নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পিনাকীর ব্লগ

চিত্ত যেথা ভয়শূন্য

পিনাকী ভট্টাচার্য

চিকিৎসক, লেখক। কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, আমাদের অর্থনীতি।

পিনাকী ভট্টাচার্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ৩ লক্ষ নাকি ৩ মিলিয়ন?

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৮

জামাতের পক্ষ থেকে একটা বিতর্ক চালু করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে। এর ফলে তাদের অপরাধ লঘু করে দেখানোর একটা প্রচেষ্টা করা হয়।

আবার সংখ্যায় অল্প হলেও কেউ কেউ দুম করে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের তালিকা চেয়ে বসেন। একটা গণযুদ্ধে শহীদদের নামের তালিকা করা হয় কিনা সে বিষয়ে অসম্পূর্ণ ধারণা থাকার কারণে খুব সুকৌশলে তারা এই তালিকা তত্ত্ব হাজির করে।

পৃথিবীতে যত যুদ্ধ হয়েছে সে যুদ্ধ গুলোর কোনটাতেই বেসামরিক মৃত্যুর কোন নাম ধরে তালিকা নাই। এমন তালিকা এখনো করা হয়না। কারণ এটা করা সম্ভব না। যুদ্ধ একটা অস্বাভাবিক অবস্থা, এটা রোড ট্র্যাফিক অ্যাকসিডেন্ট নয়। এসময় শুধু তথ্য সংগ্রহের সমস্যা নয়, এই অস্বাভাবিক অবস্থায় আরো অনেক ঘটনা ঘটে। যেমন, ব্যাপক সংখ্যক মানুষ দেশ ত্যাগ করে, তাঁদের মধ্যে অনেকেই ফেরেনা, অনেকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান, পরিবার-সমাজ বিহীন ভবঘুরে মানুষরাও নিহত হন যাদের খোঁজ পাওয়া সম্ভব হয়না। এছাড়াও আছে যুদ্ধের কারণে পরোক্ষ মৃত্যু। যারা হত্যা করে তারাও অপরাধ ঢাকার জন্য মৃতদেহ লুকিয়ে ফেলে। এসব কারণেই যুদ্ধে নিহতের পরিসংখ্যান সব সময় একটা সংখ্যা; একটা নামসহ পুর্নাঙ্গ তালিকা নয়। এটাই পৃথিবীব্যাপী গৃহীত নিয়ম। যারা মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের তালিকা চায় তাদের যে কোন একটা গণযুদ্ধের বেসামরিক নিহত নাগরিকদের তালিকা দেখাতে বলুন। যুদ্ধে মৃত বা নিখোঁজ সামরিক ব্যাক্তিদের তালিকা করা সম্ভব কিন্তু বেসামরিক ব্যাক্তিদের নয়।

এই এস্টিমেসন কিভাবে করা হয়? আর জে রুমেল তার চায়নাস ব্লাডি পলিটিক্স বইয়ে এবং লিথাল পলিটিক্স বইয়ের পরিশিষ্টে গণহত্যার পরিসংখ্যান কিভাবে করতে হয় সেটার একটা মেথডোলজি দিয়েছেন আগ্রহীরা পুরোটা পড়তে পারেন http ESTIMATING DEMOCIDE: METHODS AND PROCEDURES রুমেলের পদ্ধতি অনুসারে প্রাপ্ত মৃতের সংখ্যাকে আরো সাব গ্রুপে ভাগ করতে হবে যেমন জেলা ওয়ারী, নারী পুরুষ অনুযায়ী এরপর প্রয়োজনে ধর্ম বা জাতি অনুযায়ী; ফলে একটা গ্রহণযোগ্য সংখ্যায় উপনিত হওয়া যায়। এটা অনেক সময়েই একটা রেঞ্জ, যেমন হলোকাস্টে মৃতের সংখ্যা ৪২ লক্ষ থেকে ৬০ লক্ষ। রুমেল যদিও তিনটা রেঞ্জ দিয়েছেন লো, মিডিয়াম, হাই। কিন্তু সাধারনভাবে দুইটা রেঞ্জ ব্যবহার করা হয়। আমেরিকান সিভিল ওয়ারে ৬-৭ লক্ষ মানুষ নিহত হয়েছিলো। রুমেল তার পদ্ধতিতে কিভাবে এই রেঞ্জটা করা হয় সেটারও একটা মেথড বলে দিয়েছেন। সাম্প্রতিক সিরিয়া যুদ্ধেও এভাবেই মৃতের সংখ্যার হিসাব করা হচ্ছে। ইরাকেও সেভাবেই করা হয়েছে। ইরাক যুদ্ধের নিহতের সংখ্যা নিয়ে গবেষণা পত্র Civilian Death and Injury in the Iraq War, 2003-2013 এই শিরোনামে ২০১৩ তেই প্রকাশিত হয়েছে। আজকে এই ধরণের গবেষণার জন্য ডেটা কালেকশন অনেক সহজ, ৪২ বছর আগে সেটা ছিল না। তবুও সে সময় এই রকম গবেষণার ফলাফলেই ৩০ লক্ষ সংখ্যাটা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে ইতিহাসের প্রয়োজনে এবং জনগোষ্ঠীর আবেগের সাথে তাল মিলিয়ে যুদ্ধে মৃতের একটা আইকনিক ফিগার বলা হয় যেমন আমেরিকান গৃহ যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা বলা হয় ৬ লক্ষ ২০ হাজার। এটা প্রকৃত সংখ্যা নয়, একটা আইকনিক ফিগার।


বাংলাদেশে অনেকে বলার চেষ্টা করেন যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ সংখ্যাটা আন্দাজে বলা হয়েছে। এই অভিযোগটা আসে মুলত জামাত ঘরানার মানুষদের কাছে থেকে। মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত কোন আলোচনায় তারা বৈধতা বের করতে পারেনা। কোন যুক্তিতেই তারা কাউকে কনভিন্স করতে পারেনা। তাই তারা মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গে মানুষকে কনফিউজ করে দিতে চায়।


মুক্তিযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা প্রথমে বিশ্ববাসী জানতে পারে প্রভদায় ৩রা জানুয়ারি ১৯৭২ এ প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে।




প্রাভদার সেদিনের পত্রিকা



দুদিন পর এই খবর দৈনিক আজাদিতে ছাপা হয়। শেখ মুজিব লন্ডনে এই সংখ্যাই উল্লেখ করেছিলেন। আর সেটাই হয়ে উঠেছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আইকনিক ফিগার।



শেখ মুজিব দেশে ফিরে দলের নেতাদের গণহত্যার তথ্য জমা দিতে বলেছিলেন। সেই তথ্য কোথায় জমা পড়েছিল বা আদৌ কোথাও জমা আছে কিনা সেটা কারো আজ জানা নেই।



তবে ৩০ লক্ষের হিসাব নিখুতভাবে দেয়া আছে একটি বইয়ে যেটা আন্তর্জাতিকভাবে গৃহীত। আসুন আমরা দেখি।



রুমেল তার STATISTICS স্টাটিস্টিক্স অব ডোমিসাইড বইয়েরStatistics Of Pakistan's Democide Estimates, Calculations, And Sources ৮ম চ্যাপ্টারে মুক্তিযুদ্ধে জেলাওয়ারি শহীদের সংখ্যা, পর্যাপ্ত রেফারেন্স সহ গ্রথিত করেছেন। এই ৩০ লক্ষের বিষয়টা সেখানেই আছে। এই বইটিতে শুধু বাংলাদেশ নয় ভিয়েতনাম যুদ্ধ পর্যন্ত সকল গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক যুদ্ধের পরিসংখ্যান দেয়া আছে। এবং এই বইটি একটা বিশ্বব্যাপী গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক রেফারেন্স।


ছবিটা বড় করে দেখতে চাইলে ক্লিক করুন

সেই বইয়ের হিসাবের ৮২ নং রো এর ১১ নম্বর কলামে দেখুন ৩০ লক্ষ সংখ্যাটা জ্বলজ্বল করছে। এই টেবিলের প্রত্যেকটা সংখ্যার রেফারেন্স দেয়া আছে। এই সংখ্যাটা হাওয়া থেকে আসেনি। এই মাটিতেই মিশে আছে তাদের রক্ত, এই মাটিতেই তাঁরা কান পেতে আছে মানুষের মুক্তির সংবাদ আর সংগ্রামের বিজয়ের বিউগল ধ্বনি শোনার জন্য।

শান্তিতে ঘুমাও প্রিয় শহীদ, আমরা আমাদের কর্তব্য বিস্মৃত হইনি।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১০

মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: দারুন পোস্ট। প্রধানের সাক্ষাতকারে এই বক্তব্যে দারুন খারাপ লেগেছে। শিরোনামে বানান টা ঠিক করে দেন।।

২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৭

মামুন রশিদ বলেছেন: স্যার, পোস্টে ভাললাগা +

৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: শান্তিতে ঘুমাও প্রিয় শহীদ, আমরা আমাদের কর্তব্য বিস্মৃত হইনি।

৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৮

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: ৩০ লাখ সংখ্যাটির সাথে বাস্তবতার চাইতে আবেগের প্রশ্ন জড়িত। আমি পরিসংখ্যানকে ম্যানিপুলেট করে ৩৫ লাখও দেখাতে পারি। তাতে বরং ৩০ লাখ পন্থীরা খুশিই হবেন। কিন্তু ৩০ লাখের জায়গায় যদি ২৪ লাখ বলি, সবাই ঘোলা ঘোলা চোখে তাকাবেন। ৩০ লাখের পক্ষের গবেষকরা ১ লক্ষ পাকি সেনা, প্রত্যেকে যদি ৩০ জন হত্যা করে তাহলে ৩০ লক্ষ হয়--এ জাতীয় উপাত্ত দেন। পাকি সেনার মাথা গুণে শহীদের পরি-সংখ্যা নিরূপণকে গবেষণার অজুহাতে সত্য বলে প্রতিষ্ঠিতও করা যায়। এ নিয়ে ব্লগে বহু বাতচিত হয়েছে- যার বড় অংশ শুধু বাগাড়ম্বর ও আবেগের জায়গায় গিয়ে পর্যবসিত হয়েছে।

আমার ভয় হয় আদিলুরের ৬১ জনের মাঝে যেমন পুলিশ ছিল, ৩০ লাখ শহীদের মাঝে বাংলাদেশে অবস্থানকারী বিহারী, রাজাকারদেরও লাশ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কিনা।

"আজকে এই ধরণের গবেষণার জন্য ডাটা কালেকশন অনেক সহজ, ৪২ বছর আগে সেটা ছিল না। তবুও সে সময় এই রকম গবেষণার ফলাফলেই ৩০ লক্ষ সংখ্যাটা গ্রহণ করা হয়েছে"---এটা মনে হয় একটা অজুহাত। কার কথা গ্রহণ করবো সেটার সিদ্ধান্তও অপেক্ষিক।

প্রাভদা কী লিখলো আর বাংলা পত্রিকায় কী ছাপলো সেটা সেকালে যাচাই করা কঠিন। আপনি বরং সেকালের যত পশ্চিমা গণমাধ্যম (টাইমস, বিবিসি, বুদ্ধিজীবী, মানবাধিকার সংস্থা আছে তাদের হিসাব কিতাব দেখাতে পারেন। ভারতীয় দালাল শর্মিলা বসু না কি যেন নাম উনিও এসব রেফারেন্স দিয়েছিলেন (বিতর্কিক গবেষক কিনা), যাতে কোথাও ২০ লাখের উপরে যায়নি সংখ্যাটা। ত্রিশ লাখের ম্যাজিক নাম্বার দেখলেই সেটাকে আমি মুজিব বা সমকালীন লীগ নেতাদের মুখের ভাষণের অনুরনন মনে করবো।

কিন্তু ব্যাপার হল দেশপ্রেমিক বাংলাদেশি হতে হলে এইসব গবেষণার ধার ধারা বিপজ্জ্নক, তার চাইতে অন্ধের মত ত্রিশ লাখ বা তার চাইতে বড় ফিগারে বিশ্বাস করা অপরিহার্য। হসাবে ২৫ লাখ বেরুলে সেটাকে শুধু মিথ্যাচারই বলা হবেনা, পাক বাহিনী ও তাদের দোসরদের বর্বরতাকে খাটোও করা হবে। বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে এমন দুঃসাহস না দেখানোই মঙ্গল।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩

পিনাকী ভট্টাচার্য বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ১৮৮ রো তে দেখুন সেখানে ৭১ এর সম্পূর্ণ নিহত তলিকা দেয়া আছে, পাকিস্তানী সেনা, রাজাকার এবং অবাঙ্গালি সহ। সংখ্যাটা ৩৬ লক্ষ ৮ হাজার। তার মানে ওই পক্ষের নিহত ৬ লক্ষ ৮ হাজার। আশা করি আপনার উত্তরটা পেয়েছেন।

৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩০

আলাপচারী বলেছেন: অনেকের স্পর্ধা আকাশ ছুঁয়েছে।

শিবিরের তান্ডব ঠেকাতে পুলিশের গুলি বর্ষনকে ৭১কে মনে রেখে তুলনা করে বলা হয় সেইরকম গণহত্যা হয়েছে।

হেফাজতের ৫ তারিখের মৃতের সংখ্যা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হলে জবাব আসে, আমরা কি ৭১এ নিহতের তালিকা কখনো দাবী করেছি?? কি বুঝাতে চায়?? ৭১ ওদের অন্য পক্ষ ??

স্পর্ধা আকাশ ছুঁয়েছে।

৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪২

সেফানুয়েল বলেছেন: কুলাংগারের দল সব ৭১ এ যে স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিলো সেটাই কিছু দিন পর অস্বীকার করবে।

৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫২

ভোরের সূর্য বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লক্ষ শহীদের নামের তালিকা দাবী করা যেমন যৌক্তিক না তেমনি আবেগের বশে ভুল তথ্যও প্রকাশ করাও মেনে নিতে পারিনা কারন এটা আমাদের একটি ইতিহাস.আমরা বা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কেন ভুল ইতিহাস শিখবে যুগের পর যুগ.পরিসংখ্যানে একলাখ বা দুই লাখ কম বেশী হতেই পারে কিন্ত ৩লাখের জায়গায় ৩০ লাখ বা সর্বোচ্চ ২০ লাখ এত কমবেশী বিভ্রান্তি কেন?আসলে এরকম কোন পরিসংখ্যান হয়নি.যা আছে তা হল আবেগ আর অনুমান.আমি তালিকা চাইনা কিন্তু সঠিক সংখ্যা বা ইতিহাস জানতে চাই.তাতে যদি সংখ্যাটা কমেও আসে তাতে অামাদের মুক্তিযুদ্ধ মিথ্যা হয়ে যাবেনা বা পাক বাহিনী ও তাদের দোসরদের বর্বরতাও কমে যাবেনা.মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানও কমে যাবেনা কিন্তু আমরা একটা সঠিক সংখ্যা(ইতিহাস)জানতে পারবো.

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৫

পিনাকী ভট্টাচার্য বলেছেন: কোন ভুল তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। প্রামানিক দলিল তথ্য সহ উপস্থাপন করা হয়েছে। সেই দলিলের বিষয়ে আলোচনা করুন। আপনি ভুল ব্বলছেন কোন রেফারেন্সের ভিত্তিতে সেই রেফারেন্স দিন। আলোচনা করবো সেটার উপরে।

৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৩

খাটাস বলেছেন: দারুন পোস্ট, প্লাস দিয়ে বক্সে রাখলাম, পরে রমেল এর মেথড পড়ব।

ভোরের সূর্য ভাই আপনার বক্তব্য বুঝলাম না। আপনি কি বুঝাতে চাচ্ছেন?

৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৬

িযাজ বলেছেন: ৩০ লাখ বুঝিনা, ৩ লাখ বুঝিনা। সত্যটা জানতে চাই।

১০| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫১

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
আনুমানিক ২০/২৫ বছর হবে।

তখন সাপ্তাহিক বিচিত্রার সম্পাদক শাহাদাত চৌধুরী।

কোন এক সংখ্যায় জেনারেল অরোরার এক সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন তিনি। বেশ বড় সাক্ষাৎকার। মৃতের সংখ্যা ৩০ লাখের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে উনি বলেছিলেন - এ সংখ্যা বড়জোর ৩ লাখ হবে।

৩০ লাখের ব্যাপারে অতিরিক্ত যে কথাটি বলেছিলেন - শেখ মুজিব মানুষের আবেগকে উদ্দীপ্ত করার জন্য, নাড়া দেয়ার জন্য যে কোন কিছুই একটু ফুলিয়ে ফাপিয়ে বলেন। তাই সর্বোচ্চ আনুমানিক ৩ লাখ ৩০ লাখ হয়ে গেছে।

আমি নিজে পড়েছি ঐ সংখ্যা। ইচ্ছে করলে যে কেউ বিচিত্রার ঐ সংখ্যা সংগ্রহ করে দেখতে পারেন। পাবলিক লাইব্রেরী থাকতে পারে। ঐ সংখ্যাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক তথ্য আছে।

তবে নৃশংসতা নৃশংসতাই। সংখ্যা বাড়িয়ে বলাটা হোল রাজনীতি। এখানে তথ্যনিষ্ঠতার খুব একটা গুরুত্ব নেই। বলা বাহুল্য মুক্তিযুদ্ধ এখন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ব্যবসা ছাড়া কিছুই নয়।

:)

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩১

পিনাকী ভট্টাচার্য বলেছেন: আপনার কাছে গবেষণা পত্রের রেফারেন্সের চেয়ে অরোরার সাক্ষাৎকার গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেলো? বেশ।

১১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫২

আহমদ শরীফ বলেছেন: ৩০ লাখ শহীদ হলে তালিকাভুক্ত মুক্তিযুদ্ধাদের সংখ্যা মাত্র ৩ লাখ হয় কেন ? সর্ব প্রথম ছিল ৯০ হাজারের মতন । এবং পরে এই সংখ্যা রাজনৈতিক কারনে সব সরকারই তাদের খেয়াল খুশিমতন বাড়িয়েছে ।

৩০ লাখ শহীদ হলে মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা কম করে হলে ও ৭-৮ লাখ থাকা উচিত । কারন সেসময় আপামর জনসাধারন লোক মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিল ।



সিরিয়া যুদ্ধে গত ২ বছরে ২ লাখের মতন লোক মারা যায় , ইরাক আফগানিস্তানে গত ১০-১২ বছরের যুদ্ধে সর্বসাকুল্যে ৩০ লাখ স্পর্শ করতে পারেনাই ।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩

পিনাকী ভট্টাচার্য বলেছেন: লেখায় প্রয়োজনীয় রেফারেন্স দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আপনিও রেফারেন্স নিয়ে এসে কথা বলুন। অনুমান করে আর যাই হোক একটা গবেষণার উপাত্ত নাকচ করে দেয়া যায়না।

১২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৯

নীল জানালা বলেছেন: মিথ্যাচার কিন্তু জামাতরেই সাজে। যারা নিজেদের স্বাধীনতার পক্ষ শক্তি বলে দাবী করেন, স্বাধীন বাংলাদেশে তারা কেন মিথ্যাচার বা ছলাকলার আশ্রয় নিবেন?
৩০ লাখ কি ১ জন...অন্যায়ভাবে হত্যার অপরাধের গুরুত্ব একি থাকে। তবে কেন সংখ্যা নিয়া টানাটানি? ঐ নয় মাসে যে ৩০ লাখ লোক সরাসরি মারা যায় নাই এইটা আপনের মতন বিচক্ষন ব্যাক্তিমাত্রই বোঝেন। তবে কেন তালগাছ নিয়া টানেন? তবে প্রত্যেকটা চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধের পরোক্ষ শিকারও আছে। প্রত্যক্ষ আর পরোক্ষ শিকারদের কথা বিবেচনায় নিলে ৭১ এর যুদ্ধে নিহত এবং ভুক্তভোগির সংখ্যা কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৬

পিনাকী ভট্টাচার্য বলেছেন: নীল জানালা, আপনার বক্তব্যের স্বপক্ষে রেফারেন্স দিন। আমি যেভাবে দিয়েছি সেভাবে দিন, আলোচনা হবে তারপরে। আমার দেয়া প্রত্যেকটা সংখ্যার বিপরীতে রেফারেন্স আছে।

১৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
পৃথিবীতে রেফারেন্স পাল্টা রেফারেন্স তৈরী করা এখন ডালভাত। ফরমায়েসী গবেষণা, আবেগীয় গবেষণা (নিরপেক্ষ বস্তুনিষ্ঠ গবেষণার বিপরীত), তথ্য জালিয়াতি করে গবেষণা ইত্যাদির নজির এখন ভুরি ভুরি। গবেষণা পত্র এখন মুড়ি মুড়কির মতো সহজলভ্য। হা হা হা হা ............।

এবং ওগুলো হয় ৯৯.৯% সামাজিক বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে। কেননা এখানে ফাঁকফোকর থাকে বেশী। ম্যানিপুলেট করা যায় বেশী। প্রচার যন্ত্র থাকলে তো কথাই নেই। দিনকে রাত করে ফেলা যায়।

পরিসংখ্যান নিয়ে কত জালিয়াতি যে হয় তার ইয়ত্তা নেই।

কোন রিপোর্ট/অনুসন্ধান এর আগে বা পরে "গবেষণা" শব্দটি থাকলে সমীহ ভরে মেনে নেব এমন নির্বোধ আমি নই। বুদ্ধিবৃত্তিক জগতে "গবেষণা" শব্দটি দিয়ে যে জালিয়াতি/ধান্ধাবাজী/ম্যানিপুলেসান করা হয়, তা' নজির বিহীন।

সি.আই.এর গবেষণা, কে.জি.বি'র গবেষণা, বিশ্ব ব্যাংকের গবেষণা, সি.পি.ডি'র গবেষণা, ভারতের গবেষণা, বাঙলাদেশের গবেষণা ...... হাজার হাজার লাখ লাখ কোটি। হা হা হা হা ...

স্বার্থ এবং নিজস্ব ধ্যানধারণার বিপরীত হলেই ঐ গবেষণা এক পক্ষ অন্য পক্ষের টিকে ছুঁড়ে মেরে ফেলে দেয়।

গবেষণা পত্র নিয়ে এমন সমীহ ভরা দৃষ্টিভঙ্গি জোক্‌স্ এর মতো লাগলো। হা হা হা হা .............

ভক্তিবাদ আর সমালোচনা আলাদা জিনিষ।

১৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৩

বিপ্লব রহমান বলেছেন: এ দেশে ১৯৭১ এ নির্বিচারে গণহত্যা হয়েছে। কাজেই এইসব অগনিত গণহত্যায় শহীদ বর্গের নাম-ধাম-সাং বা তালিকা থাকবে না, এটিই স্বাভাবিক।

মুক্তিযুদ্ধের পরেও রাজাকার ঝাড়ে বংশে নাশ হয়নি; তারই দোসররা মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নামের তালিকা প্রমান হিসেবে চায়, নিহত সংখ্যা ৩০, না ৩০ হাজার, নাকি ৩০ লাখ, এমন প্রশ্ন তোলার স্পর্ধা দেখায়।

চলমান দ্বিতীয় বা তৃতীয় প্রজন্মের মুক্তিযুদ্ধে একদিন এইসব রাজাকার কোং নির্মূল হবে, নতুন সূর্য উদিত হবে ইতিহাসের অমোঘ নিয়মে...অনাগত সেই নতুন ভোরে প্রত্যাশ্যায়।

তথ্য বহুল নোটের জন্য পিনাকী দা'কে সাধুবাদ। চলুক।

১৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৯

তায়েব মিল্লাত বলেছেন: একাত্তরের পাকি বাহিনীর দোসর ঘাতক ও তাদের এসময়ের দোসররা এখনো বলার চেষ্টা করে, বঙ্গবন্ধু তিন লাখের জায়গায় ভুল করে ৩০ লাখ বলেছেন। অথচ ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু দেশে ফেরেন। তার দেশে ফেরার দিন কয়েক আগেই মুক্তিযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা প্রথমে বিশ্ববাসী জানতে পারে রাশিয়ার গণমাধ্যম থেকে। প্রভদায় ৪ ঠা জানুয়ারি ১৯৭২ এ প্রকাশিত হয় এ বিষয়ক প্রতিবেদন। পরদিন এই খবর আমাদের দেশের দৈনিক আজাদিতে ছাপা হয়। এ পত্রিকা এখনো পাবেন আগারগাঁওয়ে আমাদের জাতীয় আরকাইভসে। বছর কয়েক আগে আমি নিজে সেখানে গিয়ে এ প্রতিবেদনটি দেখেছি এবং পড়েছি।

১৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৩

অপরিচিত অতিথি বলেছেন: শান্তিত ঘুমাও প্রিয় শহীদ, আমরা আমাদের কর্তব্য বিস্মৃত হইনি।

১৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
২য় মহাযুদ্ধে সোভিয়েত রাশীয়ার ২ কোটি নাগরিক নিহত হয়েছিল।
কেউ গুনে নি, কোন তালিকাও নেই
এরপরও এনিয়ে কখনো বিতর্ক হয়েছে বলে শুনা যায় নি।

কারন ঐ দেশে রাজাকার পালা হয় না।

১৮| ২৮ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৮

াহো বলেছেন: পোস্টে +++++++++++++++

১৯| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৩

সেজুতি_শিপু বলেছেন: ধন্যবাদ বিষয়টি নিয়ে লেখার জন্য । মুক্তিযুদ্ধ , শহীদ-সংখ্যা এসমস্ত নিয়ে সত্য/ যুক্তির দোহাই দিয়ে বিরুদ্ধ মন্তব্য তারাই করে যারা এখনো পরাজয়ের স্মুতি বুলতে পারে না । মানতে পারে না ।

আমরা আশা করি একদিন নিশ্চয়ই আর জাতির অস্তিত্ব, চেতনা ও আবেগের এসমস্ত বিষয়গুলি নিয়ে প্রশ্ন তোলার ঔদ্ধত্য তাদের থাকবে না কারন -
" আমরা আমাদের কর্তব্য বিস্মৃত হইনি। "

২০| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।

২১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০৭

তিক্তভাষী বলেছেন: আর জে রুমেলের বইটি ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত। পোস্টদাতার যুক্তিটি তাহলে কী? ১৯৭২ সালে উল্লেখ করা ৩০ লক্ষ সংখ্যাটি ১৯৯৭ এসে রুমেলের লেখায় সমর্থন পেয়েছে, এটাই? টেবিল ৮.২ ও দেখলাম। ওখানে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সূত্রে দাবীকৃত সংখ্যাগুলি কনসোলিডেট করে হাই-লো-মিডিয়াম তিনটি সংখ্যা সাজেস্ট করা হয়েছে। এলাকা ভিত্তিক, দিনভিত্তিক, খুনি পাকবাহিনীর সংখ্যাভিত্তিক বা সে জাতীয় গভীর গবেষণামূলক কাজ কিন্তু মনে হলো না।


বাংলাদেশে ১৯৭১ এ নির্বিচার গণহত্যা হয়েছে। সেটাই যথেষ্ট। রাজাকাররা কি বললো আর না বললো তাতে কিছু আসে যায় না।

২২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩

আততায়ী আলতাইয়ার বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত কোন আলোচনায় তারা বৈধতা বের করতে পারেনা। কোন যুক্তিতেই তারা কাউকে কনভিন্স করতে পারেনা। তাই তারা মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গে মানুষকে কনফিউজ করে দিতে চায়

২৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪০

আততায়ী আলতাইয়ার বলেছেন: তিরিশ লক্ষ লোক নিহত নাকি তিন লক্ষ লোক নিহত তাতে কি ফারাক আছে আসল কথা হল অন্যায় ভাবে বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে যারা হত্যা করেছে তারা হল দেশের শত্রু। আস্বাভাবিক ও অপ্রচলিত কোন ঘটনার ফল শুভ হয় না পৃথিবীর আদি থেকে কিছু ব্যাতিক্রম বাদে যেকোন যুদ্ধে পরাজিত পক্ষের মানুষজন জয়ী পক্ষের মানুষদের হাতে চরম ভাবে নির্যাতিত ও নিহত হয় তাদের নারীরা জয়ীদের ভোগের শিকার হয় এই স্বাভাবিক ঘটনাটা। বঙ্গবন্ধুর অতিদ্রুত স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের কারনে সম্পুর্ন রূপে এই স্বাভাবিক ঘটনা ঘটতে পারে নাই, যদি পরাজিত পাকি পন্থি বাঙ্গালীরা এভাবে বিপুল ভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে খুন হত তাদের মা বোনেরা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে গনিমতের মাল হয়ে যেত তাহলে তাদের গর্ভে যদি মুক্তিযোদ্ধাদের জারজ সন্তান জন্ম নিতো তাহলে আজ দেশে তিন লক্ষ তিরিশ লক্ষ বিতর্ক থাকতো না, "পুরোনো দিনের কাসুন্ধি ঘেটে কি লাভ" এই টাইপের ডায়লগ মারা নতুন প্রজন্মের কোন অস্তিত্বই থাকতো না ঐ বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্র্যাবর্তনে পাকিপন্থি বাঙ্গালীীর বড় একটা অংশ বেচে যায়। পরাজিতদের ঠিক মত পোষ মানাইতে পারে নাই দেখেই স্বাধীন বাংলাদেশে আজ এত সমস্যা। অবশ্যই এখন আর পোষ মানানো পসিবলও না। এখন হয় স্বাধীনতার পক্ষ বিপক্ষ নিয়ে সংঘর্ষ করো নয় তো উভয় পক্ষ সমঝোতা করো।

২৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৯

নাসিফ১২৩ বলেছেন: test

২৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৪

নাসিফ১২৩ বলেছেন: নামাস্তে। কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছেন।

কে মরলো কত মরলো সেটা বিষয় না, ফাকিস্তান থেকে মুক্তি পেয়েছি এটাই সবচেয়ে গৌরবের বিষয়। আর আপনি বলছেন যে পৃথিবীর কথাও গণহত্যায় বেসামরিক লোক মৃত্যুর তালিকা নেই। কথা ঠিক আবার ঠিকও না। কি বুঝলেন? মানে আপনার
জ্ঞান অনুযায়ী ঠিক, আমার জ্ঞান অনুযায়ী ঠিক না।

আমার জ্ঞান অনুযায়ী কেন ঠিক না তা নিচে তুলে ধরলাম। খালি ছবি দিলাম, ছবিতে কি আছে তা আর বললাম না।

১. Rwanda Genocide Memorial



২. Cambodia Genocide



৩. Holocaust





৪. Srebrenica Genocide





এখন কথা হচ্ছে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে রাজনীতি আর কত দিন? আমরা কি পেরেছি একটা genocide memorial তৈরী করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে?

একটা genocide memorial থাকলে ফাকিস্তান দের বলার সাহস থাকত না যে তারা গণহত্যার সাথে জড়িত ছিল না। আর বিশ্ব মিডিয়া আমাদের genocide memorial নিয়ে খবর প্রকাশ করত। বিশ্বের সবাই জানত ফাকিস্তান কত খারাপ জাতি।

আমার কমেন্ট এখানেই শেষ। ভালো থাকবেন।

২৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৩

রাফা বলেছেন: গ্রেট পোষ্ট....কিন্তু উদ্দেশ্য যাদের খারাপ তাদেরকে এই পোষ্ট কেনো আরো কিছু প্রমাণ দিলেও কাজ হবেনা।একটু অপেক্ষা করেন তাহোলেই ছাগিয়তাবাদিদের কুযুক্তি দেখতে পাবেন।

ধন্যবাদ,আপনার পোষ্টের জন্য।

২৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৬

াহো বলেছেন:
নাসিফ১২৩


NO COMPLETE LIST IN THE WORLD

২৮| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৭

ভীমরুলের হুল বলেছেন: ++++++

২৯| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৮

াহো বলেছেন:
নাসিফ১২৩

পৃথিবীতে যত যুদ্ধ হয়েছে ,নাম ধরে COMPLETE তালিকা নাই
পৃথিবীতে যত যুদ্ধ হয়েছে সে যুদ্ধ গুলোর কোনটাতেই বেসামরিক মৃত্যুর কোন নাম ধরে তালিকা নাই। এমন তালিকা এখনো করা হয়না। কারণ এটা করা সম্ভব না। যুদ্ধ একটা অস্বাভাবিক অবস্থা, এটা রোড ট্র্যাফিক অ্যাকসিডেন্ট নয়। এসময় শুধু তথ্য সংগ্রহের সমস্যা নয়, এই অস্বাভাবিক অবস্থায় আরো অনেক ঘটনা ঘটে। যেমন, ব্যাপক সংখ্যক মানুষ দেশ ত্যাগ করে, তাঁদের মধ্যে অনেকেই ফেরেনা, অনেকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান, পরিবার-সমাজ বিহীন ভবঘুরে মানুষরাও নিহত হন যাদের খোঁজ পাওয়া সম্ভব হয়না। এছাড়াও আছে যুদ্ধের কারণে পরোক্ষ মৃত্যু। যারা হত্যা করে তারাও অপরাধ ঢাকার জন্য মৃতদেহ লুকিয়ে ফেলে। এসব কারণেই যুদ্ধে নিহতের পরিসংখ্যান সব সময় একটা সংখ্যা; একটা নামসহ পুর্নাঙ্গ তালিকা নয়। এটাই পৃথিবীব্যাপী গৃহীত নিয়ম। যারা মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের তালিকা চায় তাদের যে কোন একটা গণযুদ্ধের বেসামরিক নিহত নাগরিকদের তালিকা দেখাতে বলুন। যুদ্ধে মৃত বা নিখোঁজ সামরিক ব্যাক্তিদের তালিকা করা সম্ভব কিন্তু বেসামরিক ব্যাক্তিদের নয়।
(বই ডাউনলোডের জন্য লিংক )
http://www.liberationwarbangladesh.org/2015/08/blog-post_4.html

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.