নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মধুরেণ সমাপয়েৎ

হালুম মামা৯৯

আমি একজন এ দেশের সাধারণ জনগণ ।

হালুম মামা৯৯ › বিস্তারিত পোস্টঃ

খোলা চিঠি

২৯ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৪৮

সর্বসক্তিমান সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করিলাম
হে সৃষ্টিকর্তা,
আমি তোমার এই সৃষ্ট সৌরজগতের পৃথিবী নামক গ্রহের নগণ্য এক প্রাণী। পত্রের প্রথমে এই অধমের অন্তরের অন্তস্থল থেকে শুভেচ্ছা গ্রহণ করবেন। আশা করি আমাদের সকলের
দোয়া আশীর্বাদে ভালো আছেন। তবে আমরা খুব একটা ভালো নেই। কেন জানেন?
আপনার মহানুভবতার কারণে।
কনফিউজড হয়ে গেলেন তো?
আচ্ছা প্রভু বলেন তো এ কেমন বিচার?
আপনি আজকাল আমাদের ছেড়ে ঐ সুদূর সিঙ্গাপুরের ভদ্রপল্লীতে গিয়ে উঠেছেন। আচ্ছা সত্যি করে বলুনতো ঐ দেশের ৫০ ভাগ মানুষও কি আপনাকে স্মরণ করে? অথচ আমাদের বাংলাদেশের ফাইলটা একবার খুলে দেখুন। আপনিও আজকাল দুর্নীতিবাজ হয়ে গেছেন। দেখুনতো আমাদের ফাইলটা ধূলো জমে কি অবস্থা হয়েছে। আপনি তো আমাদের আমলা মন্ত্রীদেরও ফেল করিয়েছেন। তবে আমি একবার মা'কে বলেছিলাম, মা আর কতদিন প্রভুকে নিরামিষ দিয়ে আপ্যায়ন করবে? মাঝে মাঝে মাছ-মাংস দিয়ো আর ছুটির আগেরদিন আমাকে মনে করিয়ে দিয়ো। একটু অন্যরকম আয়োজন করতে হবে। নাহলে প্রভূ সিঙ্গাপুর ছেড়ে এমুখো হবেনা। কিন্তু কে শুনে কার কথা।
তো প্রভু, শুনেছি আপনি আমাদের উপর যখন খুশি হোন তখন বৃষ্টিপাতের মাধ্যমে খুশির বহিঃপ্রকাশ ঘটান।প্রভু কথায় আছে মহিষাসুর যখন খুশিতে নাচতো তখন স্বর্গ-মর্ত্য কেঁপে উঠত। আর তুমি বৃষ্টি নামক অভিশাপ দিয়ে প্রাণ কেড়ে নিচ্ছো।
এ কেমন বিচার?
আজকাল তুমি ফ্রান্স আর ইংল্যান্ডের দিকে খুব কুনজর দিয়েছ। ওদের দিকে কুনজর দেয়াটা যুক্তিসংগত। কারণ ওরা আজকাল তোমার কথা ভূলেই গিয়েছে।এদিকে আমরা দিনরাত তোমার স্মরণে, তোমার সেবাই ব্যস্ত আর আমাদের
কথা তোমার মনেই নেই।
এই যা!!!
দেখেছ তোমাকে তুমি করে বলা শুরু করে দিলাম। বাঙালী তো। বসতে দিলেই ঘুম চলে আসে।বুঝলে গুরু, লোকে বলে বেড়াই তুমি রাজি না থাকলে গাছের পাতাও নড়ে না। আর আমি তখনি কপালের ঘাম মুছে বলে উঠি তুমি বড় হারামী।একটু আধটু তোমাকে গালি দিলেও আমি তোমাকে ফলো করি। না করে উপায় কি বলো? শত কোটি মানুষ তোমার ফলোয়ার লিস্টে আর যাদের তুমি ফ্রেন্ডলিস্টে রেখেছ তারা তো তোমাকে বেঁচা বিক্রি দিয়ে নির্বিঘ্নে তোমার সমান অবস্থায় জীবন যাপন করছে। বলি, তুমি কি এইসব দেখো না? দেখবে কিভাবে বল। বয়স কি আর কম হয়েছে। তো বলি প্রভু এক পা তো কবরে দিয়ে দিলে,এইবার তো ভালো হয়ে যাও। আর কত পাপ করবে? শুধু আমাদের পাপের হিসেব করবে আর তুমি তো দুধে ধোয়া তুলসী পাতা। মনে রেখ কুকুর কিন্তু তুলসী গাছের গোড়ায় ইয়ে করতে ভালোবাসে। তাইতো বলি তুলসীর এত গুণ। আমাকে পরের জনমে না হয় তুলসী গাছ বানিয়ো। অন্তত প্রেমিকা যেন রূপচর্চা করতে গিয়ে আমাকে গালের সাথে লেপ্টে রাখে। এই দেখো কই চলে গেলাম কথাই কথাই। একদিন সময় করে এসো প্রভূ। নিরাশ করবো না। আমি মানুষ হিসেবে মন্দ না। দুজন মিলে রেড ওয়াইন নিয়ে বসবো। রেড ওয়াইন স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।সাথে চাইলে তুই বাংলাদেশের বাংলা মদের স্বাদ গ্রহণ করতে পারিস। তবে খুব অল্প মাত্রা। আগেই বলেছিলাম আমি মানুষ হিসেবে মন্দ না। তোর কোনো ক্ষতি করবো না।
এইভাবে আর দিন চলে না রে চলেনা।তুই নাকি এইসব আমাদের পরীক্ষা নিচ্ছিস। সুযোগটা কই দিলি মানুষগুলো পরীক্ষা দেয়ার?
পরীক্ষা দেয়ার আগেই প্রাণ কেড়ে নিলি।
এক গল্পে পড়েছিলাম এক ছোট বাচ্চা প্রশ্ন করছে ঈশ্বরের অস্তিত্ব কিভাবে বুঝবে? তাই তাকে পানির মধ্যে কিছুক্ষণ চুবিয়ে রেখে তোর অস্তিত্ব বুঝিয়েছে। চিন্তা করে দেখেছিস তুই তোর সৃষ্টির মাথাই কোন টাইপের ঘিলু দিয়েছিস। আমি হলে কি করতাম জানিস? পানির নিচ থেকে তুলে এনে বলতাম এইবারের মত বাঁচিয়ে দিলাম। পরেরবার কিন্তু ছাড়ব না। তবেই না প্রভূর মত একটা কাজ হত। আসলে তুই তো ভূয়া।কিন্তু এই কথা বললে আমার প্রাণ আর প্রাণের জায়গায় রাখবে না।
আসলে তুই ভূল করেছিস শুরুতেই।
কি দরকার ছিলো এত জাতে ভাগ করার? এখন তোরে নিয়ে টানাটানি। অবশ্য এটা তোর স্বভাব বললেই চলে। তোর কাজই হচ্ছে মানুষে মানুষে হানাহানি সৃষ্টি করে দেয়া। তারপর তোরা তোরা যুদ্ধ করে মর আর আমি সিংহাসনে বসে বসে সার্কাস দেখি। আচ্ছা একবার সুস্থ মাথায় চিন্তা করে বলতো কে বেশি পাপ করছে?
তুই যে সেটা স্বীকার করতে নারাজ আমি খুব ভালো করে বুঝি হারামী।
সিগারেট খাস?
খেলে একটা ধরা। নাহলে চিঠি টা পড়তে পড়তে বোরিং হয়ে পড়বি।
কত কিছুই তো বললাম। কিন্তু আসল কথাই তো বলা হয়নি।তোর সৃষ্টির মধ্যে আরেক পাপের সৃষ্টি হচ্ছে ফাকিস্তান। এত খেচ্ছর জাতিটা বানানোর সময় তোর বমি হয়নি?
শালারা যেখানে খাই সেখানেই ইয়ে করে। এত্ত বড় হারমীর জাত পাইক্কা। অল্প বয়সে করেছিস তো তাই বেশি কিছু বললাম না। আর এখন বয়সের ভারে সব উল্টা পাল্টা কাজ করছিস। নাকি সিঙ্গাপুরের ভদ্রপল্লীতে থেকে থেকে অভ্যাস খারাফ করে ফেললি?আমাদের সাধন বাবুর মত সকালে উঠে যতক্ষণ পেটে মাল পরবেনা ততক্ষণ মাথা কাজ করেনা।
আসলে তাই মনে হয়।
আর একটা কথা না বলে থাকতে পারলাম না।
মানুষ এখনও তোর কাছে প্রার্থনা করে। বলে বিপদ দিয়েছেন যিনি উদ্ধার করবেন তিনি। তাহলে যা উদ্ধার কর গিয়ে। তুই পা গুটিয়ে হাতে হোয়াইট ওয়াইন নিয়ে বসে বসে তামাশা দেখছিস তাই না?
বিশ্বাস কর খুব করে ভেবেছিলাম তোর সাথে কোনো প্রকার দ্বন্দ্ব রাখবো না আর। একটা সমাঝোতা করে থাকবো।কিন্তু তা আর হলো না। এইসব কারণে আমার তোকে সহ্য হয়না। আসলে তোরে সহ্য হয়না বললে ভূল হবে। সহ্য হয়না তোর পূজারী মানুষগুলারে। খুব স্বার্থপর ওরা। কেমন স্বার্থপর জানিস? এই যেমন পরীক্ষায় ভালো করলে বলবে অনেক শ্রম দিয়েছি বলেই এমন ভালো রেজাল্ট। আর ফেল করলে সব কপালের লেখন। ঘর তুলে বলবে নিজের টাকায় ঘর তুলেছি আর প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভাঙার পর সব উপরওয়ালার ইচ্ছে। এ কেমন *দন বলতো?
আর তুই এসব সহ্য করিস কেমনে?
তোর তো গন্ডারের চামড়া। তুই পারবি।
যাই হোক অনেক কথা বলে ফেললাম। কিছু মনে করিস না। এখনো মনের দুঃখের ১০০ ভাগের ১ ভাগও বলা হয়নি। একদিন সময় নিয়ে আসিস। সাগর পাড়ে দু'ভাই বসে রেড ওয়াইনে চুমুক দিতে দিতে বাকি কথা বলবো। আর যেখানেই থাকিস একটু সাবধান। পাবলিক কিন্তু তোকে হন্য হয়ে খুজঁছে।
ইতি,
তোর পেয়ারের সৃষ্টি।
বিঃ দ্রঃ :- আমার কাছে চুলকানির মলম নেই।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রিয় পেয়ারের সৃস্টি,
আমার শান্তি তোর উপর বর্ষিত হোক।
আরা এঞ্জেল পিএসরা চিঠি দিতে ভয়ে কাঁপছিল অভয় দিতে দিল!

পড়তে পড়তে সেই হাসিটুকু ঠোটে ঝুলে রইল। অবুঝ শিশুর আব্দারে যেমন থাকে বাপেদের ;)
রড োয়াইনে তোর মাথা পুরাটাই গ্যাছে বেশ বুঝেছি। তবে তুই এখনো প্রাইমারী পাস করতে পারিস নি!
সাদ্দাত, েফরাউন, নমরুদ কত কত ক্লাশ পারি দিয়ে- আমাকে মারতে হাউইয়ে চড়ে আকাশে চলে এসেছিল!
সেই হিসেবে তোর এসব ভ্রমজনিত চিৎকারে কি আমার রাগ করলে চলে?
তাদেরও সময় দিয়েছ নির্দিষ্টকাল...
মানুষকে বিভ্রান্ত করতে, নিজেকে খৌদা দাবী করে কত্ত কিসু করল...
তখনও আমি ধৈর্য্যশীল ছিলাম এখনো আছি.. তুইতো ঠীকমতো দ্রোহটাও করতে পারলিনে! চুক চুক চুক

জানিস এঞ্জেল রাও অবাক আমার মৃদু হাসি দেখে! তারাতো ফিক্সড প্রোগ্রামড.. বুঝলিনা যার যা কাজ সেই অনুপাতেই তৈরী। তাই আদম নিয়া আমার খেলা তারা শুরুতেও বোঝেনি। এখনও অবুঝ!

যাক তোর মাথায় এসব ঢুকেব না। ঘৌরগ্রস্থ অবস্থা সত্য অনুভবের উপযোগী নয়।

সিঙ্গাপুর আর ইউরোপে আমার নীতি গুলো তারা মেনে চলে মানুষ্যত্বের তাগিদে। তোরা বিশ্বাসীর দলে মানই লেখীয়েছিস শুধূ আমার হুকুম গুলৌ ভুলে গেছিস। আমার কর্ম করলে প্রতিদান দেব সূত্রে (আমার বান্দা যাকে মডিফাই করে- ৩য় সূত্র নাম দিয়েছে -এভরি একশন হ্যাজ সেইম এন্ড ইকুয়াল রিএকশন ;) হা হা হা সেই অনুসারে তাদের আমি দিতে বাধ্য! আবার তোরা যেটা জানিস না- তাদের অস্বীকারের ফলে তাদের মৃত্যুর পর আবার তোদের ভাই করে পাঠাব পরের জন্মে.. ওটাই হবে তাদের শাস্তি!

যাক তোর ছোট মাথায় এসব ঢুকিয়ে লাভ নেই- দুপাতা বই পড়েই যেভাবে তাল হারিয়ে ফেলিস ! আমার আসল কিতাব আর কলম দেখলে তো কিয়ামত তক হুশ ফিরবেনা!!! হা হা হা
আমার দাওয়াতে অবিশ্বাস করিস .. মরার পরে শরাবান তাহুরা দেব- তাই ভেবেই ছাইপাস খেয়ে নিচ্ছিস... একবার যদি সেই তাহুরার স্বাদ তোদের জিভ চেখে দেখত- কিয়ামত পর্যন্ত দানা মূখে নিতনা সেই স্বাদ নষ্ট হবে বলে....
যাক তারপরও তোর দাওয়াত ভেবে দেখব.. যদি পটল না তুলীস..
ওখানে আবার আমাকে দোষ দিসনি যেন- ওখানে আমার হাত নেই- প্রোগ্রাম প্রিসেটেলড ।তোদের কর্ম গুনে-দোষে তা বাড়ে কমে মাত্র....
অন্যের কাঁধে দোষ দেয়া সহজরে.. নিজের দায় টুকু ভুলে যাওয়া যায় তাতে। তোর আত্মার ডাক কি শূনেছিষ.. পূজারীরদের ভন্ডামীর বিরুদ্ধে নজরুলে মতো কলমতো মিনিমাম ধরতে পারতিস...
যাক আমার বহুত কাম.. আপাতত আর সময় দিতে পারলাম না।

নিজেকে বদলে নিস..
সময় সমাগত.. যখন চক্ষু হবে স্থির, যখন প্রাণ হবে ওষ্ঠাগত
আত্মীয় পরিজন কাছেই থাকবে কোন কাজেই আসবে না
সেই দিনকে ভয় কর.. নিজেকে তৈরী করে নে- এক সুন্দর নতুন ভ্রমনের জন্য!

দোষারুপের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আয়- আত্মায়নায় চেয়ে :)

ইতি

স্রষ্টায়ে উত্তর চিঠি

২| ৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ৩:৫৫

স্বতু সাঁই বলেছেন: ভৃগু সাঁই!

বিষ্ণুর বুকে পদচিহ্ন আঁকি
হয়েছেন আপনি ভৃগু সাঁই।
তাই তো আপনারে পতিত-পাবন বলে সদায়।
পতিতে পঢ়ে কাঁন্দে,
তুলে নিন সাঁই তারে আপনার কান্ধে।
তিরস্কারে পতিত,
হয়ে যাবে অতীত।
সাঁই আমার,
ক্ষমা করুন সব অপরাধ তাহার।
এই না সাঁইয়ের কাজ!
সাঁইয়ের ক্ষায় কাটুক পতিতের লাজ!!
ধন্য হোক ভৃগু সাঁই,
রক্ষা পাক পতিত সবাই!!

৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৫৬

হালুম মামা৯৯ বলেছেন: দয়া করে দ্বিতীয় চিঠিটা পড়ে উত্তরটা দিতেন কৃতজ্ঞ হতাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.