন অন্ধকারে থাকে।
আরেকজন আলো্য়।.......অসাধারন ।
ভালো লাগল । অনেক ধন্যবাদ ।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪১
আশিকুজ্জামান পিয়াশ বলেছেন: পার্থক্যটা আমরা অনেকেই বুঝতে পারিনা। এই যা সমস্যা আর কি!
৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৯
সোহাগ সকাল বলেছেন: ভালো লাগলো।
শুভ কামনা।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৩
আশিকুজ্জামান পিয়াশ বলেছেন: ধন্যবাদ সোহাগ সকাল। সব সময় সাথে থাকার জন্য
৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:২১
s r jony বলেছেন: একটু পরে এসে পড়ব
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮
আশিকুজ্জামান পিয়াশ বলেছেন: ওক্কে। আমন্ত্রণ।
৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯
মিত্র বলেছেন: এই প্লটগুলো কেমনে মাথায় আসে? আমার তো আসে না। প্লট আসলেও এত ভালো কেমনে লেখে? আমি তো লিখতে পারি না।
পড়ে কিছুক্ষন স্পেলবাউন্ড হয়ে ছিলাম। খুব ভালো লিখেছেন
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫
আশিকুজ্জামান পিয়াশ বলেছেন: প্রশংসা করলে আমি বেশ বিব্রত হয়ে যায়। তবুও অনেক ধন্যবাদ মিত্রদা। আমার ধারণা আপনি আরো অনেক সুন্দর করে লিখতে পারবেন। অপেক্ষায়,আপনার গল্পের।
৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৫
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভালো লেখা।
আইজুদ্দিন-আফজালের কনফ্লিক্ট-টা সুন্দর।
সাধারণতঃ এইসব গল্প অত্যন্ত লোভনীয় লাগে আমার কাছে। তাই প্লাস
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮
আশিকুজ্জামান পিয়াশ বলেছেন: প্রোফেসর মানুষজন সাথে থাকলে আত্নবিশ্বাস বাড়ে। আর ভাল লেগেছে জেনে প্রীত। ধন্যবাদ নিয়েন।
৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১০
শ্রাবণ জল বলেছেন: অনেক ভাল লাগল।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০৭
আশিকুজ্জামান পিয়াশ বলেছেন: সেটা কমেন্টের মাধ্যমে জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩
ক্রিস্টিয়াল হার্ট বলেছেন: ভালোলাগা +
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০৯
আশিকুজ্জামান পিয়াশ বলেছেন: থ্যাঙ্কসস হার্ট।
১০| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০২
কালীদাস বলেছেন: চমৎকার++++++++++++
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:১১
আশিকুজ্জামান পিয়াশ বলেছেন: আপনাকে দেখে ভাল্লাগ্লো কালীদাসদা। অনেকদিন পোস্ট দেননা যে?
১১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৫৫
বাংলার হাসান বলেছেন: পার্থক্য একজন অন্ধকারে থাকে।
আরেকজন আলো্য়। চমৎকার
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৯
আশিকুজ্জামান পিয়াশ বলেছেন: হুম্মম পার্থক্য স্রেফ এটুকুই। দুইজন থাকে দুই পরিবেশে। একজন মুখোশের আড়ালে ভদ্র সমাজে।
১২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০১
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
বাহ, বাহ !!
খুব চমৎকার হৈসে।
মুখোশের আড়ালে হলো না নিজেকে চেনা ||
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২০
আশিকুজ্জামান পিয়াশ বলেছেন: ধন্যবাদ মুন। মুখোশের আড়ালে নিজেকে লুকিয়ে রাখার অপচেষ্টা আর কি!
১৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:১৫
ফ্রাস্ট্রেটেড বলেছেন: সুন্দর ম্যান, অনেক সুন্দর। আইজুদ্দিন এর বর্ণনাটা বেশি ভাল হৈসে।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২
আশিকুজ্জামান পিয়াশ বলেছেন: থ্যাঙ্কস ফ্রাস্ট্রেটেড। আমার এইটা লিখতে চারবছর লাগেনি কিন্তু
১৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭
জ্যাক রুশো বলেছেন: কষ্টে আছি আইজুদ্দিন
ধারা বর্ণনা চমৎকার
ক্লাইম্যাক্স আর একটু থাকলে ভাল হত(ব্যাক্তি গত চাওয়া )
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৫২
আশিকুজ্জামান পিয়াশ বলেছেন: ব্যক্তিগত চাওয়াটাকে মাথায় রাখলাম রুশো ভাই। পরবর্তীতে আরেকটু ক্লাইম্যাক্স দেওয়ার চেষ্টা করবো।
১৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫০
মুক্ত মানব আসিফ বলেছেন: চোখে চোখ রেখে তাকিয়ে থাকল দুই হায়েনা।
পার্থক্য একজন অন্ধকারে থাকে।
আরেকজন আলো্য়।
ঠিক আমাদের মতই! বাইরে থেকে দেবশিশু!
অসাধারণ লাগল শেষটা!
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৫৪
আশিকুজ্জামান পিয়াশ বলেছেন: থ্যাঙ্কু আসিফ। ভাল থাকবেন।
১৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: খুবই ভাল হয়েছে গল্পটা। চমৎকার মেসেজ ছিল গল্পের আড়ালে। ভাল লিখেছেন।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০৮
আশিকুজ্জামান পিয়াশ বলেছেন: শুকরিয়া। ভবিষ্যতেও সাথে পেলে খুশি হব।
১৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৬
অপ্রচলিত বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর লিখেছেন। প্রচ্ছদ ছবিটাও দুর্দান্ত হয়েছে। +++
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আরেকটা লেখা থাকতো "অপেক্ষায় নাজির"দুইটাই ফেমাস বঙ্গবাজারের কাছেই লেখা ছিল একটা দেয়ালে কষ্টে আছি আইজউদ্দিন।
সুন্দর লেখা ভাল লাগলো।