নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পিনাকড্রিম

পাগলামী

পিনাকড্রিম

পিনাকড্রিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

যাপিত জীবনে অষ্টপ্রহর ও সাতকাহন

১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৯

জীবনতো হচ্ছে যাপিত।অনেকে আছেন মাত্রার ভেতর।অনেকেতো থোড়াই কেয়ার,প্রতিনিয়ত বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলেছেন মূল্যবান জীবন ও যাপিত জীবনের সময় নামের চলন্ত রথকে।উহু,যা মোটেও কাম্য নয়।নিজের জন্য,পরিবারের প্রতিটি সদস্যের জন্য,আছে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দায়বদ্ধতা এবং সর্বপরি,এই যে এত সুন্দর পৃথিবীতে আপনার পদচারনা,সেখানে আমি,আপনি বা সে অর্থাৎ আমরা যদি যথেচ্ছাচার করি,চলবে কেন?দেখা যাবে একদিন আমার ছোট কন্যা অদ্রিকার মত বলতে হবে,আমাদের দেশটা একেবারে ডাষ্টবিন।আর আমরা কোন ভাবেই জীবন টাকে নিজেকে নিয়ে,পরিবারের সবাইকে নিয়ে,সমাজ ও রাষ্ট্রের হিতাকাঙ্ক্ষী হিসাবে যাপিত জীবনে সুস্থতার,সুস্থ মানসিকতার পরিচয় দিতে পারব না।

এক জীবনে সকাল,দুপুর ও রাত্রি একজনের জন্য নির্ধারিত সময়ের প্রতিটি দিন অতীত হয়ে যাচ্ছে জন্মলগ্ন থেকেই।কেউবা পারিবারিক বিধি নিষেধ,অনুশাসনে রপ্ত করে নিচ্ছে সেই ছোট্ট বেলাটি থেকে তার শিশুসুলভ মানসিকতাকে মূল্য দিয়ে।কেউ কান জানি পারছেই না।কেউবা পর্যায়ক্রমে শিক্ষার প্রতিটি ধাপে ধাপে,বন্ধু-বান্ধব,সামাজিক আদান প্রদানে নিজেকে মার্জিত ও পরিশীলিতবোধে তৈরী করার প্রয়াস চালায় সুস্থ ধারার জীবন যাপনে।কেউবা একেবারে যাচ্ছে তাই।

বৈষয়িক সাফল্য,ব্যক্তি সাফল্য,হাতেতালি,মাল্যবর এসবই একজন মানুষের পূর্ণাঙ্গ সফলতা নয়।প্রয়োজন প্রতিদিনের যাপিত জীবনে প্রতিজনের জীবন মানে থাকবে প্রায় নির্দিষ্ট একটি ছক।যা ধর্মীয় অনুশাসন নিশ্চিত করে।মুসলমান।হিন্দু,খ্রীষ্টান,বৌদ্ধ,জৈন সবার ধর্মীয় অনুশাসনেই পরিশীলিত,মার্জিত গড় জীবন যাপনের ছক এঁকে রেখেছে।যা একবিংশ শতাব্দীর এই সাঁইফাই গ্লোবালাইজড সময় পরিক্রমায় বিন্দুমাত্র পুরানো হয়ে যায় নাই। উপলব্ধি করুন প্রতিটি ধাপঃ

ঘুম থেকে জেগে ওঠা,প্রাকৃতিক ক্রিয়া,ধর্ম চর্চা,স্বাস্থ্য সচেতনতা ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা,খাদ্য গ্রহন,কর্ম ও কর্ম পরিবেশ,পারিবারিক-সামাজিক-রাষ্ট্রীয়-বৈশ্বিক দায়বদ্ধতা,ঘরে ফেরা,রাতের আয়েশ ক্লান্তি বিনাশে।

>>>সুস্বাস্থ্য সবার জন্যঃ

স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল।সুস্থ দেহ সুস্থ জীবন নিশ্চিত করে।আর সুস্থ জীবনের নিশ্চয়তা দেয় শরীর চর্চা বা ব্যায়াম বা হাঁটাচলা।ব্যায়াম মস্তিষ্ক সচল রাখে,মস্তিষ্ক সংকোচন প্রতিরোধে সাহায্য করে।কোষ নিউরনকে সবল করে এবং নতুন মস্তিষ্ক কোষ তৈরীতে সাহায্য করে।নিউ ইয়র্ক টাইমস সম্প্রতি এই গবেষণা রিপোর্টি প্রকাশ করেছে।তাই যারা নিয়ম করে নিয়মিতভাবে হাঁটাচলা,ব্যায়াম বা সুইমিং করেন তারা এই সুফল পেতে পারেন।কেননা আমাদের বয়স যখন ২০ এর কোটায় থাকে তখন প্রতি বছ র ১ শতাংশ হারে মস্তিষ্কের মেমোরি ও লার্নিং সেন্টার এর ক্ষমতা কমতে থাকে।কিন্তু ব্যায়াম বা শরীর চর্চা এই ক্ষয় হবার ক্ষতি কমিয়ে দেয়।ব্যায়াম বা শরীর চর্চা মস্তিষ্ক শুধু সবলই করেনা,মস্তিষ্কে তৈরী হতে পারে নতুন নিউরন বা মস্তিষ্ক কোষ।সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা শুনিয়েছেন এক নতুন আশার বাণী।বিজ্ঞানীরা আশা করছেন ব্যায়াম বা শরীর চর্চা মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে বিজ্ঞানীদের এই সব গবেষণা তথ্য নিশ্চিতভাবে কাজে আসবে এবং ব্রেইন পাওয়ার বাড়াতে ও মস্তিষ্ক কোষ ক্ষয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষায় সত্যিই ব্যায়াম এক অনন্য উপায়।

তাহলে শুরু হোকঃ স্বভাব সুলভ বিছানা ছাড়ুন সূর্যিমামা ঘুম থেকে জেগে ওঠার আগেই।আড়মোড়া ভেঙ্গে আলসেমী কাটিয়ে কুলকুচি করে দুই গ্লাস,প্রায় ৫০০মিলি পানি চালান করে দিন পাকস্থলীতে।উপকার আপনারই।স্রষ্টাকে ধন্যবাদ দিন নতুন আরেকটি সকাল আপনার জন্য নিশ্চিত করায়।নিজস্ব সময়টুকু ব্যয় করে ওজু করে নিন।নামাজ আদায় করুন জামাতে। এবং যে, যে ধর্মে আছেন নিজেদের দায়িত্ব কর্তব্যটুকু একাগ্রতায় সম্পন্ন করুন। কেননা পরম ঈশ্বর স্রষ্টার কাছে আত্মসমর্পনের কোন বিকল্প নেই।প্রশান্তিতে অন্তঃআত্মা ভরে ওঠে।তারপর শুরু করুন আপনার মিশন ,ব্যায়াম বা শরীর চর্চা।সকালের নান্দনিক সময়টুকু উপভোগ করুন সকালের খোলা পরিবেশে।যারা বাহির হতে চান না, চলে যান বাসার ছাদে বা বাড়ির উঠানে।ব্যয় করুন ৩০ থেকে ৪০ মিনিট।ঘাম ঝরান।আর হাঁটতে চাইলে নূন্যতম ১২০০ থেকে ১৫০০ কদম,ধীরে শুরু করুন,গতি বাড়ান,হন-হনিয়ে হাঁটুন,তারপর হঠাত না থেমে শুরুর মত করে ধীরে ধীরে শেষ করুন।যারা সরাসরি শরীর চর্চা বেছে নিতে চান,দয়া করে বিষেশজ্ঞর পরামর্শ নিন।

আপনাদের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।ভাল থাকুন,শুভরাত্রি।

[যাপিত জীবনের পরবর্তী অংশে আলোচনা করব গোসল ও রসনা বিলাস নিয়ে।]

***বৈজ্ঞানিক উপাত্তগুলো বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী থেকে নেয়া।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৩

তাহমিদুর রহমান বলেছেন: লেখাটি পড়ার আমন্ত্রণ রইল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.