![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কষ্ট বুকে নিয়ে প্রতিনিয়ত আমার পথচলা। তবু্ও বেঁচে থাকি, সুখে থাকি, আমারই জন্য, ভালোবাসার কিছু মানুষের জন্য।
বাঁশির সুর আমার খুব ভালো লাগে। তাই ছোটবেলা থেকে হরদম চেষ্টা শুরু হলো। পারি আর না পারি একটা বাঁশি নিয়ে সারাদিন ফুঁ-ফাঁ করাই ছিল আমার কাজ। বিরক্তিকর আওয়াজে বাবার পিটুনী থেকেও রেহাই নেই। আম্মু কিন্তু বাঁশির সুর খুব পছন্দ করতো। তাই আমাকে উৎসাহ দিলো চালিয়ে যা। মায়ের উৎসাহে একদিন বাঁশিতে সুর তুললাম। কোনো ওস্তাদ ছিলনা। গাইতে গাইতে গায়েন আর কি। অবশ্য আপনারা সেই সুর শুনলে কানে তুলো দিবেন এটা নিদ্ধিধায় বলতে পারি।
ছোট বেলায় দাদীর মুখে জ্বীন, দৈত্য আর পরীর অনেক গল্প শুনেছি। বড় আপুর কাছে শুনেছি পরীরা নাকি অনেক সুন্দরী। যে রুপ আমাদের পৃথিবীতে কারো নেই। প্রেম শব্দটার সঙ্গে তখন পরিচিত না হলেও সেই ছোটবেলাই পরীর প্রেমে পড়ে গেলাম। মা বলতো রাত-বিরাতে বাঁশি বাজাবিনা। খারাপ বাতাস লাগতে পারে। কিন্তু আম্মু খারাপ বাতাসটা কি? জানতে চাইলেও মা কোনো উত্তর দিতোনা। আপুর কাছে উত্তর পেতাম। অমাবশ্যা রাতে বাঁশির সুরে আকাশ থেকে পরী নেমে আসে। অপেক্ষা করতাম অমাবশ্যার। সেই কাঙ্খিত দিনে আমার প্রেম আমার কাছে আসবে। কিন্তু না, যতই বাঁশি বাজাই পরী আর আসেনা। আম্মু আর আপুর উপর রেগে যেতাম। তোমরা আমাকে ধোকা দিয়েছ। পরী আসেনা কেন? তারা দুজনেই আমার কথা শুনে হাসতো। কারনটা কী জানেন, আমার বাঁশির সুর.................।
পরীর অপেক্ষায় স্কুল জীবন শেষ করে ঢাকায় চলে এলাম। তখন বড় হয়েছি। পরী আসবেনা বুঝতে পারি এখন। কি বোকা, ঢাকাতে কী পরী থাকে? তবুও মাঝে মাঝে ঢাকাতে নিজের রুমে বসেই বাঁশিতে সুর তুলি। যদি পরী আসে!
রুমমেটরা বিরক্ত হয়ে বলে-আর কতো জ্বালাবেন? দয়া করে এবার অন্য জায়গায় রুম দেখুন।
মুখ বুজে হজম করে নিতাম সেসব। আমার পরী বলে কথা। কত রাত দুচোখের পাতা এক করে রেখেছি। যদি স্বপ্নে দেখা দেয় আমার পরী! কিন্তু না পরী আমাকে হতাশ করলো।
না, ভূল বলেছি। আমার পরী আমাকে হতাশ করেনি। পরী আমার বাঁশির সুর শুনতো। কিন্তু লজ্জায় আমার সঙ্গে দেখা করতো না। ঢাকাতে আসার পর অনেকদিন পরী আমার অপেক্ষায় গ্রামে ছিল। কিন্তু আমি গ্রামে যখন যেতাম পরী তখন তার নিজ দেশে চলে যেতো।
প্রতীক্ষার প্রহর ভেঙ্গে পরী অবশেষে দেখা দিয়েছে। তবে আমার সঙ্গে নয়। আমার ছোট ভাইয়ের সঙ্গে। আমার ছোট ভাইটিকে আমি খুব ভালোবাসি। আমার চেয়ে মাত্র 3 বছরের ছোট ও। পরী এখন আমার ছোট ভাইয়ের সঙ্গে প্রেম করতে চায়।
খুব কষ্ট পেলাম!!! আমার পরী আমাকে ভুলে গেছে?
আমার ছোট ভাই পরীকে খুব ভয় পায়। ও কিন্তু পরী একদম অপছন্দ করে। কিভাবে পরী ওর সঙ্গে দেখা করলো জানেন.........................
(চলবে).........................
২| ২৪ শে মে, ২০০৬ দুপুর ১২:০৫
এফ আই দীপু বলেছেন: ধন্যবাদ কৌশিক ভাই।
৩| ২৪ শে মে, ২০০৬ দুপুর ১:০৫
অতিথি বলেছেন: বাঁশীর সুর আর অদৃশ্য পরীর প্রেম, দারুন রোমন্টিক! ভাবছি পরীটা না আমার মানুষ হয়ে যায় পরবর্তী পর্বে । লিখুন....
৪| ২৪ শে মে, ২০০৬ দুপুর ১:০৫
আপন তারিক বলেছেন: অপেক্ষায় .......... অপেক্ষায়..........
৫| ২৫ শে মে, ২০০৬ সকাল ৭:০৫
এফ আই দীপু বলেছেন: আমার ভেতর তুমি থাকো, আমি কোথায় রই,
আমি না থাকিলে তোমার থাকার জায়গা কই?
-এ গানটা পরীর খুব প্রিয় ছিল।
৬| ২৫ শে মে, ২০০৬ সকাল ৭:০৫
হযবরল বলেছেন: খুব ভাল লিখা , আর কিছু আশা করি এ রকম ।
৭| ২৫ শে মে, ২০০৬ সকাল ৭:০৫
এফ আই দীপু বলেছেন: ধন্যবাদ হযবরল
৮| ২৫ শে মে, ২০০৬ সকাল ৮:০৫
কালপুরুষ বলেছেন: পরী দেখার ইচ্ছা আমারো কখনও পূরণ হয়নি। পরী মানেই তো অপ্সবা। স্বর্গের দেবী। আর দেবীরা কি মর্ত্যের মানুষের কাছে আসে। হয়তো না। মানুষ মাটির তৈরী। পাপ পূণ্যের সমন্বয়ে গড়া। পরীরা তাহলে কিসের তৈরী? আমি জানিনা। পরীরা নাকি পাপিদের কাছে আসে না। তাই একসময় ভাবতাম সব সময় পবিত্র হয়ে থাকবো যাতে পরীরা এসে ধরা দেয়। মনের মধ্যে পাপ ছিল কিনা জানিনা, পরীর দেখা কখনও পাইনি। বড় হবার পর সেই ইচ্ছেটাও মরে গেছে।
শুনেছিলাম পরীরা নাকি সুগন্ধী খুব পছন্দ করে। তাই প্রতিদিন নিত্য নতুন পারফিউম আর আতর মেখে ঘুমাতাম যদি ঘুমের মধ্যে পরী আসে। এই নিয়ে বাসায় জল্পনা কল্পনার কোন শেষ ছিল না। কেন আমি ঘুমানোর আগে সুগন্ধী ব্যবহার করি। আমি কিছুতেই মুখ খুলিনি। আজ অবধি কেউ সে কথা জানেনা আজ আপনাদের কাছে কথাটা ফাঁস করে দিলাম। এখন অবশ্যি সেই নেশাটা নেই। দিন বদলের সাথে সাথে আর চিন্তা চেতনা বিকাশের ফলে অবাস্তব সব খেয়াল মন থেকে দূর হয়েছে। তবে অবচেতন মনে পরীর নৈকট্য লাভের আশা রয়েই গেছে মনে হয়। তাই পৃথিবীর সব সুন্দর মুখের মাঝেই পরী খুঁজে বেড়াই।
৯| ২৫ শে মে, ২০০৬ সকাল ৮:০৫
অতিথি বলেছেন: এখন ঠিকই তো পরির সাথে সংসার!
১০| ২৫ শে মে, ২০০৬ সকাল ৯:০৫
এফ আই দীপু বলেছেন: আমার পরী কিন্তু একেবারেই ভিন্ন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে মে, ২০০৬ সকাল ১১:০৫
অতিথি বলেছেন: দারুন আত্মগত লেখা। প্যারার মাঝে একটু ফাঁকা রাখলে পড়তে পাঠকদের সুবিধা হয়।
পরবতর্ী কিস্তি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।