নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান হবার পর থেকে নিজের পরিচয় খুঁজে বেড়াচ্ছি । প্রতিনিয়ত নিজেকে প্রশ্ন করি- আমি কে? আমি কি? আমি কোত্থেকে আসছি ? আমি কিছুই জানি না । মাঝে মাঝে নিজেকে শূন্য মনে হয় । মনের অজান্তেই নিজেকে ভাবায়, এই জগৎ সংসার কেমন করে সব শূন্য থেকে শূন্যে মিলে যায়।

সাফায়েতুল ইসলাম

সম্প্রতি লেখক গ্রামগঞ্জে ঘুরে বেড়ান, বিকালে ঘুড়ি উড়ান, আর সন্ধ্যা হয়ে এলে এক ঝাঁক মাথা ভর্তি ঝিঁঝিঁপোকার শব্দে বিভোর হতে থাকেন।

সাফায়েতুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডারউইনের বিবর্তনবাদ নিয়ে ইসলাম ধর্মের সাংঘর্ষিকতা

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২১

ইভল্ব শব্দটি আমার খুব পছন্দের। স্বাভাবিকভাবে কোনকিছু বিকশিত হওয়াকে বুঝায়, অথবা এভলিউশন, যার সহজ বাংলা বিবর্তন। এটি এমন একটি জীব-বৈজ্ঞানিক ধারণা যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে জীবের গাঠনিক ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ক্রমপরিবর্তনকে বুঝায়। কোনো জীবের বংশধরদের মাঝে যে জিনরাশি ছড়িয়ে পড়ে তারাই বংশ-প্রবাহে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সৃষ্টি করে। বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যকার দৃশ্যমান অঙ্গসাংস্থানিক ও জিনগত সাদৃশ্যগুলো একটা ধারণা দেয় যে আমাদের পরিচিত সকল প্রজাতির প্রাণীই এক ধারাক্রমিক পরিবর্তনের মাধ্যমে একটি "সাধারণ পূর্বপুরুষ" থেকে ধীরে ধীরে উৎপত্তি লাভ করেছে।

এতোটুকু পড়ার পর যাদের বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে তাদের জন্য আরও ভেঙ্গে গল্পের ছলে বুঝিয়ে বলছি। মহান আল্লাহর সৃষ্ট সর্বশ্রেষ্ঠ জীব হল মানুষ। তিনি তাঁর এ সৃষ্টিকে আশরাফুল মখলুকাত অর্থাৎ পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি বলে উল্লেখ করেছেন। এই ব্যাপারে আমাদের কারো কোন দ্বিমত থাকা উচিৎ না। যাই হোক- ইসলামে হজরত আদম (আ.) ভূমিকা মানবজাতির জনক হিসেবে। যেখানে আদম ও হাওয়া আমাদের আদি পিতা ও মাতা। কুরআনের মতে আদম ও হাওয়া উভয়েই বেহেশতের বাগানের নিষিদ্ধ ফল খেয়েছিলেন। ফলশ্রুতিতে তাঁদেরকে বেহেশত হতে বিতাড়িত করে আল্লাহর প্রতিনিধি হিসাবে পৃথিবীতে নামানো হয়। প্রত্যেককে আলাদা পর্বতশৃঙ্গে প্রেরণ করা হয়েছিল। ইসলামী সূত্র মতে আদম ৪০ দিন পর্যন্ত কেঁদেছিলেন যতক্ষণ না তিনি ক্ষমা প্রাপ্ত হন, অতঃপর আদম ও হাওয়া মক্কার নিকটে আরাফাতের সমভূমিতে পুনরায় মিলিত হয়েছিলেন। তাঁদের দুটি পুত্র সন্তান জন্মলাভ করে, কাবিল ও হাবিল।


আরও একটি আধ্যাত্মিক আলোচনা উপস্থপন করছি। এই যেমন- জীবিত ও মৃত ব্যক্তির আত্মা যে একত্র হয় এর প্রমাণ হলো, জীবিত ব্যক্তি স্বপ্নে মৃত ব্যক্তিকে দেখে, অতঃপর জেগে সে তা বর্ণনা করেন, মৃত ব্যক্তি জীবিত ব্যক্তিকে এমন সংবাদ দেয়, যা জীবিত ব্যক্তি আগে জানত না। অতঃপর মৃত ব্যক্তির প্রদত্ত সংবাদ অতীতে বা ভবিষ্যতে প্রতিফলিত হয় যেভাবে সে সংবাদ দেয়। এ ধরনের অসংখ্য ঘটনা মুতাওয়াতির সূত্রে বর্ণিত আছে। রুহ, এর বিধান ও এর অবস্থা সম্পর্কে একেবারেই অজ্ঞ ব্যক্তি ছাড়া কেউ এ ব্যাপারটি অস্বীকার করে না। আমাদের রুহ সর্বপ্রথমে বেহেশতে ছিলো, পাপের ফলে এই পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে। ভালো কর্মের ফলে মানুষের জীবন পূর্ণতা পাবে, আর খারাপ কাজের ফলে দোজখে যাবে। মৃত্যুর পরবর্তী অবস্থান জান্নাত-জাহান্নাম। নেক আমল দিয়ে আমরা আবার বেহেশতে যেতে পারবো।

আচ্ছা, এতগুলো ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ শব্দের মধ্যে বিবর্তন খুঁজে পাচ্ছেন না! তাই তো? আমি সজ্ঞানে এই গল্পটি উপস্থাপন করেছি যা আপনরা ইতিমধ্যে জানেন। বিবর্তনের সাথে আমাদের আধ্যাত্মিক চিন্তার যোগসূত্র অনেক গভীর, এই আলোচনাটির বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। যদিও বিবর্তন বলতে অধিকাংশ মানুষ যা বুঝে তা হলো বানর থেকে মানুষ হয়ে যাওয়া, আর পিছনের লেজ খুঁজা পর্যন্তই তাদের জ্ঞান সীমাবদ্ধ। বৈজ্ঞানিকভাবে পৃথিবী ঘূর্ণায়মানের সাথে প্রাণিকুলের প্রতিটি বিষয়বস্তু পরিবর্তিত হচ্ছে। প্রতি মুহূর্তে প্রতিটি ক্ষণে আমরা সবাই বদলে যাচ্ছি, চিন্তা ভাবনায়, আমাদের সকল পদক্ষেপে। আমাদের চেহারা, রূপ লাবণ্য, চারপাশের পরিবেশের সমস্তকিছু রীতিমত বদলাচ্ছে।

প্রকৃতির সবকিছুই পরিবর্তনশীল, বিবর্তন এমন নয় যে আপনি আগের জন্মে ছাগল ছিলেন আর কিছুদিন পর ঘুম ভেঙ্গে দেখলেন মানুষের রূপ নিলেন। বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইনের বিবর্তনবাদের তত্ত্ব এমন কোনকিছুর ঈঙ্গিত করে না। তার এই তত্ত্বে দেখানো হয়েছে প্রাণীরা সময়ের সাথে সাথে প্রাকৃতিক নিয়মে ধীরে ধীরে কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। বিবর্তনবাদের এই তত্ত্বটি আমাদের পৃথিবীর পশুপাখি ও উদ্ভিদ জগৎ সম্পর্কে বুঝতে বড়ো ধরনের ভূমিকা রেখেছে। লক্ষ-কোটি বছরের ক্রমবর্ধমানের ফলে এই আজকের আমরা, পুরো পৃথিবীর প্রতিনিধিত্ব করছি, এতো উন্নত জীবনযাপন করছি। প্রযুক্তি দিয়ে দারুণ আর চমৎকার সবকিছু ঘটিয়ে চলছি।

আদিম যুগের মানুষ গুহায় থাকত। কাঁচা সবজি, ফল, মাংস খেত। জানা কথা। দাঁতের অবস্থা কি হতো। মানুষের মরে যাওয়ার আগেই সব দাঁত নষ্ট হয়ে পড়ে যাওয়ার কথা! তা হয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কারণ কি? এটি আন্দাজ করার বিষয়, তীব্র অনুভূতিসম্পন্ন মানুষ হলে বুঝতে পারবেন, শরীর আর মন একই সাথে কাজ করে, এই শরীর হলো পাপের বোঝা আর মন হলো রুহ। এই দুটি জিনিস পরিষ্কার রাখতে পারবে খুব দ্রুত বিকশিত হবেন। যারা বিচক্ষণ তাদেরকে দেখলেই বুঝা যায়। জানেন তো? মানুষের চেহারায় নৈমিত্তিক কাজের ছাপ পড়ে, ভাঁজে ভাঁজে লুকিয়ে থাকে, পড়তে জানলে অনেককিছু বলে দেওয়া যায়; যেমন তার পেশা কি? সে কীভাবে বেঁচে আছে? তার কর্মের দ্বারা কতোটা বিবর্তিত হলো ইত্যাদি। আমাদের বুঝতে হবে- কঠোর পরিশ্রম আর মানুষের প্রতি ভালোবাসা বিবর্তন ঘটাতে সহজ করে। প্রতিটি সময়ের সৎব্যবহার, বিনম্রতা আর বুদ্ধিদীপ্ত চিন্তার বিকাশ আমাদের আত্মার মুক্তির জন্য উৎকৃষ্ট পদ্ধতি, যার ফলে আপনি আরও একধাপ এগিয়ে যাবেন। আসুন বিবর্তনের সঠিক ব্যবহার করতে শিখি। নিজেকে ভালবাসি, অন্যদের প্রতি মন থেকে ভালোবাসা প্রদর্শন করি।

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:১৬

জুল ভার্ন বলেছেন: পোস্ট সম্পর্কে কিছু বলার নাই। তবে ব্লগের বর্তমান পরিস্থিতিতে এক ঘন্টার কম সময়ে এই পোস্ট চার শতাধিকবার পড়া হয়েছে- এটা অবিশ্বাস্য! =p~

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৫১

সাফায়েতুল ইসলাম বলেছেন: আমি নিজেও অবাক। যদিও এই বিবর্তনের বিষয়টি অনেক বিতর্কিত, তাই হয়তো মানুষ একটু বেশি আগ্রহ বোধ করেছে।

২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:২০

বিটপি বলেছেন: ডারউইনের বিবর্তনবাদ নিয়ে ইসলাম ধর্মের সাংঘর্ষিকতা ঠিক কোন জায়গায়, তাই তো বুঝতে পারলাম না। আপনার লেখা কিছুটা খাপছাড়া মনে হয়েছে।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:০২

সাফায়েতুল ইসলাম বলেছেন: ডারউইনের বিবর্তনবাদ নিয়ে ইসলাম ধর্মের কোন সাংঘর্ষিকতা নেই, থাকলে তো খুঁজে পেতেন। ইসলাম ধর্মের আধ্যাত্মিক অবস্থান অনেক দৃঢ় ও সম্পূর্ণ ভিন্ন ডাইমেনশনের প্রতিনিধিত্ব করছে। আর ডারউইনের মতবাদ আমাদের সৃষ্টির আদি উৎসের ব্যাপারে নতুন এক অভিনব ধারণা দেয়, যা প্রাণীকুলের বিবর্তন বুঝতে কিছুটা সহযোগিতা করে। সমস্ত কিছু একই সূত্রে গাঁথা।

এই লাইটি দয়াকরে মনোযোগ নিয়ে দেখুনঃ
বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যকার দৃশ্যমান অঙ্গসাংস্থানিক ও জিনগত সাদৃশ্যগুলো একটা ধারণা দেয় যে আমাদের পরিচিত সকল প্রজাতির প্রাণীই এক ধারাক্রমিক পরিবর্তনের্ত র মাধ্যমে একটি "সাধারণ পূর্বপুরুষ" থেকে ধীরে ধীরে উৎপত্তি লাভ করেছে।

৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৩১

শেরজা তপন বলেছেন: আদিম যুগের মানুষ গুহায় থাকত। কাঁচা সবজি, ফল, মাংস খেত। জানা কথা। দাঁতের অবস্থা কি হতো। মানুষের মরে যাওয়ার আগেই সব দাঁত নষ্ট হয়ে পড়ে যাওয়ার কথা! তা হয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কারণ কি?
~আমার মত যারা তীব্র অনুভুতি সম্পন্ন নয় তারা কিভাবে বুঝতে পারবে? যদি একটু ব্যাখ্যা করতেন তো উপকৃত হলাম।

*ব্লগার জুলভার্নের মত আমিও কিঞ্চিত অবাক হলাম। এখন আমাদের ব্লুগের অবস্থা এত ভাল নয় যে, এক ঘন্টায় চারশ'র অধিক মানুষ একটা পোস্ট পড়বে!

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:১৫

সাফায়েতুল ইসলাম বলেছেন: গুহায় বসবাস আর দাঁত পড়ে যাওয়ার ব্যাপারটি মানুষের আদি অবস্থান বুঝাতে চেষ্টা করেছি। পরের লাইনগুলোর সাথে এর তেমন কোন সম্পৃক্ততা নেই। আর তীব্র অনুভূতি সম্পন্নের বিষয়টি আমাদের মনস্তাত্ত্বিক অবস্থানের ব্যাপারে ক্লিয়ার করা হয়েছে, যেখানে রুহ আর শরীর দুটি আলাদা হলেও একইসাথে কীভাবে কাজ করে তা বুঝাতে চেয়েছি।

বিবর্তন নিয়ে ধর্মের সামঞ্জস্যতা রেখে আরও কিছু লেখা পোস্ট করা হবে। আশাকরি সামনের দিনগুলোতে একটিভ থাকবেন।

৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৩

কাঁউটাল বলেছেন: সোনাগাজি একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজের পিছনে একটা লেজের অস্তিত্ব অনুভব করল। ডাক্তার দেখানোর পরে সে জানতে পারল তার ব্যপারে বিবর্তনবাদ বিপরীতমুখি কাজ করেছে। এবং এভাবে কিছুদিন চলতে থাকে সে বানরে পরিনত হওয়ার একটা সম্ভবনা আছে। :)

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:১৬

সাফায়েতুল ইসলাম বলেছেন: মজার কমেন্ট করলেন, বিবর্তন বিপরীতমুখী হলে দারুণ হতো, তাহলে সময় পর্যন্ত রিভার্স করা যেতো।

৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৪

অনল চৌধুরী বলেছেন: ডারউইনের বিবর্তনবাদ নিয়ে ইসলাম ধর্মের কোন সাংঘর্ষিকতা নেই, থাকলে তো খুঁজে পেতেন।
বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যকার দৃশ্যমান অঙ্গসাংস্থানিক ও জিনগত সাদৃশ্যগুলো একটা ধারণা দেয় যে আমাদের পরিচিত সকল প্রজাতির প্রাণীই এক ধারাক্রমিক পরিবর্তনের্ত র মাধ্যমে একটি "সাধারণ পূর্বপুরুষ" থেকে ধীরে ধীরে উৎপত্তি লাভ করেছে - সেমেটিক, বা মূর্তিপূজারী-সব ধর্মই মানব সৃষ্টি সংক্রান্ত বিবর্ততনবাদ মতবাদের বিরোধী।
কি বলছেন আর কি লিখছেন সেটা ভালো পড়ে দেখেন।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:০৪

সাফায়েতুল ইসলাম বলেছেন: কারন তারা জানে না বিবর্তন কি? এটি কীভাবে কাজ করে। সেমেটিক, বা মূর্তিপূজারী-সব ধর্মই মানব সৃষ্টি সংক্রান্ত বিবর্ততনবাদ মতবাদের বিরোধী। - এই বিষয়ে আমরা কমবেশ সবাই অবগত, নতুন কিছু নয়। ধর্মিয় সাংঘর্ষিকতা সৃষ্টি হয়েছে দেখেই এই বিবর্তনবাদ নিয়ে সহজ ও সরল ভাবে মানুষের কাছে উপস্থাপন করতে চেয়েছি, যেনো সবাই বুঝতে পারে।

৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫

নাহল তরকারি বলেছেন: ডারউইন কিন্তু কোথাও বলে নাই যে বান্দর থেকে মানুষের সৃষ্টি। তিনি কোন আর্টিক্যাল, রিচার্চ পেপার, বই কোথাও বলে নাই যে বান্দর থেকে মানুষের সুষ্টি। বরং বাঙ্গালীরা বলে বন্দর থেকে মানুষের সৃষ্টি।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:০৭

সাফায়েতুল ইসলাম বলেছেন: মনের কথা বললেন, আমিও এই সেইম বিষয়টি মানুষকে বুঝাতে চাচ্ছি- বিবর্তন শুধু বানর আর মানুষের মধ্যেকার পরিবর্তনকে বুঝায় না, এটি আরও অধিক কিছু।

৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১০

অনল চৌধুরী বলেছেন: বিড়াল মানে বিড়াল গোত্রের সব প্রানী যার মধ্যে বাঘ-সিংহ চিতা-চিতাবাঘ-সবকিছু পড়ে।
জীব বিজ্ঞানে বাদর মানে শুধু ছোটো বাদর না, বনমানুষম গরিলা,ওরাং-ওটাং এবং শিম্পাঞ্জি-সবকিছু।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:১৮

সাফায়েতুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ এই গুরুত্বপূর্ণ ইনফরমেশন গুলো দেওয়ার জন্য। বাননের মধ্যেও নানান প্রজাতির রয়েছে, যেমন বিড়ালে। কিন্তু মানুষ তো বিবর্তন বলতে বুঝে- হুট করে ছাগল থেকে মানুষ হয়ে গেছে। এইটা কিছু হইলো!

৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:১৯

সোনাগাজী বলেছেন:



বিবর্তন নয়, কোন ব্যাপারে আপনার সঠিক ধারণা থাকার সম্ভাবনা কম; আমি আপনার বিবিধ লেখার উপর চোখ বুলায়েছি। আপনি বলছেন যে, আল্লাহ বলেছেন, উনার সৃষ্টির মাঝে মানুষই সর্ব শ্রেষ্ঠ। সৃষ্টির মাঝে মানুষই সর্ব শ্রেষ্ঠ, ইহা সঠিক, ইহা মানুষ নিজেই বের করেছে।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:২১

সাফায়েতুল ইসলাম বলেছেন: সৃষ্টির মাঝে মানুষই সর্ব শ্রেষ্ঠ -এটি একটি আধ্যাত্মিক উপলব্ধির বিষয়, এই ধারণা না মানার সমস্ত অধিকার আপনার আছে।

৯| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:০৫

রানার ব্লগ বলেছেন: কুরিয়ে কাছিয়ে ব্লগে লোক সংখ্যা ২০০ জন ব্লগ পরা হয়েছে ৬০০+ বার ঘটনা কি?! ইহার বিবর্তন কেমনে হলো?!

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:২৪

সাফায়েতুল ইসলাম বলেছেন: এই সময়ের আলোচ্য বিষয় বিবর্তন। মানুষজন উলটা পালটা থিউরি দিচ্ছে, না বুঝে ধর্মের সাথে বিবর্তন নিয়ে সংঘর্ষ তৈরি করছে। তাই হয়তো লেখাটি মানুষ বেশি ক্লিক করছে।

১০| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:০৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনার লেখাটা আমি পড়লাম। ভালো লাগলো। কিন্তু আপনি আসলে কি বোঝাতে চেয়েছেন সেটাই বুঝতে পারলাম না। ডারউইনের বিবর্তনবাদ নিয়ে ইসলাম ধর্মের সাংঘর্ষিকতা বলতে আপনি কি বোঝালেন আমি ঠিক বুঝলাম না। সমাধান চাইছি। আসলে আপনি বিবর্তনকে সঠিক বলছেন না কি সাংরঘর্ষিক বলছেন? অপনার লেখায় কিছু বুঝলামনা একটু বুঝিয়ে বলবেন কি?

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৩৩

সাফায়েতুল ইসলাম বলেছেন: আপনার এই মন্তব্যটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ, মানুষের বিবর্তন নিয়ে ডারউইনের মতবাদের সাথে ইসলাম ধর্মের বিরোধিতা আছে এমন কিছুর একটা ভ্রান্ত ধারণা সবার মধ্যে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাই সহজ ও সরলভাবে অল্প কথায় বিষয়টি বুঝাতে চেয়েছি, এই বিবর্তনের আধ্যাত্মিক তাৎপর্য কি? এবং ধর্ম এই বিবর্তনবাদকে কীভাবে মোকাবেলা করছে? এই ব্যাপারে আগামীতে বিস্তারিত সিরিজ আঁকারে লিখবো।

ডারউইনের বিবর্তনবাদ নিয়ে ইসলাম ধর্মের কোন সাংঘর্ষিকতা নেই, থাকলে তো খুঁজে পেতেন। ইসলাম ধর্মের আধ্যাত্মিক অবস্থান অনেক দৃঢ় ও সম্পূর্ণ ভিন্ন ডাইমেনশনের প্রতিনিধিত্ব করছে। আর ডারউইনের মতবাদ আমাদের সৃষ্টির আদি উৎসের ব্যাপারে নতুন এক অভিনব ধারণা দেয়, যা প্রাণীকুলের বিবর্তন বুঝতে কিছুটা সহযোগিতা করে। সমস্ত কিছু একই সূত্রে গাঁথা।

১১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: ডারউইন সাহেবের চিন্তা ভাবনা উন্নত।
নবী রাসুলের চিন্তা ভাবনা ও কর্ম পদ্ধতি উন্নত নয়।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৪০

সাফায়েতুল ইসলাম বলেছেন: এইভাবে এপ্রোচ করা উচিৎ না। চিন্তা ভাবনা ও কর্ম পদ্ধতি প্রত্যেকের টাইমলাইন অনুযায়ী কাজ করেছে। বুদ্ধিদীপ্ত কাজে নবী রাসূলদের অবদান ব্যাপক। মানব কল্যাণে তাদের ভুমিকা অস্বীকার করা যাবে না।

১২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:০৯

কামাল১৮ বলেছেন: বান্দর থেকে মানুষ হয়েছে যারা ভাবে তারা বান্দরের জাতগুষ্ঠি।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৪৭

সাফায়েতুল ইসলাম বলেছেন: এইসব পচা কথা বলে না। ওরা অবুঝ। যারা বুঝের তাদের দায়িত্ব হচ্ছে ভালো করে বুঝানো। জ্ঞানী মানুষের যাকাত হচ্ছে মূর্খের সাথে তর্ক না করা।

১৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৪০

অধীতি বলেছেন: শেষে এসে একটা সমাপনী টানা উচিত ছিলো। গুলিয়ে ফেলেছেন। আলোচ্য বিষয় থেকে বক্তব্য বাইরে চলে এসেছে।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৪৪

সাফায়েতুল ইসলাম বলেছেন: বিবর্তন নিয়ে একটা ইন্ট্রো দিলাম, এইটা ট্রেইলার ছিলো, পিকচার আবি বাকি হ্যে। সহজ ও সরলভাবে অল্প কথায় বিষয়টি বুঝাতে চেয়েছি, এই বিবর্তনের আধ্যাত্মিক তাৎপর্য কি? এবং ধর্ম এই বিবর্তনবাদকে কীভাবে মোকাবেলা করছে? এই ব্যাপারে আগামীতে বিস্তারিত সিরিজ আঁকারে লিখবো। আশাকরছি একটিভ থেকে সহযোগিতা করবেন।

১৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৫৪

শার্দূল ২২ বলেছেন: আপনি কি বলতে গিয়ে ঠিক কি বলে গেলেন আমি কিছুই বুঝিনি। তবে টপিকস নিয়ে কথা বলা যেতে পারে।

প্রথমত বিবর্তন কোন ভাবেই ইসলাম বা আল্লাহর সাথে সাংঘর্ষিক নয়, বরং আল্লাহর সব সৃষ্টিই বিবর্তনের মাধ্যমেই হয়েছে। কোরাণ এ তার শত শত ব্যখ্যা দেয়া আছে। ডাড়উইনের ব্যখ্যার সাথে খোদ বিজ্ঞানের মতবিরোধ আছে তা প্রমাণও করেছে। তাহলে প্রশ্ন -কিভাবে এই থিওরি এতটা জনপ্রিয়তা পেলো?কারণ ১৮৫৭ সালে ডাড়উইন যখন তার বুক অরজিন স্পেসিয়েস প্রকাশ করেন তখন ছিলো কার্ল মাস্ক আর ফ্রেয়েডের সময়। তারা ধর্মের জন্য কমিউনিজম সমাজে প্রতিষ্ঠা করতে পারছিলোনা ধর্ম গোষ্ঠির জন্য, মানুষ বিভিন্ন ধর্মে ভাগ হয়ে গেলেও আদম এবং হাওয়া নিয়ে সবাই একমত ছিলো, সেই সময়ে ডাড়উইনের এই থিওরীকে কাজে লাগিয়ে দিলো কার্ল মাক্স। মানুষ ধর্ম নিয়ে খুব বেশি বিভাজনে থাকায় কিছু মানুষ ধর্মের জাতাকল থেকে বের হতে এই থিওরি মেনে নিতে লাগলো।

এখন প্রশ্ন আসলেই কি এমন হয়েছিলো? না এমন হয়নি তার অনেক গুলো প্রমাণের মধ্যে দুই একটা বলা যেতে পারে। যেমন মানুসের ব্রেইনের সিসি ক্ষমতা মানে ক্রেনিয়াল কেপাসিটি ১৩০০ থেকে ১৪০০। কিনতু একটা বানরের মাত্র ৩৫০ সিসি হয়। এই পর্যন্ত সারা দুনিয়া ঘুরে কোন বিজ্ঞানি ৩৫০ সিসির মাথার খুলি বিবর্তনে বড় হতে থাকা এই দুইয়ের মধ্যেখানের কোন সাইজ তারা পায়নি, তাহলে কি ৩৫০ এক ধাপে ১৩০০ হয়েছে? অবশ্যই না। এর পর সিম্পাঞ্জির চোয়াল তার মাথার খুলির পিছনের সাথে সংযুক্ত যা মানুসের হয়না, এবং মানুসের পায়ের গড়ন কোনভাবেই বানর বা গরিলার সাথে মিলেনা এবং তা বিবর্তণেও সম্ভব নয়।

তাহলে আমরা এই বিবর্তন দিয়ে কি করবো? হ্যাঁ করার আছে অনেক কিছুই। আমরা এটার উপর স্ট্যান্ড করবোনা, কিন্তু আমরা স্টাডি করে বিবর্তেনর ফর্মুলা নিতে পারবো। যেমন মোললাদের কে একটা সাধারণ কথা দিয়ে বুঝাই। ওনারা আবার বেশি জটিল বুঝেননা, ওনারা শুধু ভাত বুঝেন আর তাসবিহ বুঝেন, তাই ভাত দিয়ে বুঝাই। ধরেন একটা ধান গাছ , সেখান থেকে আমরা পক্রিয়া করে ধান তারপর চাল, তার পর ভাত। যেটা খেয়ে আমরা বাচি। এই ভাত দিয়ে আরেকটা কাজ হয় সেটা হলো নরসিংদি একটা মদের পল্লিতে দেখেছি ভাত পঁচিয়ে মদ বানাতে। না আমরা মদের দিকে যাবোনা, হুজুর মেনে নিবেনা। আমরা ভাত পর্যন্ত থাকি, ।

বিবর্তন আমরা দেখি শুনি পড়ি শিখি কিন্তু বানর থেকে মানুষ সেটা পড়বোনা । পড়লে হুজুর ক্ষেপে যাবেন, আমরা ভাত পর্যন্ত থেকে আমাদের ছাত্রদের বিজ্ঞান শেখাই। তবে কষ্টের বিষয় হলো যারা বিবর্তন শব্দটাই বুঝেনা তারা আজ তার বিপক্ষে ওয়াজ করে।

(খুব দ্রুত লেখা, বানান মাপ করবেন। )

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৫৮

সাফায়েতুল ইসলাম বলেছেন: আপনার মন্তব্যের শেষাংশ যুক্তিগুলো খুবই দুর্বল ছিলো। আপনি কি বলতে গিয়ে ঠিক কি বলে গেলেন আমি কিছুই বুঝিনি। - আমারও ঠিক এই অবস্থাই হলো। অনেক কিছু মাথার উপর দিয়ে গেছে। বিষয়টি আরও গুছিয়ে বলার চেষ্টা করুন।

১৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:০৪

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: নাহল তরকারি কি ডারউইনের লেখা পড়ে, নাকি না পড়ে, মন্তব্য করলেন। The Descent of Man-এ তো ডারউইন অনেক হামবড়া কথা বলে গেছেন:
The most ancient progenitors in the kingdom of the Vertebrata, at which we are able to obtain an obscure glance, apparently consisted of a group of marine animals,[354] resembling the larvae of existing ascidians. These animals probably gave rise to a group of fishes, as lowly organised as the lancelet; and from these the ganoids, and other fishes like the Lepidosiren, must have been developed. From such fish a very small advance would carry us on to the amphibians. We have seen that birds and reptiles were once intimately connected together; and the Monotremata now connect mammals with reptiles in a slight degree. But no one can at present say by what line of descent the three higher and related classes, namely, mammals, birds, and reptiles, were derived from the two lower vertebrate classes, namely, amphibians and fishes. In the class of mammals the steps are not difficult to conceive which led from the ancient Monotremata to the ancient marsupials; and from these to the early progenitors of the placental mammals. We may thus ascend to the Lemuridae; and the interval is not very wide from these to the Simiadae. The Simiadae then branched off into two great stems, the New World and Old World monkeys; and from the latter, at a remote period, Man, the wonder and glory of the Universe, proceeded.

১৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৩০

নীল আকাশ বলেছেন: ইসলাম ধর্মকে বিজ্ঞান দিয়ে বিচার করার মতো হাস্যকর কাজ করা বন্ধ করুন।
বিজ্ঞান পরিবর্তনশীল কিন্তু ইসলাম শ্বাশত।
ইসলাম আধুনিক, ডায়নামিক ও বিজ্ঞানসম্মত এটা প্রমাণ দায়িত্ব কাউকেই দেয়া হয়নি।

১৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:২৬

রানার ব্লগ বলেছেন: হা হা হা!! এই ব্লগে অনেক আগে থেকেই বিবর্তন নিয়ে সমালোচনা আলোচনা পর্যালোচনা হয়েছে। একটু পেছন দিকে গিয়ে খোঁজ লাগান বিস্তার আলোচনা পেয়ে যাবেন। বিবর্তন নিয়ে তেমন নতুন বা জানার মতো কিছুই পাওয়া যায় নাই সেই চর্বিতো চর্বন। তব একটা ব্যাপার ঘটেছে কিছুদিন আগে ব্লগের জ্ঞ্যানী ধার্মিকরা বিবর্তন শুনে ব্যাপক এলার্জিতে ভুগতেন এখন দেখি তাদের উত্তরসূরীরা বেশ আনন্দের সাথে ধর্ম বিবর্তনবাদ এক করে নিজেকে জ্ঞ্যানী বোঝানোর চেস্টা করছেন। এটা দেখে একটা জিনিস বুঝেছি সময়ের এক ঘা অসময়ের লক্ষ কোটি ঘায়ের সমান।

১৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:২৭

রানার ব্লগ বলেছেন: এতোদিনে নীল আকাশ একটা বুঝমান লোকের মতো কথা বললো।

১৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্মীয় বিশ্বাস ও শিক্ষা মানুষের মনকে হাজার হাজার বছর পিছিয়ে রেখেছে। আপনি যদি অন্ধবিশ্বাসী না হন তাহলে অবশ্যই এটা মেনে নেবেন। তেমন কেউ আছেন এখানে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.