![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কষ্ট বুকে নিয়ে প্রতিনিয়ত আমার পথচলা। তবু্ও বেঁচে থাকি, সুখে থাকি, আমারই জন্য, ভালোবাসার কিছু মানুষের জন্য।
গত বৃহস্পতিবার দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় ৩য় পৃষ্ঠায় প্রকাশিত ''শাশ্বতকে বাঁচাতে হন্যে হয়ে ঘুরছে ওরা টাকা খোঁজে'' শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে মাধ্যমে জানতে পারলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাশ্বত চিকিৎসা তহবিলে এ পর্যন্ত তারা ৭ লাখ টাকা সংগ্রহ করেছে।
গতকাল আমরা ৬ জন ব্লগার (কালপুরুষ, ক্যামেরাম্যান, নেমেসিস, মেজবাহ য়াজাদ, প্রত্যুতপন্নমতিত্ব এবং আমি) শাশ্বত'র বাড়িতে গিয়েছিলাম তাকে দেখতে এবং তার জন্য সামহ্য়্যারইনের ব্লগার বন্ধুরা, আমার ব্লগ এবং দেশ বিদেশের বন্ধুদের থেকে প্রাপ্ত ৫ লাখ টাকা তার হাতে তুলে দেবার জন্য।
ব্লগার বন্ধুদের সংগ্রহ এবং আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তি অনুসারে শাশ্বত'র জন্য এ পর্যন্ত সংগ্রহ (ব্লগার বন্ধু ৫ লাখ + রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সংগ্রহ ৭ লাখ) মোট ১২ লাখ টাকা। এটা নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য সুখবর। আমরা আশা করছি এ টাকার পরিমান ভবিষ্যতে আরো বেড়ে যাবে বন্ধুদের মহাত্মতায়।
তবে দৈনিক আমার দেশ-এ প্রকাশিত সংবাদটি নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তি রয়েছে। সংবাদটি প্রকাশিত হবার দুদিন পরে লেখার কারন, শাশ্বত'র চিকিৎসার জন্য সাহায্য চেয়ে সামহয়্যারইনের ব্লগার বন্ধুরা ঢাকা, চট্টগ্রাম তথা সারাদেশ থেকে ফান্ড কালেকশন করেছেন এবং আমার ব্লগের বন্ধুরা বিদেশ থেকে যে পরিমান ফান্ড কালেকশন করেছেন তার সাথে সমপরিমান অর্থ তারা অনুদান হিসাবে দিয়েছেন। শাশ্বত'র চিকিৎসা সহায়তায় দেশ-বিদেশের সকল ব্লগার বন্ধু এবং দানবীরদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও অবদানের কথা আমরা কৃতজ্ঞচিত্তে স্বরণ করি। তাদেরকে বিনম্র অভিবাদন।
প্রকাশিত সংবাদটি আমার কাছে কিঠুটা হলেও বিভ্রান্তিমুলক মনে হয়েছে। মনে হয়েছে শাশ্বত'র চিকিৎসা কারো ব্যক্তি প্রচারণার একটা অভিনব কৌশলমাত্র। নিচের বিষয়গুলো খেয়াল করলেই তা স্পষ্ট হবে।
১) দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার সাঁটার কাজ চলছে।
২) ঘরের এক কোনে ব্যানার লেখা হচ্ছে
৩) কম্পিউটারের সামনে বসে গান লেখা হচ্ছে
৪) শাশ্বত চিকিৎসা সহায়তা কমিটির গণসংযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মামুনের বাসায় এ দৃশ্য।
আমার প্রশ্ন: এতদিন তাহলে কি করা হয়েছিল শাশ্বত'র চিকিৎসার ব্যাপারে? মামুন সাহেব তো অনেক আগেই জানতেন এই কথা, তাহলে কেন এত বিলম্ব? খবরে ছাপা হয়েছে ''দেয়ালে দেয়ালে পোষ্টার সাঁটার কাজ চলছে''। অথচ গতকাল আমরা অর্থাৎ নেমেসিস, কালপুরুষ, প্রত্যুতপন্নমতিত্ব এবং আমি রাজশাহী শহর ও বিশ্ববিদ্যালয় হাতড়ে বেড়িয়ে হাতে গোনা মাত্র ৫টি পোষ্টার খুঁজে পেয়েছি। কেন এই মিথ্যা প্রচারনা? নাকি শাশ্বত ইস্যুটা নিজের প্রচারণার জন্য গায়ে তুলে নিয়েছেন তিনি? এটাও কি রাজনীতি? নিজেকে তুলে ধরাই কি মামুন সাহেবের মুল লক্ষ্য?
তবে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে রাবি যদি ৭ লাখ টাকা কালেকশন করে তাহলে আমাদের ৫ লাখ টাকাসহ মোট ১২ লাখ টাকা কালেকশন হয়েছে যা পূর্বেই বলা হয়েছে। মামুন সাহেবের বক্তব্য অনুসারে ২৫ লাখ টাকার মধ্যে আর লাগবে ১৩ লাখ টাকা। যদিও শাশ্বত'র বাবা বলেছেন চিকিৎসার জন্য লাগবে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা। খবরে প্রকাশ-প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মিটিং হচ্ছে মামুন সাহেবের বাসয়। তাহলে আমরাও আশাবাদি যদি ৭ লাখ টাকা তুলতে পারে তাহলে ১৩ লাখ টাকাও সংগ্রহ করতে পারবেন মামুন সাহেবরা।
একটি পরমার্শ: (রাবি ছাত্রদের কাছ থেকে প্রাপ্ত) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থী আছে। তাদের কাছ থেকে যদি ১০ টাকা করেও চাঁদা তোলা যায় তাহলে শাশ্বত'র চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা জমা হবে ফান্ডে। বিষয়টি মামুন সাহেব কি একবার ভেবে দেখবেন?
২| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫৪
জাহান৮২ বলেছেন: যে টাকা উঠেছে,ক্যাচাল হয়েছে তার চেয়ে বেশি।
৩| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:০৬
শেরিফ আল সায়ার বলেছেন: ভাইরে, এই কাহিনীর অবসান হইবো কবে?
৪| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:০৭
শফিকুল বলেছেন: আপনার কথার যুক্তি আছে।
১৩ ই জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৩
এফ আই দীপু বলেছেন: ধন্যবাদ বুঝতে পারার জন্য।
৫| ১২ ই জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৫
ক্যামেরাম্যান বলেছেন: হ্যাঁ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করলেই বাকি টাকা উঠানো সম্ভব।
শ্বাশ্বতের বাবা আমাদের কে জানিয়েছেন তার ছেলের চিকিৎসায় একবারে দরকার ২২ লাখ রুপী। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুরো টাকা জোগাড় করে তারপর এপয়েন্টমেন্ট করতে বলেছেন। পরিস্থিতি এতোটাই জটিল আর ভয়াবহ যে, চিকিৎসা শুরু করে থামা যাবে না বা পার্ট বাই পার্ট করা যাবে না।
অরুন সত্য যেদিন বাংলাদেশে ফেরত এসেছেন সেদিন তিনি ১০০০ রুপী = ১৬০০ টাকা পেয়েছেন।
৬| ১৩ ই জুলাই, ২০০৮ সকাল ৯:০৭
মুহিব বলেছেন: যদি তার ব্যাপারে আমাদের করনীয় শেষ হয়ে থাকে তাহলে আসুন অন্য কথা বলি।
৭| ১৩ ই জুলাই, ২০০৮ সকাল ৯:২৫
রন্টি চৌধুরী বলেছেন: এই পোষ্টেও একটা খোচা আছে। দীপুর সব পোষ্টেই একটা ইতরামি থাকেই। তিনি সোজা করে কিছু বলতে পারেন না।
১৩ ই জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৬
এফ আই দীপু বলেছেন: আপনে কি চান সেইটা সাফ সাফ বইলা দ্যান।
ধন্যবাদ আপনারে।
৮| ১৩ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৮
আরিফ রেজা খান বলেছেন: সহমত @ রন্টি চৌধুরী। লেনজা সোজা হয় না।
১৩ ই জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৪
এফ আই দীপু বলেছেন: চোর আর মুসল্লীর গল্পটা জানেন? নাকি আমাকে নতুন করে আবার বলতে হবে!!
৯| ১৩ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:০২
ব্রাইট বলেছেন: ১) দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার সাঁটার কাজ চলছে।
২) ঘরের এক কোনে ব্যানার লেখা হচ্ছে
৩) কম্পিউটারের সামনে বসে গান লেখা হচ্ছে
৪) শাশ্বত চিকিৎসা সহায়তা কমিটির গণসংযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মামুনের বাসায় এ দৃশ্য।
মামুন কি লেনজা সোজা কইরা ঘুমায় না বেকা কইরা? না কি ঘুমানোস সময় পায় না।
১০| ১৩ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:১১
আরিফ রেজা খান বলেছেন: রাজশাহী থাইক্যা দেইখ্যা আইসেন @ ব্রাইট
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫৩
আইরিন সুলতানা বলেছেন: হুমম ।