নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Nazmul Pintu

নাজমুল পিন্টু

https://www.facebook.com/nazmul.pintu

নাজমুল পিন্টু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার চমকপ্রদ এক স্মৃতিচারণ!!

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৭

সপ্তম শ্রেণীতে থাকতে একবার মেয়েদের সাথে পাল্লা দিতে যেয়ে আমরা ছেলেরা একটি নাটকের আয়োজন করি, ( মেয়েদের নাটকটারে নাটকতো তো কোওয়া যায়না, সব মেকাপ লিপিস্টিক মাখা হিল জুতা পরা ফেশান শো বলা যেতে পারতো ) ।



নাটকটিতে আমার রোল ছিল " একটি সন্তান হারা মা" এর যার সন্তান ভুল চিকিত্সায় মারা যাওয়ায় কিভাবে ডাক্তারের (ভানু চক্রবর্তীর) বারোটা বাজানো যায় সেটিকে রঙ্গ অঙ্গভঙ্গিতে তুলে ধরা । এই জন্যে আমাকে অনেকটা জোর করে "মুখে লিবিস্টিক, হাতে চুরি, চোখে কাজল এবং পরনে বোরকা" (বলা যেতে পারে ওই একটা জিনিস বাদ দিয়ে পুরা মেয়ে মানুষ) সাজে সজ্জিত হতে হয়েছিল । আর মেকাপের বেকুব টীম তো ছিলই, বন্ধু বলিয়া কিছু আর বলার দুত্সাহশ পাই নাই, নাটকের সবগুলারেই " লঙ্গি, ভুঙ্গি, ছোটো পান্ট" যার ভাগ্যে যেটা সেটা পড়তে হয়েছে দুই নম্বর 'টু' শব্দ করার আগেই।



যাক :- নাটকের সারমর্ম ছিল, প্রথমে দুর্ঘটনার জন্য যে যার মত (মুখের কথা নাকি, আমার "ছেলে মেরে ফেলসে" বলে কথা ) ডাক্তারের প্রতিবাদ করলেও যখন "ডাক্তার নিজ দোষ অস্বিকার করে আমাদের সবাইকে দূর দূর করে তাড়িয়ে নিজ ক্ষমতা দেখানো শুরু করলো" তখন গণ ধলাই এর আয়োজন করা ।





তাই নাটকের শেষের দৃশ্য ছিল অনেকটা চমকপ্রদ:- যে যার মত চিরাচরিত নিয়মে ভানু চক্রবর্তীর মাথায় কাঠাল ভেঙ্গে খেলেও আমার আচরণে সবাই বেশ হতভম্ব হলেও হাতে তালি পিঠে তালি (কতকিছু যে পাইলাম রে ভাই) একটু বেশি পরাতে আমাদের নাটকটির আলোচনা পুরো স্কুল জুড়ে চলেছে মাস ব্যাপী, এমনকি বড় ভাইরা সহ অন্যান্য ক্লাসও অনেকটা পাল্লা দিয়ে মাঠে নেমে পরেছিল ভালো নাটক উপস্থাপনে । নাটকের শেষের দৃশ্যের পরিকল্পনা অনুসারে :- ডাক্তারকে দৌড় কাটানোতে যে যার মত লুঙ্গি তুলে দৌড় দিলেও আমি আমার বোরকা কোমর পর্যন্ত তুলে চুরিগুলোকে ঝুনঝুনিয়ে মাথার স্কার্ফকে কোনো মতে ঠিক রেখে দিলাম ডাক্তারের পিছে খেইচ্চা একটা দৌড় । ডাক্তার মশাই আর দৌড় না দিয়ে আমার বোরকার নিয়ে টানাটানি করার উপক্রম ।





আমার কাছে আমাদের এই জীবনকেও এক একটা রঙ্গমঞ্চ বলে মনে হয়ে :- যেই মঞ্চে "ছেলের হাতে বাবার দেওয়া খরচের টাকার" মতই আমাদেরকেও কিছু অর্থ ধরিয়ে দিয়ে / স্বৈরাচারের পতনে জান-মালে প্রতিবাদে/ স্বশরীরে নিজ কর্ম সাধনের পিছনে ক্যামেরা ফিট করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে "কিভাবে টাকার খরচ / কর্ম সাধন করি রে বাহে" তা উপভোগে, ফাইনাল ভার্সন দেখিতে হবেই, কোনো মাফ নাহি রে মনা !!



তাই, নিজ দায়িত্ব অবহেলার কোনো সুযোগ নাই, আর নাই ধার করা কোনো জিনিসে অহংকার প্রদর্শনে। দুনিয়া এক খেলা ঘর বৈ আর কিছুই নয় !!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.