নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পিনাকড্রিম

পাগলামী

পিনাকড্রিম

পিনাকড্রিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্ব্যাস্থ ভাবনা-১

২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:০০

কেই
বা অসুস্থ হতে চায় অথবা অসুস্থ থাকতে চায়?
প্রতিক্ষণ,প্রতিমুহূর্ত,প্রতিদিন বৈজ্ঞানিক চর্চায়,সম্মিলিতভাবে,কেউবা একক
ভাবনায় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অমরত্ব লাভের আশায়,নিদেনপক্ষে নিজেকে
বৃদ্ধাবস্থায় যেন দেখতে না হয়।যতই উলটাপালটা জীবন যাপন হোক না কেন
অসুস্থ্যতা স্পর্শ করবে না নিজেকে।সেই আদিকাল থেকে আজোবধি চলছে নিরন্তর
চেষ্টা বা প্রচেষ্টা,যেভাবেই বলা হোক না কেন!আমি বিশ্বাস করি সকল সব
প্রচেষ্টার মাঝে প্রকৃতি থেকে পাওয়া অর্থাৎ প্রাকৃতিক উপাদানই
সর্বোতকৃষ্ট।কতক উপাদান ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে আমাদের চারপাশে।কতক হাতের
নাগালে,কতক খুঁজে পেতে আমাজান হয়ে আফ্রিকা হয়ে সুন্দরবন নয়তো সমুদ্র তলদেশে
ডুব দিতে হয়।
কিন্ততু একেবারেই হাতের নাগালেই রয়েছে এমন কতক উতকৃষ্ট
উপাদান,টমাটো,সাঁজনা,লেবু বা লেবু জাতীয় ,গাজর,লেটুস পাতা,কচু জাতীয়
তরকারী,ফুলকপি,বাধাকপি,কাঁচামরিচ,পুদিনাপাতা,আনারস,পেয়ারা,পেঁপে,বেল,লাউ,মিষ্টিকুমড়া,আমলকি,আদা,পেঁয়াজ,রসুন,আম,জাম,কাঁঠাল,বাসক
পাতা বা তুলসি পাতা বা কচি পেয়ারা পাতার চা,রং
চা,মধু,কালোজিরা,স্পিরিলুনা(শৈবাল জাতীয়),অল্প বিস্তর নানা রকম মশলা-গোল
মরিচ,লবঙ্গ,দারুচিনি,এলাচি ইত্যাদি আরও অনেক।
**রসুন**
সেই আদিকাল থেকে রসুন ব্যবহার হয়ে আসছে যৌবন অটুট রাখার গুরুত্বপূর্ণ
উপাদান হিসাবে।
প্রতিদিন মাত্র ২ কোয়া রসুন ঃ
কাঁচা রসুন খাওয়া অনেকেই একেবারে পছন্দ করেন না। মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার ভয়ে
অনেকেই কাঁচা রসুনের কাছ থেকে দূরেই থাকেন। কিন্তু বিভিন্ন গবেষণায় দেখা
যায় কাঁচা রসুনের স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক বেশি।

বিশেষ করে নানা ধরণের শারীরিক সমস্যা দূর করতে কাঁচা রসুনের জুড়ি নেই।
ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ অ্যান্ড মেডিক্যাল সাইন্সের গবেষণায় রসুনের এইসকল
গুণাবলী প্রকাশ পায়।রসুনের কিছু কিছু গুণাবলী কাঁচা অবস্থায়,কিছু গুণাবলী
রান্না অবস্থায় শারীরিক প্রক্রিয়ায় ভূমিকা পালন করে।

আজ জেনে নিন রসুনের এমনই অসাধারণ কিছু গুণাবলী সম্পর্কে। জেনে নিন প্রতিদিন
মাত্র ২ কোয়া রসুন খাওয়ার উপকারিতা।

১) হৃদপিণ্ডের সুস্থতায় কাজ করে। কোলেস্টেরল কমায়। এতে করে হার্ট অ্যাটাকের
ঝুঁকি কমে।

২) শিরা উপশিরায় প্লাক জমতে বাঁধা প্রদান করে। রক্ষা করে শিরা উপশিরায় মেদ
জমার মারাত্মক রোগ অথেরোস্ক্লেরোসিসের হাত থেকে।

৩) উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা দূর করে।

৪) গিঁট বাতের সমস্যা থেকে রক্ষা করে।

৫) ফ্লু এবং শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।

৬) অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান দেহে খারাপ ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ, জন্ম এবং
বংশবিস্তারে বাঁধা প্রদান করে।

৭) যক্ষ্মা রোগের হাত থেকে রক্ষা করে।

৮) দেহের বিভিন্ন অংশের পুঁজ ও ব্যথাযুক্ত ফোঁড়ার যন্ত্রণা কমায়।

৯) যৌনমিলনের অসাবধানতা বশত রোগ ট্রিকোমোনিয়াসিসের হাত থেকে রক্ষা করে।

১০) হজমশক্তি বাড়ায় ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।

১১) কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

১২) গলব্লাডার ক্যান্সার মুক্ত রাখে।

১৩) স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

১৪) রেক্টাল ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করে।

১৫) প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।

১৬) পরিপাকতন্ত্রের নানা সমস্যা দূর করে।

১৭) ইষ্ট ইনফেকশন দূর করে।

১৮) শিরা উপশিরায় জমাট বাঁধা রক্ত ছাড়াতে সহায়তা করে।

১৯) ক্ষুধামন্দা ভাব দূর করে।

২০) দেহের অভ্যন্তরীণ ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এবং কৃমি ধ্বংস করে।

২১) চোখে ছানি পড়ার হাত থেকে রক্ষা করে।

২২) হাতে পায়ে জয়েন্টের ব্যথা দূর করে এবং বাতের ব্যথা সারায়।

২৩) ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

২৪) স্টাফিলোকোক্কাস ইনফেকশন দূর করে।

২৫) দাঁতের ব্যথা সারাতে সহায়তা করে।

২৬) ব্রণ সমস্যা দূরে রাখে।

২৭) আঁচিলের সমস্যা সমাধান করে।

২৮) দাদ, খোস-পাঁচড়া ধরণের চর্মরোগের হাত থেকে রক্ষা করে।

২৯) চামড়ায় ফোসকা পড়ার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেয়।

৩০) রসুনের ফাইটোনসাইড অ্যাজমা সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

৩১) দীর্ঘমেয়াদী হুপিং কাশি ও ব্রঙ্কাইটিসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

৩২) ঘুম না হওয়া, অনিদ্রা রোগ মুক্ত রাখে।

৩৩) ত্বককে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।

৩৪) দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

সতর্কতাঃ

১) দিনে ২ কোয়ার বেশি কাঁচা রসুন খাওয়া যাবে না। রান্নায় রসুন ব্যবহার হলেও
দিনে মাত্র ২ কোয়া রসুন খাওয়া যায়।

২) রসুনে অ্যালার্জি কিংবা কোনো বিশেষ কারণে রসুন খাওয়া বন্ধ থাকলে তাদের
রসুন না খাওয়াই ভালো।

৩) অতিরিক্ত রসুন খেলে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ, বমিভাব হতে পারে।

(উপাত্তগুলি পুষ্টি বিষয়ক নানা পত্রিকা ও সাময়িকী থেকে সংগৃহীত)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.