![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধর্ম ও রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিত্তিতে হিটলার জার্মানীতে তার দেশবাসীর মধ্যে একটি বিভাজন তৈরি করেন - এবং এই সবই করা হয় "দেশপ্রেম" এবং "জাতীয়তাবাদ" এর নামে । আধুনিক প্রথিবীতে কি হিটলারের পূনর্জন্ম সম্ভব ? গনতন্ত্রের এই মহা ডামাডোলের মধ্যে হিটালার এবং তার দোশররা যদি থেকেই থাকে তাহলে তাদের চেনার উপায় কি ? চিনতে হলে ফিরে যেতে হবে বিংশ শতাব্দির শুরুতে - হিটলারের হিটলার হয়ে উঠার প্রধান প্রধান লক্ষনগুলো ছিলো :
১. এক এক করে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া - ক্ষমতায় যাবার পূর্বেই The Communist party কে ব্যান করে দেয়া হিটলার ক্ষমতায় যাবার পর Fuhrer পদবী নেয় - এই পদবীটিকে নিন্দুকেরা বাংলা্য় "জাতীর পিতা" অনুবাদ করে থাকেন ।
২. নাৎসি পার্টি (The National Socialist German Workers' Party) জনগনকে দুইটি ভাগে বিভক্ত করে
Volksgenossen ("national comrades") ও
Gemeinschaftsfremde ("community aliens")
তার মধ্যে প্রথম দেশপ্রেমিক শেণীটি দ্বিতীয় গোষ্টির লোকদের নানারুপ অপমান করলেও আস্তে আস্তে তা সহিংস রুপ নেয় । দেশপ্রেমের নামে ছেলে নিজের বাবাকে খুন করার দৃষ্টান্তও পাওয়া গেছে ।
৩. নাৎসি পার্টি অন্যান্য রাজনৈতিক দলের লোকেদের পরিচালিত ব্যবসা প্রতিষ্টান গুলোকে ধিরে ধিরে বয়কট করতে শুরু করে এবং তাদের অতি দেশপ্রেমিক অংগ সঙগঠন গুলো নিয়মিত ব্যবসা প্রতিষ্টানে ভাংচুর চালাতে থাকে । নাৎসিদের সবচে জংগী যে সংগঠন তার নাম ছিলো এস. এ. (SA) -ইতিহাসের সবচে কঠিন অপরাধীদের জন্মদাতা এই সংগঠনটি নিয়মতান্ত্রিকভাবে ইহুদীদের পরিচালিত ব্যবসা-প্রতিষ্টানে ঢুকে মারধর - জ্বালাও -পোড়াও করতে শুরু করে । অবশেষে ১৯৩২ সালের ডিসেম্বরে নাৎসি পার্টি দেশব্যপী নাম ধরে ধরে কিছু ব্যংক-বীমা এবং সফল কারখানা সহ সকল ইহুদি ব্যবসা প্রতিষ্টান বয়কটের এক ঘোষনা দেয় ।
৪. সাথে সাথে তারা
Deutsches Jungvolk ("Young German Boys") এবং
Jungmädel ("Young Maidens")
নামে দেশপ্রেমিক ছেলে ও মেয়েদের জন্য আলাদা আলাদা সংগঠন তৈরী করে যারা দেশের স্বাধীনতার ঠিকাদারী নিয়ে নেয় । এই সংগঠন গুলো স্কুল কলেজের প্যারেডে কি গান গাইতে হবে - কিভাবে চুল আচড়াতে হবে - কি কাপড় পরা যাবে-না যাবে সব ঠিক করে দিতো ।
এরপরের ঘটনা আপনাদের সবারই জানা । এই ফ্রন্কেনস্টাইন কিন্তু জার্মানীর মানুষ্ই তৈরী করেছিলো । আমাকে ভুল বোঝবেন না - হিটলার দেশপ্রেমিক ছিলোনা - সেটা আমি কেনো, তার আজন্ম শত্রুও বলতে পারবেনা । কিন্তু আমাদের জন্য ইতিহাসের শিক্ষা - প্রেম ভালো কিন্তু অন্ধপ্রেম কখোন্ই ভালো না ।
দেশ মানুষের জন্য - মানুষ দেশের জন্য না । মানুষকে ভালোবাসতে না জানলে দেশ দেশ করে আরেকটা জার্মানীর জন্ম আমরা দিতে পারবো - কিন্তু ইতিহাস কি আমাদের ক্ষমা করবে ?
©somewhere in net ltd.